ফাঁসি খুউউউব –ই লঘু শাস্তি !!!

লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৫:৫৬:৫৫ বিকাল

ফাঁসি খুউউউব –ই লঘু শাস্তি !!!

--_--------_-----------_------------

এতে তো তার কিছু আসে-যায় না! নানান দৃষ্টিকোণ থেকে যতটুকু জেনেছি, তাতে নিরেট তারই লাভ।

আমি বলি কি, ফাঁসি আমি দিবো কেন ? সে ফাঁসি চাইবে, মৃত্যু কামনা করবে কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে রাখার সব চেষ্টাই আমরা করবো। আর তাতে করে সে ফাঁসির আশা বাদ দিয়ে লর্ড ক্লাইভের মত না হয় আত্মহত্যা করবে। তা করলে সে করুক। কিন্তু আমরা ফাঁসি দিবো না। তিলে তিলে তাকে এ দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে এবং মৃত্যুর স্বাদ টের পাওয়াইতে হইবে! আমাদের কাজ হবে তার বা তাদের থেকে মরণকে লুকিয়ে রাখা। মরণকে সে হন্য হয়ে খোঁজবে কিন্তু মরণ তার থেকে দিক্বিদিক পালিয়ে বেড়াবে ; এই না হলো শাস্তি। কিন্তু আমরা তার জন্য কত সহজ করে তার কাঙ্ক্ষিত জিনিস হাতের মুঠোয় যত্নসহ তুলে দিচ্ছি !

আমার মনে হয় সে হিম্মত আপনাদের নাই। মনে হয় কি ; তা আজ শতভাগ সত্য । তা না হলে এতো নাটক, গল্প, কাহিনী, উপন্যাস, আদালত, বিচারক ............... দেখাতেন না । কারণ, তাদেরকে ভয় পান ! অবশ্য বই পুস্তকেও পড়েছি শয়তানও তেমন অনেককে ভয় পায়। আপনাদের ক্ষেত্রে যদি তাই না হয়, তাহলে আমার মত পিশাচদের কাছে তাদেরকে দিয়ে দিন। জীবন্ত গায়ের চামড়া চিরে নিবো। এরপর লবণের সঙ্গে গুঁড়ো মরিচের পাউডার তাদের শরীরে ছিটিয়ে উপভোগ করবো তাদের স্বর্গে যাওয়ার বাসনা । এরমাঝে তারা বারবার ক্লান্তিতে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকবে। আবার যখন হুঁশ ফিরে পাবে , তখন সেখান থেকে ( লবণ, মরিচের পাউডার মেশানো শরীর থেকে) মাংস কেটে কেটে তাদের রক্তকে ডিজিটালে প্রক্রিয়া করে জ্বালানী তেল বানিয়ে তা দিয়ে শিখা-আগুন জ্বালিয়ে কাবাব বানাবো ! লাওয়ারিশ কুকুরদের দাওয়াত করে পরম যত্নে সে কাবাব পরিবেশন করবো। কুকুরগুলো মজা করে চিবিয়ে চিবিয়ে ভোজন করবে । আমরা পরম বিনোদিত হয়ে তা প্রত্যক্ষ করবো। রাজাকারদের বাঁচিয়ে রেখে রেখে এ কর্ম অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাবো।

অথবা মানুষ খেকো রাক্ষসীদের হাতে তুলে দিতে পারেন। যার অসংখ্য নজির আপনারা সাফল্যের সাথে রেখেছেন।

আমার মনে হয় না; এ সব আপনারা পারবেন । যদি পারতেন তাহলে এভাবে লুকোচুরি, নির্যাতন, গুম, খুন, হত্যা, মামলা, জেল, ফাঁসি ফাঁসি ......... করতেন না । জনতার কাছেই তাদেরকে ছুড়ে দিতেন। ভোক্তভুগী জনগণই তাদেরকে টেনে- হেঁচড়ে, খামছে খামছে মেরে তাদের স্বর্গে যাওয়ার স্বাদ মিটিয়ে দিতেন।সে সাহস আপনাদের নেই, নেই , নেই ..............

সাহস করবেন কি করে? জানাযায় লোক দেখলেই তো ভড়কে যান। কই ১৪ নাকি ১৭ জন যেনো, আর কই রাজাকারগো জানাযা...... ... .. হাহ হা !!! কিন্তু ২০ জন বেঁধে দিলেন কি করে? ৬জন নাকি ৩জন বেশী হয়ে গেল না !!!???

হায়রে রাজাকাররারে ! তোরা এতো বড় মাপের শয়তানের ওস্তাদ হইলি কিভাবে ?! তোদের লিঙ্গ কি এমনই ধ্বংস করেছিস যে, এই ৪৫ বছরেও একবার জাগাতে পারলিনা । পুন্দাইতে না পারিস, অন্তত জামা-কাপড় ধরে একটু টানাটানি তো করতে পারতিস !

== এতো মানুষ মারার সুনাম কিভাবে ধূলায় মিশিয়ে দিলি যে-- তুই, তোদের সন্তান, নাতি, পুতি, জ্ঞাতি, গোষ্ঠীরাও কেউ এই ৪৫ বছরে কাউকে একটা থাপ্পড় দিতেও পারলি না !

== এতো এতো লুটতরাজের খ্যাতি ডিজিটাল যুগে অণুবীক্ষণ যন্ত্রেও ধরা পড়ে না এই ৪৫ বছরে ! হালা রাজাকার, তোরা পারিসও বটে !

== আসলে, তোদেরটা কোন পার্টিই না ! তার প্রমাণ, তোদের পদ পদবী, গ্রুপিং, হানাহানি, মারামারি, বংশ পরম্পরায় প্রতিবন্ধী নেতৃত্ব তাহলে কোথায় ?

== রাজাকার নর্দমার কীট পিশাচের বাচ্চারা, তোরা এমন জারজ সন্তান জন্ম দিছিস যে- ধর্ষণ, খুন, হত্যা, রাহাজানি, মারামারি, ইয়াবা,গাজা, মদ,নারী, জেনা, জঙ্গি, টঙ্গী, মঙ্গি .................. ............ এসব স্বর্গীয় কাজ করতে একেবারেই অক্ষম।

ধ্যাত বালছাল। আর কতো লিখুম ! তয় নর্দমার কীট পিশাচের বাচ্চা রাজাকাররা জেনে রাখিস, তোর, তোদের জ্ঞাতি গোষ্ঠীগো বিচার একদিন হবেই হবে । কারণ, আমি আল্লায় বিশ্বাসী । আমার আল্লাহ বলেছেন, “ সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হবে। অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তার প্রতিদান পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তারও প্রতিদান পাবে ।“ ( সূরা যিলযালঃ ৬-৮)

“আর সেদিন নিজের বিচার নিজে করতেই যথেষ্ট।” ( সূরা বানী ইসরাইলঃ ১৪

আহারে ! আমি যদি রাজাকার হতে পারতাম!!!

বিষয়: বিবিধ

১৩০৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য