সবাই বলছে রোহিংগা সমস্যা, কার সমস্যা? সমাধান করবে কে?

লিখেছেন লিখেছেন ভোদাই ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৫:১৯:২৩ বিকাল

১. যেকোন কারণেই হোক, রোহিংগারা মায়ানমারের জন্য সমস্যা (?)।তারা মুসলমান। এটাই তাদের অপরাধ। তাই তারা হত্যা নির্যাতন করে রোহিংগাদেরকে নির্মুল করতে চাইছে।

২. রোহিংগারা মানুষ। তারা জীবন বাচাতে বাংলাদেশে ঢুকছে। লাখ লাখ রোহিংগা শরনার্থী হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সুতরাং, রোহিংগারা বাংলাদেশের জন্যও সমস্যা হয়ে উঠছে। আর তাই, রোহিংগা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকেই উদ্যোগী হতে হবে।

৩. রাখাইনে নিরাপদ অঞ্চল গড়ার যে প্রস্তাব বাংলাদেশ দিয়েছে, তা খুবই ভাল প্রস্তাব। কিন্তু এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে এই প্রস্তাব জাতিসংঘে কখনই পাশ হবে না। কারণ, রাশিয়া ও চীন ভেটো দেবে।

৪. অনেকেই রোহিংগা সমস্যা সমাধানের জন্য ট্রাম্পের কাছে ধর্না দিচ্ছে। হাহাহা....। ট্রাম্পের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, রোহিংগা সমস্যার সমাধান করবে।

৫. ইতিহাস বলে বার্মিজরা শক্তের ভক্ত, নরমের যম। তাই শক্তি প্রয়োগ ছাড়া কখনই তারা সোজা পথে হাটবে না, সমস্যার সমাধান হবে না।

৬. বিভিন্ন দেশ রোহিংগাদের জন্য ত্রান পাঠিয়েই দায়িত্ব শেষ মনে করছে। ত্রান হচ্ছে প্রাথমিক মানবিক সহায়তা, স্থায়ী সমাধান নয়।সমাধানের উদ্যোগ কেউ নিচ্ছে না।

৭. স্থায়ী সমাধান একটাই। সামরিক হস্তক্ষেপ। লাখ লাখ রোহিংগাদের মধ্য থেকে কমপক্ষে দুই লাখ তরুন রোহিংগাদেরকে নিয়ে রাখাইন মুক্তি বাহিনী গঠন করতে হবে। আর এটা বাংলাদেশকেই করতে হবে। এই বাহিনীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে রাখাইনে পাঠাতে হবে। এর জন্য রোহিংগাদের প্রতি সহানুভুতিশীল দেশগুলোর নিকট থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ ও রসদ সংগ্রহ করা যেতে পারে।

৭. রাখাইন মুক্তি বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে কোয়ালিশন আর্মি গঠন করা যেতে পারে।

৮. বাংলাদেশের দুটি বন্ধু প্রতিম দেশ চীন ও ইন্ডিয়া বার্মাকে সমর্থন কারী। মনে রাখতে হবে এই দুটি দেশ কখনই স্বার্থ ছাড়া কারো বন্ধু হয় না। স্বার্থের জন্যই তারা আমাদের বন্ধু। স্বার্থের জন্যই এরা বার্মাকে সাপোর্ট করছে।

৯. রাখাইনকে বার্মার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বাংলাদেশের স্বাধিনতা ও স্বার্বভৌমত্বের জন্যই।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

৭৯৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383960
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ১০:৩৭
মীর ফরিদ লিখেছেন : জন্ম যখন মৃত্যুরই জন্য, তখন মৃত্যুকে ভয় কেন? ঘুরে দাঁড়াতে হবে। পলায়ণ না করে যা আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নতুবা গৌরবের নয়, অপমানজনক মৃত্যু অবধারিত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File