ডিবেটস অন মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (পর্ব-০১)

লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ০৮:৫৪:২২ সকাল



[কিছুদিন আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম- মহররম মাস আসতে না আসতেই দেখি...(https://web.facebook.com/shahadat.siddiquee.9/posts/1124219907633469) তো শেষের কয়েকটা লাইন ছিলো-

‘আপনি কে বা কোন পন্থি জানিনা, জানার প্রয়োজনও বোধ করি না, শুধু বলবো,

মনে রাখবেন-

বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর আজকের এই অধঃপতন-

তা মুয়াবিয়া প্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্র এবং তার প্রতি মুসলমানদের সামগ্রিক সংগ্রামহীনতার পরিণতি মাত্র!

এই পরিণতি আল্লাহ তা'লা সেদিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করবেন- যতদিন না এই উম্মাহ সামষ্টিক এবং সর্বোতভাবে দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত মুয়াবিয়াতন্ত্র, এজিদতন্ত্রের প্রতিপক্ষে রুখে দাঁড়াচ্ছে!...’

এখানে উল্লেখিত ‘মুয়াবিয়া প্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্র’ এবং ‘মুয়াবিয়াতন্ত্র’ শব্দগুচ্ছ কেউকেউ মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সেখান থেকেই মূলত বিতর্কের শুরু। যা’ই হোক, এতে নানা কথা উঠে এসেছে। খিলাফাত আলা মিন হাজিন নবুয়াহ’র অভিমুখে আজ আমরা! উম্মাহর ইতিহাসের সেই চরম ক্রান্তিকালের ইতিহাসে আগ্রহী আগামী দিনের ইতিহাস-নির্মাতা তরুণদের জন্য এই বিতর্কটাও টুকে রাখা…]

Shofi Kaium: মোয়াবিয়া বদরী সাহাবী নয়! (?)

রিপ্লাই:

বদর ওহুদ খন্দক তো বহু দূরের কথা। হুদাইবিয়ার সন্ধীর পরও নয়। মক্কা বিজয়ের দিন তার পিতা আবু সুফিয়ানের পিঁছু পিঁছু এসে ইসলাম গ্রহণ করেন। আরো অনেক কথা আছে, যাই হোক... ধন্যবাদ।

মুহাম্মদ আফসার: পিতা আবু সুফিয়ানের পিঁছু পিঁছু এসে ইসলাম গ্রহণ করেন. আহ্ আপনি যদি বুঝতেন এই দৃশ্যটা আল্লাহর কাছে কতটা পছন্দনীয়!

রিপ্লাইঃ

আলোচনা আল্লাহর কাছে কী পছন্দনীয় আর কী নিন্দনীয় সেটা নয়, বরং মুয়াবিয়ার ইসলাম গ্রহণের 'সময়কাল'। আর এ ব্যাপারে পছন্দ অপছন্দের কথা আল্লাহ সূরা হাদীদের দশম আয়াত এবং সূরা নসর'এ জানিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই...

মুহাম্মদ আফসার: আপনি “মুয়াবিয়াতন্ত্র” বলায় আমার মাইন্ড আপনার “পিছুঁপিছুঁ” বাচনভঙ্গিতে প্রশ্ন তুলছে। যাই হোক ইউকিতে দেখতে পাচ্ছি তিনি ফাতহের আগে ইসলাম কবুল করেছেন, তবে প্রকাশ করেছেন পরে। যদি আপনার সিদ্ধান্তটাই মেনে নেই তারপরো আপনার রেফারকৃত আয়াতে দেখতে পাচ্ছি وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَىا তবে আল্লাহ উভয়কেই কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন।

আল্লাহ যার কল্যাণের ওয়াদা দিচ্ছেন, আপনি তাকে সৈরাচারীতন্ত্রের প্রবক্তা বলায় কষ্ট পেলাম। সাহাবীদের মধ্যে পরষ্পর বিরোধমান বিষয়াবলীকে আমি “সাহাবিয়্যাতের” মোহ মুক্ত হয়ে পর্যালোচনা করার বিপক্ষে। যারা ইতিহাস চর্চার নামে ”মোহমুক্ত” পর্যালোচনা করে আমি তাতের সাথে ততক্ষন তর্কে জড়াই না যতক্ষণ না তারা সীমালঙ্গন করে। যারা আয়িশা (রাHappyসহ খোলাফায়ে রাশেদ এবং সাহাবিদের কোন এক নগণ্য সদস্যকে গালি দেয়। অথবা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্ধেশ পোষণ করা ঈমানি দায়িত্ব মনে করে। তাদের ঈমান নিয়ে আমার সংসয় আছে।

আল্লাহ হেফাজত করুন।

Shofi Kaium: ঈমান আছে কি নেই, এই নির্ণয় কে করে- তিনি ছাড়া।

রিপ্লাই টু মুহাম্মদ আফসারঃ

বিষয়টা আপনি কিছুটা ধরতে পেরেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে। 'তবে আল্লাহ উভয়কেই কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন'- এখানে 'উভয়ের' কোনোটিতেই কিন্তু মুয়াবিয়া সাহেব নেই। কোনো কোনো মুফাসসির বিজয় বলতে এখানে মক্কা বিজয় বোঝালেও এ মূলত হুদায়বিয়ার সন্ধি। দেখুন সূরা ফাতহ'এর প্রথম আয়াত। তাছাড়া এর সমর্থনে হাদীসও রয়েছে। আপনি চাইলে দিতে পারি...

দ্বিতীয়ত, সূরা নসরের কথা বললাম। এখানে বিজয় বলতে মোটা দাগে মক্কা বিজয়কে বোঝানো হয়েছে, সন্দেহ নেই। এই বিজয়ের পরই উনার ইসলাম গ্রহণ। অর্থাৎ, যখন আর উপায় নেই...। এ নিয়ে আরো কথা আছে, শুধু বলি মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম গ্রহণকে কুরআন বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যে গ্রহণ করছে না। সূরা নসরের কথা যে জন্য বললাম, কুরআন বলছে- আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় যখন এসে যাবে, দলে দলে লোক ইসলাম গ্রহণ করেবে। লক্ষ্য করুন- দলে দলে লোক(وَرَأَيْتَ النَّاسَ).

তার মানে হচ্ছে, সাহাবী বলতে রাসূলুল্লাহর 'নিবিড় সাহচর্যে থাকা মানুষের' যে প্রতিচ্ছবি আমরা দেখি, উনারা সেই ক্যাটাগরির না। তাই বলে উনারা ফেলনা, সে কথাও আমরা বলতে পারি না। কিন্তু বদরের সাহাবী, ওহুদের সাহাবী, বাইয়াতে রিদওয়ানের সাহাবীদের আমরা যেভাবে গ্রহণ করি; প্রায়ই দেখি মুয়াবিয়ার মূল্য তার চেয়ে অজস্রগুণ বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। এ ক্যামোন সাহাবী প্রীতি আমাদের!! (প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ভাত নাই, আর হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের ঠেলায় থাকা যায় না অবস্থা!)

আপনার জন্য আপাতত শেষ কথা হলো- কথা হচ্ছে মুয়াবিয়াকে নিয়ে, আর কাউকে দয়া করে টেনে আনবেন না। এখানে কাউকে গালি বা সমালোচনা করা হচ্ছে না। সাহাবীদের গালি দেয়ার সংস্কৃতির উদ্ভোধকও সেই মুয়াবিয়া সাহেবই! সাহাবী হন্তারকও তিনিই! আর ইসলামের মুখোশপরা রাজতন্ত্র/স্বৈরতন্ত্রকেই এখানে মুয়াবিয়াতন্ত্র বলা হয়েছে! সেটাও নিজ থেকে বলা নয়, হাদীস থেকেই বলা। 'খিলাফাত ত্রিশ বছর, তার পরে রাজতন্ত্র'... সো বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে...

মুহাম্মদ আফসারঃ এটা দীর্ঘ পরিসরে বিতর্কের জায়গা না। ফলে কথা বলতে বলতেও অনেক কথা থেকে যায়। তাই আপনি ঠেলতেছেন বুঝতেছি। মুয়াবিয়া (রা.) কে আপনি সাহাবী না মানলে অথবা রাসুলের শীষ্যত্বগ্রহণ, ওহী নাযিলের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষি না মানলে এবং এগুলো মর্যাদার বিষয় মনে না করলে, আপনার সাথে তার মর্যাদা নিয়ে বির্তক করে ফায়দা নেই। অন্য সাহাবীদের কথা ইচ্ছা করেই তুলতেছি না। কারণ তাদের প্রসঙ্গ তুলে আনলে উপরে আপনি ক্ষণে ক্ষণে বদর, উহুদ আর হুদায়বিয়ার সাহাবীদের নিয়ে যে সব নীতিকথা পরমাইছেন সব উবে যাবে। তখন আপনার ভাষায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারাও রাজাকার হয়ে যেতে পারে। অলরেডি দুই রাজাকার শুয়ে আছে রাসুলের দুই পাশে। ওকে ভাল থাকেন।

.রিপ্লাইঃ

'রাসুলের শীর্ষত্বগ্রহণ', 'ওহী নাযিলের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষি' এগুলো কই পাইলেন ভাই! রাসূল তখন ইন্তেকালের পথে, সমাপ্তির পথে ছিল ওহী নাযিল...। যার যেটুকু মর্যাদা সেটুকু দিন। আমি সুনির্দিষ্ট আলোচনা করতে পছন্দ করি। মুয়াবিয়াকে সাহাবী মানলেও যে, সে আলোচনা করা যাবে না, তা তো নয়। আর রাসূলের দু'পাশে শুয়ে আছেন, রাসূলেরই দুই বাহু! রাসূলের ভূক্ত-অভূক্ত দিনের সহচর! তাদের সাথে তুলনা হতে পারে কার!?...

MD Sabbir: মুয়াবিয়া (রাHappy জলীলুল ক্বদর সাহাবী না হলে ও আল্লাহর হাবীব (সাHappy এর অতি মর্যাদাবান একজন সাহাবী । তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে দু চারটে ইতিহাস পড়া এবং বুঝা অতি জরুরী । একজনকে মহান করতে গিয়ে আরেকজনকে গালাগাল। that none can possible. কখনো কি খোঁজ নিয়েছেন আলী মুয়াবিয়াকে অথবা মুয়াবিয়া আলীকে গাল দিয়েছেন ; নিজেকে বড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য । আর আপনাদের আস্পর্ধা দেখলে অবাক হতে হয় । আল্লাহর ওয়াস্তে এ থেকে ফিরে আসুন। নিজের আমলগুলো বরবাদ করবেন না ।

রিপ্লাই:

কই ভাই, গালাগাল করলাম কোথায়?...

MD Sabbir: আল্লাহর হাবীব (সাHappy র একজন সাহাবীকে আপনি যে ভাষায় মূল্যায়ন করলেন, তা একধরনের গালাগাল ই বটে । আপনি যে প্রসঙ্গে আপনার মতামত দিলেন, সে প্রসঙ্গে নিশ্চিতপক্ষে আপনার গবেষণা অর্ধেক শেষ হয়েছে ; আর অর্ধেক বাকি

। পুরোটা শেষ করে আবার মতামত দিবেন আশা করি ।

রিপ্লাই:

আমি মোটেই মূল্যায়ন করিনি ভাই। আমি কিছু ইনফরমেশন দিয়েছি মাত্র। সেগুলো আপনারাই যাছাই করে দেখুন। তারপর না হয় বলবেন! নতুন প্রশ্ন তুলবেন। যেকোনো সংগত প্রশ্নের জবাব দেয়ার ইচ্ছে রাখলাম, ইনশাআল্লাহ!...

MD Sabbir: আপনার লেখনীর শেষ প্যারায় আপনার মন্তব্য পরিষ্কার ।

মুয়াবিয়াতন্ত্র কি ? এবং এই তন্ত্র কোথায় পেলেন ? খলিফা হওয়ার আগে এবং পরে ইয়াজিদ সম্পর্কে বিশদ জানেন কি ??

আপনার এই লেখার কোনো ঐতিহাসিক রেফারেন্স আছে কি?

অথবা এই লেখাটি লিখতে আপনি কোনো বই র সাহায্য নিয়েছেন কিনা ? নিলে বইয়ের নাম কি ?

রিপ্লাই:

মুয়াবিয়াতন্ত্র কী তাতো বলেছি, ভাই! হাদীসের রেফারেন্সও আছে! এটা মূলত রাজতন্ত্র/স্বৈরতন্ত্র কিন্তু মুখোশটা ইসলামের। উনারা আবার খলিফা হলেন কখন, হাদীস যাকে রাজা বলেছে, আশারায়ে মুবাশ্বিরার সাহাবী যাকে রাজা বলেছে, তাদের খলিফা বলা সুন্নাহ'র খেলাপ ভাই! আর, কোনো বই?... মুফতি শফীর ৬০/৭০ পৃষ্ঠার একটা বই আছে, খোলা মনে আপাতত সেটাই পড়ুন। গঠনমূলক প্রশ্ন তুলুন, জানুন। কারো সাথে আমাদের কারো কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। ব্যাক্তিগতভাবে আপনি কাউকে ভালোবাসতে পারেন, সমস্যা নেই। কিন্তু মূল ব্যাপারটা ক্লিয়ার হতে হবে। পুরাতন ধ্যান-ধারণা আর আবেগ দিয়ে নয়, যথাযথ অনুসন্ধান ও পর্যালোচনা আপনাকে করতে হবে... ধন্যবাদ।

MD Sabbir: মুফতী শফীর বইর নাম তো দিলেন না ! ইয়াজিদের ব্যাপারে আমি কথা বলছি না, কথা বলছি মুয়াবিয়া (রাHappy র ব্যাপারে ।

বলছেন, পুরনো ধ্যান-ধারনা বাদ দেবো !?

ভাই , সাহাবায়ে কেরাম আমাদের আবেগের প্রশস্ততম জায়গা । আর আপনি সেই জায়গাকে সংকীর্ণ করতে চান ??

Masuk Pathan: এই অযাচিত আবেগকেই কেন্দ্র করে বহির্শত্রু আমাদের জন্য তাফসির নিয়ে হাজির হয়! মনের আবেগগুলো আমাদের ড্রাইভার কাজেই এদের পাশাপাশি রাসুলের স. দ্বীনের পুরো স্টাইলটা অনুধাবন করে প্রমাণ, যুক্তি, আবেগের ভারসাম্যে থেকে সন্ধানী হওয়া দরকার।

MD Sabbir: তাহলে , বলছেন মুয়াবিয়া কে গালি দিতেই হবে । মনে হচ্ছে অনুভূতির দিক থেকে শূন্য হয়ে আছেন অথবা "খেলাফত ও রাজতন্ত্র " ভালো মতোই গিলেছেন । নিজে দেউলিয়া হতে চান তো হন ; কিন্তু আরেকজন কে দেউলিয়া বানাতে চান কেন??! @Masuk Pathan

রিপ্লাই টু MD Sabbir: বইয়ের নাম 'শাহাদাতে কারবালা' মনে হয়। অর্থাৎ, কারবালার উপর। সেখানে ইয়াজীদ মুয়াবিয়া সবার কথা আছে। শুধু খোলা মনে পড়ুন। আবুল কালাম আজাদের 'জীবন সায়াহ্নে মানবতার রুপ'এও কিছু ব্যাপার আছে। আর 'খিলাফাত ও রাজতন্ত্রে'র কথা বললেন? ওখানে কিন্তু সাইয়েদ আবুল আ'লার নিজের কথা খুব কমই আছে। তিনি শুধু রেফারেন্সগুলো হাজির করেছেন। আর থাকলেই বা কী! আবুল আ'লাকে মাওলানা-চিন্তাবিদ-গবেষক এরকম কিছু মনে হয়না নাকি আপনার! যা'ই হোক, আমরা পয়েন্টে থাকি। আপনার জন্যও পরের কমেন্টে সাগর সাহেবকে বলা কথাগুলো থাকলো!...

আর আপনি শুধু গালি গালি করছেন! গালি কোথায় পেলেন?! গালি কেন দেবো আমি!? আমার সাথে উনার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে?! আমি শুধু কয়েকটা ঐতিহাসিক এবং ধর্মতাত্ত্বিক তথ্য দিলাম। মুরোদ থাকলে সেগুলো চ্যালেঞ্জ করুন! মূল প্রসঙ্গে না থেকে ন্যাকামি দেখানোর তো কিছু নেই। মুয়াবিয়া/ইয়াজীদ প্রেম আর সাহাবীপ্রেম যে এক বিষয় না, ক্ষেত্রবিশেষে বিপরীত; সেটা আপনি না জানলেও অনেকেরই এখন জানা কথা।

'সাহাবায়ে কেরাম আমাদের আবেগের প্রশস্ততম জায়গা'। কোনো সন্দেহ নেই। অধ্যাপক মফিজুর রহমানের 'সাহাবা কেরাম আমাদের প্রেরণা' বইটি পড়ে কত রাত কেঁদেছি! আল্লাহর শপথ তাদের প্রতি আপনার চেয়ে আমাদের আবেগ কম নয়। আমি সেই জায়গাকে সংকীর্ণ করতে চাই না, প্রশস্ত করতে চাই। কিন্তু গোজামিল দিয়ে নয়। উম্মাহর উত্থান-পতনের ইতিহাস যতবার আমি পড়তে যাই- দেখি রাসূলুল্লাহর সারা জীবনের সংগ্রাম, তার হাজার হাজার সাহাবীর অকুন্ঠ রক্তদান, আরো অনেক অনেক স্যাকরিফাইসের বিনিময়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত মানবিক খিলাফাত একজন মানুষের হাতের উপর দিয়ে চূড়ান্তভাবে তছনছ হয়ে গেলো

গোটা খিলাফাতে রাশেদা যা করেছে, তাদের যা কিছু নিয়ে আমরা পৃথিবীর যেকোনো সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি, এই মুয়াবিয়া সাহেব প্রত্যেকটি পয়েন্টে তার উলটো করেছেন। আবু বকরের উলটো, উমরের উলটো, উসমানের উলটো, আর আলীর সম্পূর্ণ বিপরীত! আপনি বলছেন- 'ইয়াজিদের ব্যাপারে আমি কথা বলছি না, কথা বলছি মুয়াবিয়া (রাHappy র ব্যাপারে'- মুফতী শফীর বইতে বিস্তারিত পাবেন, এই ইয়াজীদকে রাজা বানানোর জন্য কতোটা পৈশাচিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এই 'সাহাবী' মুয়াবিয়া।

আমাদের আলেম-উলামা কিছু বলেনা। কিন্তু এই সমস্ত ভীরু-কাপুরুষ উলামাতে কেনো আপনি পড়ে থাকেন? যারা তাদের চেয়ে অনেক অনেক অনেক বড় উলামা, তাঁরা কেনো এতো 'উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন' সাহাবীর দুই দশকের 'শক্তিশালী' শাসনকে খিলাফাতে রাশেদা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখলেন!?! প্রশ্ন করুন আপনার চারপাশের বুজুর্গদের! দেখবেন ক্যামোন ধানাই-পানাই উত্তর করে! প্রশ্ন করুন কেনো মুয়াবিয়ার অনেক পরের মানুষ, শাসন করেছেন তাও মাত্র ৩/৪ বছর, সাহাবীও না, এজিদের মতো সাহাবীপূত্রও না, তবু তারে কেনো বলেন পঞ্চম খলিফা?... এই 'উচ্চ মর্যাদার সাহাবী'র চেয়ে তার দাম এতো বেড়ে গেলো কেন? এটা কি সাহাবীর অবমাননা নয়!?! সেই সব ইমামদের জিজ্ঞেস করুন, কেনো তারা একজন সাহাবীকে এভাবে সাধারণ মানুষ উমর ইবনে আব্দুল আজীজের উপর স্থান দিতে গেলেন?...

পাঠান ভাইকে বললেন দেউলিয়া হওয়ার কথা, হায়রে ভাই, কে দেউলিয়া? যে চিন্তা-বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা হারিয়ে আবু বকর আর মুয়াবিয়াকে, উমর আর মুয়াবিয়াকে, উসমান আর মুয়বিয়াকে এক কাতারে এনে দেখে সে, নাকি যে জানে কার মূল্য কতো এবং সেভাবে ট্রীট করার কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক সক্ষমতা রাখে সে??... আপনাকে আমরা এই সেই কিছু বলবো না। আপনিও আমাদের একজন প্রিয় ভাই! আপনার আবেগকেও আমরা শ্রদ্ধা জানাই! সো, আমরা আপনাকে বলছি না যে, আপনি আমাদের কথা মেনে নেন। আগেই বলেছি আপনিও পড়ুন, জানুন, বুঝুন, বিচার করুন, ফিকহ শাস্ত্রের উলটো প্রয়োগ থেকে সরে এসে সঠিক অবস্থান নিন। নতুন কোনো অথেনটিক তথ্য পেলে আমাদের জানান, এই তো... ধন্যবাদ তাহলে!...

MD Sabbir: প্রথম কথা , " খেলাফত ও রাজতন্ত্রে " সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী (রহ.) যাদের রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন তাদের ৯০% শিয়া । মওদূদী (রহ.) কলমের জাদুকর । একজন স্বনামখ্যাত গবেষক - চিন্তক ; এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই ।

আর তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল হচ্ছে "খেলাফত ও রাজতন্ত্র " । যার কারণে উম্মাহর বিশাল একটা অংশ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে । আল্লাহ , তাকে ক্ষমা করুক এবং জান্নাতবাসী করুক ।

দ্বিতীয়ত , আপনি মুয়াবিয়া রা: কে যে ভাষায় মূল্যায়ন করলেন তা একপ্রকার গালি । আপনি এইসব লেখার পূর্বে চিন্তা করেননি যে 'আমি কি এমন ব্যক্তিত্ব যে আল্লাহর হাবীবের একজন সম্মানিত সাহাবীকে এই ভাষায় মূল্যায়ন করছি ' !! আপনি বলছেন আপনি মূল্যায়ন করেননি, অথচ আপনার পোস্টের শেষ প্যারায় আপনার মূল্যায়ন - মন্তব্য উভয়ই পরিষ্কার ; যা অত্যন্ত গর্হিত ভাষা ।

জি জনাব ! আমার তো মুরোদ নাই । আর দু একটি কথাতেই তা বুঝে গেলেন । তাহলে , আসুন না দুজনে সামনাসামনি হই ।

" মুয়াবিয়া রা: / ইয়াজিদ প্রেম আর সাহাবীপ্রেম এক নয়" ---- জি । ঠিকই বলেছেন । তবে জানেন তো , মুয়াবিয়া রা: সাহাবীদের মধ্যেই একজন ।

আর হ্যা । আমি ন্যাঁকাই বটে । কারণ আপনি আপনার নোংরা তীরের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন একজন সম্মানিত সাহাবীকে । শুধু তাই নয় , জঘন্যরকম মিথ্যারোপ করছেন তাঁর উপর ।

রিপ্লাই:

মনে হচ্ছে বিতর্কের জন্য বিতর্ক করছেন। যেটা মোটেই কল্যাণপ্রদ কিছু নয়। 'খিলাফাত ও রাজতন্ত্র' বইতে ৯০% শিয়া নয়, ১০% শিয়া। তা'ও তিনি এমন কোনো রেফারেন্স সেখান থেকে নেননি, যেগুলো অন্য গবেষকদের মাধ্যমে সমর্থিত নয়। যাই হোক, কে বিভ্রান্ত হচ্ছে, বিভ্রান্তির সংজ্ঞাই-বা কি, সেগুলো বিশেষ কেউ নির্ধারণ করে দিলেই তো হবে না। তার মানদন্ড তো কুরআন-সুন্নাহ হতে হবে, না?... মুরোদ বলতে সেটাই আমি বুঝিয়েছি। আমি আপনি কিছু বলে দিলে তো হলো না, তার বেস কি, ভিত্তি কী সেটা তো ক্লিয়ার করতে হবে। কিন্তু আপনি সেদিকে না গিয়ে ঘুরে ফিরে একই ডোবায় হাতড়ে বেড়াচ্ছেন। আর সামনাসামনি হলে আপনার কথা আকাশ থেকে পয়দা হবে?...

ফিকহ শাস্ত্রের মূল কথা হলো- সে আগে রোগ বুঝবে, তারপর ফতোয়া দেবে। কিন্তু মুয়াবিয়া সাহেবের প্রসঙ্গ এলে ফিকহ শাস্ত্র উলটে যায়। উনারা আগে ফতোয়া দিয়ে দেন- তিনি সাহাবী, এরপর কথা বলতে বসেন। উনি সাহাবী কিনা আমি কেনো বলতে যাবো? ইতিহাস বলবে। তার জীবন বলবে। তার জীবন-দর্শন বলবে। তার কর্মকান্ড বলবে।

ইমাম আবু হানিফা তো সে কথাই বলেছেন- আল্লাহর কিতাব আর রাসূলুল্লাহর সহীহ সূত্রে বর্ণিত হাদীস হলে আমি তাকে চোখের উপর মুখের উপর নেবো। যদি কোনো সাহাবীর কথা আসে আমি তাকে রাসূলের জীবনীতে যাছাই করে নেবো। আর যদি কোনো তাবেয়ীর কথা আসে- তাহলে তারাও মানুষ আমরাও মানুষ, তাদেরকে আমি দলীল হিসেবে নেবো না। 'হযরত' মুয়াবিয়াকেও আপনি রাসূলের জীবনী থেকে যাছাই করে গ্রহণ করুন। আমার কিংবা কারো তো কিছু বলার থাকবে না। কিন্তু যদি মনে করেন, রাসূল আবার কেনো, যারে সাহাবী কইছি, কইছি তো কইছি, মইরা গেলেও সরুম না; তাহলে ভিন্ন কথা। আবার সাহাবী হলেও বললাম তো কুরআন-সুন্নাহ কিভাবে তাদের ক্যাটাগরাইজ করেছে। আপনি কুরআন-সুন্নাহর চেয়ে কোন বুজুর্গকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছেন,বলুন তো?...

আমরা সরাসরি কোনো সাহাবীকে চিনতে চাই না। সাহাবী, তো কার সাহাবী?... যাঁর সাহাবী হওয়াতে কেউ এতো মূল্যবান হয়ে উঠলো, আমি কি দেখবো না, তিনি ক্যামোন সাহাবী!? কিভাবে দেখবো? দেখবো যাঁর সাহাবী তাঁর চোখে, তাঁর সুন্নাহর চোখে, তাঁর সংগ্রাম ও সাধনার চোখে, আমার কিংবা দেশী-বিদেশী কোনো কথিত বুজুর্গের চোখে না। আপনি কার চোখে দেখতে চান দেখুন। তাতে আমার কি?... কিন্তু আমি সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলি। এবং আমাকে তা বলতেই হবে। সো, প্রথম কমেন্টের রিপ্লাইগুলো ঠান্ডা মাথায় পড়ুন। দেখুন কুরআন কিভাবে সাহাবীদের দেখছে। হাদীস কিভাবে দেখছে। আরো হাদীস আছে, হ্যাঁ, বুখারির হাদীসও!

সো, এতো এক্সাইটেড হওয়ার কিছু নেই। আগে কুরআন ও সুন্নাহ বুঝুন, ভুল হলে আমাকেও বলুন। ভুলের উপর বেয়াদবির কোনো স্বভাব আমার নেই। আর ঠিক হলে আমল করুন। যা'র যতটুকু মর্যাদা তাঁকে ততটুকু দিন। ইসলাম থেকে বৈষয়িকভাবে উপকৃত হওয়ার আগ পর্যন্ত যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি তারা এবং যারা জীবনের সর্বস্ব দিয়ে ইসলামের জন্য নিরন্তর নিবেদিত ছিলো, সবাই একই কাতারের হতে পারে না। সো গো থ্রু দ্য কুরআন এন্ড হাদীস... থ্যংস এগেইন...

MD Sabbir: গোঁজামিল দিয়ে নয় বলেই তো আমাকে গোঁজামিল দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছেন । উমর ইবনে আবদুল আযীয রহ. কোনো সাহাবী নন। আর আপনি তার সাথে মুয়াবিয়া রা: র তুলনা দিচ্ছেন কোন ধৃষ্টতায় ??! সবচেয়ে কম মর্যাদার সাহাবী যাকে ধরা হয় ওয়াহশী রা: ; তার সাথে ও তো পরবর্তী তাবৎ মুমিনদের তুলনা চলে না । আর এটা ও মনে রাখা উচিত যে , এই মুয়াবিয়াকে একটি ইসলামী প্রদেশের শাসনকর্তা নিয়োগ দিয়েছিলেন হযরত ওমর রা: । নাকি বলবেন এটা ওমর রা: র ভুল ছিলো । তার চেয়ে আগ বাড়িয়ে বলতে পারেন , মুয়াবিয়ার ইসলাম গ্রহণ ই একটি ভুল -- মারাত্মক দূর্ঘটনা ।

বাহ বাহ !! মিথ্যারোপ তো আগেই করেছেন । এখন আবার তাঁকে সাহাবী বলতে ও একপ্রকার অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করছেন । এখন কি আপনার কাছে প্রমাণ করতে হবে যে , মুয়াবিয়া একজন সাহাবী ??!!

জনাব কি হাদীসের একটা কিতাব ই জানেন !!!? বোখারীর বাইরে আর কোনো সহীহ হাদীস গ্রন্থ নেই কি ?

ইমাম আবু হানিফা রহ. আপনার কাছে দলিল ; আর আল্লাহর হাবীবের একজন সাহাবী আপনার কাছে নূপমূন্ডক। বড়ই সেলুকাস বটে !!

রিপ্লাই:

স্যরি ভাই! আমি বলি নাই, প্রশ্ন করেছি আপনাকে- কেনো মুয়াবিয়ার অনেক পরের মানুষ, শাসন করেছেন তাও মাত্র ৩/৪ বছর, সাহাবীও না, এজিদের মতো সাহাবীপূত্রও না, তবু তারে কেনো বলেন পঞ্চম খলিফা?... এই 'উচ্চ মর্যাদার সাহাবী'র চেয়ে তার দাম এতো বেড়ে গেলো কেন? এটা কি সাহাবীর অবমাননা নয়!?! সেই সব ইমামদের জিজ্ঞেস করুন, কেনো তারা একজন সাহাবীকে এভাবে সাধারণ মানুষ উমর ইবনে আব্দুল আজীজের উপর স্থান দিতে গেলেন?...

হ্যাঁ,বোখারি ছাড়াও সহীহ হাদীস গ্রন্থ আছে, অবশ্যই আছে। সেগুলো মানলে তো আপনাকে আরো বেশী দলীল দেখানো যাবে! আর আবু হানিফাকে দলিল বলিনি, তার একটা উক্তির উদ্ধৃতি দিয়েছি মাত্র!...

আর কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছু বলার থাকলে বলুন। আমি যে তথ্যগুলো দিয়েছি তার বিপরীতে কোনো তথ্য থাকলে দিন। আন্দাজের উপর কূটতর্ক করে সময় নষ্টের দরকার নেই। ধন্যবাদ ভাই।

MD Sabbir: আচ্ছা ! আপনি বারবার ইয়াজিদের প্রসঙ্গ কেনো টানছেন ? আমি তো কথা বলছি মুয়াবিয়া রা: কে নিয়ে ; ইয়াজিদ কে নিয়ে নয় ।

উমর ইবনে আবদুল আযীয রহঃ মোটেই সাধারণ মানুষ নন । তিনি হযরত ওমর রাঃ র পৌত্র/নাতি । আর ইসলামে ৫ম খলিফা বলতে কিছুই নাই । কিছু কিছু তবেয়ী তাকে এভাবে অভিহিত করেছেন । কিন্তু সিস্টেম্যাকেলী ইসলামে ৫ম খলিফা বলতে কিছুই নাই । খেলাফত আলা মিন হাযিন নুবুয়্যাহ্ , কেবলি খোলাফায়ে রাশেদার জন্য খাছ ।

রিপ্লাই:

আচ্ছা ভাই, মুয়াবিয়ার মতো একজন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সম্মানিত সাহাবীর শাসনকে কেনো খিলাফাতে রাশেদার অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি?... আপনি এর কয়টা কারণ জানেন, প্লিজ?...

MD Sabbir: জনাব , হাদীস আর সুন্নাহ কি এক ??

আর আপনি আপনার পোস্টে কোথায় কোরআন - হাদীসের কি উদ্ধৃতি দিয়েছেন যে আমি কুরআন - হাদীস বয়ান করবো ??!! এগুলোকে কি একধরনের ফাত্রামী বলা যায় !

আসল কথা হচ্ছে , আপনি চেষ্টা করছেন আলী - মুয়াবিয়াকে অথবা হোসাইন - মুয়াবিয়াকে (রাঃ) পরস্পর বিপরীত মুখে দাঁড় করাতে । যা কেবল আপনাকেই বরবাদ করবে।

জনাব, একটু কষ্ট করে বলবেন কি "রাশেদা" কোন ভাষার শব্দ এবং এর অর্থ কি ??

রিপ্লাই:

আমি দাঁড় করাতে যাবো কেন? উনারা দাঁড় হয়েই আছেন। শুধু দেখার বাকি কে কোন পক্ষ নিচ্ছেন? আলীর পক্ষ কিংবা হোসাইনের পক্ষ নিলে যদি বরবাদ হতে হয়, আমি রাজি আছি। আল হামদুলিল্লাহ!...

আর পাত্রামি কিভাবে বলবেন- প্রথম কমেন্টে ‘মুহাম্মদ আফসারকে দেয়া’ রিপ্লাই গুলোতে আমি রেফারেন্স দিয়েছি কুরআন ও হাদীস কিভাবে সাহাবীদের দেখে। সেটা নিয়ে কথা বলুন।

এবং বলুন কেনো 'আমিরুল মোমেনিন হযরত' মুয়াবিয়া rightly guided খলিফা নন? কিংবা তাকে কেনো রাসূল পরবর্তী খিলাফাত মিন হাজিন নবুয়াহ'র অন্তর্ভূক্ত করা হলো না?...

আর কয়টা কারণ আপনি জানেন? জাস্ট নাম্বারিং করে বলুন...

MD Sabbir: প্রসঙ্গের বাইরে আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে চাই। আপনি কি মাজহাব মানেন ??

রিপ্লাই:

সে বিতর্ক অন্য সময়ে করা যাবে। মাজহাব কি, সেই সাথে তাকলিদ কি, কে কেন কতটুকু মাজহাব মানতে বাধ্য, এবং কার জন্য মাজহাব মানা নাজায়েজ ইত্যাদি প্রশ্নের আলোচনা না করে, হ্যাঁ/না কোনো উত্তর দেয়া ঠিক হবে কি?...

MD Sabbir: আপনার হ্যাঁ না উত্তর ই দরকার । আর যদি মেনে থাকেন তবে কোন মাজহাব ??

রিপ্লাই:

জন্মগতভাবে আমি হানাফী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইমাম আহমদ ও ইমাম শাফীকে ভালো লাগে। ইমাম মালেককেও অনেক পছন্দ করি...

MD Sabbir: জন্মগতভাবে মুসলিম হতে পারেন ; হানাফী নয় ।

আর জনাব , আমি আপনার ডিপ্লোম্যাটিক উত্তর চাই নি ; স্পেসিফিকলী - প্র্যাকটিক্যালী কোন মাজহাব অনুশরন করেন?

রিপ্লাই:

দেখুন, মুসলমান জেনেই আপনি আমার মাজহাব জানতে চেয়েছেন। এভাবে লেগে থাকলে ফলপ্রসূ বিতর্ক হয় না। উমর ইবনে আ.আজীজ খলিফা উমরের পৌত্র নয়, দৌহিত্র। আমি বলিনি, কারণ এটি বিতর্কের কোনো ড্রাইভিং পয়েন্ট না।

যাই হোক, আমি কোনো ডিপ্লোমেটিক জবাব দেইনি। যা সত্য তাই বলেছি। আমার কোনো ফায়সালার দরকার হলে আমি সমসাময়িক স্কলারসহ এই সকল প্রাজ্ঞ ইমামদের মতামত দেখি। বেশীরভাগ সময় আবু হানীফাকেই যথার্থ মনে হয়েছে! মাঝে মাঝে অন্য কাউকে। কিন্তু আপনি যেমন বলছেন একাট্টা মাজহাব চর্চার সুযোগ কি এখন আর আছে? যুগের বিবর্তনে এমন অনেক ব্যাপার এসেছে যেগুলো নিয়ে এই চার ইমাম ডীলই করেননি, তাহলে?...

MD Sabbir: তাহলে, বলুন হযরত ওসমান হত্যা , সিফফিনের যুদ্ধ সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদা কি ??

রিপ্লাই:

(ও আচ্ছা, আপনি তাহলে আক্বীদা নিয়ে এসেছেন! আমি আক্বীদা নিয়ে নয়, ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করছি। ইলম ছাড়া আক্বীদার আলোচনা আর অন্ধের হাতিদর্শন একই কথা। যাই’হোক,) উসমান হচ্ছেন সেই সাহাবী, যার প্রসঙ্গ এলেই আমি সাংঘাতিক ইমোশনাল ফী'ল করি। বয়সজনিত এবং অন্যকিছু কারণে তাঁর শাসনতান্ত্রিক দূর্বলতা খানিকটা ছিলো বটে। কিন্তু তিনি হচ্ছেন সেই মহা মানব যিনি নিজের রক্তে গোসল করেছেন, কিন্তু এই উম্মাহর এক ফোটা রক্তের দাগ তাঁর হাতে লাগতে দেন নি। আল্লাহ তাঁর মর্যাদাকে সর্বোচ্চ বুলন্দ করুন...

আর সিফফিন? এখানে আহলে সুন্নাহ কারা আমি জানি না! কিন্তু আমার পড়াশোনা থেকে বলছি- নির্বাচিত এবং ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত খলিফার বিরুদ্ধে মুয়াবিয়ার গুরুতর অসংগত বিদ্রোহ, বর্শার অগ্রভাগে কুরআন উঁচু করার প্রতারণা, বদর উহুদের জীবিত সমস্ত সাহাবী, সমস্ত জীবিত মুহাজিরদের হযরত আলীর সাথে থাকা, আম্মার ইবনে ইয়াসিরের শাহাদাত ইত্যাদি কি কোনো সুস্পষ্ট ঈঙ্গিত বহন করে না?... আপনার কি মনে হয়?... কে গোত্রবাদী আর কে ইসলামপন্থি পরবর্তীতে তাও তো ক্লিয়ার হয়ে গেছে, না?...

[‘তারপর আর কিছু নেই, তারপর হাসে ইতিহাস’]

বিষয়: বিবিধ

১৭৯০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378922
২২ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১০:৩০
সবুজ সাথী লিখেছেন : "ও আচ্ছা, আপনি তাহলে আক্বীদা নিয়ে এসেছেন! আমি আক্বীদা নিয়ে নয়, ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করছি। ইলম ছাড়া আক্বীদার আলোচনা আর অন্ধের হাতিদর্শন একই কথা।"

তা ভাইয়া আপনি ইতিহাস কোথা থেকে পেলেন? আকাশ থেকে?
২৪ অক্টোবর ২০১৬ রাত ১২:২৪
313892
শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী লিখেছেন : ইতিহাস আকীদা থেকে আসে না,
আকাশ থেকেও ঝরে পড়ে না।
ইতিহাস রক্ত-মাংসের মানুষই সৃষ্টি করে, মাটি ও মহাকালের পৃথিবীতে।...
378923
২২ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১০:৩২
সবুজ সাথী লিখেছেন :
ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত খলিফার বিরুদ্ধে মুয়াবিয়ার গুরুতর অসংগত বিদ্রোহ, বর্শার অগ্রভাগে কুরআন উঁচু করার প্রতারণা,


যারা রাসুল সাঃ এর সাহাবীদের দোষারপ করে বা গালী দেয় বা তাদের কাজের ফলাফল দেখে তাদের নিয়তের ব্যপারে সংশয় প্রকাশ করে বা আপবাদ দেয় তাদের ঈমান নিয়ে সংশয় আছে। এদেরকে আমি ছুপা শিয়া মনে করি। আল্লাহ ভাল জানেন।
২৪ অক্টোবর ২০১৬ রাত ১২:২৮
313893
শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী লিখেছেন : শিয়া তাদেরকেও মনে করুন, যারা মুয়াবিয়াকে খিলাফাতে রাশেদা থেকে আউট করেছেন, আউট করেছেন জুমার খুতবা থেকে! এবংকি ইসলামের ইতিহাস থেকেও! মুয়াবিয়ার ইতিহাস ইসলামের ইতিহাস নয়, মুসলমানের ইতিহাস! দু’টোর পার্থক্য বোঝেন তো?...
তারপর জেনে নিন, এসব কারা করেছে??
378924
২২ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
সবুজ সাথী লিখেছেন : কয়েকপাতা বেদ্বীনদের রচিত ইতিহাস পড়ে নিজেকে পণ্ডিত মনে কইরেন না। সাহাবী (রাঃ) ভুল করতে পারেন। কিন্তু উনারা মুনাফিক ছিলেন না। সুস্পস্ট প্রমাণ ছাড়া উনাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে সে শয়তানের সহযোগী ছাড়া আর কিছু না।
২৪ অক্টোবর ২০১৬ রাত ১২:৩৩
313894
শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী লিখেছেন : শয়তানের সহযোগী তো তারাই যারা সাহাবীপ্রেমের আড়ালে মুয়াবিয়াপ্রেমের ঝান্ডা ওড়ায়। সেই সাথে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত খিলাফাতের বিপরীতে হত্যা-গুম-খুন-জবর দখলের রাজতন্ত্র হালাল করে নিয়ে ইবলিসী ঢেঁকুর তোলে, নয় কী?...
378950
২২ অক্টোবর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
স্বপন২ লিখেছেন : ভালো লাগলো /

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File