আওয়ামী লীগ সরকারের ইসলামবিদ্বেষ

লিখেছেন লিখেছেন জেমস বন্ড ০০৭ ১৫ মে, ২০১৩, ০২:৫৮:২২ দুপুর

মহাজোট সরকার মুখে ইসলামপ্রীতির কথা বললেও একের পর এক ঘটনায় তাদের ইসলামবিদ্বেষই প্রমাণিত হচ্ছে। ।

সরকার জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য শাহবাগি কয়েক নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেফতার করলেও কারাগারে তাদের জামাই আদরে রাখা হয়। লোক দেখানোর জন্য তাদের রিমান্ডেও নেয়া হয়। তবে তাদের ওপর কোনো নির্যাতন চালানো হয়নি। কিছুদিন কারাগারে থাকার পর নিম্ন আদালত থেকেই এদের দুজন রোববার জামিন পেয়েছে।ইসলামপন্থী কারও নিম্ন আদালত থেকে জামিন পাওয়া প্রায় বিরল ঘটনা ।

কথিত গণজাগরণ মঞ্চের আয়োজকদের ইসলামবিদ্বেষের কথা ব্যাপকভাবে প্রচারের পরও মহাজোট সরকার তাদের জামাই আদরে শাহবাগে রাখে। সরকারি উদ্যোগে তাদের জন্য মানসম্মত খাবার, পানীয়, বিনামূল্যে চিকিত্সা ও টয়লেট সুবিধাসহ বিলাসী জীবনের ব্যবস্থা করা হয়। শাহবাগ অবরুদ্ধ করে কয়েক মাস নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শাহবাগি নেতাদের গানম্যান দিয়েও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া হয়।

কুখ্যাত নাস্তিক ব্লগার রাজিব হায়দার ওরফে থাবা বাবা মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘শহীদ’ বলে মন্তব্য করেন।

সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন শাহবাগিদের জন্য পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করা হলেও সরকারের দ্বিমুখীনীতি দেখা যায় ইসলামপন্থীদের ক্ষেত্রে।

রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়ে শাহবাগে কয়েকমাস অবস্থান, মিছিল সমাবেশ, আনন্দফুর্তি করার ব্যবস্থা করলেও ইসলামপন্থীদের ক্ষেত্রে সরকারের রুদ্র মূর্তি ধারণ করে। তাদের বিরুদ্ধে হামলা, মামলা দিয়েই সরকার ক্ষান্ত হয়নি; ৬ মে ভোর রাতে ঘুমন্ত ও ইবাদতরত মুসল্লিদের ওপর চালানো হয় ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা।

অথচ ইসলামের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের কারণে মহাজোট সরকার দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং বরেণ্য সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা করা হয়েছে।

শুধু আমার দেশ নয়, ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিতি দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শাহবাগে তিন মাসেরও বেশি সময় অবস্থান বজায় রাখে কথিত গণজাগরণ মঞ্চ। সেখানে তাদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা খাবার, পানীয় এবং পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। ইসলামবিরোধী শাহবাগিদের সুবিধার্থে দীর্ঘ সময় অত্যন্ত ব্যস্ত শাগবাগ চত্বর অবরুদ্ধ করে রাখে সরকার।

তবে ইসলামপন্থী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ক্ষেত্রে সরকারের এ ‘কমনীয় রূপ’ আর ধরে রাখতে পারেনি। তাদের শাপলা চত্বরের সমাবেশ নিয়ে মহাজোট সরকারের গা জ্বালা শুরু হয়। সমাবেশের আগে নানা ধরনের অপপ্রচার ও পদে পদে বাধার সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হয়নি সরকার। শাপলা চত্বরে মাত্র একটি রাতের অবস্থানকেও সহ্য করতে পারেনি ইসলামবিদ্বেষী মহাজোট সরকার।

৬ মে ভোররাতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ওপর ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা চালিয়েছে মহাজোট। এতে অন্তত ৩ হাজার মুসল্লি নিহত হয়েছেন বলে হেফাজতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক আলেম ও হাফেজও ছিলেন।

বাংলাদেশের সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন শাহবাগি ইমরান ও তার সহযোগীদের সরকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনা তাদের সমাবেশে লোক জড়ো করা হয়েছে। ইমরানকে গানম্যান দিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু এ মহাজোট সরকারই আবার আলেমদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ক্রাকডাউন চালাচ্ছে। শাপলা চত্বরে গণহত্যার পরও সরকারের জিঘাংসা থামেনি। এরপর হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীসহ আলেমদের গ্রেফতার করেছে, রিমান্ডে নিয়েছে। সরকার ১৬টি মামলায় লক্ষাধিক হেফাজতকর্মীকে আসামি করেছে। এদের বেশিরভাগই আলেম।

বিষয়: বিবিধ

১০০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File