দোহাই লাগে তোরা কেউ প্রেম করিস না আর

লিখেছেন লিখেছেন গেঁও বাংলাদেশী ২৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:২৮:২১ রাত



দোহাই লাগে তোরা কেউ প্রেম করিস না আর,

নষ্ট হবি ভ্রষ্ট হবি আর জ্বলে পুড়ে ছারখার।

খবরঃ

পরিবারকে না জানিয়েই প্রেমিক মহসিনকে বিয়ে করেছিলেন আফসানা আক্তার মিম। কিন্তু কে জানতো বিয়ের পাঁচ মাসও যেতে না যেতেই সেই প্রেমিকের হাতেই জীবন দিতে হবে মিমকে। এ রকম নির্মম ঘটনাই ঘটেছে শনিবার রাতে রাজধানীর শ্যামপুর।

রাতে ঘুমের ঘোরে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় স্ত্রী মিমকে (১৯) হত্যা করে পালিয়েছে ঘাতক মহসিন। পালনের সময় অত্যন্ত শান্তভাবে সবার সামনে দিয়ে সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেও কেউ বুঝতে পারেনি মিমের ভাগ্যে কি ঘটেছে।

শনিবার ভোর রাতে যেকোনো সময় শ্যামপুরের ৯৪৩ নম্বর নতুন আলী বহরে মিমের বাবার বাসায় এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে মিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

পরিবারের লোকজনের দাবি, ভোররাতে হত্যা করে যাতে কেউ বুঝতে না পারে সে জন্য সকাল ১০টা পর্যন্ত লাশ জড়িয়ে ধরে শুয়েছিলেন স্বামী মহসীন। পরে কৌশলে পরিবারের লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় মহসিন।

জানা গেছে, গত ৪/৫ মাস আগে ঝলকাঠিতে দাদা বাড়িতে বেড়াতে যায় মিম। সে খানে পরিচয় হয় প্রতিবেশি মহসীনের সাথে। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক ঘরে উঠে। পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে তারা। তারপর মাজে মধ্যে তাদের ঝগড়া হতো তবে সেটা হত্যাকান্ড ঘটানোর মত কিছু নয় বলে জানিয়েছে পরিবার। তবে পরিবারের লোকজনও বলতে পারছে না কেন এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এমন কী হয়েছিলো যাতে মিমকে হত্যা করতে হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছে না পুলিশ।

নিহতের ছোট বোন ইতি জানান, গত কোরবানীর ঈদে বোন দুলাভাই তাদের সাথে ওই বাসায় ঈদ করে। এরপর বোন আর শ্বশুড় বাড়িতে যায়নি। মহসিন মাজে মধ্য আসতো আবার দুই তিন দিন থেকে চলে যেতো। শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য ঝগড়া হয়। এরপর মহসীন তার এক বোনের বাসায় চলে যায়। পরে তাকে ফোন করে বাসায় ঢেকে আনে মিম। রাত ১০টার দিকে তাদের মিলিয়ে দেয় পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় ওরা দুজন।

ইতি আরো জানান, তার বোনের রুমে ল্যাপটপে গান বাজছিলো উচ্চ শব্দে। তাই তারা কোনো চিৎকার বা মারধরের শব্দ পাননি। সকালে মেজোবোন রেসমা চাল আনতে গিয়ে দেখে মিমের গায়ের উপর পা দিয়ে মিমকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে মহসীন। কাপড় এলোমেলো। তখনন রেসমা মসকরা করিয়ে মহসিনকে বলে, কী ভাইয়া রাগ পানি হয়ে গেছে বুঝি। এ বলে রুম থেকে চলে আসে রেসমা।

এর কিছুক্ষণ পরে মিমের মা দেখেন মহসীন লুঙ্গি পরা অবস্থায় বাসার বাইরে যাচ্ছে পিছনে তার ল্যাপটপের ব্যাগ। জানতে চাইলে মহসীন বলে, নিচ থেকে সিগারেট নিয়ে আসি। এই বলে চলে যায় মহসীন। পরে মিম না জাগলে তাকে ঘুম থেকে উঠাতে গিয়ে দেখে বিছানায় মিমের নিথর দেহ পরে আছে।

কদমতলী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রথমিক আলামতে মনে হচ্ছ তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। নিহতের গলায় দাগ ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

link

বিষয়: বিবিধ

১৫২৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347078
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৫৯
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:১৯
288924
গেঁও বাংলাদেশী লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
347105
২৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:৩৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আবেগের বন্যায় ভেসে যাওয়া অন্যায়৷
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:১৯
288925
গেঁও বাংলাদেশী লিখেছেন : ঠিক
347117
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:০৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : যে লোক হত্যা করেছে,সে প্রেম করে বিয়ে না করলেও এভাবে হত্যা করতে পারত কারন সে স্বভাবজাত অপরাধী।
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:২০
288926
গেঁও বাংলাদেশী লিখেছেন : হুম!!
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:২০
288927
গেঁও বাংলাদেশী লিখেছেন : হুম!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File