স্বাধীনতার ঘোষক কে?

লিখেছেন লিখেছেন Bhabsi ki Hote Pare ২৬ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫০:২৫ সন্ধ্যা



প্রথমে ঘোষণাটি আরেকবার পরে নিই.....

.

.

'' আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।''

এটা সংশোধিত ঘোষনা,জিয়াউর রহমান প্রথমে নিজের নামে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন যেটা বিএনপির আমলে বাজান হয়।

জিয়াউর রহমানের প্রথম ঘোষনার পর তৎকালীন সচেতন মহলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।অনেকেই বিরক্ত হয়ে বলেন Who is he(Major zia)?

পরে জিয়াউর রহমান তার ঘোষনা সংশোধন করে On behalf our great leader Sheikh mujibur Rahman

যুক্ত করেন।

কথিত আছে( উইকিপিডিয়ায় এই শব্দটাই আছে) ২৫ মার্চ রাত ১২ টা অর্থাৎ ২৬ মার্চে গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র দিয়ে যান।

এইখানে কথিত শব্দটি ব্যবহার করার মানে হচ্ছে তথ্যটি নিশ্চিত নয়।আর কথিত শব্দটি আমরা গুজব কোনো খবর প্রকাশ করতে ব্যবহার করি।

তৎকালীন ছাত্র নেতা আ স ম আব্দুর রব তার এক লেখাই বলেছিলেন যে তারা অনেক ছাত্র নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র লিখে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা দিতে রাজি হন নিই।

তবে এটাও ঠিক জিয়াউর রহমান নিজস্ব চিন্তা চেতনা থেকে এই ঘোষনা দেন নি।উপরের নির্দেশ ছাড়া এত বড়ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনো মেজর জেনারেল একা সিদ্ধান্ত নিয়ে করবেন না।

এটা আলাপ আলোচনার ম্যাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বলে আমার ধারনা।

যাহোক যেহেতু ঘোষনা জিয়াউর রহমানের মুখ থেকে হয়েছে সেহেতু জিয়াউর রহমান হল ঘোষক।

আর যে ভয়াল রাতে তিনি ঘোষনা দিয়েছেন তা থেকে তার বীরত্ব প্রকাশ পায়।

আ'লীগ এর কাজ বঙ্গবন্ধু কে তিতা বানানো। তাই ঘোষনা বিতর্কেও বঙ্গবন্ধু কে জড়াল..... Surprised

.

.

.

শেষ করছি প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের সাক্ষাতকারের অংশ বিশেষ দিয়ে,

.

স্বাধীনতার ঘোষক প্রশ্নে হুমায়ূন আহমেদের একটি সাক্ষাত্কারের অংশবিশেষ

(ইমদাদুল হক মিলনঃ স্বাধীনতার ঘোষনার ব্যাপারটা নিয়ে আপনি কি বলবেন ?যেটা নিয়ে এখন বিতর্ক হচ্ছে।

হুমায়ূন আহমেদ: ঘোষণা জিয়াউর রহমানই দিয়েছেন।

ইমদাদুল হক মিলনঃআপনি শুনেছেন ?

হুমায়ূন আহমেদ:হ্যা আমি নিজ কানে শুনেছি।জিয়াউর রহমান প্রথমে নিজে এবং পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন।

ইমদাদুল হক মিলনঃ তাহলে আপনি ঘোষক কাকে বলবেন?

হুমায়ূন আহমেদ:জিয়াউর রহমানকে।)

.

.

.

.

তথ্য সুত্র: উইকিপিডিয়া, পত্রিকার সম্পাদকীয়, টিভি টকশোও, বিশিষ্ট জনের সাক্ষাতকার

বিষয়: বিবিধ

১৬৮৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

198420
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২১
পুস্পিতা লিখেছেন : বাংলাদেশের মানুষ জিয়াকেই ঘোষক হিসেবে জানে। যদিও তা ঘটনাক্রমে হঠাৎ করে হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৪
148455
Bhabsi ki Hote Pare লিখেছেন : Yeah coincidentaly
198441
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১১
মদীনার আলো লিখেছেন : যাহোক যেহেতু ঘোষনা জিয়াউর রহমানের মুখ থেকে হয়েছে সেহেতু জিয়াউর রহমান হল ঘোষক।

আর যে ভয়াল রাতে তিনি ঘোষনা দিয়েছেন তা থেকে তার বীরত্ব প্রকাশ পায়।

আ'লীগ এর কাজ বঙ্গবন্ধু কে তিতা বানানো। তাই ঘোষনা বিতর্কেও বঙ্গবন্ধু কে জড়াল
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৬
148456
Bhabsi ki Hote Pare লিখেছেন : Happy
198498
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:১১
এলিট লিখেছেন : এসব নিয়ে কথা বলা অর্থহীন। আমরা যাই জানি না কেন - দেশের হাইকোর্ট এর নির্দেশ আছে "বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক"। এখন আপনি নিজে কানে যাই শোনেন, নিজের চোখে যাই দেখেন, সেগুলোর কোন মুল্য নেই।
আর একটি কথা- ওই সময় জিয়াউর রহমান ছিলেন সুবেদার মেজর। এটা বেশ ছোট একটি পদবী। দেশের সেনাবাহীনিতে এত বড় হোমড়া চোমড়া থাকতে তার মতন একজন ছোট পদবীর অফিসারকে কেন স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে নির্দেশ দিলেন "উপরের কর্মকর্তারা" - তাও আবার ঢাকা বাদ দিয়ে চট্টগ্রামে !! এসব জানতে ও বুঝতে গেলে বিপদ। চুপ করে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
148460
Bhabsi ki Hote Pare লিখেছেন : আর কত

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File