যেভাবে আমার চারপাশটা বদলে গেল

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৬ মার্চ, ২০১৬, ১১:১৬:৪৬ সকাল



আমেরিকাতে প্রথম এসে যে সমস্যায় পড়েছিলাম তা হল ভাষাগত জটিলতা। আমার শেখা ইংরেজী আর এদের ইংরেজী তেমন মেলেনা। যদিও ইউরোপিয়ান,আমেরিকানদের সাথে অনেক বছরের কর্মগত সম্পর্ক ছিলো তারপরও এখানে এসে মনে হল প্রায় পুরোটাই আলাদা। আসল ব্যাপার হল উচ্চারনগত ব্যাপার ও সাংষ্কৃতি। একটি ভাষা মানে শুধু কিছু শব্দ মুখস্ত করা ও গ্রামার জানা নয়। এটি হল সাষ্কৃতি প্রকাশের মাধ্যম। তাই ভাষা শেখার সর্বশ্রেষ্ঠ পদ্ধতি হল বাস্তবে মেশা,সাংষ্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়া। দূর থেকে ভাষা শেখা কখনই পূর্ণতা পায়না। কারন তাতে ভাষার মূল ভাবটা ধরা পড়েনা।

আমি প্রতিদিনই শিখি। অভিধানে নেই এমন হাজারও শব্দ এরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক ভাষাগত পরিবর্তনও রয়েছে। সুক্ষ্ণভাবে খেয়াল করেছি ভাষা ব্যবহারে ব্রিটিশদের বিরোধীতা করা হয়েছে নানানভাবে। ব্রিটিশ বায়ে গেলে এরা যাবে ডানে। খুটিনাটি নানান শব্দ যা ব্রিটিশরা ব্যবহার করে,আমেরিকানরা তার উল্টোটা ব্যবহার করে,দুটোই ইংরেজী শব্দ কিন্তু ব্যবহারের ক্ষেত্র ভিন্ন।

একটি জাতি যখন নিজেদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করে ভাবে ও নিজেদেরকে অনেক বেশী মর্যাদাসম্পন্ন মনে করে,তখন সে জাতির লোকেরা চিন্তা,আদর্শে অন্যদের থেকে পার্থক্য করতে চেষ্টা করে। প্রত্যেকটি বিষয়ে নিজেদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জোর প্রচেষ্টা থাকে। নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করে। এটা আমি ব্যবহারিক জীবনে সুক্ষ্ণভাবে খেয়াল করেছি। সাথে সাথে আমার কিছু হাদীস মাথায় এসেছে-তা হল রসূল(সাঃ)অন্য জাতির থেকে চাল-চলনে নিজেদেরকে পার্থক্য করতে আদেশ করতেন। কথা বার্তা,ওঠা বসা,চাল-চলন,পোষাক,স্টাইল,নীতি আদর্শ সকল ক্ষেত্রে মুসলিমদেরকে আলাদা মর্যাদা সম্পন্ন একটি জাতি হিসেবে উপস্থাপন করতে রসূল(সাঃ) আদেশ করতেন। এর কিছু অংশ ঐহ্যিক আর কিছু অংশ বাদ্ধতামূলক। এটি আসলেই একটি ব্যাপার। কারন এ বিষয়গুলো একটি জাতিকে আপন শক্তিতে ঐক্যবদ্ধ করতে অনুপ্রানিত করে,যদিও ঐক্যের মূল নিয়ামক এটি নয়। ইসলাম নামক কনসেপ্টের এটি শাখা প্রশাখাগত বৈশিষ্ট্য। মূল বিষয়টি হল ঈমানী ঐক্য। এসব জাতিরও এরকম বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার ভিত্তিতে এরা একতাবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ হয়।

আস্তে অাস্তে আমি ভাষা ও সাষ্কৃতি শিখতে থাকি আর অনেক সব ব্যাপার স্পষ্ট হতে থাকে। পূর্বে যেসব কথা বুঝতে পারতাম না বা অনেক কষ্টে বুঝতাম এখন তা যথেষ্ট সহজ মনে হয়। আগে উপরটা দেখতে পেলেও এখন ভেতরটাও খানিক অনুমান করতে পারি। তবে প্রতিদিনই শিখছি। আমার পছন্দের একটি সাবজেক্ট হল মানুষের নানানমুখী চরিত্র। যখন কারো সাথে কথা বলি তখন তার চরিত্রকে গভীরভাবে অনুধাবনের চেষ্টা করি। সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারি তা নয় ,তবে অনেক বৈচিত্র খুঁজে পাই। এরপর একেক জনের সাথে একেক রকমের আচরন করে পরিক্ষা করি কোন আচরনে সে কেমন রেসপন্স করছে। কখনও স্টাইল পরিবর্তন করি। এভাবে আমি কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করি। আমার অভিজ্ঞতার দুটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

১. আমার প্রায় সকল সহকর্মী আমার প্রতি সন্তুষ্ট থাকলেও একজন ছিলো অতি মাত্রায় হিংসুক ধরনের। আমার প্রতি তার আচরন বাহ্যিকভাবে ভালো থাকলেও অনুভব করতে পারতাম ভেতরে ভেতরে আমাকে পছন্দ করেনা। বিষয়টা এতটাই অপ্রাকাশ্য যে অন্যের চোখে ধরা পড়বে না। এটি অভিযোগ করার পর্যায়ের বিষয়ও নয়। এটি মনোজগতের বিষয় যা আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়েছে।

যখন থেকে আমি বিষয়টি বুঝেছি তখন থেকেই অতিরিক্ত সুআচরন করা শুরু করেছি। মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর প্রতিযোগীতা করেছি। ধৈর্য ধারন করেছি। এক ধরনের জিদ চেপেছিলো যে একে ভালো আচরন দ্বারা বশ করব। আমি কখনও কখনও উপহার প্রদান করেছি। তাতে সে বেশ খুশী হয়েছে। দুটি কাজের ভেতর যখন কঠিনটি আমার জন্যে বেছে নিতাম,তখন সে অনুভব করার চেষ্টা করেছে যে আমি তার প্রতি সদয়। আমি কথা তেমন একটা না বললেও আচরনে প্রকাশ করি আমার ভেতরের অবস্থা। বারবার তাকে উপহার দিলাম। অন্য আরও কয়েকজনকে অবশ্য উপহার সামগ্রী দিয়েছি। এরপর হঠাৎ সে তার রেকর্ড ব্রেক করে অামাকে বেশ কিছু উপহার দিল,কয়েকবারই দিল। এটা তাকে অন্যের ক্ষেত্রে কখনও করতে দেখিনি। কিন্তু তারপরও সে তার কিছু কিছু ভাবভঙ্গীতে আমার প্রতি অপছন্দের ভাব প্রকাশ করত। আমি সবকিছু বুঝেও না বোঝার ভান করতাম। সে মনে করত আমি বোকা সোকা সরল সোজা মানুষ। অথচ ওর প্রায় পা থেকে মাথা পর্যন্ত আমার মুখস্ত হয়ে গিয়েছিলো। অবশ্য আমি সরলতাই আমার ক্ষেত্রে বেছে নিয়েছি। পরে এক দারুন বিষয় মাথায় আসল।

আমি তার চরিত্র,আচরন এবং কাজের যোগ্যতা নিয়ে খুব ফুলিয়ে ফাপিয়ে পুরো এক পৃষ্ঠায় ২০ টি পয়েন্টে প্রশংসা করলাম। সে যা,তার চেয়ে একটু উপর দিয়ে মন্তব্য করলাম। তার একটাও খারাপ দিক উপস্থাপন করিনি। আমার উদ্দেশ্য ছিলো এটা প্রকাশ করা যে,একজন মুসলিম তার পরিবেশে কিভাবে অন্যকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করে,অন্যকে কতটা দারুনভাবে মুল্যায়ন করে। আমি একটি খামের ভেতর লেখাটি ভরে নোটিশ বোর্ডে রাখলাম। সে ওটা পেল এবং পরের দিন তার দিকে তাকিয়ে বুঝলাম সে মাত্রািতিরিক্ত কৃতজ্ঞ।

মূলত: এরকম কাজ ইতিপূর্বে এখানে আর কেউ করেনি।তার আচরনে আমি মানুষের আচরন সম্পর্কে কিছু একটা শিখলাম। মানুষের খারাপ আচরনের একটা সীমা থাকে। আর মানুষের খারাপ আচরনকে অনুরূপ খারাপ আচরণ দ্বারা প্রতিহত করলে সে ক্রোধে উম্মাতাল হয়ে যায়। তার ভেতরের অহংকার জেগে ওঠে। সে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠে। বিষয়টা কখনও এমন পর্যায়ে যায় যে নিজের ক্ষতি করে হলেও প্রতিশোধ নিতে বা ক্ষতি করতে সচেষ্ট হয়। ভালো আচরন মানুষ সহজে ভুলে গেলেও খারাপ আচরণ সহযে ভুলতে পারেনা। সে অনুভূতি বারবার তাকে দগ্ধ করতে থাকে। এটা তার মর্মপীড়ার কারন হয় এবং সেখান থেকে উত্তরনের জন্যে সে প্রতিশোধ নিতে সচেষ্ট হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এটি অতিরিক্ত যুলুমের পর্যায়ে চলে যায়। আর শয়তান তো ক্রোধের সময় মানুষের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়।

কিন্তু এই খারাপটাকে যদি ভালো দ্বারা মুকাবিলা করা হয়,তাহলে উক্ত ব্যক্তির ভেতর ভিন্ন চিন্তা কাজ করতে শুরু করে। তার স্বভাবজাত খারাপ আচরনের বিরুদ্ধে নিজের ভেতর একটি বিপরীতধর্মী শক্তি তৈরী হয়। সে থমকে দাড়ায়। ভাবতে শুরু করে। খারাপের বিরুদ্ধে ভালোর অবস্থানকে সে স্বাগত জানাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা শুরু করে। নিজের ভেতর জ্বলন পীড়ন শুরু হয় যখন ভালোর মাত্রা বেড়ে যায়। তার হিসাব নিকাশ উলোট পালোট হয়ে যেতে থাকে। এমনকি চিন্তার বিপরীত ধর্মী ঘটনায় তার মস্তিষ্ক কি করবে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা। সাধারনত প্রাথমিকভাবে সে থমকে দাড়ায়,আর এর ফলাফল স্বরূপ উক্ত ব্যক্তি ভালো,মন্দ বা হ্যা,না কোনোটাকেই গ্রহন করেনা বরং ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে থাকতে চায়।

এরপর তার প্রতি অারও সুআচরন চলতে থাকলে সে উক্ত ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান থেকে সরে আসতে থাকে সচেতন অথবা অচেতনভাবে। সে একসময় সত্যের কাছে বা ভালোর কাছে ধরা দেয়। তার পাল্লা ঝুকে পড়ে ভালো বা সত্যের পক্ষে। আল্লাহই এই ফিতরাত তৈরী করেছেন সকল মানুষের ভেতর। কারো আবর্জনা সরে যেতে সময় লাগে আর কারো দ্রত সরে যায়। আবার পরিচর্যার অভাবে কারো মনের আবর্জনা কখনই পরিষ্কার হয় না।

আমি লক্ষ্য করলাম সে বদলে গেছে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যেসব খারাপ বিষয় সে সুক্ষ্ণভাবে করে আমার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করত একইভাবে হয়ত ভাবত আমি বিষয়টা বুঝতে পারিনি। তার সম্পর্কে আমার মন্তব্যসমূহ পড়ার পর সে পূর্বোক্ত কৌশলের আশ্রয় নেয়নি। বরং সেসবের স্থলে অত্যন্ত সুন্দর উপায় গ্রহন করে আমার প্রতি তার অন্তরের কৃতজ্ঞতা,সুধারনার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করল। আমি যে সুক্ষ্ণ বিষয়গুলো উপলব্ধী করতে সক্ষম,এটা হয়ত তার বিশ্বাস হয়েছিলো। বিষয়টি অনুধাবন করে আমি বেশ পুলকিত হলাম শুধু এ কারনে নয় যে আমার সাথে প্রকৃত সুআচরণ করছে,বরং এটাও কারন যে আমি কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। লোকটি অন্যত্র বদলী হয়েছে কিন্তু আমার জন্যে রেখে গেছে তার অন্তরের ভালোবাসা। আর আমার বিশ্বাস মুসলিমদের সম্পর্কে সে সহযেই খারাপ ধারনা পোষণ করতে সক্ষম হবেনা।

২. আরেকজন হল আমাদের একজন ম্যানেজার। ২৪ জন ম্যানেজার আমাকে খুবই পছন্দ করে,ইনি ছাড়া। অবশ্য অন্যরা পছন্দ করে কর্মক্ষেত্রে আমার যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার কারনে।কয়েকবার আমাকে লিখিত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করেছি যেদিন থেকে এই ম্যানেজার বুঝেছে আমি মুসলিম,সেদিন থেকেই আমার প্রতি তার আচরণ খানিকটা কঠোর হয়েছে। সবাই ভালো বললেও সে একটা দোষ খোঁজার চেষ্টা করেছে। আর আল্লাহর রহমত যে সে কখনই আমার দোষ খুজে পায়নি,বরং নিজেই নিজের কাছে লজ্জিত হয়েছে। যদিও আমেরিকাতে কে কোন ধর্মের তা প্রায় কখনই জিজ্ঞেস করেনা কিন্তু অবগত হলে কেউ কেউ ইসলাম বিদ্বেষ দেখাতে পারে সুক্ষ্ণ আচরনের মাধ্যমে। এটাই ঘটেছিলো বলে মনে করি।

আমি এই ম্যানেজারের মানুষিকতা বোঝার সাথে সাতে অধিক সতর্ক হয়ে যাই। তার সাথে অধিক পরিমানে ভালো আচরণ করতে থাকি। কিন্তু সে বারবারই মনে মনে আমাকে খারাপ ভাবতে থাকে,অথবা কিছু আচরনে প্রকাশ করতে থাকে। আর প্রতিবারই পিত্তি জ্বললেও প্রচন্ড ধৈর্য নিয়ে হাসিমুখে সুআচরণ করে যাই। তাকে খুশী করতে নানানসব কর্মকান্ড করতে থাকি। প্রতিবারই মনে হয়েছে, তুমি আমাকে খারাপ ভাবছ না,বরং মুসলিমদেরকে খারাপ ভাবছ। কারন তোমার মনে মুসলিমদের সম্পর্কে খারাপ ধারনা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। আর আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সে ধারনা পাল্টে দিতে,আর এর বিনিময় আল্লাহর কাছে চাই।

প্রায় দেড় বছর ধরে তার সাথে অতিরিক্ত সুআচরণ করেছি। কিন্তু দু একদিন পরই পরই আবারও যা তা হয়ে যেত। আমি ধৈর্য হারা হতাম না। কখনই আমি হাসিমুখ ছাড়া তার দিকে তাকাইনি। কখনও যদি পরামর্শ,উপদেশ,আদেশ করেছে অত্যন্ত হাসিমুখে বিনয়ের সাথে মেনে নিয়েছি। অন্তত তার সামনে কাজে কখনও ভুল হতে দেইনি। অবশেষে কিছুকাল আগ থেকে আমার সম্পর্কে কাস্টমারের অতি উত্তম লিখিত রিপোর্ট রেকর্ড হতে শুরু করে। সবথেকে ভালো কর্মী হিসেবে আমাকে সকলে একযোগে মেনে নেয়। প্রকাশ্যে সকল কর্মকর্তা তাদের আচরনের মাধ্যমে আমাকে সম্মান করতে থাকে। মার্কেটিংয়ে ভালো পার্ফমেন্সসহ সবথেকে ভালো কাস্টমার সার্ভিস দেওয়ার জন্যে লিখিত প্রশংসাপত্র প্রদান করে।

সম্ভবত এরপর উক্ত ম্যানেজারের সকল প্রতিরক্ষা ও প্রতিবন্দকতার দেওয়াল ভেঙ্গে যায়। সে তার স্বভাব বিরোধী আচরন করতে থাকে। মূলত: সে সকলের ক্ষেত্রেই একটু কঠিন,কাঠিন্য তার স্বভাব। কিন্তু সম্প্রতি তার গলে যাওয়া দেখে আমি আভিভুত। আমাকে জিজ্ঞেস করল ইস্টার সানডে আমরা পালন করি কিনা। আগামী রবীবার ইস্টার সানডে। যদিও সে জানে মুসলিমরা এটা পালন করেনা কিন্তু তার উদ্দেশ্য আলাদা। এরপর জানতে চাইলো আমাদের প্রধান উৎসব কি। আমি দুটি ঈদের কথা বললাম। এরা মুসলিমদের ব্যাপারে এমনকি ধর্ম সম্পর্কে তেমন ধারনা রাখেনা। যা রাখে তা হল নিজেদের কিছু উৎসবের খবর। তাও সেটাকে ধর্মের আলোকে নয়,বরং ছুটি কাটানো ও মজা করার দিন হিসেবে জানে,পালন করে। এরপর বলল-তোমরা কি কি খাও। বললাম। এরপর বলল ভেড়ার কারীর রেসিপি জানা থাকলে আমাকে দিও। আমি বললাম-আমি আপনার জন্যে ভেড়ার গোস্ত রান্না করব। সে ব্যপক খুশী হল। গত রাতেই সময় নিয়ে রান্না করলাম। আজ তাকে দিয়েছি। অনেকবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করল। আমার সম্পর্কে একটা কথা প্রচলিত আছে,তা হল-আমি যা বলি, তা করি। বাস্তবেই আমি ওয়াদা পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আরেকজন সহকর্মী আমাদের ঈদ উৎসব নিয়ে জিজ্ঞিস করছিলো। দু একটা কথা হল। বললাম গুগলে অথবা ইউটিউবে দেখো জিনিসটা কেমন। এদের বেশীরভাগই এমন যারা অন্যদের ব্যাপারে একেবারেই জানেনা বললে ভুল হবেনা।

আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার কাজকে উপভোগ করি। আমি আল্লাহর কাছে সম্মান চেয়েছি,আল্লাহ আমাকে সম্মান দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে উত্তম রিজিক চেয়েছি,তিনি আমাকে তা দিয়েছেন।আল্লাহর কাছে সুস্বাস্থ্য চেয়েছি,তিনি আমাকে সর্বোচ্চ লেভেলের রোগহীন সুস্বাস্থ্য দিয়েছেন। ....আল্লাহর কাছে সকল কালে তার সকল রকমের শাস্তি থেকে নিষ্কৃতি চেয়েছি,আর চেয়েছি জান্নাতুল ফিরদাউস। আমি আল্লাহর ব্যাপারে অনেক বেশী আশা রাখি। আমি আশাহত হতে শিখিনি। আর আমি সত্যিই জুতার ফিতাটাও(তুচ্ছ বিষয়গুলোও) আল্লাহর কাছে চেয়ে নেই।

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৪ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

363655
২৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:৩০
বাকপ্রবাস লিখেছেন : সুন্দর ভালো উপকারী শিক্ষনীয় পোষ্ট
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
301476
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান জনাব।
363660
২৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
আফরা লিখেছেন : নিজের প্রশংসাপত্র নিজেই লিখছে ------- Good Luck Good Luck
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
301468
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যোগ্যদের প্রশংসা করা আমাদের দায়িত্ব, সেটা যখন আপনার পইন্নারা করেনা, তখন নিজেরটা নিজেকেই লিখতে হয়।
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
301469
আফরা লিখেছেন : তাতো অবশ্যই করব সে সুযোগ তো দিতে হবে নাকি !!!!!নিজেই করে ফেললে আমরা কি ভাবে করব !!
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
301477
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হুমম মানুষ প্রশংসা করেনা বলে নিজেই করলাম
২৬ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৭
301504
আফরা লিখেছেন : জী করতে থাকে আর প্লাটাতে থাকেন । পুরু আমেরিকাকে প্লাটে দিয়েছেন এই রকম পোষ্ট পড়ার অপেক্ষাই থাকলাম ।
363663
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : দেশে আমার আরবী সম্পর্কে মোটামুটি জানা ছিল, কিন্তু আরবদেশে একই আপনার মত একই কায়দায় আরবী শিখতে হয়েছে। আঞ্চলিকতা না মিশলে সত্যিই বই পড়ে শিখা যায় না। ধন্যবাদ
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
301478
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি সঠিক বলেছেন Happy
363669
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
শফিউর রহমান লিখেছেন : শিক্ষনীয়। ধন্যবাদ।
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
301479
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান জনাব
363682
২৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০৩:৩১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি অত্যান্ত প্রশংসনিয় হয়েছে প্রবাসে আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। প্রিয় নবীজি(সাঃ)অন্যদের চাল চলনে নিজেদেরকে পার্থক্য করতে আদেশ করতেন। কথা বার্তা ওঠা বসা চাল-চলন,পোষাক,স্টাইল,নীতি আদর্শ সকল ক্ষেত্রে মুসলিমদেরকে আলাদা মর্যাদা সম্পন্ন জাতি হিসেবে উপস্থাপন করতে রসূল(সাঃ) আদেশ করতেন। ধন্যবাদ আপনাকে
২৬ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৪৮
301544
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জনাব। Happy Happy
363692
২৬ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:০০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৬ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৪৯
301545
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। আপনার শরীর সুস্থ্য হয়েছে ?
363745
২৭ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:২৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কিন্তু সে বারবারই মনে মনে আমাকে খারাপ ভাবতে থাকে
মনের কথাটা কিভাবে জেনে গেলেন!

কাটার বদলে ফুল দিয়েই মানুষের আচরণ বদলাতে হয়, যা আপনি প্রবল সবরের সাথে সম্পন্ন করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।

আল্লাহ্ আপনার এইসব গুণাবলী সদা জারি রাখু.

লেখাটি পোস্ট করার আগে দ্বিতীয়বার দেখেননি তাইনা। এক্টু দেখে নিয়েন।বানান....
২৭ মার্চ ২০১৬ রাত ০২:১০
301555
আফরা লিখেছেন : বেশী মাস্টার হয়েছেন না!!! সবার বানান ভুল ধরতে আসেন মনে হয় নিজের আর বানান ভুল হয় না ।নিজে যে রাত কানা সেটা মনে হয় আর আমরা জানি না ।
২৭ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৭:০১
301563
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমার বানান ভুল ধরার পথ কি অবরুদ্ধ করে রেখেছি?
রাতকানা হলেও ভুল গুলো কিন্তু রাতেই চোখে ধরা পড়েছে!

ওই পইন্নার ঘরের পইন্না!
২৭ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৯:২০
301567
দ্য স্লেভ লিখেছেন : যখন কেউ কাওকে পছন্দ করে তখন মন থেকেই করে,আর সেটা তার নিজের অজান্তেই প্রকাশিত হয়। আবার কেউ অপছন্দ করলেও সেটা প্রকাশিত হয়। যাকে অপছন্দ করা হচ্ছে সে বুঝতে পারে। এই বুঝতে পারাটাকেই বলেছি মনে মনে অপছন্দ করে...
২৭ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:২২
301584
আফরা লিখেছেন : @ রাত কানা ভাইয়া এত বড় একটা লিখা লিখলে ২/৪টা বানান ভুল হতেই পারে সেটা মুডুদের কাজ ঠিক করে দেয়া এত ভুল ধরা না ।
২৭ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
301591
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পনি আপনার কথার জবাবে শুধু আমার ' গোস্বা না করে.....'। এই লেখাতা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আর হ্যাঁ, দুইচারটা ভুল কখনোই আমার চোখে দূষণীয় নয়।
২৭ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:০২
301592
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পনি আপনার কথার জবাবে শুধু আমার ' গোস্বা না করে.....'। এই লেখাতা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আর হ্যাঁ, দুইচারটা ভুল কখনোই আমার চোখে দূষণীয় নয়।

যদি কারও শেখার শোধরাবার মানুসিকতা থাকে তাহলে এই নিয়ে সংশোধন করার বদলে তর্ক জুড়ে দেওয়া অনর্থক। আমি গতকাল ভুল ভেবে একটা কাজ করেছি, এবং ভাললাগাকে সবার উপর চাপিয়ে না দিয়ে আপ নাদের মতামতের গুরুত্ব দিয়েছি। বাস এটাই
২৭ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:৩৬
301594
আফরা লিখেছেন : আপনি এত রাগ হয়েছেন কেন রে ----ভাইয়া । এখানে আমি কিন্তু মুটা াপনাকে মিন করি নাই । আমি শুধু এটাই বুঝাতে চেয়েছি উনারা এটা উনাদের দায়িত্ব দুই/ চারটা বানান ভুল হলে উনারা ঠিক করে দিলেই পারেন ।
আর বুঝেনই তো আমরা যারা বাহিরে আছি বাংলা আমাদের লিখা বা পড়া হয় না কাজেই ভুল একটু বেশি হবেই । ভাইয়া সরি , আপনি মনে হয় মাইন্ড করেছেন ।
363884
২৮ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৮:৩৮
কাব্যগাথা লিখেছেন : আমারতো মনে হচ্ছে আমিও একটা মন্তব্য করেছিলাম লেখাটা পড়ে | সেটা গেল কই?আপনার লেখা পড়ে নিজের কিছু ঘটনার সাথে মিল পেলাম|সুন্দর হয়েছে লেখাটা|ভালো লাগলো| কিন্তু একটা কথা -আফরা আর গাজী সালাহউদ্দিনের ব্যাপারে একটা অবজেকশন আছে|তাদের মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্যে আঙুলটা ব্যথা হয়ে গেল স্ক্রল ডাউন বাটন টিপে এই মন্তব্যের জায়গাটা খুঁজে পেতে পেতে |এদের পারলে জানিয়ে দেবেন এরপর পেইন কিলার পাঠাবার দাবি জানাতে হবে এ'রকম হলে |
২৮ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
301839
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কখনও কখনও মন্তব্য গায়েব হয়ে যায় এটা হয়ত ব্লগের টেকনিক্যান ত্রুটি। জাজাকাল্লাহ আপনার মন্তব্যের জন্যে। যা লিখেছি তা জীবনের ঘটমান বিষয়,অনেকের সাথে মেলার কথা। ....উনারা উনাদের লেখার স্বাধীনতা চর্চা করেছেন তাই উপদেশ দিতে পারছি না Happy
২৯ মার্চ ২০১৬ রাত ১০:৪৫
301964
কাব্যগাথা লিখেছেন : জাস্ট কিডিং | দুজনের লেখাই আমি সবসময় পড়ার চেষ্টা করি |

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File