নিউ চায়না ১৩

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৬ মার্চ, ২০১৩, ১১:১৬:১১ সকাল



এবার আমি পাহাড়ের নীচে নেমে লেকটির পাশ ধরে হাটতে থাকলাম। এখানে প্রাচীন বাড়ি ঘর রয়েছে। দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত শেনীর মানুষ এখানে থাকে। পুরোনো বাজারের ভেতর দিয়ে চলতে চলতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলাম। খুব ভাল লাগছিল। রাস্তা এভাবে কতদূর গেছে জানিনা। তবে এক স্থানে দেখলাম সরু রাস্তাটি একটু বেশী চওড়া রাস্তায় মিশেছে। এই রাস্তার সৌন্দর্য্য অতি অসাধারন। এর দুপাশে বড় বড় গাছ। গাছের পাতা সবুজ এবং উজ্জল। এ গাছ আমি অনেক স্থানে দেখেছি কিন্তু নাম জানিনা। ম্যাপল গাছের মত কিন্তু এটি ম্যাপল গাছ নয়,তবে পাতার সাথে মিল আছে। আমি এ অংশের আরেকটি সেতু পার হয়ে ওপারে গেলাম। এখানে একটি শহুরে গ্রাম রয়েছে। আমি সেখানে গেলাম। এ রাস্তাটি কিছুক্ষণ পূর্বের পাহাড়ের পাশ ধরে চলে গেছে।

আমি সেদিকে হাটলাম। আমি এখান থেকে পূর্বের সেই ছোটখাট প্রাসাদটিও দেখতে পেলাম। এখান থেকে সেটা ভাল দেখা যায়। আসার পথে দেখলাম এক মহিলা একটি কুয়ার ভেতর থেকে দড়িযুক্ত বালতিতে করে পানি তুলে থালা বাসন পরিষ্কার করছে। আমার মনে হল ছোট বেলায় দেখা কিছু গ্রামে চলে এসেছি। ছোট বেলায় এমন কুয়ার ভেতর মুখ ঢুকিয়ে চিৎকার করে প্রতিধ্বনী শুনতাম। কুয়ার পানি পান করতে ভাল লাগত,তবে মাত্র কয়েকবারই তা পান করেছি। একবারই শুধু কুয়ার পানি তুলে গোসল করেছিলাম। গরমের দিনের সুশীতল সে পানির কথা মনে আছে। আমার এত ভাল লাগল যে,আমি সেই কুয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলাম এবং এটার ছবি ওঠালাম।

হাটতে হাটতে একটা ছোট বাজারের ভেতর দিয়ে যখন যাচ্ছি কিছু চায়নিজ আমার ব্যাপারে উৎস্যুক হয়ে উঠল। একজন উচ্চস্বরে বলে উঠল-হে বন্ধু ! আরেকজন ইশারায় আমাকে পাহাড়ের এ অংশের বগানে ঢুকতে বলল। সেটা অবশ্যই চমৎকার কিন্তু ইতিমধ্যেই আমি অনেকক্ষন হেটে ফেলেছি। আর হাটতে ভাল লাগল না। ভুল বললাম, এরপর আমি আরও এক ঘন্টা ফুরফুরে মেজাজে হেটেছি তবে তা ফুটপাথে এবং শপিং সেন্টারে। যে রাস্তা ধরে এতক্ষণ হাটছিলাম সে রাস্তার প্রবেশ পথে একটা বড় ফটক আছে। তার কারুকাজ দেখে অন্তত ত্রিশ মিনিট পার করা যায়।

হাটতে হাটতে চলে আসলাম একটা শপিং সেন্টারে। ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতে থাকলাম কিন্তু কিছু কিনলাম না।

বিষয়: বিবিধ

১৫৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File