আর কত অবিচার হলে আল্লাহর আরশ কাঁপবে!!!

লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৪:০৪:১১ রাত

৭৪ সালে কবি রফিক আজাদ "ভাত দে হারামজাদা" কবিতা লিখার অপরাধে ্গ্রেফতার হন। তেমনিভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে কবিতা লিখার অপরাধে জন বিক্ষোভে কবি দাউদ হায়দারকে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল।

বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা ৭৪ সালের চেয়ে কম নয় বরং বেশীই। কিন্তু মনে হয় আমরাই মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছি।

কোন এক ২৮শে অক্টোবর প্রকাশ্য রাজপথে লগি বৈঠা দিয়ে ইতিহাসের জঘন্যতম নারকীয়ভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু আমরা তা গায়ে মাখাইনি। কারন ওটা তো জামায়াত শিবিরকে মেরেছে। অার জামায়াত শিবির তো মানুষ না। জামায়াত শিবির এ যুগের নন্দঘোষ। গিনিপিগ।

আমরা বিশ্বজিতকে যেভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে জনসম্মুখে ঐতিহাসিক নারকিয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে তা আমরা গায়ে লাগাইনি। কারণ সে টা তো ছাত্রলীগের সোনর ছেলেরা করেছে। ছেলে বয়সে একটু আধটু দুষ্টামি করেই। ক্যাম্পাসে যখন এসব সোনার ছেলেরা বন্দুক যুদ্ধ করে সেটা সামান্য বয়সের দোষ ছেলেরা এ বয়সে একটু আধটু দুষ্টু করেই।

এই বাংলাদেশে ৯০ভাগ মানুষের ধর্ম ইসলামকে নিয়ে যেভাবে অসভ্য, অকথ্য ভাষায় লিখা হয়েছে তা অমুসলিম দেশে রাজনৈতিক বা সামাজিক শক্রকেও এভাবে গালি গালাজ করা হয় না।

যে কোন পিতা মাতা চিন্তা করতে পারেন, পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গেলে একজন পিতা বলতে পারেন যে তিনি পিতা হত্যার বিচার চান না।

দিনে দুপুরে ভোট ডাকাতি করে, জনগনেকে ধন্যাবাদ জানান। এর চে জঘন্য মশকরা আর কি হতে পারে। এ রকম সংবাদ দেখতে দেখতে তো আমাদের কান থ্যাতা হয়ে গেছে। তবে আজকের একটি সংবাদ আমার কাছে কিছুটা মনপুতঃ হয়েছে।

সংবাদটা হলোঃ "মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ শিকদারের নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর সাক্ষ্য নিয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটির তিন সদস্য। অভিমানী রাব্বী এ ঘটনার বিচার চান না জানিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যদের বলেন, কি হবে তার বিচার চেয়ে, মাসুদের বিচার করে কী হবে? ওকে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে দেন।।"

প্রস্তাবটা মন্দ না।

আপনাদের মনে আছে, সাগর রুনি নামক সাংবাদিক দম্পত্তির কথা। তারপর সরকার প্রধানদের ব্যাঙ্গ, কারো বেডরুম পাহারা দেয়ার দায়িত্ব নাকি তাঁদের নয়। তাছাড়া, তাছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রির বক্তব্য ছিল : সাগর-রুনির নাকি এমন কিছু পরকিয়া জাতীয় কিছু ছিল যা জনসম্মুখে বলা ঠিক হবে না। একজন মানুষের মানষিকতা কত কত নীচে চলে গেলে এত নোংরা হতে পারে। আর কত অপদার্থ আর নংপুষক হলে আমরা ফ্যাল ফ্যাল করে সে গুলো দেখে ভাত গিলি।

আমেরিকার একটা কথা বলি। এদের রাজনৈতিক লড়াই বাঘে সিংহের লড়াইয়ের চেয়েও কঠিন। সেখানেও একবার সে সময়কার প্রার্থী ওবামা সর্ম্পকে একজন দর্শক সীমার বাইরে মন্তব্য করার পর, ওবামার প্রধান প্রতিদ্ধন্ধি জন মেককেইন প্রকাশ্যে স্পষ্ট বলেছেন, "নো মেম নো" না ম্যাডাম (মন্তব্যকারি) তোমার মন্তব্য ঠিক নয়। ওবামা একজন পারিবারিক মানুষ। তাঁর সুন্দর পরিবার আছে। যদিও তাঁর নীতির সাথে আমি একমত নই, এবং তার নীতিকে আমেরিকার জন্য কল্যানকর মনে করি না।

অপরদিকে বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রী, নাক ভেংচিয়ে, গাল বাঁকা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রি সর্ম্পকে (তাহলে ফালুর কি হবে।!! জাতীয়) অসভ্য মন্তব্য। মন্ত্রীরা ডঃ ইউনুস এর মত একজন অসম্ভব ভদ্রজনোজিত ব্যাক্তি সম্পর্কে অসোভন কথা বলেন। সে দেশে আমরা নংপুশকের মত সে সব শুনি এবং চুপ থাকি। আর যারা মারহাবা দেয়, যারা এখনো এসব বর্বরতাকে মেীণও সমর্থন দেয়, তাদের মাথা ঠিক আছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

তাই আসলে ভাল হয়, রাব্বির কথাটাকেই সমর্থন করি, কি হবে এসব বিচার টিচার চেয়ে। তার চেয়ে ভাল মাসুদকেই দেশের প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দেয়া হোক। প্রধানমন্ত্রীত্ব যেহেতু পৃথিবীর আর কেউ নিতে পারবে না। তাই তাকে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দেয়া হোক।

বিষয়: বিবিধ

১২৯৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

357080
১৭ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৪:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : সর্বৈব সঠিক কথন৷ বিন্দু মাত্র অমত নেই৷ ধন্যবাদ৷
357093
১৭ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
আমরা যেখানে মানবিক সভ্যতাবোধ হারিয়ে ফেলেছি সেখানে কি আশা করতে পারি।
357113
১৭ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:১৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File