হেফাজতে ইসলামের প্রকৃত দাবি

লিখেছেন লিখেছেন মনেরকথা ০৬ মে, ২০১৩, ০২:৫৪:১৬ দুপুর

চল চল ঢাকা চল

ইসলামকে রক্ষা কর।

চারিদিকে লক্ষ লক্ষ জনতার চিৎকারে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচেছ ।সবাই ঢাকামুখী।৯০%মুসলমানের দেশে ইসলাম থাকবে না,সেটা কিছুতেই হতে পারেনা।প্রয়োজন হলে শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও ইসলামকে সমুন্নত রাখতে হবে।রাইয়ানও ঢাকা অবরোধে অংশগ্রহন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।তার মনে বার বার উঁকি দিচেছ সত্যিই কি ইসলাম আজ বিপন্ন! সে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামল দেখেছে।একটি বিষয় তার কাছে পরিস্কার,আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা বলেন গেল গেল ইসলাম গেল।বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারা একদম চুপসে যায়।বিএনপির আমলে তাঁরা নামাজ পড়ে,রোজা রাখে,হজ্জ্ব করে,যাকাত দেয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলেও তাঁরা এ সকল ইবাদত পালন করে থাকে।আওয়ামী লীগ এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা না করলেও মাঝে মাঝে বলে থাকে তাঁরা মদীনা সনদ অনুযায়ী দেশ চালাচেছ।বিএনপি এ কথাটিও বলে না।তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই তাঁদের উপর

১৩ দফা ১৪ দফা চাপিয়ে দেওয়া হয়।সে ধুয়াশার মধ্যে পড়ে যায়। এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা চায় সে।কোথায় গেলে সমাধান পাওয়া যাবে,ভাবতে থাকে।হঠাৎ তার মনে পড়ে যায় রেজা সাহেবের কথা। স্কুলে যাওয়া আসার পথে সে দেখেছে পাওয়ারফুল চশমা পরে রেজা সাহেব বইয়ের পাতা উল্টিয়ে যাচ্ছেন।সে তখনই পকেটে একটি কলম ও হাতে একটি খাতা নিয়ে ছুটে যায় রেজা সাহেবের বাড়ীতে।রেজা সাহের বাড়ীতে ছিলেন।তাঁকে প্রশ্ন করতেই চোখ বন্ধ করে কি যেন ভাবলেন।আস্তে আস্তে চোখ খুলে বললেন,

দেখ রাইয়ান, এটি এক কথায় বলা সম্ভব নয়।আমার হাতেও যথেষ্ট সময়

নেই।যাইহোক আমি চেষ্টা করছি যাতে তুমি স্পষ্ট ধারণা পেতে পার।প্রথমেই

তোমাকে বুঝতে হবে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোন ইসলামী দল নয় যে তারা এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে।তাছাড়া দেশে কোন ধরনের শাসন ব্যবস্থা কায়েম হবে তা ঠিক করবে দেশের জনগন ভোটের মাধ্যমে।জনমত

উপেক্ষা করে অন্য যে কোন পন্থায় কোন মতবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ন্যায়সংগত নয়।এখানে একটি কথা না বললেই নয়।আমরা মনে করে থাকি গনতন্ত্র পশ্চিমাদের নিজেস্ব ধারণা।আসলে আমাদের ভাবনাটি সঠিক নয়।এটির প্রকৃত রুপকার হলেন মুহাম্মদ (সাঃ)। তিনি মক্কায় দীর্ঘ তের বছর তাঁর উপর নাজিলকৃত মতবাদ তথা ইসলাম প্রচার করেছেন।সত্যের বাণী তুলে ধরেছেন সবার কাছে।অনেকেই ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মুসলমান হয়েছেন।এখানে উল্লেখ্য, মুহাম্মদ (সাঃ)মক্কায় রাষ্টীয় ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা ভাবেননি।

রাইয়ান : কেন ?

রেজা সাহেব গম্ভীর রুপ ধারণ করে বললেন,তখনো মক্কার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল অমুসলিম।জনমত উপেক্ষা করে ইসলামকে রাস্টীয় ভাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা তিনি নিতান্তই অপছন্দ করেছেন।হিজরতের পরে মদীনায় মুসলমানেরা হয়ে ওঠে সংখ্যাগরিষ্ঠ।সেখানে তিনি মদীনা সনদের মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্টীয় ভাবে কায়েম করেন।

রাইয়ান : আপনি মুহাম্মদ(সাঃ) এর মক্কা জীবন ও মদীনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বললেন,আমি বুঝতে পারছিনা এর সাথে গনতন্ত্রের কি সম্পর্ক।

রেজা সাহেব : এ বিষয়টি অত্যন্ত গভীর।এটিকে সহজ ভাবে বুঝতে হলে তোমাকে জানতে হবে খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসন আমল।খলীফা উমরের মৃত্যুর পরে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।আব্দুর রহমান ইবনে আওফ

(রাঃ) ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।তিনি মদীনার লোকজন এবং হজ্জ্ব ফেরৎ বিভিন্ন কাফেলার জনগনের মতামতের ভিত্তিতে উসমান (রাঃ)কে নির্বাচিত করেন।

রাইয়ান : সেখানে ছিলনা ভোট কেন্দ্র,ছিলনা ব্যালট পেপার।সব কিছু মুখে মুখে।

রেজা সাহেব : সাহাবীগণ(রাঃ) ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ।তাঁদের কথা

ছিল দলিলের চেয়ে শক্তিশালী।বিজয়ী হিসেবে উসমান(রাঃ) নাম ঘোষিত

হওয়ার সাথে সাথে অপর প্রার্থী আলী( রাঃ) বাইয়াত গ্রহন করেন।আর আমরা আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করেও হেরে গেলে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে বলে

তাল বাহানা করি।

রাইয়ান :আপনার সাথে আলোচনার পর আমার মনে হচেছ হেফাজতে ইসলাম ভুল পথে এগোচ্ছে।

রেজা সাহেব : কেন ?

রাইয়ান : তারা ইসলামের পক্ষে জনমত সৃষ্টি না করে নির্বাচিত সরকারের উপর নিজেদের মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

রেজা সাহেব : তুমি ভুল করছো।তাঁরা সরকারের উপর ১৩ দফা চাপিয়ে দিচ্ছে না।তাঁরা নিজেরাও জানে ১৩ দফা বাস্তবায়ন করা সরকারের পক্ষে

অসন্ভব।

রাইয়ান : তাহলে তাঁরা কেন এটি দাবী করছে?

রেজা সাহেব : তোমার ভালকরে জানা আছে আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে।তারা মুখে বলে ধর্মনিরপেক্ষতা হলো অসাম্প্রদায়িকতা অর্থাৎ সকল ধর্মের লোকজন স্ব স্ব ধর্ম পালন করবে।

ধর্মের উপর আঘাত একটি ফৌজদারী অপরাধ।বাস্তবে তাঁরা সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা বিশ্বাস রাখা যাবে না বসিয়ে, ইসলাম ধর্মের উপর চরম আঘাত করেছে।অতি দুঃখের বিষয়,মুহাম্মদ (সাঃ)এর বিরুদ্ধে অশালিন

বক্তব্য দিয়ে কতিপয় ব্লগার নাস্তিক হয়ে গেল।তার চেয়ে জঘন্য অপরাধ, মুসলমানদের ঈমানের উপর খড়গহস্ত হয়েও সরকার দিব্যি আস্তিক হয়ে রইল।একটু থেমে রেজা সাহেব আবার বললেন,আওয়ামী লীগের তত্ত্ব অনুযায়ী সংবিধানে লেখা দরকার ছিল,মুসলমানেরা আল্লাহর উপর,হিন্দুরা

ভগবানের উপর,খ্রীষ্টানেরা ঈশ্বরের উপর ও বৌদ্ধরা তাদের বিশ্বাসের সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখবে।সরকার বুঝে হোক আর না বুঝে হোক যে সব কর্মকান্ড করছে,অদুর ভবিষ্যতে এ দেশে নিঃস্প্রাণ ইসলামকে পাওয়া যাবে।

রাইয়ান : একটু বুঝিয়ে বলবেন ?

রেজা সাহেব : রাইয়ান তুমি জান, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মীয় শিক্ষা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।সরকারের বর্তমান নীতির ফলে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।নৈতির শিক্ষা ছাড়া মানুষ আর মানুষ থাকে না।তারা হয়ে যায় পশু। সকল ধর্ম বলে,মিথ্যা বলা,চুরি করা,ডাকাতি করা,ব্যাভিচার করা মহাপাপ।ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যে কোন পাপ কাজ

করতে সামান্যতম লজ্জাবোধ করবে না।ফলে সমাজে ঘটবে মহা বিপর্যয়।আমি এখনও বলি সরকারের উচিৎ সকল ধর্মের ধর্মীয় বই পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভূক্ত করা।

রাইয়ান : বুঝলাম,এবার বলুন মঙ্গলযাত্রা,মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ইসলামের কি ক্ষতি করে।এগুলো তো বাঙালীর সংস্কৃতি।

রেজা সাহেব : সমস্যা হলো সঠিক তথ্য না থাকার কারনে আমরা মনে করি

এগুলো বাঙালী-সংস্কৃতি।প্রকৃত ব্যপার হলো এ সব হিন্দুদের ধর্মীয় সংস্কতির অংশ।তুমি যদি কোন হিন্দুকে বলো রোজা রাখতে,যাকাত দিতে।

তিনি দেবেন না কারন সেটা তাঁর ধর্মীয় বিধানের পরিপন্থী।অথচ রোজার অনুরুপ উপোস,যাকাতের অনুরুপ দান তিনি করবেন।এ জন্য তাঁকে দোষ দেওয়া

যাবেনা বরং প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এটাই স্বাভাবিক।

রাইয়ান : পহেলা বৈশাখের সাথে মঙ্গলযাত্রার কি সম্পর্ক ?

রেজা সাহেব :কোন সম্পর্ক নেই।সম্পর্ক রয়েছে সম্রাট আকবরের সাথে।

সবে বরাতের মত উৎসবমূখর পরিবেশে আকবরের উদ্দেশ্যে দুরাকাত নামাজের মাধ্যমে মুসলমানদের পহেলা বৈশাখ উদ্বোধন করা উচিৎ।এতে পরজগতে তাঁর আত্না শান্তি পাবে।মুসলমানদের নামাজের সময় হিন্দুরা মঙ্গলযাত্রা সহ অন্যান্য ধর্মীয় কাজ সেরে নিতে পারে।এ পর্বের নাম দেওয়া যেতে পারে ধর্মীয় পর্ব। অনুষ্ঠানের বাকী অংশের নাম দেওয়া যেতে পারে যৌথ পর্ব।এ পর্বে সকল ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে আকবরের জীবনী,বাংলা

নববর্ষের ইতিকথার আলোচনাসহ অন্যান্য সকল অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।

রাইয়ান :এবার নারী প্রসঙ্গে আসি।সরকার নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,আমার মনে হয় সরকার এক্ষেত্রে একটি ধন্যবাদ পেতেই পারে।

রেজা সাহেব : তোমার ধারনা ঠিক নয়।সরকার নারী নেতৃত্বের জিকির তুলে

যে ভাবে অযোগ্য নারীদের বড় বড় মন্ত্রী বানিয়ে দিচ্ছেন তাতে চিন্তশীল মানুষ মাত্রই শংকিত।আমার কথা হল সরকার যদি চান নারীরা সামনে এগিয়ে আসুক তাহলে আগে তাদের পদের উপযুক্ত করে পদ দেওয়া হোক।

অন্যাথায় দেশ রসাতলে চলে যাবে।আমেরিকার ১ম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের শাসনামলে একটি পদের দুজন প্রার্থী হয়েছিল।একজন ছিল তাঁর খুব কাছের লোক,আর একজন ছিল তাঁর চরম সমালোচনাকারী।সবাই আশ্চার্য হয়ে দেখলো তিনি সমালোচনাকারীকে নিয়োগ করেছেন।এ ব্যাপারে

তাঁকে জিঞ্জেস করতেই তিনি বললেন,যোগ্য ব্যক্তিই চাকুরী পেয়েছে।আমার

বন্ধুর জন্যও আমার দায়িক্ত্ব রয়েছে।সে যদি অভাবী হয়,তাকে আমার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে সাহায্য করা অথবা চাকুরীর প্রয়োজন থাকলে আমার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থাকলে সেখানে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা আমার কর্তব্য।কিন্তু রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়া বা রাষ্টীয় কোষাগার থেকে আর্থিক সাহায্য করার ক্ষমতা আমার নেই।ইতিহাস থেকে আমাদের সরকারকে শিক্ষা নেওয়া দরকার।

রাইয়ান : কুরআনে বাবার সম্পতিতে মেয়েরা অবহেলিত হয়েছেন।এ ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ কি প্রশংসার দাবী রাখেনা ?

রেজা সাহেব : কুরআনে একটিও অযোক্তিক কথা পাবে না।কোন বিষয়ে মন্তব্য করার আগে সে বিষয়ে ভালভাবে জ্ঞান লাভ করতে হয়।মনে কর তোমরা দুই ভাই বোন।বাড়ী ভাড়া থেকে মাসে ৫০,০০০/ = আয় হয়।তোমার মা থাকেন তোমার সাথে।বোন থাকে তার শশুরবাড়ী।প্রতি মাসে ভাড়া তুলে তোমার বোন তোমাকে ২৫,০০০/= টাকা দিয়ে যায় বাকী ২৫,০০০/= টাকা সে নিয়ে যায়।নিশ্চয় তুমি এটাকে ন্যায় বিচার বলবে।

রাইয়ান : তা কি করে সম্ভব।মার সমস্ত ব্যয়ভার আমাকে বহন করতে হচ্ছে।

সে ভাড়া তুলে অর্ধেক নিয়ে যাবে।আমি এটাকে কিছুতেই ন্যায়বিচার বলতে

পারবো না।

রেজা সাহেব : এবার তাহলে বুঝতে পারছো,কুরআন কোন অন্যায় কথা বলেনি।ছেলেদের অতিরিক্ত সম্পাদের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িক্ত্ব দিয়েছে।মেয়েদের কোন দায়িক্ত্ব দেয়া হয়নি।

রাইয়ান : একটা বিষয় আমি কিছুতেই মানতে পারছিনা।

রেজা সাহেব : সেটা কি?

রাইয়ান : বিয়ের পরে মেয়েরা একেবারে অসহায় হয়ে পড়ে।টাকা পয়সা

না থাকার কারণে স্বামীর উপর তারা নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।তার মা,বাবা,ভাই,বোনদের কিছু দিতে গেলে,হয় চুরি করে দিতে হয় নাহয় স্বামীর কাছে ছোট হতে হয়।এ সব কারণে তাদের সামাজিক মর্যাদা ভূলুন্ঠিত

হয়।

রেজা সাহেব : তুমি ঠিক বলেছো। তবে যদি একটু ভাবো তাহলে বুঝবে এর জন্যে ইসলাম দেনমহরের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।বিয়ের পরপরই একটি মেয়ের আর্থিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেনমহরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যা একান্তই তার নিজের সম্পদ। এ সম্পদ সে ইচেছ মত খরচ করতে পারবে আবার বিনিয়োগ করে বৃদ্ধিও করতে পারবে।

আমি মনে করি সরকার যদি নারীর কল্যাণ কামনা করে তবে সরকারকে নিশ্চিত করতে,দেনমহর পরিশোধ না করে,কোন ছেলেই যেন বিয়ে করতে

না পারে।নগদ টাকা না থাকলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান,পেনশনের টাকা,জমি জমা

ইত্যদি স্ত্রীর নামে লিখে দিতে হবে।

রাইয়ান : বাহ্!আপনি দারুন বলেছেন।আপনার সাথে আলোচনা করে পথের দিশা পেলাম।

রেজা সাহেব :যদি তোমার কোন উপকার করতে পারি তাহলে আমার জ্ঞান অর্জন সার্থক।

রাইয়ান : আজকের মত আসি।আল্লাহ হাফেজ।

রেজা সাহেব আল্লাহ হাফেজ।

কলম হাতে তুলে নেওয়া নতুন যোদ্ধা

ভূঁইয়া মুহাম্মদ আনিসুর রহমান বুলবুল।

বিষয়: বিবিধ

১১৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File