২৫০০ লাশ -- কত লাশ গুম করবে ?

লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ০৬ মে, ২০১৩, ০২:৪৮:৫৩ দুপুর

-১ : কিভাবে শুরু -

বাংলাদেশে স্বাগতম

৫ ই মে (#5MAY ) ঢাকা অবরোধ (#SIEGEDHAKA)

ইসলামপ্রিয় মুসল্লিদের একটি শান্তিপুর্ন প্রতিবাদ সমাবেশ

কিন্তু সরকার ... নিল এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা!!!!!!

বিদ্যুত সংযোগ কেটে দিল

সাংবাদিকদের সরিয়ে নিল

পুলিশ, বি,জি,বি, র্যব, সরকারী গুন্ডাবাহিনী সমরাস্ত্রে সজ্জত হয়ে ঝাপিয়ে পড়ল

এবং ... নিকষ অন্ধকার (#BLACKNIGHT)

যুদ্ধ চলছে

আমরা ভীত নই

আমরা থেমে যাবার নই

আমরা জয়ী হব ইনশাল্লাহ

অত্যাচার অনেক হয়েছে

এখন সময় রুখে দাড়াবার!

- ২: কালরাত -

রাত ২:৪৫

বিদ্যুত সংযোগ কাটল

চতুর্দিক থেকে গুলি -- বিরামহীন

একদল অস্ত্র নিচের দিকে তাক করে গুলি করতে করতে লাগল

আরেক দল মরণ নিশ্চিত করে লাশ তুলতে থাকল ভ্যানে

তৃতীয় দল স্প্রে করতে থাকল -- মাটি-সিক্ত রক্তের রং উবে গেল

------

খোদার আরশ কি কাপে নাই?

মনের চোখ দেখেছে -- লাখো লাখো ফেরেশতারা অভিনন্দন জানাচ্ছে প্রশান্ত আত্মাদের!

-৩: লাশের শহর ও অভিশাপ -

২৫০০ লাশ -- কত লাশ গুম করবে বন্য কুকুরের দল?

দিনের বেলায় তুরাগ জাগিয়ে দিল ১৩০ লাশ!

রানা প্লাজায় হাজারের বেশি মারার পর তোর্ মন ভরে নাই - হাসিনা?

হাফেজ আর মাওলানাদের মারতে হল - তাও ২৫০০ ?

ইবলিশের যেমন আবেগ নাই -- তোর্ ও আবেগ নাই --

ইবলিশ যেমন হিংসার বশে মানুষকে জাহান্নামী করে - তোর বাপের মরণের পর তুই ও এ জাতির প্রতি হিংসার বসে সবার রক্ত চাস

এবং জাতির রক্ত পান করবি আমৃত্যু!

হত্যাকারী জারজের দল - তোরা পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর কষ্ট পেয়ে মারা যাবি -- তদের সন্তান, টাকা পয়সা আর দুর্ভোগ তোদের আমৃত্যু ভয়ঙ্করভাবে তাড়াবে! ২৫০০ হুজুরের আর তাদের জীবন্ত লাশ-সম আত্মীয়-স্বজনদের চোখের পানির অভিশাপে!

--- পরিসিস্ট ----

-১-

আহারে ওলিরা কি জানত আওয়ামী বন্য কুকুররা কি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেছে পিছনে?

ভিডিও:

Click this link

-২-

লাশ গুলো কিভাবে গুম করা হল তা এই চাচার মুখে শুনুন!

ময়লার ট্রাকে করে লাশ গুলা নিয়া গেছে

লাশ গুলো কিভাবে গুম করা হল তা এই চাচার মুখে শুনুন

এই বৃদ্ধ চাচাও এই জালিম সরকারের পেটুয়া বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেল না

চাচার মুখ থেকে শুনুন, আহত যেমন বেশি ঠিক তেমনি নিহত এর সংখ্যা ও বেশি

লাশ গুলো কিভাবে গুম করা হল তা এই চাচার মুখে শুনুন

Click this link

-৩-

দ্বিতীয় গণ কবর রচিত হতে যাচ্ছে পিলখানায়...

৬ মে মধ্যরাতে আওয়ামী হানাদার বাহিনী কতৃক ঘটে যাওয়া বর্বরোচির গণহত্যার শত-শত লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে।

গত রাতে বিডিয়ার হেডকোয়ার্টার পিলখানায় ৯টি ট্রাকে করে কয়েক শত লাশ আনা হয়েছে, বর্তমানে লাশগুলো গণকবর দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে..

সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, দয়া করে আপনারা পিলকানায় গিয়ে লাশগুলো একটু দেখে আসুন।

তথ্যসূত্রঃ উর্ধতন বিডিয়ার কর্মকর্তা, বিডিয়ার সদর দপ্তর পিলখানা।

-৪-

একজন অংশগ্রহণ কারির বর্নায় গতকালের ‘অপারেশন ফ্রিডম ‘ (কৃতজ্ঞতায় : ফেলুদা হোমস)

====================================

আমার পেশাগত জীবনের দীর্ঘ ১৪ বছরের মধ্য গতরাতের মতো এতো কঠিন পরিস্থিথির মুখে কোনদিন পড়িনি। জীবনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একাধিকবার ভয়ানক দুষ্কৃতিকারীদের সাথে গোলাগুলি করেছি । কিন্তু একবারও হাত কাঁপেনি। একবারও মনের মাঝে অপরাধবোধ কাজ করেনি । কিন্তু গতরাতের অবস্থা ছিল পুরোটা ভিন্ন ।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের অনেক সময় মানুষ থেকে কুকুরে পরিনত হতে হয় । কারন পশু না হলে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করতে সবসময় পারবেন না । দায়িত্ব পালন ঠিক মতো না হলে বউ বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে । ঠিক যেমনটি হতে হয়েছিল গতকাল । একটি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মুখোমুখি হয়েছিলাম যা সারা জীবন হয়তো আমাকে তাড়া করবে যার নাম ‘অপারেশন ফ্রিডম ‘, অপারেশন ফ্রিডমের একটা মোহড়া গতকালেই আমরা দিয়ে দিলাম যা সবাইকে সংক্ষেপে একটু বলি ।

বিকালে একদিকে হেফাজত কর্মীদের দোকানপাট, রাস্তাঘাটে লাগানো আগুন নিভাচ্ছিলাম অন্যদিকে হেফাজত কর্মীদের মতিঝিল থেকে যে কোন মূল্য সরিয়ে দেয়ার জন্য ভয়াবহ আগুন জ্বালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম । রাত ২.৩০ মিনিট । একটা যুদ্ধের প্রস্তুতির মতোই ভারী অস্রসস্র নিয়ে আমরা সংখ্যায় তিন বাহিনী মিলে ১০/১১ হাজার মানুষ পলটন থেকে মতিঝিলে যাওয়া শুরু করলাম । পল্টনে দেখা মিললো বিএনপি, ছাত্রদলের শো দুয়েক কর্মীর। যাদের সবাইকে পল্টন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো । আমাদের রণসাজ দেখে ঐ শো দুয়েক কর্মী কোনরকম বাৎচিত করার সাহস পেলো না। মতিঝিলে প্রবেশের তিনটি পথ বন্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র টিকাটুলি যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখলাম । হেফাজতের মঞ্চ থেকে মাইকে তখন ‘আল্লাহ ,আল্লাহ ‘ জিকির শোনা যাচ্ছিল । অপারেশন কমান্ডার হ্যান্ড মাইকে হেফাজত কর্মীদের মতিঝিল থেকে সরে যেতে অনুরোধ করলেন । কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে সরে না যাওয়ার ঘোষণা আসলো। এরপর আর কোন সুযোগ না দিয়ে তিনদিক থেকে ঘিরে রাখা সবাই একসাথে চোখ বন্ধ করে গুলি করা শুরু করলাম। সবার বন্দুকের নল বুক বরাবর তাক করা। আমি প্রথম ১/২ মিনিট বুক বরাবর নল তাক করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে সামনের দিকে এগোতে লাগলাম অন্য সবার মতো । এরপর নিজের বন্দুকের নলটি আরেকটু নিচের দিকে নামিয়ে পা বরাবর গুলি করতে লাগলাম হয়তো কোন বিবেকের তাড়নায় । ১৫/২০ মিনিট অবিরাম গুলিবর্ষণ চলতে লাগলো কমান্ডারের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত । কত শত /হাজার রাউনড গুলি ছোড়া হয়েছে তার কোন হিসাব নেই , হিসাব মেলানোও যাবে না । কারন তখন আমরা ১০ হাজার মানুষ থেকে ১০ হাজার পশু ছিলাম । হেফাজত কর্মীরা শাপলা চত্বর থেকে পিছু হটে টিকাটুলি , হাটখোলার বিভিন্ন গলিতে ঢুকে গেলো । আমাদের অবিরাম গুলিও বন্ধ হয়ে গেলো । শাপলা চত্বর নির্দেশ মোতাবেক নিজেদের দখলে নিলাম । যখন গুলি থামলো তখন ধোঁয়াচ্ছন্ন চারদিক। ধোঁয়া সরে যখন একটু পরিস্কার হলো তখন দেখি শত শত নিথর দেহ, স্যান্ডেল , টুপি, ব্যাগ, পানির বোতল আর রক্ত । নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে নিলাম । কতশত নিহত আর কতশত আহত হয়েছে তা গোনার সময় নেই , কারন যত কিছুই ঘটুক তা এই রাতের আধারেই ধুয়ে মুছে শেষ করতে হবে । সময় খুব কম । তাই বারবার তাগাদা আসছিল সব ধুয়ে মুছে পরিস্কার করার জন্য । মাঝে মাঝে নিজের বন্দুকের নলটি নিজের বুকের মাঝে তাক করছিলাম প্রচণ্ড ঘৃণায় , ক্ষোভ নিয়ে । কতজন নিহত হবে ? ১০০/৫০০/১০০০ বা তারও অনেক বেশি ? কিভাবে হিসাব করে? কার কি আসে যায়? আমি আমার চেয়ারে থাকতে পারলেই তো হলো । এই চেয়ার আমার, আমার বাপদাদার সম্পত্তি। এই চেয়ার আমি কাউকে দিবো না , কাউকে দিবো না । তার জন্য যদি আমাকে আরও লক্ষ লাশ ফেলতে হয় আমি ফেলবো । পশুদের এই রাজত্বে আমি একটি মানুষকেও রাখবো । শুধু থাকবে পশু আর আমি থাকবো সেই পশুদের রাজা ‘পশুরাজ’ হয়ে আমৃত্যু পর্যন্ত । আমার শুধু ভয় একটাই তা হলো ‘যে আগুন জ্বালিয়ে দিলাম সেই আগুন যদি পশুদের এই রাজত্বকেও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয় ‘ তখন কি হবে ? জানিনা, জানতেও চাইনা । শুধু জানি আমি এক পশুরাজ ।।

বিষয়: বিবিধ

২১৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File