তাবলীগের লোকেরা আমার ভাই !

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৯:৪৪ রাত



---------------------------------------

ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রবেশ করে ইরাকের গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের জামাতা ও সেনাপতি মাত্র ১৬ বছর ১০ মাস বয়সী মুহাম্মদ বিন কাশিমের অভিযানের পরপরই । তৎকালীন সিংহল বা শ্রীলংকা থেকে মুসলিম নারী-শিশুতে ভর্তি দুটি জাহাজ আরবের উদ্দেশ্যে গমনকালে সিন্ধুর দেবাল বন্দরে রাজা দাহীরের সৈনিকদ্বারা লুট হয় এবং নারী-শিশুদেরকে বন্দী,নির্যাতন করা হয়। মুসলিম খলিফার নির্দেশে হাজ্জাজ এই বিষয়টি দেখার নিয়ন্ত্রনপ্রাপ্ত হন। রাজা দাহীর হাজ্জাজের থেকে প্রাপ্ত কৈফিয়ৎমূলক চিঠির ব্যাপারে কর্ণপাত করেনা। এরপর হাজ্জাদের দুই সেনাপতি ওবায়দুল্লাহ ও বুদায়েলের নেতৃত্বে সিন্ধুতে অভিযান পরিচালিত হয়, কিন্তু সেই অভিযান দুটি ব্যর্থ হয়। এরপর সদ্য তারুন্যে পদার্পন করা মুহাম্মদ বিন কাশিমকে এই অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করা হলে তিনি মাত্র ৮০০০ সৈনিক নিয়ে সিন্ধুতে অভিযানে নামেন। এই তরুন ভারতের মাটিতে পা রেখেই তাদের কৃষ্টি,সাংষ্কৃতি,সামাজিক প্রেক্ষাপট বোঝার চেষ্টা করেন। এরপর ইসলামের ব্যাপারে ব্যপক দাওয়াতী কর্মকান্ডও জারি রাখেন অভিযানের পাশাপাশি। তিনি দেবাল বন্দর দখল করেন এবং রাজা দাহিরকে মারাত্মকভাবে পরাজিত করেন।

মুহাম্মদ বিন কাশিম ইসলামের নীতি আদর্শ,সমাজ-রাষ্ট্রের অবস্থা,মানুষের মর্যাদা ভারতীয়দের সামনে তুলে ধরেন। আর হাজার হাজার বছর ধরে চলা নানান সব সামাজিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ দলিত শ্রেনীর মুশরিকরা মুহাম্মদ বিন কাশিমকে গ্রহন করতে থাকেন। তারা তাকে উদ্ধারকারী,ত্রানকর্তা,দেবতা হিসেবে গ্রহন করেন। এমনকি অবস্থা এমন হয়েছিলো যে সনাতনীরা মুহাম্মদ বিন কাশিমের মূর্তী তৈরী করে পূজা শুরু করেন। পরে মুহাম্মদ বিন কাশিম তাদের অনুমতি নিয়ে সেটা ভেঙ্গে ফেলেন। তিনি মাত্র ৮০০০ নৈসিক নিয়ে ভারতে প্রবেশ করার মাত্র দেড় মাসের মাথায় তার সৈনিক সংখা এক লক্ষের বেশী হয়ে যায়। স্থানীয় নির্যাতিতরা তার দলে ব্যপকভাবে যোগদান করে। ভারতের স্থানীয় এক রাজা পর্যন্ত ইসলাম গ্রহন করেন। পরবর্তীতে শত শত তাবেইন,তাবে তাবেইন ও ইসলাম প্রচারকগণ ভারতে প্রবেশ করেছে। এবং এরপর ইসলাম ও মুসলিমরা ভারতে সুঅবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে তাদের নীতি ও আদর্শের কারনে।

এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা দীক্ষার হার তেমন ছিলোনা। আর বাংলার অবস্থা ছিলো আরও করুন। বৃটিশ শাসনের সময় বহু কৌশলে ইসলামকে বিতাড়িত করার চেষ্টা চলে, কারন ইংরেজরা মনে করত-ইসলাম মানুষের মনে অবস্থান করলে এ জাতি অবশ্যই ভয়ানকভাবে জেগে উঠবে। এবং সেটাই হয়েছিলো। মুসলিমরা বারবার ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। কিন্তু তারা সুকৌশলে ইসলামকে মানুষের মন থেকে সরাতে নিজেরা নিজেদের মত করে ইসলামিক ব্যক্তিত্ব তৈরী করে তাদের দ্বারা মানুষকে ভুল শিক্ষা দিয়ে মানসিকভাবে বন্দী করে রাখত। মূর্খরা বিষয়টি অনুধাবন করতে না পেরে মূর্খতার বেড়াজালে আটকে রয়। ইংরেজরা হিন্দু জমিদারদের দ্বারাও নানান সব অত্যাচার করে। সন্তানের মুসলিম নাম রাখা,আকিকা দেওয়া,খৎনা করানো,কুরবানী করা,ঈদ পালন,দাড়ি রাখা,মসজিদ বানানো এসবের কারনে মোটা অংকের ট্যাক্স ধার্য্য করা হয়।

এভাবে চলছিলো। এক সময় বাংলা এলাকার বা ভারতের পূশ্চিম অংশে, মুসলিমদের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ হয়ে ওঠে। তারা দ্বীনের সাধারণ বিষয়গুলোও জানা থেকে বঞ্চিত হয়। সে সময়ে হাজী শরিয়তুল্লাহর নেতৃত্বে ফরায়েজী আন্দোলন হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ইসলামে যেসব ফরজ বিষয় রয়েছে তা মুসলিমদেরকে শেখানো। একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে মাওলানা ইলিয়াস(রহঃ) এর জন্ম হয়(১৮৮৫-১৯৪৪)

সেই অশিক্ষিত মুসলিমদের জন্যে সাধারণ নামাজ রোজা শেখানোটাই প্রধান কর্তব্য হয়ে দাড়ায়, কারন তারা ছিলো ইসলাম থেকে অনেক দূরে। আর সেটা প্রয়োজন ছিলো। তাবলীগ জামাতের দ্বারা সাধারণ সেসব মুসলিমদের সাধারণভাবে ইসলাম শেখানো ছিলো সময়ের দাবী। কিন্তু বহু পরে এসে তারা এমন কিছু রসম রেওয়াজ চালু করে ফেলে যা বিদাতে রুপান্তরিত হয়। পূর্বের সেই সময়ের আমূল পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের সেই পূর্বনীতি থেকে সরে আসেনি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের অনেক স্থানে তাবলীগ তাদের দাওয়াহর স্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে পেরেছে কিন্তু বাংলার অবস্থা মোটামুটি সেই পূর্বের মতই।

ইসলামকে এরা পরিপূর্ণভাবে বুঝে পরিপূর্ণভাবে সমাজে রাষ্ট্রে প্রচার করেনি। এরা ইসলামের অল্প কিছু বিষয় মানুষের ভেতর প্রচার করে , কখনও হাস্যকরভাবে দ্বীন প্রচার করে অন্যের বিরক্তি সৃষ্টি করে সওয়াব আশা করে। অন্যের অবস্থা অনুধাবন না করেই জোর জবরদস্তীমূলকভাবে মুখস্ত বুলি আউড়ে অন্যকে তার স্তরে নামিয়ে এনে ইসলাম শিক্ষা দেয়। নিজেদের গুরুজনদের লেখা অল্প কিছু সংখ্যক কিতাবের জ্ঞানকেই যথেষ্ট মনে করে সেটার উপর অটল থাকে। গুরুজনদের ভালো মন্দ বিচারকে দোষনীয় মনে করে। কুরআন সুন্নাহর মূল কিতাবের চেয়ে সে সম্পর্কে প্রদান করা মুরব্বীদের বক্তব্যকে(কখনও মনগড়া বাণী) অগ্রাধীকার প্রদান করে ও সেটাকেই একমাত্র সত্য বিবেচনায় প্রচার করে। তাদের বেশীরভাগ লোকই নিজেদের নির্ধারিত কিতাবের বাইরে জ্ঞান আহরণ করাকে ভালোভাবে গ্রহন করেনা।

তবে সমাজের বিষয়ে তাদের অনেক খেদমত রয়েছে। তাদের প্রচারনায় সমাজের বহু লোক ইসলামমুখী হয়েছে। অনেক দুশ্চরিত্রবান মানুষ চরিত্রবান হয়েছে। অনেক খারাপ মানুষ ভালো হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত আচরণ অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষনীয়। কিন্তু ইসলামকে সার্বিবকভাবে গ্রহন না করাতে তারা ও তাদের প্ররোচনায় আসা মুসলিমদের অবস্থা হয়েছে বাপুরাম সাপুড়ের সাপের মত, যে সাপের চোখ,নাক,কান,জিহবা কিচ্ছু নেই। সে সাপ করেনাকো ফোসফাস,মারেনাকো ঢুসঢাস,নেই কোনো উৎপাত,খায় শুধু দুধভাত।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ্য করেছি, সেই বাপুরামের সাপ ফোঁসফাঁস নয় রীতিমত ঢুসঢাসও দেওয়া শুরু করেছে। এ এ ভূখন্ডে শান্তিপ্রীয় ,ভালো মানুষের মোটামুটি ভালো সংজ্ঞা হল এরকম,যারা কারো সাথে পাচে থাকেনা,কারো ক্ষতি করেনা,দুনিয়া বিমুখ,দশ কথায় রা নেই,সৎ কাজে আদেশ-অসৎ কাজে নিষেধ নেই এমন ধরনের চরিত্র। তাবলীগ জামাতের মানুষেরা মোটামুটি এরকম চরিত্রই ধারন করে সকলের নিকট শান্তিপ্রিয়তার নিদর্শন রেখেছে। সামাজিক সকল অনাচারকে পাশ কাটিয়ে(দেখেও না দেখার ভান করে), নিজেকে জিকির আসগারে ব্যস্ত রাখার নামই তাবলীগ জামাত। এটাই শান্তি যে তারা কারো ক্ষতি করছে না, পারলে কিছু উপকার করে, মানুষকে নামাজী বানায়। তাদের সমালোচনা করলেও আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদেরকে পছন্দ করি। তাদের মত কিছু গ্রুপেরও সমাজে প্রয়োজন রয়েছে এবং তাদের খেদমত অসাধারণ। তাদের কিছু পরিবর্তন হলে অনেক ভালো হত কিন্তু এখনও যা রয়েছে তাতেও কিছু সেবা হয়। তবে সম্প্রতি তারা যেন আড়মোড় ভেঙ্গে জেগে উঠেছে বা উঠানো হয়েছে। তাদের ভেতর কিছু সংখ্যক লোকের অনুপ্রবেশের কারনে তারা অশান্ত হয়ে উঠে নিজেদের ভেতর ভাগাভাগি,কোন্দলে লিপ্ত হয়,যেটা পূর্বে দেখা যায়নি।

এটার মূল কারন এই যে, কিয়ামতের আগে কেউ কিৎনা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে না। আল্লাহ সমস্ত পরিস্তিতিকে এমনভাবে বদলে দিয়ে পরিক্ষা করবেন। মানুষেরা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়বে। এই পরিক্ষায় তারাই টিকে থাকবে যারা ধৈর্য্যশীল,যারা আল্লাহর উপর নির্ভর করে, যারা তাদের হাত ও জিহবার নিয়ন্ত্রন করে, যারা সঠিক মনে হওয়া সত্ত্বেও বিতর্ক /কুতর্ক এড়িয়ে চলে, যারা কুরআন ও সুন্নাহকে শক্তভাবে আকড়ে ধরে।

কয়েকদিন পূর্বে নিরিহ তাবলীগের দুটি গ্রুপে ব্যপক সংঘর্ষ হয়েছে। নিজেরা নিজেরা আহত হয়েছে। উভয়েই জিহাদের জোশে এই পারষ্পরিক মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে। এটাকে কেন্দ্র করে কিছু মুসলিম হাততালি দিয়েছে, যেন ওরা মারামারি করে মরছে সেটা খুবই উপভোগ্য বিষয়। আমাদের প্রধান সমস্যা হল, আমরা নিজেদেরকে মুসলিম উম্মাহ মনে না করে, নির্দিষ্ট দলের লোক মনে করি এবং সেটাকে একমাত্র সঠিক মনে করি। দলের উৎপত্তি ইসলামকে এগিয়ে নেওয়া বা প্রতিষ্ঠিত করার স্বার্থে। কাজের সুবিধার্তে দলের উৎপত্তি। কিন্তু আমরা দলাদলি করে ইসলামকে ভাগাভাগি করে নিয়েছি এবং আমাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট। ফলে এসব দৃশ্য আমাদের ভেতর দু:খের অনুভূতীর বদলে মজার অনুভূতী,কৌতুককর অনুভূতীর জন্ম দেয়। আমরা ওদেরকে নিজেদের ভাই ভাবতে পারিনা। ওদের সমস্যা যে আমাদেরই সমস্যা,সমাজেরই সমস্যা সেটা অনুধাবন করিনা।

যাইহোক সময় এসেছে অনুধাবনের। আজকের তাবলীগের ভেতর গ্রুপিং,হামলা বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থার বহি:প্রকাশ। তারা যদি নিজেদেরকে কুরআন সুন্নাহর আলোয় আলোকিত করে সমাজ পরিবর্তনে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে পারে তবেই স্বার্থকতা। নইলে মুসলিমরা হাস্যকরভাবে নিজের ভায়ের উপর আক্রমন করে সেটাকে জিহাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেই যাবে। এবং এভাবে নিজেরা ধ্বংস হবে।

আবূ রাবী আল আতাকী ও কুতায়বা ইবনুূু সাঈদ (রহঃ) সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ সমন্ত পৃথিবীকে ভাজ করে আমার সামনে রেখে দিয়েছেন। অতঃপর আমি এর পূর্ব দিগন্ত হতে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত দেখে নিয়েছি। পৃথিবীর যে পরিমাণ অংশ গুটিয়ে আমার সম্মুখে রাখা হয়েছিল সে পর্যন্ত আমার উম্মাতের রাজত্ব পৌছবে। আমাকে লাল ও সাদা দু-টি ধনাগার দেয়া হয়েছে। আমি আমার উম্মাতের জন্য আমার প্রতিপালকের নিকট এ দুআ করেছি, যেন তিনি তাদেরকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করেন এবং যেন তিনি তাদের উপর নিজেদের ব্যতীত এমন কোন শক্রকে চাপিয়ে না দেন যারা তাদের দলকে ভেঙ্গে টুক্বরা টুকরা করে দিবে। এ কথা শুনে আমার প্রতিপালক বললেন, হে মুহাম্মদ! আমি যা সিদ্ধান্ত করি তা কখনো প্রতিহত হয় না। আমি তোমার দুআ কবুল করেছি। আমি তোমার উম্মাতকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস করবো না এবং তাদের উপর তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য এমন কোন শক্রকে চাপিয়ে দেবো না, যারা তাদের সমষ্টিকে বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম হবে, যদিও বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোক সমবেত হয়ে চেষ্টা করুক না কেন। তবে মুসলমানগণ পরস্পর একে অপরকে ধ্বংস করবে এবং একে অপরকে বন্দী করবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম

অধ্যায়ঃ ৫৪/ ফিতনা সমূহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী

হাদিস নাম্বারঃ ৬৯৯৪]

আবূ বাকরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন; আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি,যখন দু’জন মুসলিম তরবারি নিয়ে পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তির অবস্থান হবে জাহান্নাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! হত্যাকারীর ব্যাপারটা তো বোধগম্য ছিল। কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপার সে কেমন? তিনি (ﷺ) বললেন, সেও তার বিরোধীকে হত্যা করতে উদগ্রীব ছিল।

(সহীহুল বুখারী: ৬৮৭৫, ৭১৪৫, সহিহ মুসলিম: ৭১৪৪)

মহান আল্লাহ আমাদেরকে বোধশক্তি দান করুন ! আমাদেরকে ক্ষমা করুন ! আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ উম্মাহ হওয়ার তাওফিক দান করুন ! যে উদ্দেশ্যে ইসলাম এই ভারতীয় সমাজে প্রবেশ করেছিলো সাহাবী,তাবেইন,তাবে তাবেইনদের দ্বারা বা নেককার মুমিনদের দ্বারা ,,সেই উদ্দেশ্য অনুধাাবন এবং আমাদের আচরনের মাধ্যমে যেন সেটার বাস্তবায়ন হতে পারে ! আমরা যেন পরষ্পর সংঘর্ষে নিজেদেরকে ধ্বংস না করি ! উম্মাহ একটি দেহের মত, এর কোথাও আঘাত লাগলে সারা দেহে যেন আমরা ব্যথা অনুভব করি !

বিষয়: বিবিধ

৭১৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386216
০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ দুপুর ০২:৪৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি খুবই ভালো লাগলো
১০ জানুয়ারি ২০১৯ সন্ধ্যা ০৭:২৮
318198
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File