সামার ভ্যাকেশন ২০১৭

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৩ জুলাই, ২০১৭, ০৮:৪০:৫০ সকাল

দেশে যাব এমন প্লান আসলেই ছিলোনা। প্রায় ৩ মাস পূর্বেই নিয়ৎ করেছিলাম যে এবার ঈদ করব লাসভেগাসে। নেভাডা অঙ্গরাজ্যের লাসভেগাস সারা বিশ্বের কাছে ব্যপক পরিচিত এর নানান ফান ফুর্তির কারনে। এখানে যতগুলো ৩,৪,৫ স্টার হোটেল আছে ততগুলো ক্যাসিনো রয়েছে। হোটেলের সাথে ছাড়াও আলাদা কেসিনো ও নানান ধরনের হারামে জর্জরিত ফুর্তির বন্দোবস্ত রয়েছে। লাসভেগাস শব্দটা কানে ঢুকলেই মানুষ এসব বিষয়ই মনে করে কিন্তু বেশীরভাগ মানুষের যেটা জানা নেই তা হল এই যে- এই লাসভেগাসেই অত্যন্ত সুন্দর মুসলিম কমিউনিটি রয়েছে। লাসভেগাসে সুন্দর সুন্দর অনেক সমজিদ রয়েছে এবং আমেরিকার অন্য এলাকাগুলোর চাইতে অমুসলিমদের ইসলামে প্রবেশের হার এখানে বেশী। আমি এই সৌন্দর্যটাকে তুলে আনার জন্যেই খানিকটা উদগ্রীব ছিলাম। তবে লাসভেগাসে আসলেই ক্যাসিনো ছাড়া আরও দারুনসব জিনিস দেখার আছে। আমি নেভাডা,ইউটা,এরিজোনা,নিউমেক্সিকো,ক্যালিফোর্নিয়া প্রভৃতি অঙ্গরাজ্যের দুনিয়া সেরা চমকপ্রদ বিষয়গুলো ভ্রমনের জন্যে হোটেল ও ট্যুর বুকিং সম্পন্ন করেছিলাম। সবকিছুই রেডি ছিলো।

রমজানের শেষ দিকে ওরেগন ইউনিভার্সিটির পরিচিত দেশী প্রফেসরের সাথে দেখা হল মসজিদে। উনি আমাকে ঈদে দাওয়াত করে জানলেন যে আমার ঈদ হবে লাসভেগাসে। তখন উনি বললেন, তুমি বরং দেশে যাও। পরিবারের সাথে ঈদ করো সেটাই ভালো। তোমার মা খুশী হবে। তখন আমার মনে পড়লো-মা বলেছিলো আমার দেশে আসার পরিকল্পনা আছে কিনা। তার কথার জবাবে বলেছিলাম - পরিকল্পনা আছে কিন্তু পাসপোর্টটা হাতে পাইনি এখনও। প্রফেসর সাহেবকে বিষয়টা বলতেই উনি বললেন-তুমি "নো ভিসা রিকোয়ার্ড" স্টিকার ছাড়াই দেশে যেতে পারো। তোমাকে অন এরাইভ্যাল ভিসা দিবে ১ মাসের। আমি লাফিয়ে উঠলাম এই কারনে যে আমার অন্তর চাচ্ছিলো দেশে যাই। এই ভ্রমনে যত মজাই থাকুক না কেন দেশে গিয়ে স্বজনের সাথে থাকার সাথে তুলনীয় নয় আর আল্লাহর কসম ! দেশের কথা মাথায় আসার সাথে সাথে নানান সব খাবার,তরিতরকারী,মাছ ইত্যাদীর চিত্র ভেসে উঠলো। আর এই চিত্রগুলো সহ্য করা সম্ভব ছিলোনা। আমার কেবলই মনে হচ্ছিলো - মানুষ নানানসব পরিকল্পনা করে কিন্তু কেবল আল্লাহর পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হয়। আল্লাহর এই পরিকল্পনাতে মারাত্মক খুশী হলাম। আর সেদিনই বাসায় ফিরে নতুন পরিকল্পনা ঝালাই করতে থাকলাম। পরের দিন সন্ধ্যায়ই ডাকযোগে আমার পাসপোর্ট চলে আসল। তখন বুঝলাম আল্লাহ কবুল করেছেন, এখন আভ্যন্তরিন ভ্রমনের মুখে লাথি মারতে হবে। সেই সন্ধ্যায়ই সকল বুকিং ক্যানসেল করলাম,যদিও কিছুটা আর্থিক ক্ষতিও হয়েছিলো।

পূর্বে ছুটি নিয়েছিলাম ১৭ দিনের। পরের দিন এ সংক্রান্ত ম্যানেজারের সাথে কথা বললাম। কেসী নামক এই ম্যানেজার একদম গুড়। এই লোক জীবনেও কোনো ব্যাপারে আমার সাথে দ্বিমত করেনি। এত ভালো লোকের সাথে কাজ করতে পেরে আমি ধন্য। একটু চুপচাপ স্বভাবের কেসীকে বললাম-আমি আমার প্লান পরিবর্তন করেছি, দেশে যাব,পরিবারের সাথে সময় কাটাবো,আমার ১ মাসের ছুটি দরকার। আমি জানতাম মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ছুটি পাওয়া অনেক কষ্টের ,কারন সকলেই এ সময়ে ভ্যাকেশন চায়। কিন্তু চুপচাপ স্বভাবের কেসী বলল- আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি নতুন একটা আবেদন করো আর এটা অলরেডী মঞ্জুর করে দিলাম। মনে আছে কেসী তার লাঞ্চের ৫ মিনিট সময় আমাকে দিয়েছিলো এবং নিজ হাতে নতুন শিডিউল তৈরী করল এবং কিছুক্ষনের ভেতর সকল অফিসিয়াল কাজ শেষ করে হাসিমুখে শুভকামনা করল। ব্যপক খুশী হলাম। আর একটা নিয়ত করলাম।

নিয়তটা বলেই ফেলি- পরের দিন কেসীকে ভেড়ার আস্ত একটা পা খাওয়ালাম পোলাউয়ের সাথে। এটা অন্তত সে আশা করেনি কিন্তু আমি সাধারনত সহকর্মীদেরকে খাওয়াই। বিষয়টা স্বাভাবিক,,,,,,,মোটেও ঘুষ নয় Happy

হাতে সময় তেমন নেই, ঈদ মাত্র ৭/৮ দিন পর। প্লেনের টিকেট আমি সবসময় সস্তাটাই কাটি। কিন্তু এত অল্প সময়ের ব্যবধানে টিকেট কাটলে বেশী দামে কিনতে হয়। বেশী দামই দিতে হল। তাতেও খুশী। ছিটা রুটি,দেশী মুরগী,ইলিশ মাছ,শিং,কৈ,মাগুর,,,,,এসবের চাইতে টিকেটের দাম নস্যি। ওদিকে টুকটাক শপিংয়ে যেতে থাকলাম। স্যুটকেস গোছালাম। পুরো প্রস্তুত হয়ে গেলাম ভ্রমনের জন্যে।

চায়না ইস্টার্ণ এয়ার লাইন্সের প্লেনে না ওঠাই ভালো। এরা চাইনিজ সাইজের ইকোনমী ক্লাশ সিট তৈরী করে। আর যে খাবার সরবরাহ করে তা চায়নিজরা ছাড়া অন্যরা তেমন পছন্দ করবে বলে মনে হয়না। আর বাঙ্গালীরা তো জীবন বাঁচাতে খাবে। মাছ খেলাম,কিন্তু তার যে কি বাহারী স্বাদ ! আরও যা খেলাম তা স্রেফ ভেতরে চালান করেছি। ইতিহাদ,আমিরাতস,টার্কিস এয়ার লাইন্স,সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স,থাই এয়ার লাইন্স যেসব খাবার সরবরাহ করে তা সাউথ এশিয়ানদের খাবারের স্বাদের সাথে বেশ খানিকটা মিলে। কিন্তু চায়না কাছের দেশ হওয়া সত্বেও এদের সাথে কিচ্ছু মিলেনা। তবে এতে তাদের তেমন সমস্যা হয়না। অধিকাংশ চায়নিজ এদের সেবা গ্রহন করে থাকে। আর টিকেটের দামটাও এরা খানিকটা কম রাখে, সেটাই মূলত: সেবা গ্রহনের মূল কারণ।

এরা অনেক চালাক লোক। পোর্টল্যান্ড থেকে লস এঞ্জেলেসে এসে ৬ঘন্টা থামলাম। এরপর প্লেন এমন একটা রুট দিয়ে চায়নায় প্রবেশ করল যা সচরাচর এয়ার লাইন্স করেনা। এরা দুনিয়ার আরেক পাশ দিয়ে সাইবেরিয়ার কাছ দিয়ে,প্রশান্ত মহাসাগরের একটা কিনার বরাবর উপর দিয়ে বক্র রেখায় উড়ল এবং ১৪ ঘন্টার কিছু কম সময়ে চায়নার ক্যান্টন বা গুয়াঞ্জোতে অবতরন করল। চায়নার এই ক্যান্টন এক ঐতিহাসিক স্থান। একেবারে রসূল(সাঃ)এর ওফাতের অব্যবহিত পরেই এখানে সাহাবায়েকেরামগণ ইসলামের দাওয়াহ নিয়ে আসেন। সে সময়কার মসজিদও আছে এখানে। কয়েকজন প্রখ্যাত সাহাবীর কবরও আছে এখানে। যদি ভুল না বলে থাকি,সম্ভবত: সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের(রাঃ) কবর আছে এখানে।(সংশোধনী প্রযোজ্য)

ক্যান্টনে প্লেন থেকে নেমে একটি বাসে করে যখন এয়াপোর্টের ভেতর যাচ্ছিলাম, তখন বাসের ভেতর মানুষের প্রবল ভীড় ছিলো। আমি প্লেনে একটি জিনিসই পছন্দ করেছিলাম, তা হল টমেটো জুস। খুব দারুন স্বাদের। এই জিনিস অন্তত ৫/৬ কাপ খেয়েছিলাম। তবে একই সাথে নানান খাবার, বিশেষ করে দৈ খাওয়া ঠিক হয়নি। এয়াপোর্টের বিশাল সাইজের বাসের ভেতর দাড়ানোর পরপরই পেটে এসিডিটি হল। মুখ দিয়ে পানি আসতে থাকল কিন্তু গিলে ফেললাম। মাথা ঝিমঝিম করছিলো। এয়ারপোর্টের গেটে আসলে চরম অস্বস্তি শুরু হল। এরপর পাশে থাকা এক ডাস্টবিনে প্রবল শক্তি নিয়ে বমি করলাম। প্রচন্ড পাম্প করতে থাকল পেট এবং পেটের পেশীতে খুব টান পড়ল। একসময় পেটে কিছুই ছিলোনা কিন্তু তারপরও ওয়াক ওয়াক করতে থাকলাম। এক সময় শান্ত হলাম এবং ভেতরে গিয়ে বসলাম। বমি একবার হলে বারবার হয়। তবে ভেতর থেকে সবকিছু বেরিয়ে গেলে কষ্টের ভেতরও একটা শান্তি লাগে।

এখানে আমি বেশ কয়েক ঘন্টা ছিলাম। প্লেনে কিছুই খাইনি। ফ্লাইট এটেনডেন্টদের বললাম আমার সমস্যা হচ্ছে, কোনো মেডিসিন আছে ? অনেক এয়ারলাইন্সে সাধারন কিছু ওষুধ থাকে , বিশেষ করে নসা বা ভ্রমনে মাথা ঘোরা,বমি আসা সংক্রান্ত অসুস্থ্যতার ওষুধ। কিন্তু ভদ্র মহিলা অন্তত ১০টা বমির প্যাকেট আর টিস্যু পেপার এনে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, এটাই আছে। তার আচরণ দেখেই বমি বমি ভাব শুরু হল। কারন এই সিকনেসটার প্রায় সবটাই মানুষিক। কান ও চোখ মস্তিষ্কে ক্রমাগত ভুল সিগন্যাল পাঠায় এই সিকনেসে আর পাকস্থলীতে বিষক্রিয়া শুরু হয় এর প্রভাবে, এরপর পাকস্থলী পাম্প করতে থাকে। এর ভেতর ব্যক্তি যদি মনে করে তার বমি করা ছাড়া আর উপায় নেই, তখন কেবল বসিই হতে থাকে। কারন মস্তিষ্কে বমির সিগন্যাল একেবারে পাকাপোক্তভাবে পৌঁছে যায়। কি আর করা , ভদ্র মহিলার ব্যাগেই ঝাড়লাম। তবে পানি ছাড়া আর কিছুই খাইনি, পানিই বের হল, তবে অনেক কষ্টে। পাকস্থলির মহা সংকোচনের কারনে ব্যপক কষ্ট হতে থাকল। তবে প্রথম দিকে খেয়াল করেছি বমির সাথে কেবল টমেটো সস বের হচ্ছে। একেবারে তাজা টমেটো সস। এর মানে হল এত ঘন্টা পরও কোনো কারনে তা হযম হয়নি। এরপর সাড়ে তিন ঘন্টার কষ্টকর ভ্রমনের পর ঢাকায় পৌঁছাই।

ঢাকায় নেমেই প্রবল বিশৃঙ্খলাপূর্ণ এক পরিবেশ লক্ষ্য করি। চরম অরূচীকর ও বিরস মুখের অফিসার,পুলিশের দায়িত্ব পালনের কসরত চোখে পড়ে। দেখলাম কারো কাছে কেউ কিছু জানতে চাইলে বিরক্ত হয়ে উত্তর প্রদান করে আর প্রথমে পোষাকের দিকে তাকায়। যদি মনে করে যে, এই লোকটি শিক্ষিত,ভদ্র,প্রভাবশালী তাহলে ব্যবহার একরকম, নইলে মুখ চুন। আমার পোষাক আশাকে তাদের মানুষিকতায় মিস্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করলাম, খারাপ না। তেমন কথা-বার্তা ছাড়াই ১ মাসের অন এরাইভাল ভিসা দিল ৫১ ডলারের বিনিময়ে। এরপর লাগেজ বেল্টে গিয়ে দেখলাম আমার লাগেজ আসেনি, সর্বনাশ ! আমার সাথের ব্যাগে জামা-কাপুড় নেই। ওদিকে স্যুটকেসে তালা মারতেও মনে ছিলোনা। ওর ভেতর বেশ মূল্যবান সামগ্রী ছিলো। এয়ারপোর্টে লাগেজ চোর আছে শুনেছিলাম। বেশ উৎকন্ঠিত হলাম, কিন্তু কিছু করার ছিলোনা। এয়ারপোর্টের লাগেজ বেল্টের কাছেই লস্ট এন্ড ফাউন্ড ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেন। উক্ত এয়ার লাইন্সের লোকের কাছে অভিযোগ করলাম। তারা ভুলে আমার লাগেজটি পাঠায়নি। খেয়াল করলাম এমন অভিযোগ আরও বহু জন নিয়ে এসেছে। এখানে প্রচুর লাগেজ দেখলাম যা দেরীতে পৌঁছেছে। অনেক লোক বহু দূরের গ্রামের বাড়ি যাবে লাগেজ ছাড়া। এরা অবলীলায় বলে দিচ্ছে আপনি কালকে এসে লাগেজ নিয়ে যাবেন। একবারও ভাবছে না, এত দূর থেকে কিভাবে আগামী কাল আবার আসবে ! এদের কথার ভেতর দু:খ প্রকাশের কোনো ভাব পরিলক্ষিত হলনা। মনে হল এটা এদের কাছে ব্যাপারই না। অথচ একজন মুসাফিরের কাছে তার ব্যাগটি অনেক মূল্যবান, তা সেটা যত সস্তা জিনিসেই ভরপুর থাকুক না কেন।

আমি এক ঘন্টা খরচ করে অভিযোগ করলাম এবং আমাকে নানান তথ্যে ভরপুর একটি রিসিপ্ট দিল, যা দেখালে লাগেজটি ফেরত পাব। আমাকে পরবর্তী দিন দুপুর ১২ টায় আসতে বলল। সময়ের পরিবর্তনের কারনে রাতে একদমই ঘুম হলনা। বনানীর বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত একটার বেশী বেজে গেল। পরদিন দুপুরে এয়াপোর্টে এসে শুনলাম এটা রাত ১২ টায় আসবে। গেলাম রাত ১২টার পরে। এবার বলল, আগামী কাল রাত ১২টায় আসবে। অনেকভাবে বললাম যে, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যেতে হবে। আগামী কাল ২৬শে জুন,২০১৭ ঈদ । যদি লাগেজ যথসময়ে না পাই তাহলে এটা দিয়ে আমার তেমন হয়ত প্রয়োজন হবেনা। কারন ঈদে সকল ভাইবোন, কিছু আত্মীয় একসাথে হব। তিনি বললেন, আগামী কাল যেহেতু ডমেস্টিকে ফ্লাই করছেন, তাহলে একটু আগে আসুন, যাতে লাগেজটা নিয়ে যেতে পারেন। আশায় বুক বেধে ডমেস্টিক এয়ার লাইন্সের ভেতর দিয়ে ইন্টারন্যাশনালে প্রবেশ করলাম কিন্তু জানালো এটা আসেনি। তবে সকালেই এক বন্ধুকে অথোরাইজ করলাম লাগেজটি রিসিভ করার জন্যে। নির্দিষ্ট রিসিপ্ট,পাসপোর্টের কপি,অথোরাইজ লেটার এক করে দারোয়ানের কাছে রেখে এসেছিলাম। কারন মনে হচ্ছিলো এরা একই কথা বলবে। এরা আমাকে অনেক নাস্তানাবুদ করেছে কিন্তু এরা একবারও ঘটনার জন্যে দু:খ প্রকাশ করল না। রাগে ক্ষোভে এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার কোনো রকম বাজে খরচের সময় নেই। বড়বোন আর ছোটবোনের সাথে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

আজ ঈদের দিন। ডমেস্টিক এয়ারলাইন্সও বাটপারী করে ঈদের সময়। ঈদের আগে যে টিকেট ৭/৮ হাজারে বিক্রী হল, সেটা ঈদের দিন ৩৯০০ টাকায় বিক্রী হল। তারপরও ঈদের আগে কোনো টিকেট পাওয়া গেলনা। আবার ঈদের কয়েকদিন পর পর্যন্ত টিকেটের দাম প্রায় ডাবল। এসব নিয়ে কেউ কথা বলেনা বা বলে পাত্তা পায়না। যশোরে সকাল ৯টায় নেমে আসার পথে দেখলাম লোকেরা ঈদের নামাজ পড়ছে। কিছু করার নেই রে পাগলা........

বিষয়: বিবিধ

৭৮৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383617
২৩ জুলাই ২০১৭ দুপুর ০২:৩৯
হতভাগা লিখেছেন : ঈদের দাওয়াত খাবার আগেই চায়না টমেটো জুস ?

ঈদে কেমন খেলেন বা খাওয়ালেন ?

অভ্যন্ত্রীন বিমানের টিকিট নাকি শেয়ার বাজারের মত লাফালাফি করে। যত আর্জেন্ট টাকা তত বেশী ।

এবারের ঈদে বাংলাদেশের ৫ লাখ মানুষ গেছে ভারত / থাইল্যান্ডে । আর আপনি কি না .....?

ওরস্যালাইন খাচ্ছেন তো ?
২৩ জুলাই ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
316640
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হেহেহেহে....ঈদ ভালই কেটেছে। খাইছি সুপার। ঈদ দেশেছাড়া জমেনা রে ভাই
383618
২৩ জুলাই ২০১৭ দুপুর ০৩:২৪
পললব লিখেছেন : কাঁঠালের ইঁচর কি খাওয়া হয়েছে??????? বাঙালি জাতি কখনো দুঃখ প্রকাশ করতে জানে না জানে দাম্ভিকতা। ধন্যবাদ।
২৩ জুলাই ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
316641
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কথা ঠিক বলেছেন। পাকা কাঠাল ছিলো কিন্তু খাইনি। তবে আম খেয়েছি অনেক Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File