‘সত্যের অনুসারী’র সত্য প্রকাশের নমুনা

লিখেছেন লিখেছেন কে বা কারা ২৯ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:২৯:৫৯ দুপুর





রাহাত খান একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। এখন সম্পাদনা করছেন দৈনিক বর্তমান। কিন্তু যা-ই হোক না কেন, তিনি একজন বামপন্থী সাংবাদিক। সব সত্যের বড় সত্য এটি। এদেশে সব পরিচয় ছাপিয়ে যিনি দলীয় পরিচয়কে সবার ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে পারে, সে-ই সফল। শুধু তা-ই নয়, যাকে পছন্দ হয় না, তার গায়ে দলীয় ছাপ লাগাতেও এই ধরনের লোকেরা ওস্তাদ। ড. তুহিন মালিক যাদের সাথে টক শো করেন, তাদেরকে তিনি তার বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাইয়েছেন। এটা নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়েও বিডিনিউজ (দুষ্ট লোকেরা বলে বিড়িনিউজ) তার নামের আগে ‘বিএনপিপন্থী’ ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছে। ড. ইউনূস এবং ব্যারিস্টার রফিক-উল-হকের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটেছে। যারা ফেসবুক-ব্লগ ইত্যাদি সোশাল মিডিয়ায় লেখালেখি করেন, তারা জানেন, আওয়ামী সমর্থকরা যখন যুক্তিপূর্ণ কোনো লেখার মুখোমুখি হয় অথবা বেশামাল অবস্থায় পড়ে যায়, তখনই গালাগালি এবং ট্যাগিং শুরু করে দেয়।

গত দুদিন ধরে প্রথম আলোর একে ফোর্টি সেভেন নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায়। এতে বাধ্য হয়ে প্রথম আলো ‘শিবির’ শব্দের জায়গায় ‘র‌্যাব’ শব্দ বসিয়ে দিয়েছে। অবশ্য তারা কোনো দুঃখ প্রকাশের ধার ধারেনি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে একটি বক্তব্য রেকর্ড না করা নিয়ে বলেছিলেন, বাদ দিয়ে কী হবে? জনগণ তো জেনেই গেলো।

এসব মিথ্যাবাদী-মিথ্যাচারী মিডিয়া যখন মিথ্যা প্রকাশ করে ফেলে, সেটা কিন্তু পাঠক-দর্শকরা জেনে গেলো। এরপর কী হলো না হলো সেটা খুব কম মানুষই জানতে পারে বা জানার চেষ্টা করে।

গতকালের হরতালের চিত্র নিয়ে প্রায় সব পত্রিকাই লিখেছে। চট্টগ্রামের একটি ছবি এসেছে অনেক পত্রিকায়। প্রায় সবাই ছবিটাকে হরতালবিরোধী কিংবা আওয়ামী সমর্থকদের বলে লিখেছে। কিন্তু বিশিষ্ট সাংবাদিক রাহাত খান, যার সম্পাদিত পত্রিকা দৈনিক বর্তমানের স্লোগান ‘আমরা সত্যের অনুসারী’, সেই পত্রিকা ছবির লোকদেরকে জামায়াত-শিবির বলে পরিচয় দিয়েছে।

দেখুন ছবি দুটো। প্রথমটা সকালের খবরের; দ্বিতীটা বর্তমানের। হলুদ জামা, সাদা-কালো ডোরা গেঞ্জি এবং সাদা শার্টের লোকদের মিলিয়ে দেখুন। এবার মন্তব্য করুন।

রাহাত খান একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। সাহিত্য মনে মাধুরী মিশিয়ে তিনি রচনা করুন, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এভাবে সত্যের নামে মিথ্যা চালিয়ে দিয়ে তো সাংবাদিকতা করা যায় না। তিনি একজন বিশিষ্ট লোক। তার মৃত্যুর পর হয়তো তাকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হবে। তার জীবনী বা কর্ম নিয়ে লিখতে গিয়ে যদি প্রমাণস্বরূপ এই ছবি দিয়ে তাকে একজন মিথ্যাবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করে, সেটা তার জন্য কিংবা তার উত্তরসূরীদের জন্য সম্মানজনক হবে না।

আশা করছি তিনি এই মিথ্যাচারের জবাব দেবেন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার যারা এই ব্লগে আছেন, তারা ছবির লোকদের নাম-ঠিকানা এবং দলে কার কী অবস্থান তা প্রকাশ করে সত্য প্রকাশে সহযোগিতা করবেন। প্রমাণস্বরূপ তাদের ফটোসংবলিত পোস্টার-ফেস্টুনের ছবি দিলে ভালো হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৯৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File