প্রসঙ্গ বিয়েঃসেকাল ও একাল

লিখেছেন লিখেছেন ইবনে হাসেম ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:১৯:৩১ সকাল

আগেকার দিনের বউ সাজানীঃ

আজকালকার বিয়ে-শাদীতে বিউটি পার্লারে গিয়ে বিয়ের কনে সাজানো ও তার সাথীদেরও উগ্র প্রসাধনী সহকারে মেক-আপ করে আসাটা একপ্রকার ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। অথচ এই মাত্র সেদিনও বিয়ের কনে সাজাতেন কনের ভাবী, বোন কিংবা সহপাঠিরা। আর তাদের সহকারীরূপে পাশে এসে দাঁড়াতো বাড়ির (কিংবা শহর হলে এলাকার) এক দঙ্গল ছোট ছোট কিশোর কিশোরী ও শিশুরা। এতে বিয়ে বাড়িতে আলাদা একটা উৎসবের ফোয়ারা বয়ে যেতো সবার মাঝে। বিয়ের আগের দিন রাতে কনের হাতে মেহেন্দী দেয়া হতে নিয়ে তার সমবয়েসী সবার মেহেন্দী লাগানো/ নাচ গান ইত্যাদিতে তখনকার বিয়ের আসর গরম করে রাখতো বাড়িরই এক বা একাধিক কমেড়িয়ান বা জোকার সদস্য। তিনি ছোট কেউও হতে পারেন অথবা কনের দাদী/নানীও হতে পারেন। বাড়িতে এমন কোন ব্যক্তি না থাকলে পাশের বাড়ি হতেই কেউ না কেউ এসে যেতো বিয়েবাড়িতে হাসি আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেবার দায়িত্ব নিয়ে। তাই বলে তখনকার বিয়ের অনুষ্ঠানে বর্তমানের কমার্শিয়াল টাইপ বিয়ের অনুষ্ঠানের চাইতে আনন্দ বা মজা কোন অংশেই কম হতো বলে মনে হয়না। বরং কনের সহপাঠী, বোন ভাগ্নী, অল্পবয়েসী মামা-চাচা,ফুফু-খালা, দাদী নানীদের এবং ছোট ছোট স্বর্গীয় শিশুদের কলতানে সে সময়কার বিয়েবাড়িতে পবিত্রতা ও প্রানচাঞ্চল্যতার যে ফল্গুধারা বয়ে যেতো তার ছিটেফোঁটাও বর্তমানের কমার্শিয়ালী এরেঞ্জড্ বিয়ে অনুষ্ঠানে আর অবশিষ্ট নেই। বরং তার স্থান দখল করে নিয়েছে প্রতিবেশী হিন্দু দেশের অনুকরণে অতি ব্যয়বহুল হলুদ অনুষ্ঠান, যার সাথে আগের দিনের মেহেন্দী লাগানো অনুষ্ঠানের কোন সামঞ্জস্যতা নেই, না ব্যবহারিক দিক দিয়ে, না ধর্মীয় দিক দিয়ে আর না খরচের বাহুল্যের দিক দিয়ে। এ যেন মূল বিয়ের আগে আর এক ছোটখাট বিয়ের মহড়া; কোন কোন হলুদ অনুষ্ঠানে বরপক্ষের আর কনেপক্ষের অতিথি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের এক বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথির সমপর্যায়ে পৌঁছে যায়।

বর্তমানের কমার্শিয়াল বৌ সাজানীঃ

এ কাজের দায়িত্ব নিয়েছে বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজে ওঠা তথাকথিত বিউটি পার্লারগুলো। এদের আবির্ভাবের সময়কালে এরা অনেকটা গোবেচারা টাইপের ছিল মানে একটু অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের নববধূকে একটু আলাদা করে সাজিয়ে দেবার কাজ করে নারীর কর্মসংস্থানের একটি নয়া দিগন্তের সূচনা করা। কিন্তু বর্তমানে এদের কর্মপরিধি এতো ডাইমেনশন নিয়ে বিস্তার লাভ করেছে যে, এরা বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউজগুলোর হাতের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করা শুরু করেছে। আর সেটা করতে গিয়ে তারা বাংলার মুসলিম গৃহের নববধূদেরকে প্রতিবেশী হিন্দুয়ানী কালচারের অনুকরেণ এমন উৎকটভাবে ফ্যাশন-গার্লরূপে সাজানো শুরু করেছে যে, তাদের মাথার ওড়নাটুকু পেছনদিকে সরতে সরতে এখন কোনভাবে পিন দিয়ে শুধু ব্যাকসাইডে আটকে দেয়া হচ্ছে অর্থাৎ মাথার চুলগুলোকে উঁচু করে তুলে ধরে প্রদর্শনী করার জন্য ওড়নাকে একবোরে নাই করে দিচ্ছে। অথচ একজন পর্দনশীন নারীর সাবালক হবার পর হতে তাকে হিজাবের আবরণে নিজের সৌন্দয্যকে লুকানো আবশ্যক কর্তব্য । আগেকার বিয়েতে কনে সাজানোর এটা একটা অতি অাবশ্যকীয় অঙ্গরূপে বিবেচিত হতো বিধায় কনেকে দামী শাড়ী-গহনা পরিয়ে সাজানো হলেও তার মাথার অবগুন্ঠনকে সামনের দিকে টেনে এনে তার চেহারাও ঢেকে ফেলা হতো এবং বর-কনের শুভ দৃষ্টি বিনিময়ের ক্ষন হলে সুন্দর পবিত্র আবহে বর-কনের নানী/দাদী স্থানীয় কিংবা ভাবীরাই কনের অবগুন্ঠন তুলে বরকে তার নববধূর পবিত্র চেহারা দর্শনের ব্যবস্থা করে দিতেন। আর এ সময়টাতে রসিক দাদি/নানীদের কর্ণদ্বয় গরম করা কমেন্টস এ অনুষ্ঠানে হাসির রোল বয়ে যেতো। তাই, হিন্দি ছবির কল্যাণে জনসমক্ষে কনের আমস্তক চেহারা প্রদর্শনের যে ফ্যাশন বর্তমানের বিয়ে অনুষ্ঠানে চালু হয়েছে তা একদিকে যেমন বেহায়াপনা আর অশ্লীলতা ছড়িয়ে বিয়ের পবিত্রতাকে ভূলুন্ঠিত করছে, অপরদিকে তা বিয়ের খরচকে বহুগুনে বর্ধিত করে দিচ্ছে।

ফটোসেশনের গর্হিত কাজে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয়ঃ

বর্তমানের বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনেকে সাথে বসিয়ে তাদের সাথে তাদের স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের যে ফটো-সেশন ঘন্টার পর ঘন্টা চলে, তাও এই বিউটি পার্লারেরই একটি বাই-প্রোডাক্ট বলা চলে। বলা বাহুল্য আগেরকার দিনে এমন বেহায়াপনার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারতোনা। আই-টির যুগে এভাবে বর-কনের ফটো সেশন, একা বা বন্ধু-বান্ধব সহকারে, এবং তা যেভাবে তড়িৎগতিতে ইন্টারনেট ও ফেসবুকের কল্যানে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, তা চিন্তাশীলদের জন্য মাথাব্যাথার কারণ অবশ্যই। ইসলামের পর্দপ্রর্থার মৌলিক বিষয়কে পদদলিত করে যেভাবে আধুনিক হিন্দুয়ানী চালে আগাগোড়া মোড়া বিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের নারীকূলকে আমরা পরপুরুষের সামনে উলঙ্গ করে চলেছি,তাতে ভয় হয় একদিন তা বুমেরাং হয়ে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকেই উলট পালট করে ছাড়বে। এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক কালে লব্ধ আমার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা অপ্রাসঙ্গিক হবেনা। বিয়ের বর-কনের অবারিত ফটোসেশন এবং এর ফেসবুকে বাছ-বিচারহীন আপলোডের ব্যাপারে আমার কঠিন মনোভাবের কারণে আমাকে আমার ফেবু বন্ধুদের কেউ কেউ সম্প্রতি আনফ্রেন্ড করে দেয়, পাছে আমি তাদের বিবাহ-অনুষ্ঠানের ছবি আপলোড নিয়ে কটু কথা না বলি। হলে কি হবে, এমনই এক সংশ্লিষ্টজনের আপলোডকৃত বিয়ের ছবি অন্য কোন ফেবু বন্ধুর কল্যাণে তা আমার দৃষ্টিগোচর হতে আমাকে আনফ্রেন্ড করার পরবর্তীতে ২৪ ঘন্টা সময় ও লাগেনি। কোন কোন সময় এমন কান্ড ঘটে ফেসবুক বন্ধু সে হয়তঃ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় বসে তার ঢাকার বন্ধুকে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত বিয়ের ছবি পাঠাচ্ছে বিয়ের ৪/৫ ঘন্টা পরেই। আমার তাই ভয় হয়, না জানি এমনই এক বর-কনের যুগল ছবি আই-টির কল্যাণে কোন একদিন ইউরোপ আমেরিকার কোন অতিমাত্রায় ব্রাকেটেড নারী-ম্যাগাজিনের কভার স্টোরি হয়ে না আবির্ভূত হয়। হয়তঃ ইতোমধ্যে তা হয়েও গেছে, শুধু আমাদের জানার বাকী।

আমাদের অাপন/নিকটজনের ছবির অপব্যবহারঃ

ফেবুতে আমি মুসলিম নারীদের হিজাববিহীন ছবি আপলোডের ঘোর বিরোধী। একই সূত্রে আমি বিয়ে অনুষ্ঠানের বর-কনের অবাধ ফটোসেশনের ও ঘোর বিরোধী। কারণ এ ছবি শত শত মোবাইল ক্যামেরার কল্যাণে বর-কনের অজান্তেই মুহুর্তের মধ্যে নেট এর মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কথা হলো, নেটজগতে পর্ন-সাইটের রয়েছে রমরমা ব্যবসা। আল্লাহ না করুন, তাদের কোন এক ঘৃন্য মস্তিষ্কের অধিকারীর হাতে পড়লো আমারই কোন আত্মীয়ার অবগুন্ঠনহীন সুন্দর ছবি। বেশ আর যাবে কোথায়। ফটোশপের কল্যাণে সে ঐ ছবির মস্তক হতে থুতনি অবধি অংশ কেটে পর্ন-সাইটের কোন বেশ্যানারীর নগ্ন দেহের সাথে জুড়ে দিলে, তার পরবর্তী অবস্থা কল্পনা করতেই গা শিউরে উঠে। আমি কোন কল্পনার কথা এখানে বলছিনা। বলিউডের অনেক নায়িকার সাথে এমনটি অলরেডি ঘটেছে এবং তা পরবর্তীতে কোর্ট কাছারী পর্যন্তও গড়িয়েছে। তবে, বলিউডের নায়িকাদের তো নিজেরই কোন ঠিক ঠিকানা নেই। কোর্টে গিয়ে নামকাওয়াস্তে মানহানির মামলা দিয়ে কিছু হাতিয়ে নেয়া ছাড়া তাদের আর কোন উদ্দেশ্যও তেমন থাকেনা। কিন্তু আপনার/আমার বোন/ভাগ্নীদের সাথে যদি এমনটি হয়, তাহলে সেদিন কি আমাদের মূখ লুকাবার স্থান থাকবে। এমনও তো হতে পারে যে কোন অসৎ লোক এমনটি করে সে ছবিটাকে সদ্য বিবাহিতার শ্বশুরপক্ষের কারো নিকট পাঠিয়ে দিলো ব্ল্যাকমেইল এর উদ্দেশ্যে আর লাখ/কোটি টাকা দাবী করে বসলো। সাথে এমন কাহিনী ফেঁদে দিল যে এই মেয়ে এমন/এত এত লোকের সাথে তার গোপন সম্পর্ক.....। আজকাল তো আবার তথাকথিত নারী স্বাধীনতার যুগ। তাই স্কুল কলেজে সহ-শিক্ষার কল্যাণে ছেলে-মেয়েদের মাঝে প্রেম ভালোবাসার নাটক চলে হরদম। তো, কোন এক যুবতীর বিয়ে হয়ে গেল তার বাবা-মার ইচ্ছা অনুযায়ী। কিন্তু তাকে তার কলেজের কোন ছেলে মনে মনে চাইতো বা ভালোবাসতো। এখন সেই ছেলেটি আশাভঙ্গ হয়ে ফেসবুকে প্রাপ্ত সদ্য প্রেমিকার ছবি নিয়ে শয়তানের প্ররোচনায় সে একইভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে পিছপা হবেনা।

তাই সময় থাকতে আমাদের সবার সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত।

একটুখানি ভাবা উচিতঃ

কেন আমরা আমাদের সন্তানদের বিয়ে বিউটি পার্লারের বা ফটোসেশনের বাইরে চিন্তা করতে পারছিনা? আমাদের কি পরকালের ভয় নেই? মহান আল্লাহ নারী-পুরুষের পর্দা পালনের ব্যাপারে আল কোরআনের পাতায়, বিশেষত: সূরা নূরের ৩০ ও ৩১ নং আয়াতে কি বলেছে, তা যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করি তাহলে আমরা আমাদের নারীদের পর্দাহীন এই বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা ও ফটোসেশনের কথা চিন্তাও করতে পারিনা। দেখা যাক আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ কি বলেনঃ

৩০.) নবী! মু’মিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে।এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি। যা কিছু তারা করে আল্লাহ‌ তা জানেন।

৩১.) আর হে নবী! মু’মিন মহিলাদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া (অর্থাৎ হাতের কব্জি, পায়ের পাতা)। আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে। তারা যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়া স্বামী, বাপ, স্বামীর বাপ, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, নিজের মেলামেশার মেয়েদের নিজের মালিকানাধীনদের, অধীনস্থ পুরুষদের যাদের অন্য কোন রকম উদ্দেশ্য নেই এবং এমন শিশুদের সামনে ছাড়া যারা মেয়েদের গোপন বিষয় সম্পর্কে এখনো অজ্ঞ। তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেবার উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে।.........."

প্রথম আয়াতে তো পুরুষদেরকে সাবধান করা হয়েছে তাদের দৃষ্টি নত করতে বলে। অথচ, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এই শিক্ষিত(?) পুরুষরা দৃষ্টিকে শুধু উঁচিয়েই রাখে না বরং তারা সেই দৃষ্টির সামনে ক্যামেরার লেন্স দিয়ে আরো বেশী গুনে দৃষ্টিকে পরনারীর দিকে প্রসারিত করছে এবং আরো একধাপ এগিয়ে ছবি নিয়ে সেই ছবিকে নেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেখুন, কোরআনের আয়াতকে অমান্য তো করছেই বরং তার চাইতে বেশী এগিয়ে অমান্য করছে। আর এভাবে ছড়িয়ে দিয়ে তারা আয়াতের পরবর্তী অংশ অর্থাৎ "তোমাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করোর" প্রতিও বৃদ্ধৃঙ্গুষ্টি দেখিয়ে, নেটে সেসব ছবি ছড়িয়ে দিয়ে অপর পরপুরুষের লজ্জাস্থানে সুড়সুড়ি দেবার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করছে।

আর সূরার ৩১ নং আয়াতে নারীকে সম্বোধন করে যে নির্দেশ সেটিও লক্ষ্য করুন। এখানে নারীকে পর্দার ব্যাপারে যে নির্দেশ তা কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নয়, বরং তা সবসময়ের জন্য। সে হিসেবে বিয়ের অনুষ্ঠানে যদি কনে বা তার নারী আত্মীয়রা বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে খোলাখুলি ষ্টেজে পরপুরুষের সামনে ফটোসেশনে পোজ দেয় তাহলে এটা তো কোরানের নির্দেশের শুধু বিরোধীতাই নয়, চরম বিরোধীতা। যেখান সাধারণ অবস্থায় সাজ-সজ্জা উম্মুক্ত করতে মানা করা হয়েছে, সেখানে বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য তারা বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজ সজ্জাকে আরো চোস্ত করে নিয়ে তারপরে তা উম্মোচিত বা সাধারণের দর্শনের ব্যব্স্থা নিশ্চিত করছে। চিন্তা করুন, এমন ভূমিকায় নেমে বিয়েতে কোরআনের এই নির্দেশের পক্ষে কাজ করছে কনে ও তার অভিভাবকরা নাকি বিপক্ষে? রোজ হাশরের দিন এজন্য শুধু কনেই দায়ী হবেনা, বরং কনের বাপ, ভাই, ও আরো অন্য গার্জেন সবাইকেই দায়ী করা হবে এ নির্দেশ অমান্যের জন্য। আর ফলস্বরূপ বিচারটা কি হবে তা না বললেও চলে।

মহান আল্লাহর নিকট আমরা তাঁর নির্দেশ অমান্যে শয়তানের প্ররোচনার কবলে পড়া থেকে পানাহ চাই।

বিষয়: বিবিধ

২১৭৩ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339675
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:০১
হতভাগা লিখেছেন : আগের চেয়ে বিয়ে এখন জাঁকজমক ভাবে করা হলেও বিয়ে ভাঙ্গার হারও আগের চেয়ে এখন অনেক বেশী.

এসব বিয়েতে খরচও করা হয় লোক দেখানোর জন্য এবং ছবিও তোলা হয় সাজের বহর দেখানোর জন্য । সাজগোজের জন্য যে ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে তার ব্যাপকতা বিশাল এবং এর শেকড় বহুদূর পর্যন্ত তা বিস্তৃত ।

নিজেকে হাজির করতে কে না ভালবাসে এবং এই জাহির করার সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে বিয়ের মত এরকম সামাজিক অনুষ্ঠান ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৫১
281077
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। আল্লাহর হুকুম অমান্য করে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে নিজেকে প্রদর্শনীর বস্তু বানাবার আকাংখার কারণেই আজ সমাজ থেকে লজ্জা শরম উঠে গেছে এবং বিয়েতে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করার পরেও দেখা যায় পরিবারে শান্তি নামক বস্তুটি উধাও হয়ে গেছে। আর এর মূল কারণও হলো নিজেকে, নিজের অস্তিত্বকে জনগনের চোখের দৃষ্টির সামনে অতি অস্বাভাবিকভাবে তুলে ধরে, নিজেকে খেলো বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করা। অন্য কথায় বলা যায়, আধুনিক বিয়ের অনুষ্ঠানটি যেন ফাইভ স্টার হোটেলের ক্যাটওয়াক মঞ্চে মডেল গার্লদের ফ্যাশন শো-এর আর এক অভিনব রূপ। যেখানে ক্যাটওয়াক মঞ্চের মতোই অগুনতি দর্শক আছে যাদের উদ্দেশ্যই হলো রূপবতীদের রূপ গিলে খাওয়া, আছে ফ্লাশ লাইটের আলোয় ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক শব্দ, আছে অগুনতি মোবাইল ক্যামেরা যার মাধ্যমে অনেক নাম না জানা অচেনা পুরুষের ক্যামেরাতেও বিয়েবাড়ীর সুন্দরী ললনাদের ছবি স্থায়ীরূপে গিয়ে জমা হয়(পরবর্তীতে নেটে ছড়িয়ে দেবার জন্য), আছে সেখানে ফ্যাশন শো-য়ের আদলে আরো নানা উপসর্গ। অতএব হিন্দি সিরিয়ালের আদলে মুসলিম মেয়েদের এই বিয়ে অনুষ্ঠান নামক নব উদ্ভাবিত ফ্যাশন শো এর বিরুদ্ধে এখুনি যদি বিবেকবানরা সোচ্চার না হয় তো, এই বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা একদিন বুমেরাং হয়ে আমাদের কৃষ্টি, কালচার আর ঐতিহ্যকে চরমভাবে ধ্বংস করে ফেলবে।
339694
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:১২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একসময় বিয়ে ছিল পারিবারিক ও সামাজিক আনন্দ। এখন কিছু ইভেন্ট ব্যবসায়ির লাভের সুযোগ। আনন্দ আর নাই শুধু প্রদর্শনি।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৫
281078
ইবনে হাসেম লিখেছেন : জ্বি ভাই। এতে স্পষ্টই বুঝা যায়, বিয়ে নামক অনুষ্ঠানকে এনগেজমেন্ট, হলুদ অনুষ্ঠান, গান-বাজনার আসর(অর্থশালীদের) ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রলম্বিত করার পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক কর্পোরেট বিজিনেস এর গভীর ষড়যন্ত্র। আল্লাহ আমাদেরকে এই ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করে দিন, আমিন।
339696
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২২
আফরা লিখেছেন : আপনার লিখাটা পড়ে তো চিন্তায় পরে গেলাম ।একা একা বিয়ে করাই তো ভাল অনুষ্ঠানের ও দরকার নাই তাই সাজুগুজো করতে হবে না পর্দারও খেলাপ হবে না ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৩
281075
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আরে, একা একা বিয়ে কেন? আমাদেরকে খবর দিলে, হাজির হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। পর্দার ব্যাপারটি তখন না হয় আমরাই এনশিওর করবো..
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
281363
আবু সাইফ লিখেছেন : কী সব্বনেশে কথা!!!
বিয়ের সাজুগুজু তো সওয়াবের কাজ,
পর্দার খেলাফ হবে কেন??
পর্দার সাথেও সাজুগুজু করা যায়!!
আর এতে অনেকের অনেক আনন্দ ও অধিকারের প্রশ্ন জড়িত, তাদের বঞ্চিত করবেন কেন??
339735
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৮
ইবনে হাসেম লিখেছেন : "এক সময় ছিল যখন বিয়ের ছবি দেখলেই চট করে বুঝতে পারতাম এটা আসল বিয়ে।
এখন বিয়ে এবং তাকে ঘিরে নানা কর্মকাণ্ড দেখলে হিন্দি মুভি/ সিরিয়ালের দৃশ্য বলে ভ্রম হয়।
এমনকি এটা জান্নাতুল ফেরদাউসের বিয়ে নাকি জয়তি ঘোষের বিয়ে সেটাও ঠাহর করা যায় না!

মজার ব্যপার হচ্ছে, জয়তি ঘোষের বিয়ে আগের মতই আছে,শুধু জান্নাতুল ফেরদাউসের বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন হয়ে গেছে। (সংগৃহীত)
339787
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৫৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আগেকার দিনে বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়ে গেলেই পাত্র/পাত্রীর চেয়ে ছোটদের যে আনন্দোতসব শুরু হতো এখনকার শিশু-কিশোর-তরুণরা তা কল্পনাও করতে পারেনা!!

এখন তো সবকিছুই কৃত্রিম, এমন কি অধিকাংশ শ্বশুর-শাশুড়ীও জামাই/বৌকে অকৃত্রিম ভালোবাসা দিতে পারছেননা সামাজিকতার বেড়া কিম্বা আনুষ্ঠানিকতার খোঁয়াড়ে বন্দীত্বের কারণে!!
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৪০
281178
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম ভাই। আপনি যথার্থই বলেছেন। এখনকার দিনে তো বহু ক্ষেত্রে ছোটরা জানেই না কখন পাত্র-পাত্রী নিজেদের পছন্দ করে ফেলেছে এবং কখন তাদের না জানিয়ে বিয়ের কাজটিও সেরে ফেলেছে। সহশিক্ষা বিষবাষ্প আমাদের সমাজটাকে একেবারে ভিতর থেকে খেয়ে খোকলা করে ফেলছে।
339812
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৯
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৪০
281179
ইবনে হাসেম লিখেছেন : কষ্ট করে পাঠ করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।
339822
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:২৯
লোকমান লিখেছেন : আগে কি সুন্দর বিয়া করিতাম থুক্কু বিয়া দেখিতাম। আগে নতুন বউ মাথার উপর এক হাত ঘোমটা টেনে রাখতো আর এখন নতুন বউ স্টেজে উঠে সবাইকে সালাম দেয়।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৫৪
281180
ইবনে হাসেম লিখেছেন : তখন আমার বয়স ১২ কি ১৩ বছর। আমার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ের দিন বরযাত্রীরা এলে প্রথমে আকদ অনুষ্ঠান হলো। অতঃপর খাবারের পালা। এরপর এলো বর-কনের একত্র হয়ে বসে শুভ-দৃষ্টি বিনিময় ও সখা-সখীদের বর-কনেকে মিষ্টান্ন দিয়ে মিষ্টিমূখ করার পালা। তো বরকে কনের কাছে নিয়ে যাওয়ার এ পর্বেই তাকে গেট এ আটকানো হলো কনের কাজিন, সহপাঠী ও ছোট বোনদের দ্বারা। ষোড়শী কন্যার ৮/১০ বছর বয়সের বোন/কাজিন ইত্যাদি। যেমনটি এখন করা হয় বর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আসার সাথে সাথে সাথে কনের বিবাহযোগ্যা সহপাঠী, বান্ধবী, বোন,ভাগ্নী, কাজিন (নারী/পুরুষ) সবাই মিলে। সেকাল আর একালের বয়সের পার্থক্যটা খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন গন্ডগোলটা কোথায়। আর তখন এ গেট আটকানোর সময় বড়জোর ৫/৬ মিনিট। কিন্তু বর্তমানে এ সময়টা কম করে হলেও ২০ মিনিট এমনটি অনেক ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশী। এমনকি গেট-মানির পরিমান নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বচসা পর্যন্ত হয়, কারণ এখন যে গেট- দারোয়ানের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে গেট-মানির পরিমান ও বেড়ে গেছে শতগুন...
339837
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:১৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। বিয়ে অনুষ্ঠান হিসেবে যে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করা হয় তা এক ধরনের হিন্দি সিনেমা!!!

রাত ভর নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশায় বরের সাথে যে ভিডিও অনুষ্ঠান করা হয় তাতে ঘৃণ্য ভরে নিন্দা জানানো ছাড়া উপায় নেই।

বিয়ে যদিও পবিত্র একটি বিষয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশের হিন্দু সংস্কৃতি ঘরে তুলে নিজের সংস্কৃতিকে গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। এর প্রতিকার চাই।

সচেতনতা মুলক পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৫৯
281181
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম। বিয়ে অনুষ্ঠানের নব আমদানী করা হলুদ অনুষ্ঠান নিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি যথার্থ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে থাকুন।
339846
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৪৩
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

সামাজিক ব্যধি হিসেবে পরিণত হয়েছে এই ধরণের কিছু বিয়ে কেন্দ্রীভূত কাজ! হিন্দী সিনেমার কল্যাণে এগুলো উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে!

চমৎকার বিষয়ে কলম ধরার জন্য শুকরিয়া! স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন!
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:০৮
281182
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম। এ সামাজিক ব্যাধি এখন আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে ক্যান্সারের মতো জেঁকে বসেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানের পবিত্র অংশ (আকদ অনুষ্ঠান) যদি হয় ৮/১০ মিনিট, তো অপবিত্র অংশ তথা পার্লারে গিয়ে স্টেজে সবার সামনে বসার উদ্দেশ্যে সাজগোজ করা ও অবাধ ফটো-সেশনের সময় গড়ায় ২/৩ ঘন্টা। এমন বিয়েতে মহান আল্লাহ কি রহমত পাঠাবেন না লানৎ পাঠাবেন তা খোলামন নিয়ে ভাবলে যে কেউ অনুধাবন করতে পারবে। আমাদের মসজিদগুলোর ইমাম সাহেবরা এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে পারেন। কিন্তু তাঁদের ভূমিকাও অত্যন্ত নৈরাশ্যজনক।
১০
339858
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:৪০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : হিজাববিহীন হোক আর হিজাব দিয়ে হোক ফেবুতে মহিলাদের ছবি পোস্টের বিরুধী আমি।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:১৪
281183
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আমি আপনার এই মনোভাবকে সম্মান করি। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এমন কাজ না করাই উচিত। অনেকে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে থাকেন যে আমি তো আমার মাহরামদের জন্য ছবি আপলোড করে থাকি। কিন্তু ফেবু যে একটা খোলা ময়দান এবং যে কোন সময় হ্যাকারের কল্যাণে এ ছবি লিক্ করে দুনিয়াময় হয়ে যেতে পারে এ ব্যাপারটি তাঁরা মনে হয় বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকেন। শুধু হ্যাকার কেন, ধরুন কোন মহিলার মাহরাম পুরুষ ফেবু বন্ধু আছেন। তো এ পুরুষ বন্ধুটির কলীগ বা অন্যভাবে আরো দেশী-বিদেশী বন্ধুও আছেন ফেবুতে। আরো ব্যাপার হলো এ মাহরাম পুরুষটি দ্বীন পালনের ব্যাপারে অত্যন্ত গাফেল। তো ইনার মাধ্যমেই তো ঐ মহিলার ছবি নেটময় ছড়িয়ে যেতে সময় লাগবেনা বেশীদিন। আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দিন, আমিন।
১১
339894
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৪১
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
281384
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অনেকদিন পর একটা স্টিকি পোস্ট পেলাম। সেটার জন্যও ধন্যবাদ পাওনা রইলো।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:০৭
281689
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হাহাহা....বাসী হয়ে গেল ...তবুও স্টিকি শুভেচ্ছাHappy
১২
339895
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আগে মানুষ দেশী মুরগীর ঝোল খেতো!
এখন ফার্মের মুরগীর রোষ্ট খায়!
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
281383
ইবনে হাসেম লিখেছেন : মন্তব্যখানি আপনার প্রো-পিক এর মতই কিউট হয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য।
১৩
339899
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:১২
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : - আগের বিয়ের দিনে নববধুরা কান্না করত, চিরদিনের তরে বাপের বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে বলে। বর্তমানে গায়ে হলুদের রাতে নববধু তার বান্ধবীদের নিয়ে মশায় কামড়ানোর স্টাইলে নাচে!

- আল্লাহর রাসুল (সা^) হাদিস, 'যে বিয়েতে অপচয় হবে বেশী, সেই বিয়েতে প্রচুর সংখ্যক ফেরেশতা আল্লাহর দরবারে লানত দিতে থাকে, যাতে করে নব দম্পতি অসুখী হয়ে যায়'।

- আজকালকার বিয়েতে বেশী সংখ্যক অপচয় হয়, আর বেশী সংখ্যক বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এরা ফেরেশতাদের লানতের ফল।

- আজকালকার বিয়েতে মুসলমানের কিছুই থাকেনা। এটা আসলে হিন্দুদের বিয়েই হয়। হিন্দী গানের ধুম ধারাক্কায় পুরো বিয়ে বাড়ীতে কুকুর পযর্ন্ত টিকে থাকতে পারেনা।

- স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরা আইটেম গান মুখস্ত করে, প্রতিবেশীর বিয়েতে গিয়ে বিনা পয়সায় ভাড়াটি হিসেবে, ভাড়াটিয়া বাইদানির মত নাচে।


আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
281382
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই। আপনার পায়ের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য উদগ্রীব। আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন, আমিন।
১৪
339937
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২৭
পুস্পগন্ধা লিখেছেন :
বিউটি পার্লারের আর একটি বাই প্রডাক্ট হল, এখন ম্যাকয়াপ নস্ট হয়ে যাবে দেখে মেয়েরা আগের মত বিয়ের দিন আর তেমন কান্না কাটি করে না। কারণ কান্না কাটি করলে বরের বাড়ি যেয়ে যে ছবি গুলি তোলা হবে তা সুন্দর আসবে না ....
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪০
281381
ইবনে হাসেম লিখেছেন : কান্নাকাটি না করার অনেকগুলো কারণের মধ্যে আপনার দেয়া উদাহরণটি একটি। তবে আমার মতে সবচেয়ে বড় কারণ হলো বিয়ের মূল অনুষ্ঠানের অঙ্গহানি যাতে না হয় এবং সেখানের ছবি ও ভিডিও তোলায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে। ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য
১৫
339963
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:১৫
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
281380
ইবনে হাসেম লিখেছেন : পোস্টটি পাঠ ও মন্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৬
339983
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২১
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : নাইস পোস্ট। পড়ুন-বিয়ে নিয়ে ইয়ে
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
281379
ইবনে হাসেম লিখেছেন : থ্যাঙ্কস ফর দি কমপ্লিমেন্টস। পড়বো ইনশাআল্লাহ
১৭
339984
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২২
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন, জাযাকাল্লাহ খাইর। মডারেশন প্যানেলকেও ধন্যবাদ জানাই সবার দৃষ্টিগোচর হওয়ার সূযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের বিষয়গুলো বুঝার ও মেনে চলার তাওফীক দান করুক। সকলকে ক্ষমা করুক। আমীন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
281385
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আপনার হৃদয় নিঃসৃত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আবার আসবেন আমার ব্লগে..
১৮
339988
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/6653/MD. HASAN/68788
দাদু ভাই একজন ব্লগারের ইসলাম সম্মত বিয়ে! চারমাস আগে!
এ জমানার বিয়ে পড়ুন উপরের লিংক এ!
ইসলামিক শরিয়ত অনুযায়ী!
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
281388
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে লিংকটি প্রদানের জন্য। সময় করে পড়ে নেব খন।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০০
281389
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ লিংকটি প্রদানের জন্য। কিন্তু লিংকটি যে রাগ করেছে, কিছুতেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩০
281396
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/6653/MD. HASAN/68788
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:২৪
281459
কথার_খই লিখেছেন :
লিংকটি আবার দিলে ভালো হবে.....
১৯
340036
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৪৬
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:২৮
281474
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সামাজিক এই ব্যাধি থেকে মুক্তির পথ নির্দেশনায় দু চারটি কথা আশা করেছিলাম..
২০
340106
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৫
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুবই সুন্দর বিষয়ের অবতারণা করেছেন। ্্একাল এবং সেকাল, দু’কালের বিয়ে অনুষ্ঠাণ দেখার সুযোগ হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৫
281532
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সালাম নিবেন। আপনার উতসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য এবং উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ গ্রহন করুন।
২১
340117
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৫
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৬
281533
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আপনার ভালো লেগেছে জেনে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ্
২২
340170
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩৯
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়া কেমন আছেন? ব্লগে বসা হয়না। আপনার লেখা দেখে ঢুকলাম। বিয়ে বিষয়ক লেখা এড়িয়ে চলি যাইহোক লেখাটা সাজানো, গোছানো আর আপনার মতামত তুলে ধরেছেন ভালভাবে। আসলে যান্ত্রিকতা আর বস্তুবাদ মানুষকে শিখিয়েছে শুধু লোক দেখানো জাকজমক যদিও আশ্চর্যের বিষয় এই জাকজমক, লোকদেখানো মানষিকতা ইত্যাদির পরেও চাহিদা কমেনা, বরং আরো বাড়ে আর তাতেই ভেসে যায় সংসার, বিয়ে সব কিছুই। আরোণ্যে রোদন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৪৫
281630
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো। যাক, আমার লিখাটি এক দুই করে আপনার মতো কিছু ভাই বোনের ঘুম ভাঙ্গাতে সহায়ক হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। আপনি ঠিক ধরেছেন, যান্ত্রিকতা আর বস্তুবাদ মানুষকে তার আখিরাতের অনন্ত জীবনের কথা ভূলিয়ে দিয়ে দুনিয়ার অস্থায়ী জীবনের জাঁকজমক আর লোক দেখানো মানসিকতার দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে পঙ্গপালের মতো। ওরা ভেবেই নিয়েছে, দুনিয়াটাই যেন ওদের সব, আখিরাত বা পরকাল বলে কোন কিছু মনে হয় তাদের ডিকশনারীতে নেই। আর এজন্য বহুলাংশে দায়ী আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা। আরো দায়ী আমাদের সে সকল পরিবার, যেখানে মা বাবারা তাদের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দানের প্রাথমিক দায়িত্বটাকেও অবহেলা করে সন্তানদেরকে দুনিয়াবী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলাকে প্রাধান্য দিয়ে চলছে। আল্লাহর নিকট মুসলিম জাতির এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি কামনা করছি।
২৩
340186
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৯
আবু জারীর লিখেছেন : আমাদের দেশের মুসলিম বিয়ে অনুষ্ঠান গুলো সবচেয়ে বেশী পৌত্তুলিক্তার শিকার। এ থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়ার আন্দলন শুরু করতে হবে।
ধন্যবাদ।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৩৯
281629
ইবনে হাসেম লিখেছেন : জ্বি ভাই, আমি সহমত। ধর্মচর্চাহীন চাপিয়ে দেয়া ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের এটাই ট্রেন্ড যে মানুষ ভোগবাদিতার শিকার হয়ে পড়ে এবং গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়। দুনিয়োর সুখ ও আনন্দ খুঁজতে গিয়ে আখেরাতের কথা বেমালুম ভূলে বসে এবং এরই সুযোগ গ্রহন করে দুনিয়া নিয়ে যারা কারবার করে তারা, আর স্বভাবতঃই তাদের কারবারের সহজ টার্গেট হয় ফেয়ার সেক্স তথা বিচার বুদ্ধিতে শর্ট আমাদের নারীকূল। আর এজন্যই একদা বড় লোকের আলসে বিয়ের কনেদের সাজানোর দায়িত্ব নেয়া বিউটি পার্লারগুলোর দিকে ক্রমে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ললনারাও পঙ্গপালের মতই ধাবিত হচ্ছে মেক আপ করার জন্যে, বিয়েতে পরপুরুষের এবং অন্যপক্ষের নর নারীদের যৌনদৃষ্টির খোরাক হবার উদগ্র আকাঙ্খা নিয়ে। বিয়ের কনে সাজানো নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এখন তা ক্রমে কনের, বোন, ভাগ্নী,সখী এমনকি মা খালাদেরকেও তার ব্যবসার সহজ টার্গেট এ পরিণত করে ফেলেছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন এ থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়ার আন্দোলন শুরু করতে হবে, এবং তা শুরু করতে হবে অনতিবিলম্বে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File