পরীক্ষা

লিখেছেন লিখেছেন অপ্টিমিস্ট রোকন ০৯ জুন, ২০১৩, ০৯:২৬:০৯ রাত

মাঝে মাঝে এমন হয় খুব সিম্পল কথা মনের মধ্যে খুব আলোড়ন সৃষ্টি করে। কথাটা হয়তো অনেক পুরোনো, হয়তো সবার কাছেই কথাটা অতি পরিচিত, তবু কখনো কখনো ঐ পুরোনো কথাটাই মনের মধ্যে নতুন অর্থ তৈরি করে, নতুনভাবে মনকে আন্দোলিত করে। আজ এক বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রসঙ্গক্রমে বললেন, শিক্ষকরা সাধারণত তার প্রিয়ভাজন ছাত্রদেরকে অন্যদের তুলনায় একটু কঠিন প্রশ্ন করে থাকেন।

এই ছোট ও পুরোনো কথাটা আমার মনে খুব গভীরভাবে দাগ কাটলো। মুহূতেই মনে পড়লো, বছর দশেক আগে আমি যখন সদস্যশীপের জন্য মাসুদ ভাইয়ের কাছে পাঠচক্রে বসে মক ইন্টারভিউ দিতাম, তখন তিনি অন্যদের চাইতে আমাকে একটু বেশি কঠিন প্রশ্ন করতেন। ইন্টারভিউ সেশনগুলো ওপেন ছিল বলে সহজেই বোঝা যেত তিনি কাকে সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞেশ করছেন, কাকে কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞেশ করছেন। আমিও সেভাবেই প্রস্তত থাকতাম যেন শত কঠিন প্রশ্ন করেও তিনি আমাকে আটকাতে না পারেন। বছর পাঁচেক আগে আমি যখন মাসুদ ভাইয়ের চেয়ারে বসে আমার ফেলোদের ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করলাম তখন দেখা গেল আমি নিজের অজান্তেই সেই পুরোনো তত্বটি প্রয়োগ করছি। আমার সবচেয়ে প্রিয়ভাজনদেরকে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেশ করছি।

আজ বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের উপর যে অবস্থা নেমে এসেছে এটা তো এ কারণেই যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার সবচাইতে প্রিয়ভাজন ফেলোদেরকে সবচাইতে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে তাদের যোগ্যতা পরিমাপ করতে চাচ্ছেন। একথাটাই বোধ হয় স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কুরআনে এভাবে বলেছেন, “নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয় ভীতি, ক্ষুধা এবং মাল, জান ও ফল-ফসলের ক্ষতির দ্বারা। আর ধৈর্য অবলম্বনকারীদেরকে সুসংবাদ দাও(২:১৫৫)।” মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয়ভাজন ফেলোরা ইন্টারভিউ সেশনে বসে অন্য ফেলোদের চাইতে কঠিন প্রশ্নপত্র পেয়ে বিষয়টিকে কীভাবে নেয় এটাই এখন দেখার বিষয়।

বিষয়: বিবিধ

৯৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File