দিল্লি মেট্রোতে ৯৪ শতাংশই পকেটমারই মহিলা!

লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৭:৩২ রাত

সরকারি তথ্যে জানা গেছে, দিল্লিতে মেট্রো রেল পরিষেবায় যে পকেটমাররা ধরা পড়ছেন, তাদের মধ্যে শতকরা ৯৪জনই মহিলা।

ভারতের রাজধানীতে মেট্রো নেটওয়ার্কে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে যে সিআইএসএফ বা কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী – তাদের দেওয়া তথ্যেই জানা গেছে সেখানে পুরুষ পকেটমারদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা অনেকগুণ বেশি। আর এটা শুধু এ বছর নয়, গত বছরের পরিসংখ্যানও একই কথা বলছে।

অর্থাৎ, দিল্লি মেট্রোতে পুরুষ পকেটমারের তুলনায় মহিলা পকেটমারের সংখ্যা শুধু বেশি নয়, প্রায় তেরো-চোদ্দ গুণ বেশি গত দুবছর ধরেই।

সিআইএসএফের তথ্যই বলছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মেট্রো রেলে মোট ২৯৩জন মহিলা পকেটমার ধরা পড়েছেন, যেখানে পুরুষ পকেটমারের সংখ্যা মাত্রই ২২জন।

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, বিশেষ করে অফিসের সময় ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের কামরাগুলোই মহিলা পকেটমাররা টার্গেট করে থাকেন – এবং অনেক সময়ই তাদের সঙ্গে থাকে একটি শিশু বা কোলে বাচ্চা, যাতে তাদের পকেটমার হিসেবে সন্দেহ করাটাই কঠিন হয়।

ফলে যদি কোনও যাত্রী ধরা যাক ট্রেনের ভেতর বুঝতেও পারলেন তার মানিব্যাগ কিংবা মোবাইল ফোনটি খোয়া গেছে, কোলে শিশু নিয়ে থাকা একজন মহিলার ওপর সন্দেহটা কম হবে, এটাই স্বাভাবিক।

নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা আরও বলছে, যদি কোনও মহিলা পকেটমার ট্রেনে ধরাও পড়ে যান – তাকে সচরাচর গণপিটুনির হাত থেকে রেহাই দিয়ে সরাসরি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াটাই রীতি।

কিন্তু পুরুষ পকেটমারদের অনেক সময়ই গণপিটুনির হাতে পড়তে হয়, ধরা পড়লে যাত্রীদের সবাই তাকে দুচার ঘা দিয়ে থাকেন – কাজেই পকেটমারির যে সব সংগঠিত চক্র দিল্লিতে সক্রিয়, তারাও মহিলাদের ব্যবহার করতেই বেশি পছন্দ করে!

- See more at: http://www.priyo.com/2014/12/28/125810.html#sthash.YvGfmYgu.dpuf

বিষয়: বিবিধ

৯৩৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

297768
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০০

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : বাংলাদেশেও ইদানিং পকেটমার, মলম পার্টির অধিকাংশই বোরকাওলী মহিলারা।
297824
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২৬
হতভাগা লিখেছেন : মহিলাদের প্রতি সিমপ্যাথীর এই সুযোগ মহিলারা ভালই কাজে লাগায় ।

সীমান্তে চোরাচালানীতে মহিলারাই এগিয়ে । কারণ পুরুষদের যেরকম তল্লাশী করা যায় মহিলাদের সেরকম পারা যায় না। তাদের গায়ে হাত দিয়ে চেক করলে নতুন কাহিনী ফাঁদা শুরু করে । আর মহিলারা ধরা পড়লেও তাদেরকে পুরুষদের মত কিল ঘুষি মারা হয় না ।

অপরাধ অপরাধই , তা হোক সে পুরুষ বা মহিলা । বিশেষ লিঙ্গের কারণে ছাড় দিলে অপরাধ তাদের মাধ্যমেই বেশী ছড়ায়।
০২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
241865
গেঁও বাংলাদেশী লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
297863
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মহিলাদের গনপিটুনি দেয়া শুরু করা প্রয়োজন!!!
০২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
241866
গেঁও বাংলাদেশী লিখেছেন : নাহ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File