দস্যি দিনের কথা
লিখেছেন লিখেছেন আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৫৫:৫১ রাত
(শৈশব স্মৃতি)
মনে পড়ে আজ পুরনো সেদিন
ছিল কতো মধুমাখা,
প্রেম-বিরহের হাজারো স্মৃতি
হৃদয় পটেতে আঁকা।
শান্ত সকালে মক্তবে গিয়ে
আমপারা হতো পড়া,
ক্বারী করে টেনে পড়তে হতো
হুজুর ছিল যে কড়া।
মক্তব শেষে পান্তা ভরিয়ে
ইশকুলে যেতাম ছুটি,
স্কুল শেষে বাড়ি ফিরতাম
হই-হুল্লোড় লুটি।
মনে পড়ে সেই দামাল দুপুর
ডুব সাতারের খেলা,
ডুব দিয়ে যেতাম অনেক দূরে
কেউবা ভাসাতো ভেলা।
গাছের ছাঁয়ায় ঘুমিয়ে যেতাম
বিছিয়ে শীতল পাটি,
মধুর মমতা মাখানো যেন
আমার গাঁয়ের মাটি।
দস্যি বিকেলে জমতো ভীষণ
ক্রিকেট-কাবাডি খেলা,
ফুটবল নিয়ে মারামারি কতো
শেষ হয়ে যেতো বেলা।
কেউবা উড়াতো দূরের আকাশে
রঙিণ ফানুস ঘুড়ি,
মনে হতো যেন নীল ছুঁয়ে দিবে
মেঘের চাদর ফুঁড়ি।
সন্ধ্যা হলেই চেরাগ জ্বালিয়ে
বই নিয়ে হতো পড়া,
রবি-নজরুল-জসীম কবির
কতো যে মজার ছড়া।
রাতের উঠোনে কিচ্ছা হতো
টুনার বউ যে টুনি,
চুপটি করে থাকতো সবাই
মন দিয়ে যেতো শুনি।
রাত ফুরিয়ে দিন কেটে যেতো
জনে জনে কতো মায়া,
সেই দিন আজ মনে পড়ে খুব
হৃদয়েতে ফেলে ছায়া।
০৮/০৯.০২.২০১৫
আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।
বিষয়: সাহিত্য
১০৫১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মাঝে মাঝে হারিয়ে যান কেন? ভালো আছেন তো ভাইয়া?
চমৎকার স্মৃতিচারণের জন্য বারাকাল্লাহু ফিক।
আমি এখন ফিরে যেতে চাই
ইযে দওলত ভি লেলো,শহরত ভি লেলো
মুঝকো লওটা দোন বছপন কা শাওন
উ কাগজ কি কাশতি উ বারিশ কা পানি।
ফিরিয়ে দাও শৈশবের শ্রাবন
সেই কাগজের নেীকেী,সেই বৃস্টির পানি।
কবিতা আপনি ভাল লিখেন এটা আর কি বলব.।
ধন্যবাদ ছোটদা ।
কবিদের এই একটা দোষ- ছন্দময়তার মায়াজালে যেতে না চাইলেই তাদের উদ্দিষ্ট বিষয়ে টেনেই নিবে!ব্যতিক্রম আপনিও নন!
কি দরকার ছিল এতো নান্দিক ভাবে ফেলে আসা মধুর শৈশবে নিয়ে যাওয়ার? যা অসম্ভব তা মনেই করতে চাইনা!ভূলে যেতে চাই!!
আপনারা কি প্রথমেই সরাসরি আমপারা পড়েছেন ? আমরা প্রথমে কাইদা > আমপারা > ক্বুরআন শরীফ পড়েছি ।
সিরাজ ভাই, অসাধারণ হয়েছে, মনে হচ্ছে যেনো আমার মনের কথা গুলি ই লিখেছেন ছন্দের তালে তালে। কিছুক্ষনের জন্যে ফিরে গেলাম আমার ছোটবেলায়......।
ধন্যবাদ আপনাকে অসাধারণ ভালো লাগার কিছু অনুভুতির কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন