হুজুরদের ভুড়ি মোটা কেন?

লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ১৩ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫৯:২৭ রাত

আমার এই লেখার শিরোনাম দেখে আজাদী সাহেব ও তাঁর মত গভীর জ্ঞানের লোকেরা হয়ত বলে উঠতে পারেন যে কালাম আজাদ একজন ডঃ হয়ে হঠাৎ করে হুজুরদের নিয়ে এতো লেগে গেলেন কেন?

সহজ উত্তর হলো- কালামকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে, তাই তিনি একটা কথকতাধর্মী উত্তর দেওয়াকে সমীচিন মনে করেছেন।

আমি প্রশ্নকারীকে পালটা প্রশ্ন করলাম- আচ্ছা বলেন তো দারোগাদের ভুড়ি মোটা কেন?

উনি বললেনঃ সব দারোগার ভুড়ি তো মোটা নয়। আমি বললাম- সব হুজুরদেরও তো ভুড়ি মোটা নয়। আমার এক সম্মানিত উস্তাজ ছিলেন খুবই হাল্কা পাতলা। তাই তাকে সবাই বলত 'চটা' ক্বারী, আরেকজনকে কঞ্চি ক্বারী। কিন্তু আপনি আজ কোথায়ও কোন তালপাতার সেপাই বা কঞ্চি দারোগা খুঁজে পাবেন না।

আমি উনাকে আরো বললাম- আপনি তো খালি হুজুরদের নিয়েই আছেন। অন্যদের দিকে কি একটুও তাকান না!

২০১১ সালের এক জরিপে দেখা যায় যে বৃটেনের ২৪% পুরুষ ও ২৬% নারীরা হলেন ভুড়ি মোটা। আচ্ছা এরা কি হুজুর নাকি?

আচ্ছা, হুজুরদের ভুড়ি মোটা হওয়ার পেছনে অহুজুরদেরও কিন্তু অবদান আছে। আমি নিজে দেখেছি, অন্যরা হুজুরদেরকে জোর করে খাওয়ান। এমনকি, হুজুরদের সম্মানিতা স্ত্রীরাও হুজুরদের জন্যে যত্ন করে রান্না করেন এবং পেটভরে খাওয়ান। ফলে, সবার অগোচরে আস্তে আস্তে তাদের পেটটা উচু হতে থাকে। আর পেটের চর্বি একবার জমতে থাকলে তা আর সহজে কমানো যায় না।

আমি একমত যে ভুড়ি মোটা হওয়া একটা স্ব-অর্জিত রোগ এবং যারা দ্বীনের পন্ডিত 'উলামায়ে কেরাম'' তাদের ভুড়ি হওয়া ঠিক নয়। কারণ তারা সমাজের রোল মডেল। তাদেরকে দেখে লোকে শিখবেন।

কিন্তু এটাও বুঝতে হবে যে, ভুড়ি মোটা শুধু হুজুর সমাজের সমস্যা নয়, এটা ভোজনবিলাসী স্বাস্থ্য-অসচেতন জনসমাজের সমস্যা। কিছু হুজুর এই দলে ভিড়ে গিয়েছেন, আর তাই নিয়ে কিছু হুজুর প্রেমীদের এতো মনোবেদনা।

আগের একটা ভালো বাজার পাওয়া লেখা ছিলোঃ হুজুররা বেশী বিয়ে করে কেন?

বিষয়: সাহিত্য

৪২৬০ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

349561
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:০৫
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : কেউ এমনি এমনি হাসুক, সে জন্যে কিন্তু আমি এটা লিখি নি। এখানে চিন্তার অনেক খোরাক আছে।
349562
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:১২
কাহাফ লিখেছেন : লেখা পড়ে ভালই লাগল!
প্রয়োজনীয় বিষয়ে দ্বীনি আলেমদের সুন্দর পরামর্শ যথার্থই বলা যায়!
ধন্যবাদ আপনাকে!!
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:১৪
290134
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : ধন্যবাদ। আমি এখানে দারস দিতে আসিনি কিন্তু। আমি কারো হুজুর নই, ভাই।
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৩৭
290135
কাহাফ লিখেছেন :
সুন্দর পরামর্শ দিতে হলে হুজুর হওয়া লাগে না ভাই!
'এসব বিষয়েও খেয়াল রাখা দরকার'এই কথাটি মনে করিয়ে দেয়াও এক ধরণের কল্যাণময় পরামর্শ!
জাযাকাল্লাহু খাইর!!
349572
১৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:১৩
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। সুন্দর, সহজপাচ্য ও অল্প কথায় বুঝিয়ে বলা একটি পোস্ট। ধন্যবাদ ডক্টর সাহেবকে।
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৫
290154
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : আপনাকেও অনেক শুকরিয়া।
349573
১৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৫২
শেখের পোলা লিখেছেন : কিছু হুজুর আছেন যাদের ভুঁড়ি মোটার জন্য মহল্লার লোক দায়ী৷ কোথাও সপ্তায় এক দিন বা ১৫দিনে বা মাসে একদিন মহল্লার প্রত্যেকের বাড়ি হুজুরের খাওয়ার পালা থাকে আর যেহেতু মাত্র একদিন তাই বাড়ি ওয়ালা হুজুরকে বেশ ভাল মতই খাওয়ান,অপর দিকে হুজুরের পরের দিনও এমন তার পরের দিনও এভাবেই নতুন বাসায় ভাল খাওয়া দৈনিক চলতেই থাকে৷ ভুঁড়ির দোষকি বলেন?
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৯
290155
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : হুজুররা আসলে পড়েছেন বিপদে। খেলেও দোষ, না খেলেও দোষ। তবে, ভুড়ি মোটা হওয়া কষ্টকর। সবাই যেন সতর্ক থাকি। ভুড়ি কম হলে বেচেও শান্তি, লাশবাহীদের জন্যেও শান্তি।
349574
১৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৪০
মনসুর লিখেছেন : কি মুশকিল, . . . আপনি কি বাজার পাওয়ার জন্য লেখেন না কি !!

মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১০
290156
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : না ভাই, এখনো লেখক-ব্যবসায়ী হই নি, হতেও চাই না।
349576
১৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:২০
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : অনেকে বলে "স্বাস্থ আল্লাহর দান" এখানে মানুষের কোন হাত নাই যেমনটি ভাগ্যের বেপারে কোন হাত নাই। এই কথাটা কতটুকু সঠিক?
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১১
290157
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : মানুষের চেষ্টার সাথে আল্লাহর দানের একটা সম্পর্ক অবশ্যই আছে।
349586
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমেরিকার প্রায় ৬০% লোক মোটা তাজা,তারাও হুজুর না। তবে দেশী হুজুররা বেশী খায় Happy এটা ঠিক যে মানুষ তাদেরকে দাওয়াত করে খাওয়াতে পছন্দ করে,তারাও না করেনা....Happy
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১১
290158
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : এখন থেকে দাওয়াত হবে দ্বীনের দাওয়াত, খাওয়ার দাওয়াত নয়।
349593
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৫৯
মোঃ মাসুম সরকার আলআযহারী লিখেছেন : যত দোষ নন্দঘোষঃ কী আশ্চর্য্য !!!
১। হুজুর বেশী খাইলে বলবে- দাওয়াত খাইতে-খাইতে হুজুরের পেট বড় হয়ে গেছে !?
২। হুজুর কম খাইলে বলবে- হুজুর ! অন্য কোথাও দাওয়াত আছে নাকি !?
৩। হুজুর লম্বা জামা পরলে বলবে- হুজুররাই জামা-কাপড়ের দাম বাড়াইছে !?
৪- হুজুর খাট/ছোট জামা পড়লে বলবে- এক্কেবারে মডার্ন, টেডি হুজুর !?
৫- হুজুর খাওয়ার পর বসে থাকলে বলবে- হুজুর হাদিয়া-তোহফার জন্য অপেক্ষা করছে !?
৬- হুজুর খেয়ে দ্রুত যেতে চাইলে বলবে- হুজুর ! এক দিনে কয় বাড়ীতে দাওয়াত লইছেন ?!!
৭- হুজুর ওয়াজ করে টাকা নিলে বলবে- ওয়াজ করে টাকা নেয়া জায়েজ কোথায় পাইছেন ?
৮- হুজুর ওয়াজ করে টাকা না নিলে বলবে- ও--- মাগনা বক্তা দাওয়াত দিয়া আনছো ?!!
৯- হুজুরের কোন দোষ খুঁজে না পাইলে বলবে- এই হুজুররাই দেশটারে খাইছে !?
আর বললাম না। বাকীগুলো আপনারা বলেন।
কী আশ্চর্য্য!!!!! কী বিচিত্র আমাদের সমাজ!!!
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩১
290167
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : আর বললাম না। বাকীগুলো আপনারা বলেন।
কী আশ্চর্য্য!!!!! কী বিচিত্র আমাদের সমাজ!!!
349594
১৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৬
সামছুল করিম লিখেছেন : রাসুল (সHappy এর নিকট অনেক উপডৌকন আসত, তিনি তার অধিকাংশই অন্যসাহাবীদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তিনি সপ্তাহে কমপক্ষে ২টি রোজা রাখতেন। খাবার সময় পেটের ১/৩ অংশ পুরে খেতেন, ১/৩ অংশ পানি, আর ১/৩ অংশ খালি রাখতেন। মাশাল্লাহ আমরা পুরো পেটই খাবার দিয়ে পরিপূর্ন করি। পেটতো মোটা হবেই।

লোকেরা হুজুরদের সমাদোর করে এই আসায় যে এতে তার পাপ কিছুটা লাগব হবে। লোকজনের পাপের বোঝা হুজুরেরা বহন করতে করতে হুজুরদরে পেট মোটা হয়ে যায়। Big Grin Big Grin Big Grin Big Grin
১৩ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৩
290170
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : প্রথম প্যারাটা অসাধারণ বলেছেন। অন্যদের পেট কিভাবে মোটা হয়, তাও যদি বলতেন !!
১০
349604
১৩ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : হুজুরদের থেকে সরকারি কর্মচারিদের পেট আরো বেশি মোটা!! সবচেয়ে বেশি মোটা রাজনিতিবিদ! দোষটা হুজুরের!!!
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৪
290189
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : দোষটা হুজুরের!!!
তাই তো দেখি--
১১
349622
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৫৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আমি একমত যে ভুড়ি মোটা হওয়া একটা স্ব-অর্জিত রোগ এবং যারা দ্বীনের পন্ডিত 'উলামায়ে কেরাম'' তাদের ভুড়ি হওয়া ঠিক নয়। কারণ তারা সমাজের রোল মডেল। তাদেরকে দেখে লোকে শিখবেন।


আমিও একমত Thumbs Up

ভূঁড়ি-সচেতন থাকলে বেশী খাওয়াতে দোষ নেই, Eat Eat Eat Eat
আমি নিজেই এ বিষয়ে নিজেকে মডেল ঘোষণা করছি Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

কোন দাওয়াতই ছাড়িনা Catch
খাই-ও কম না Big Grin I Don't Want To See
কিন্তু ভূঁড়ি?? Thumbs Downএকদম নেই!! Winking)

সুন্দর প্রসঙ্গ ও রসাত্মক আলোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
১৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৫
290190
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : জাতির বাবা হওয়ার যোগ্যতা আছে আাপনার, মাশাআল্লাহ।
১২
349676
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৪
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : অনেক সুন্দর মনোরঞ্জক লেখা। পড়ে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
১৪ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৩
290226
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
১৩
349684
১৪ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩২
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : হুজুর বলতে কী শুধু টুপি-দাঁড়িওয়ালাদেরকে বুঝায়? কেউ যখন কাউকে তোষামোদ করে তখন সবচেয়ে ভাল শব্দ তো জী হুজুর!
অনেক ধন্যবাদ..চিন্তার খোরাক টুকু ইশারা করলেই পারতেন।
১৪
349812
১৫ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪২
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : খায় মুছওয়ালা মাগার জালে আটকে যায় দাড়িওয়ালা!
কুনো কুনো খাদক ভুড়িওয়ালা হওনের পর হুজুর বনে যায়।
পেটের গ্যাস্টিক মাথায় উঠলে সামনে যাওনের চেষ্টা করা সত্বেও পশ্চাতে চলে যায়, যেমন- চিংড়ি মাছ। কিন্তু যখন কারো গ্যাসট্রিক মাথা থেকে নেমে চোখের ভিত্রে চলে গেলে তখন হেতে সবকিছুতেই ভুত দেখে! বলে- রাম! রাম!! রাম!!! হুজুর আইছে পশ্চাতে বেত্রাঘাত করবে!!!
১৫
349900
১৬ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৩৮
আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক লিখেছেন : ধন্যবাদ ভালো লাগলো
১৬
350290
১৯ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০১:১২
এটোম বোম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.. ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
১৭
350398
১৯ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৪
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : হুজুরদেরকে সবাই আদর যত্ন করে খাওয়া বলে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File