পশ্চিমারা মালালাকে হত্যা করতে চেয়েছিল

লিখেছেন লিখেছেন মাসুদ হাসান ১৬ জুলাই, ২০১৩, ১১:৩১:১২ সকাল

কোন মন্দিরে উপস্থিত একঝাক ধর্মপ্রাণ হিন্দুর সামনে হিন্দুধর্মের সমালচনা ও অন্য ধর্মের প্রশংসার ফলাফল কি রকম হতে পারে? কিংবা কোন মসজিদে অনুরুপ জমায়েতের সামনে ইসলামের দুর্ণাম ও তার কোন প্রতিপক্ষ মতাদর্শের প্রশংসার ফল কি হতে পারে? পাকিস্থানের সোয়াত উপত্যকায় পশ্চিমা মতাদর্শের প্রচারের ফলাফল কোন মন্দিরে হিন্দু ধর্মের সমালোচনা কিংবা কোন মসজিদে ইসলাম ধর্মের সমালচনার অনুরুপ।যাদের ড্রোনের আঘাতে অস্ংখ্য পিতা তাদের নিরিহ সন্তানকে হারিয়েছে,অসংখ্য সন্তান তাদের পিতা-মাতাকে হারিয়ে এতিম হয়েছে, অসংখ্য মেয়ে তাদের স্বামীকে হারিয়ে বিধবা হয়েছে তাদের মতাদর্শের প্রচার, সে মতাদর্শ যত উন্নতমানেরই হোক না কেন, মারত্বক ক্ষোভ ও আক্রশের জন্ম দিবে এবং সেটি স্বাভাবিক নিয়োমেয় দিবে।এই ক্ষোভ ও আক্রো্সকে কতখানি অপরাধ হিসেবে দেখা যেতে পারে?পাকিস্থানের কেন্দ্রীয় শাসন থেকে অনেকাংশে বিচ্ছিন্ন ও স্থানীয় গোত্রপ্রধানদের দ্বারা শাসিত সোয়াত উপত্যকা্য পস্তুন সম্প্রদায়ের বাস।স্থানীয় ঐতিহ্যের প্রতি অনুগত এই সম্প্রদায়ের গোত্রপ্রধানদের বানীই একমাত্র শীরধার্য এবং অন্য সকল কিছুই এদের কাছে পরিত্যয্য।আর গোত্রপ্রধানরাও জানেন তাদের আদেশগুলো শক্তিশালী ভিত্তি পাবে যদি এর সাথে ধর্মের প্রলেপ লাগানো যায়।তাই ‘শংকরনগরের’ মত কোন হিন্দু অধ্যসিত এলাকার স্থানীয় পস্তুন হিন্দু নেতাদের নিয়োন্ত্রন তারা ইসলামের নামেই স্বীকার করে নেয়, আবার পশ্চিমা আদর্শের আলোকে গড়ে উঠা কোন মার্কেটে বোমা মেরে নিরিহ মুসলমানদের হত্যা করার বৈধতাও তারা ইসলাম থেকেই পায়। আর এ সব ধর্মীয় মড়কে করা হলেও স্থানীয় পস্তুন জীবনধারার সংরক্ষনই এদের প্রধান লক্ষ।

পশ্চিমাদের ড্রোন হামলায় নিরিহ মানুষের হত্যার প্রেক্ষাপটেই সোয়াত উপত্যকায় তালেবানদের স্থানীয় শাখা তেহরিক-ই-তালেবানের বিকাশ।পাকিস্থানের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে গোপন সমঝতার ভিত্তিতেই তারা এই এলাকা শাসন করে থাকে।কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে বার্গেইনিং চিপ হিসেবে তেহরিক-ই-তালেবানের স্থানীয় নেতারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অপর নি্ষেধাজ্ঞা আরোপ করে।তখন শীতকালিন ছুটি চলছিল, তাই এই নিষেধাজ্ঞার বাস্তবিক কোন ফল ছিল না। এটি ছিল তাদের একটি কৌশল।এই নিষেধাজ্ঞার কয়েকদিন পরেই তালেবানদের কেন্দ্রীয় নেতা মোল্লা উমর একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেই বিবৃতিতে তিনি এই নিষেধাজ্ঞার কড়া বিরোধিতা করেন এবং এটি তালেবানদের কেন্দ্রীয় কোন স্বীদ্ধান্ত নয় বলে তিনি জানান।তিনি স্থানীয় তালেবান নেতা মাওলানা ফজলুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।শীতকালীন ছুটি শেষ হলে স্কুল খোলার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে তারা এই নিষধাজ্ঞা তুলে নেই।মোল্লা উমরের বিবৃতি পশ্চিমা মিডিয়ায় স্থান না পেলেও নিষেধাজ্ঞার খবর ফলাও করে প্রকাশ পেতে থাকে।স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমের দ্বারা এটি সকলের দৃষ্টিগোচর হয়।এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবাদ হতে থাকে। ব্লগ ও সামাজিক গনমাধ্যমগুলোতে এর বিরুদ্ধে ব্যপক লেখালেখি হয়।এরই প্রেক্ষাপটে ‘গুল মাকাই’ এর উর্দু ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তিনি বিবিসি এর উর্দু ওয়েব সাইটে লিখতেন। নারীশিক্ষা ও তালেবান শাষনের অধিনে নারীশিক্ষার হুমকিই ছিল তার লেখার প্রধান উপজীব্য।‘গুল মাকাই’ ছিল এগারো বছরের একজন স্কুল বালিকা।এটি ছিল তার ছদ্মনাম।

বিবিসির উর্দু ভাষার সাংবাদিক আব্দুল হাই কাক্কার চেয়েছিলেন সাংবাদিকতায় কিছু নতুনত্ব আনতে।সোয়াত উপত্যকার নিত্যকার ধংসাত্বক খবরের প্রতি নিস্পৃহতা চলে এসেছিল সাধারণ জনগনের।আত্বঘাতি বোমা হামলা কিংবা ড্রোন হামলার খবরের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। তাই তালেবান প্রভাবাধীন সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য একজন স্কুল বালিকার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার ইচ্ছা তিনি বিবিসির উর্দু ওয়েব সাইটের সম্পাদক মির্যা ওয়াহিদের কাছে প্রকাশ করেন। জিয়াউদ্দিন ছিল আব্দুল হাই কাক্কারের পরিচিত। তিনি তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং তার মেয়ের অভিজ্ঞতা প্রকাশের অনুমতি চান।জিয়াউদ্দিন ছিলেন ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি স্কুলের অধ্যক্ষ।কাক্কার নিরাপত্তার স্বার্থেই মেয়েটির ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। যদিও তার বাবা চেয়েছিলেন তার মেয়ের আসল নামই ব্যবহার করা হোক।

আব্দুল হাই কাক্কার মালালা ইউসুফজাই এর কাছ থেকে তার নিত্যদিনের অভিজ্ঞতার কথা শুনতেন এবং এটিকে তিনি তার নিজের ভাষায় ‘গুল মাকাই’ নামে ব্লগে প্রকাশ করতেন।এগারো বছর বালিকার ভাষার সাবলিল ব্যবহার ও করুণ অভিজ্ঞতার কাহিনি খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠে।কিন্তু মালালাকে ‘গুল মাকাই’ নামে বেশিদিন লুকিয়ে রাখা যায়নি। কারণ তার বাবা চেয়েছিলেন তার মেয়ে সামাজিক পরিচিতি লাভ করুক, তার মেয়েকে অন্যরা সকলে চিনুক।বাবার কাছে মেয়ের নিরাপত্তা গৌণ হয়ে উঠে।আর সামাজিক প্রতিষ্ঠা, আর্থিক ও ক্ষমতার প্রতি লোভ জিয়াউদ্দিনকে পেয়ে বসে।তাই ‘গুল মাকাই’ আর অজানা গুল মাকাই না থেকে বাস্তবের ‘মালালা ইউসুফজাই’ হিসেবে পরিচিতি পায়।জিয়াউদ্দিন আন্তর্জাতিক শিশু পুরুষ্কারের জন্য তার মেয়ের নাম প্রস্তাব করেন এবং মালালা এই প্রতিযোগিতাই দ্বিতীয় স্থান দখল করে। পুরস্কার হিসেবে সে পায় এক লক্ষ ইউরো।আর মালালা হয়ে উঠে নারীশিক্ষার আন্দলনের কর্মী থেকে পশ্চিমা দর্শনের প্রতিমূর্তি।

তালেবান শাষণের বিরুদ্ধে মালালার প্রচার তালেবানদের মধ্যে ক্ষোভ ও আক্রশের জন্ম দিলেও তা ছোট-খাট হুমকি ধামকির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।কিন্তু পশ্চিমাদের চাপে পাকিস্থান সরকার তালেবানদের দমনের জন্য সেনাবাহিনী প্রেরণ করলে পশ্চিমা ও তাদের প্রতিনিধিদের প্রতি তালেবানদের ক্ষোভ বিশেষ মাত্রা পায়।এই অভিযানে চারশ থেকে পাঁচশ তালেবান নিহত হয়, তারা এলাকা ছেড়ে পাহাড়-পর্বতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এ সময় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ সোয়াত ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়।সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।স্কুল-কলেজ গুলোতে সেনাবাহিনী ক্যম্প করে অবস্থান গ্রহন করে।কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রচার পায় তালেবানরা সকল স্কুল কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং সাধারণ মানুষদেরকে এলাকা থেকে বের করে দিচ্ছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ‘আডাম এলিক্’ এই অভিযান চলাকালীন তালেবান শাষনের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরি করেন।উক্ত ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে তালেবানদের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে যা যুদ্ধ অবস্থার কারণেই বন্ধ ছিল।ডকুমেন্টারিতে মালালার বক্তব্য ফলাও করে প্রচার করা হয় যেখানে দেখানো হয় মালালা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধির পাশে বসে আমেরিকার সাহায্য চাইছে।আমেরিকার সাথে তালেবানদের সম্পর্কের ধরণই বলে দেয় মালালার এই আমেরিকা প্রীতি তালেবানরা কিভাবে নিতে পারে।

মালালাকে মহিমান্বিত করার পশ্চিমা প্রচেষ্টায় নতুন গতি পেয়েছিল নিউ ইয়র্ক টাইমসে তাকে নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রকাশ করার পর।এরপর ‘টরেন্ট স্টারে’ তাকে নিয়ে বিশেষ ফিচার ছাপানো হয়। টিভি চানেল গুলোর টকশোতে মালালার তালেবান বিরোধী বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পেতে থাকে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের তালেবান বিরোধী বিভিন্ন সভা সমাবেশে মালালাকে আমন্ত্রণ জানাতে থাকে।জাতীয় ও আন্ত্রর্জাতিক অনেক পুরষ্কার আসতে থাকে মালালার নামে। আর মালালাকে পশ্চিমা দর্শনের স্থায়ী প্রতিমূর্তিতে রুপ দেওয়ার জন্য পশ্চিমাদের অর্থায়ানে নির্মিত অনেক স্কুল ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় তার নাম অনুসারে।আর সর্বশেষ জিয়াউদ্দিন মালালার এই সামাজিক প্রতিষ্ঠার উপর ভর করে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেন।

পশ্চিমারা মালালাকে তালেবান বিরোধী আন্দোলনের জন্য তৈরি করেছে, তাকে ব্যবহার করেছে, কিন্তু তার নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা তারা করেনি।দিনের পর দিন তালেবান বিরোধী নানান বক্তব্য মালালার নামে প্রচার পেয়েছে, বিভিন্ন সভা সমাবেশ গুলোতে তাকে দিয়ে তালেবান বিরোধী বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে।তালেবানদের পক্ষ থেকে নানান রকম হুমকি ধামকির সত্বেও এগুলো করা হয়েছে।তালেবানদের কোন নিষেধই তারা কর্ণপাত করেনি। মালালা তালেবানদের চক্ষুশুলে পরিণত হলে তার এই কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য তাদের করণীয় তারা ঠিক করে ফেলে। মালালার জীবন এরুপ সংকটাপুর্ণ হওয়ার পরও পশ্চিমাজগত ও পাকিস্থান সরকার তার নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা করেনি। আর তার পিতা জিয়াউদ্দিন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা ও আর্থিক অনুদানের মোহে পড়ে মেয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই তাকে তালেবান বিরোধী প্রচারনায় ব্যবহার করতে দিয়েছেন।

কিন্তু পশ্চিমারা কেন মালালার কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলো না? মালালার ঐ সময়ের কর্মকান্ড ও তালেবানদের বিভিন্ন সময়ের প্রতিক্রিয়া বলে দিচ্ছিল সে যেকোন মুহুর্তে তালেবানদের আক্রমনের স্বীকার হতে পারে।তারপরও তার নিরাপত্তার ব্যপারে তারা এত নির্লিপ্ত থাকলো কেন? তারা কি চেয়েছিল তালেবানরা তাকে হত্যা করুক?তারা যেভাবে এগারো বছরের একজন সামান্য স্কুল বালিকাকে তালেবান বিরোধী প্রচারনা্র আইকন বানিয়েছিল সেটির একটি আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাও তারা অর্জন করতে চেয়েছিল।তাই শুরুতে তার ছদ্মনাম ‘গুল মাকাই’ ব্যবহার করার প্রয়োজন অনুভব করলেও পরবর্তিতে জীবন নাশের ঝুকি থাকার সত্বেও তারা মালালাকে তালেবান বিরোধী প্রচারনায় উচ্চকিত করেছে স্ব-নামেই।তারা চেয়েছিল তাকে শহিদ করতে। পশ্চিমা আদর্শের জন্য শহিদ।আর তালেবানরা অনেকটি নির্বোধের মতই পশ্চিমাদের পাতা ফাদে পা দিল। ২০১২ সালের ৯ই অক্টোবর তারা মালালাকে তার স্কুল বাসের মধ্যেই গুলি করলো।তারা যে মালালাকে গুলি করেছিল সে কোন নারী আন্দোলনের কর্মী ছিল না, সে ছিল পশ্চিমাদের স্থানীয় প্রতিনীধি, যাদের কারণে তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

আজ সকলেই তাদের নিজ নিজ প্রাপ্য পেয়েছে।‘আব্দুল হাই কাক্কার’ প্রাগের একটি রেডিও স্টেশনে সম্মানজনক চাকরি পেয়েছেন। ‘আডাম এলিক’ পেয়েছেন ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস পাবলিশার্স অ্যাওয়ার্ড’, ‘ড্যনিয়েল পিয়ার্ল অ্যাওয়ার্ড’ সহ আরো অনেক পুরষ্কার।আর জিয়াউদ্দিন হয়েছেন সামান্য স্কুল শিক্ষক থেকে ইংল্যান্ডে পাকিস্থানী দুতাবাসে পাকিস্থানের শিক্ষা বিষায়ক বিশেষ প্রতিনীধি। তিনি এখন তার পরিবার সহ বার্মিংহামে অভিজাত জীবনযাপন করছেন। পেয়েছেন সামাজিক প্রতিষ্ঠা।মালালা পেয়েছেন সম্মানজনক নানাবিধ পুরষ্কার ও আর্থিক সহযোগিতা।সাম্প্রতি তার জীবনী লেখার জন্য সে একটি পাবলিশার্স এর সাথে তিন মিলিয়ন ডলারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।আর পশ্চিমা জগত পেয়েছে তারা যেটি চেয়েছিল।বিশ্বের কাছে তাদের তৈরি তাদের আদর্শের একজন গ্রহনযোগ্য আইডল যার জন্ম হয়েছে পশ্চিমাদের চির শত্রু তালেবানদের ঘৃনা করার মাধ্যমে।তারা তাই মালালাকে পুজা করা বন্ধ করেনি, যদিও তারা চেয়েছিল সে তাদের জন্য তালেবানদের হাতে শহিদ হোক।মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে মালালাকে তারা সম্মানজনক নোবেল পুরষ্কারের জন্য ইতিহাসের সর্বকনিষ্ট প্রার্থী হিসেবে বাছাই করেছিল। হয়তোবা তারা এই পুরষ্কারটি দেওয়ার অপেক্ষায় আছে ষোল কিংবা আঠারো বছর বয়সের জন্য। সর্বশেষ জাতিসংঘ মালালার জন্মদিন ১২ই জুলাইকে ঘোষনা করেছে ‘বিশ্ব মালালা দিবস’ হিসেবে।জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত সকল দেশ এটি পালন করবে। বিশ্ববাসী জানবে তালেবানরা মালালাকে হত্যা করতে চেয়েছিল কারণ মালালা নারীশিক্ষার পক্ষে কথা বলেছিল।কিন্তু তারা জানবে না যে পশ্চিমারাই চেয়েছিল মালালাকে হত্যা করতে।তাকে তাদের মহান উদ্দেশ্যের জন্য শহিদ বানাতে।পাকিস্থানের সোয়াত উপত্যকায় জন্ম নেওয়া সেই মালালা সত্যিই মরে গেছে।আজ যে মালালা জীবিত আছে সে পশ্চিমা দর্শনের একটি বাস্তব প্রতিমূর্তি মাত্র।তাই পশ্চিমারা তাকে পুজো করবে, তার গুণ গাইবে কারণ সেই তাদের একমাত্র প্রতিনীধি যে বিশ্বের সকল প্রান্তে সমানভাবে সমাদৃত ও প্রশংসিত।

বিষয়: Contest_mother

১৩৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File