আসলেই কি দু’জন একই ব্যক্তি ছিলেন?

লিখেছেন লিখেছেন অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী ১০ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:১২:৫৫ দুপুর





কয়েকদিন আগে হুমায়ুন আহমেদের “বাদশাহ নামদার” উপন্যাস টি শেষ করলাম। উপন্যাসের এক জায়গায় দেখলাম বাদশাহ যুল ক্বারনাইনের কথা এবং লেখক টীকার মধ্যে যুল ক্বারনাইনের ব্যাখ্যায় লিখেছেন আলেক্সান্ডার দ্যা গ্রেট। কিভাবে কি বুঝলাম না। বিষয়টি ঠিক বুঝলাম না। কেউ কি বিস্তারিত বলবেন

উপন্যাসের এক জায়গায় দেখলাম বাদশাহ যুল ক্বারনাইনের কথা এবং লেখক টীকার মধ্যে যুল ক্বারনাইনের ব্যাখ্যায় লিখেছেন আলেক্সান্ডার দ্যা গ্রেট। কিভাবে কি বুঝলাম না। বিষয়টি ঠিক বুঝলাম না। কেউ কি বিস্তারিত বলবেন

বিষয়: বিবিধ

২২৪২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

272836
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কোনো কোনো পন্ডিত এটা ধারনা করে থাকেন। কিন্তু আলেকজান্ডারের ইতিহাস বেশী দিনের নয়। তার যুদ্ধের উদ্দেশ্য এবং যুলকারনাইন এর উদ্দেশ্য অবশ্যই এক নয়। দুজন স্পষ্টভাবে দুই ব্যক্তি। আলকুরআনে জুলকারনাইন এর ব্যাপারে বক্তব্য এসেছে। আলেকজান্ডার নিয়ে একটা ছবিতে দেখেছিলাম সে সমকামী। সে বিখ্যাত সেনাপতি,শাসক ছিল আর যুলকারনাইনও ছিল,এই বিষয়েই শুধু মিল রয়েছে।....কিন্তু হাস্যকরভাবে মিল খোজা হয়েছে। আলেকজান্ডার কোনোভাবেই মুসলিম ছিলনা
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
216962
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..



তাফহীমুল কুরআনের সুরা কাহাফ-এর তাফসীর দেখুন, সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে!

আশা করি কৌতূহল নিবৃত হবে ইনশাআল্লাহ

অনেক ধন্যবাদ, জাযাকুমুল্লাহ
১০ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
217012
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : আমি তাফহিম দেখেছি, আপনাকে ধন্যবাদ
272855
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
নোমান২৯ লিখেছেন : এ বিষয়ে কিছুই তো জানি না!কি বলব|? Drooling Drooling
272891
১০ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন :
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কোনো কোনো পন্ডিত এটা ধারনা করে থাকেন। কিন্তু আলেকজান্ডারের ইতিহাস বেশী দিনের নয়। তার যুদ্ধের উদ্দেশ্য এবং যুলকারনাইন এর উদ্দেশ্য অবশ্যই এক নয়। দুজন স্পষ্টভাবে দুই ব্যক্তি। আলকুরআনে জুলকারনাইন এর ব্যাপারে বক্তব্য এসেছে। আলেকজান্ডার নিয়ে একটা ছবিতে দেখেছিলাম সে সমকামী। সে বিখ্যাত সেনাপতি,শাসক ছিল আর যুলকারনাইনও ছিল,এই বিষয়েই শুধু মিল রয়েছে।....কিন্তু হাস্যকরভাবে মিল খোজা হয়েছে। আলেকজান্ডার কোনোভাবেই মুসলিম ছিলনা। ১০০% সহমত
272892
১০ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪২
ভিশু লিখেছেন : এখানে যে যুলকারনাইনের কথা বলা হচ্ছে তিনি কে ছিলেন, এ বিষয়ে প্রাচীন যুগ থেকে নিয়ে আজও পর্যন্ত মতবিরোধ চলে আসছে। প্রাচীন যুগের মুফাস্সিরগণ সাধারণত যুলকারনাইন বলতে আলেকজাণ্ডারকেই বুঝিয়েছেন। কিন্তু কুরআনে তাঁর যে গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে, আলেকজাণ্ডারের সাথে তার মিল খুবই কম। আধুনিক যুগে ঐতিহাসিক তথ্যাবলীর ভিত্তিতে মুফাসসিরগণের অধিকাংশ এ মত পোষণ করেন যে, তিনি ছিলেন ইরানের শাসনকর্তা খুরস তথা খসরু বা সাইরাস। এ মত তুলনামূলকভাবে বেশী যুক্তিগ্রাহ্য। তবুও এখনো পর্যন্ত সঠিক ও নিশ্চিতভাবে কোন ব্যক্তিকে যুলকারনাইন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারেনি।
কুরআন মজীতে যেভাবে তার কথা আলোচনা করেছে তা থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে চারটি কথা জানতে পারিঃ
#এক, তার যুলকারনাইন (শাব্দিক অর্থ “দু’ শিংওয়ালা”) উপাধিটি কমপক্ষে ইহুদীদের মধ্যে, যাদের ইঙ্গিত মক্কার কাফেররা তার সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিল, নিশ্চয়ই পরিচিত হওয়ার কথা তাই একথা জানার জন্য আমাদের ইসরাঈলী সাহিত্যের শরণাপন্ন না হয়ে উপায় থাকে না যে, তারা “দু’শিংওয়ালা” হিসেবে কোন্ ব্যক্তি বা রাষ্ট্রকে জানতো?
জুলকারণাইন কিসসা সংক্রান্ত মানচিত্র (সূরা আল কাহফ ৬২ নং টীকা)
#দুই, এ ব্যক্তির অবশ্যই কোন বড় শাসক ও এমন পর্যায়ের বিজেতা হওয়ার কথা যার বিজয় অভিযান পূর্ব থেকে পশ্চিমে পরিচালিত হয়েছিল এবং অন্যদিকে উত্তর-দক্ষিণ দিকেও বিস্তৃত হয়েছিল। কুরআন নাযিলের পূর্বে এ ধরনের কৃতিত্বের অধিকারী মাত্র কয়েকজন ব্যক্তির কথাই জানা যায়। তাই অনিবার্যভাবে তাদেরই কারোর মধ্যে আমাদের তার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য ও বৈশিষ্ট্যও খুঁজে দেখতে হবে।
#তিন, তাকে অবশ্যই এমন একজন শাসনকর্তা হতে হবে যিনি নিজের রাজ্যকে ইয়াজুজ মা’জুজের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য কোন পার্বত্য গিরিপথে একটি মজবুত প্রাচীর নির্মাণ করেন। এ বৈশিষ্ট্যটির অনুসন্ধান করার জন্য আমাদের একথাও জানতে হবে যে, ইয়াজুজ মা’জুজ বলতে কোন্ জাতিকে বুঝানো হয়েছে এবং তারপর এও দেখতে হবে যে, তাদের এলাকার সাথে সংশ্লিষ্ট এ ধরনের কোন্ প্রাচীর দুনিয়ায় নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেটি কে নির্মাণ করেছে?
#চার, তার মধ্যে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোসহ এ বৈশিষ্ট্যটিও উপস্থিত থাকা চাই যে, তিনি আল্লাহর প্রতি আনুগত্যশীল ও ন্যায়পরায়ণ শাসনকর্তা হবেন। কারণ কুরআন এখানে তার এ বৈশিষ্ট্যটিকেই সবচেয়ে সুস্পষ্ট করেছে।
এর মধ্যে থেকে প্রথম বৈশিষ্ট্যটি সহজেই খুরসের (বা সাইরাস) বেলায় প্রযোজ্য। কারণ বাইবেলের দানিয়েল পুস্তকে দানিয়েল নবীর যে স্বপ্নের কথা বর্ণনা করা হয়েছে তাতে তিনি ইরানীদের উত্থানের পূর্বে মিডিয়া ও পাস্যের যুক্ত সাম্রাজ্যকে একটি দু’শিংওয়ালা মেষের আকারে দেখেন। ইহুদীদের মধ্যে এ “দু’শিংধারী”র বেশ চর্চা ছিল। কারণ তার সাথে সংঘাতের ফলেই শেষ পর্যন্ত বেবিলনের সাম্রাজ্য খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায় এবং বনী ইসরাঈল দাসত্ব শৃংখল থেকে মুক্তি লাভ করে। (দেখুন তাফহীমুল কুরআন, সূরা বনী ইসরাঈল ৮ টীকা)
দ্বিতীয় চিহ্নটিরও বেশীর ভাগ তার সাথে খাপ খেয়ে যায় কিন্তু পুরোপুরি নয়। তার বিজয় অভিযান নিঃসন্দেহে পশ্চিমে এশিয়া মাইনর ও সিরিয়ার সমুদ্রসীমা এবং পূর্বে বখ্তর (বলখ) পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কিন্তু উত্তরে বা দক্ষিণে তার কোন বড় আকারের অভিযানের সন্ধান এখনো পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় পাওয়া যায়নি। অথচ কুরআন সুস্পষ্টভাবে তার তৃতীয় একটি অভিযানের কথা বর্ণনা করছে। তবুও এ ধরনের একটি অভিযান পরিচালিত হওয়া অসম্ভব নয়। কারণ ইতিহাস থেকে দেখা যায়, খুরসের রাজ্য উত্তরে ককেশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
তৃতীয় চিহ্নটির ব্যাপারে বলা যায়, একথা প্রায় সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে, ইয়াজুজ মা’জুজ বলতে রাশিয়া ও উত্তর চীনের এমনসব উপজাতিদের বুঝানো হয়েছে যারা তাতারী, মঙ্গল, হূন ও সেথিন নামে পরিচিত এবং প্রাচীন যুগ থেকে সভ্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করে আসছিল। তাছাড়া একথাও জানা গেছে যে, তাদের আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ককেশাসের দক্ষিণাঞ্চলে দরবন্দ ও দারিয়ালের মাঝখানে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু খুরসই যে, এ প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন তা এখনো প্রমাণিত হয়নি।
শেষ চিহ্নটি প্রাচীন যুগের একমাত্র খুরসের সাথেই সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। কারণ তার শত্রুরাও তার ন্যায়বিচারের প্রশংসা করেছে। বাইবেলের ইষ্রা পুস্তক একথার সাক্ষ্য বহন করে যে, তিনি নিশ্চয়ই একজন আল্লাহভীরু ও আল্লাহর অনুগত বাদশাহ ছিলেন। তিনি বনী ইসরাঈলকে তাদের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রিয়তার কারণেই বেবিলনের দাসত্বমুক্ত করছিলেন এবং এক ও লা-শরীক আল্লাহর ইবাদাতের জন্য বাইতুল মাকদিসে পুনর্বার হাইকেলে সুলাইমানী নির্মাণ করার হুকুম দিয়েছিলেন।
এ কারণে আমি একথা অবশ্যি স্বীকার করি যে, কুরআন নাযিলের পূর্বে যতজন বিশ্ববিজেতা অতিক্রান্ত হয়েছেন তাদে মধ্য থেকে একমাত্র খুরসের মধ্যেই যুলকারনাইনের আলামতগুলো বেশী পরিমাণে পাওয়া যায় কিন্তু একেবারে নিশ্চয়তা সহকারে তাকেই যুলকারনাইন বলে নির্দিষ্ট করার জন্য এখনো আরো অনেক সাক্ষ্য প্রমাণের প্রয়োজন রয়েছে। তবুও কুরআনে উপস্থাপিত আলামতগুলো যত বেশী পরিমাণে খুরসের মধ্যে বিদ্যমান, ততটা আর কোন বিজেতার মধ্যে নয়।
ঐতিহাসিক বর্ণনার জন্য এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, খুরস ছিলেন একজন ইরানী শাসনকর্তা। খৃস্টপূর্ব ৫৪৯ অব্দের কাছাকাছি যুগ থেকে তাঁর উত্থান শুরু হয়। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি মিডিয়া (আল জিবাল) এবং লিডিয়া (এশিয়া মাইনর) রাজ্য জয় করার পর ৫৩৯ খৃস্টপূর্বাদ্বে বেবিলন জয় করেন। এরপর তার পথে আর কোন রাজশক্তির বাধা ছিল না। তার বিজয় অভিযান সিন্ধু ও সুগদ (বর্তমান তুর্কিস্তান) থেকে শুরু করে একদিকে মিসর ও লিবিয়া এবং অন্যদিকে থ্রেস ও ম্যাকডোনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আবার উত্তর দিকে তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করে ককেশিয়া ও খাওয়ারিযাম পর্যন্ত। বলতে গেলে সেকালের সমগ্র সভ্য জগত তাঁর শাসনাধীন ছিল।
মহান রাব্বুল আ'লামীন উস্তাদ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রাহমাতুল্লাহ আ'লাইহিকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন আমীন..Praying
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৩৯
217037
ফেরারী মন লিখেছেন : ওরে বাপ্রে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়। Surprised Surprised
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
217048
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : ভাই তাফহীম থেকে আমি স্টাডি করেই তবে পোস্ট দিয়েছি, এত কিছুর বোধ হয় দরকার ছিল না
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২৪
217078
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এই বিশ্লেষনটা বেশী যুক্তিযুক্ত। তবে আমরা নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারিনা। আল্লাহই ভাল জানেন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File