ইসলাম বিদ্বেশীদের অভিযোগ: "ইসলাম যুদ্ধবন্দী নারীকে ধর্ষণের নির্দেশ দেয়" সাদাচোখে সত্যতা যাচাই। (পর্ব ১)

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:১৩:০৫ রাত



উইকিপিডিয়ার দেয়া তথ্যমতে- ইজরাইল, আমেরিকা, বৃটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, গ্রীস, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, ভারত সহ অধিকাংশ অমুসলিম দেশগুলির আইনে ধর্ষণের শাস্তি হল, সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর (দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন) পর্যন্ত কারাদন্ড ও অর্থদন্ড। ভারতের নতুন আইন অনুসারে, যদি ধর্ষণের পর ভিকটিমকে হত্যা করা হয়, সেক্ষেত্রে ধর্ষক প্রাপ্তবয়ষ্ক হলে তার মৃত্যুদন্ড হতে পারে। এছাড়া চীনের সাম্প্রতিক আইন অনুসারেও, তথ্য প্রমাণাদি ও অপরাধের মাত্রার উপর নির্ভর করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে পারে।

আর মরুভূমির মধ্যযুগীয় ধর্ম- "ইসলামী আইনে ধর্ষণের শাস্তি কি?"

#ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি হল, রজম অর্থাৎ, জনসম্মুখে পাথর মেরে ধর্ষককে হত্যা করা।

ইসলামে যৌনতার অবস্হান কি?

শুধুমাত্র হাজবেন্ড-ওয়াইফের মধ্যকার যৌন সম্পর্ক ছাড়া বাকি সব ধরণের যৌনতা (বিপরীত লিঙ্গ বা সমলিঙ্গের সাথে বা একাকি হস্তমৌথুন) ইসলামী আইনে অবৈধ। আবার নিছক যৌনতা নিবারণের উদ্দেশ্যেও ইসলাম বিয়ে করতে নিষেধ করেছে। (সূরা নিসা: আয়াত ২৪)। এই যৌনতার মাঝেও ইসলাম ন্যায়-অন্যায়ের রেখা টেনেছে। তাই যৌনকাজের সব পদ্ধতিও ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল নয়। স্ত্রীর পায়ুপথে যৌনাচার হারাম (নিকৃষ্ট কাজ ও আল্লাহর অভিশাপ রয়েছে এমন কাজে অংশ নেয়া ব্যক্তির প্রতি)। এছাড়া যৌনকাজের সময় পরস্পরকে গালাগালি দেয়া, কোন অঙ্গ নিয়ে অশোভন কোন কথা বলাও হারাম। হাজবেন্ড ওয়াইফের একে অন্যের লজ্জাস্হানের প্রতি দৃষ্টিপাত করা সুন্নাহ সম্মত নয়। ( রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রীদের ভাষ্যমতে, তিনি কখনো তার কোন স্ত্রীর লজ্জাস্হানের দিক দৃষ্টিপাত করতেন না, তার স্ত্রীরাও তার লজ্জাস্হান দেখতেননা এবং নগ্ন না হয়ে তারা শরীরকে চাদর দ্বারা ঢেকে রাখতেন -মিশকাত- ইবনে আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত হাদিসে, স্ত্রীর যোনীপথের দিকে দৃষ্টিপাত করতে নিষেধ করা হয়েছে)। পুরুষের জন্য তার স্ত্রীর সাথে তার যৌনতার বিষয়ে কোন সংবাদ অন্য কারো কাছে প্রকাশ করা হারাম, তেমনি নারীর জন্যও তার হাজবেন্ডের সাথে তার যৌনতা বিষয়ক কোন সংবাদ অন্যের কাছে প্রকাশ করা হারাম।

মুসলিম হাজবেন্ড ওয়াইফকে যৌন সম্পর্ক স্হাপনের আগে মহান আল্লাহর কাছে একটি বিশেষ দোয়া পড়তে হয় যা নিম্নরূপ:-

হে আল্লাহ!তুমি আমাদের নিকট থেকে শয়তানকে দূরে রাখো (শয়তান মানুষকে অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়) এবং আমাদেরকে যে সন্তান দান করবে তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখো। ( বুখারী, অধ্যায়: ৫৮/বিবাহ, হাদিস নং:৪৭৮৭, পাবলিশার: ইফাবা)

কেন এমন দোয়া? কারণ "সন্তান চাইনা তবে যৌন সম্পর্ক স্হাপন করব নিছক ভোগের জন্য, আনন্দ-ফুর্তির জন্য"- এমন চিন্তাধারা ইসলামে বাতিল। একারণেই ইসলাম বিনা ওজরে আযল হারাম করেছে। আযল কি জিনিস? তৎকালীন আরবের সনাতন জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্হা যেখানে, "পুরুষেরা সন্তান না নেয়ার জন্য স্ত্রী মিলনের সময় যৌনাঙ্গের বাইরে বীর্যপাত করত" কিন্তু ইসলাম তাতে বাঁধা দেয়। রাসূল ﷺ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, এরূপ না করলে তোমাদের কি ক্ষতি হবে? জেনে রেখো, কেয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমণ ঘটবার কথা আছে, ততগুলোর আগমণ ঘটবেই, যদিও পাথরের উপর বীর্যপাত করা হয় (বুখারী, হাদিস সংখ্যা: ৩৮৩২, পাবলিশার: ইফাবা, ৭ম খন্ড)।

তাই আলিমদের ইজতিহাদ হল: দুই সন্তানের মাঝে প্রয়োজনীয় বয়সের ব্যবধান সৃষ্টি করা ও স্ত্রীর শারিরিক অসুস্হতা যার জন্য গর্ভধারণে তার জীবন হুমকির মুখে পরতে পারে- এমন সকল পরিস্হিতি ছাড়া আযল হারাম। কাজেই যৌনতাকে ইসলাম মানব বংশবৃদ্ধির শুদ্ধতম একটি প্রক্রিয়া হিসেবে সমাজে বা মানব মনে দাড় করায় এবং তা থেকে পৃথক করে সকল নোংরামি ও নিছক ভোগ-বিলাসী মনোভাবকে। এজন্যই ইসলামে ব্যভিচার এত ঘৃণিত অপরাধ কারণ তাতে অবৈধ যৌনসম্ভোগ, অন্যের সন্মান হরণ, যৌনতাকে কলুষিত করা ছাড়া সৎ কোন উদ্দেশ্য থাকেনা।তাই বিবাহিত হবার পরেও যদি কোন নারী/পুরুষ অন্য কোন নারী-পুরুষের সাথে ব্যভিচারে জড়ায়, তবে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড আর অবিবাহিত হলে ৮০ টি চাবুকের আঁঘাত। এমনকি যদি মুসলিম মালিকানায় (অভিভাবকত্বে) থাকা দাস-দাসী ব্যভিচারে জড়ায় তবে তাদেরকেও স্বাধীন নারী-পুরুষের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। অর্থাৎ,মুসলিম সমাজে একজন দাস-দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হবে, এটাও ইসলাম বরদাশত করতে নারাজ!! গার্ল ফ্রেন্ড-বয় ফ্রেন্ড সম্পর্ককে ইসলাম কোন চোখে দেখে? একে বলা হয়, জেনা অর্থাৎ, ব্যভিচারের কাছাকাছি যদিও, ব্যভিচারের ঘটনা না ঘটে থাকে।

এখন প্রশ্ন হল, "যে ইসলাম ধর্ষণ ও যে কোন ধরণের অবৈধ যৌনাচারের ব্যাপারে এতটা কঠোর অবস্হান নেয়, এমনকি হাজবেন্ড-ওয়াইফের গোপন যৌন সম্পর্কের মাঝেও হস্তক্ষেপ করে তার মাঝে স্পষ্টভাবে হালাল-হারামের সীমারেখা টেনে দেয়, সেই ইসলামের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ তোলা হয়, "ইসলাম যুদ্ধবন্দী নারীদের ধষর্ণের নির্দেশ দেয়" তখন তা কতটুকু সত্য হিসেবে মেনে নেয়া যায়??????

দুঃখিত! ইসলাম বিদ্বেশীদের সুক্ষ্ণ মিথ্যাচারগুলো দেখে লজ্জার মাথা খেয়ে এসব কথাগুলো আজ বলতে বাধ্য হয়েছি।

চলবে_______________________(ইনশাআল্লাহ)

বিষয়: বিবিধ

২১৪৩ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366878
২৪ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৪:৫২
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাল বিষয়ে হাত দিয়েছ। চালিয়ে যাও৷ আমাদের রসুল সঃ ও এবিষয়ে লজ্জ্বা করেননি বরং সকলকে শাক্ষা দিয়েছেন৷ আর নিন্দুকেরা অনেক কিছুই বলবে৷ বলতে দাও। শুভেচ্ছা নিও৷
২৪ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৩২
304457
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : চাচাজান ব্লগের অধিকাংশই আমার বয়সে বড়, অনেকে ভাইবোনের মত তাই এসব কথাগুলো বলতে কেমন জানি অস্বস্হি লাগে। আবার কারো কারো অভ্যাস আছে এসব লেখা দেখলে রসিয়ে কসিয়ে সেটাকে নিয়ে অশ্লীল ইঙ্গিত শুরু করে, লেখককে বিব্রত করে। তাই একটু তো বেমানান লাগেই। জাঝাক আল্লাহ Good Luck Good Luck
366880
২৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৬:০৫
তট রেখা লিখেছেন : সুন্দর বিষয়, চালিয়ে যান। মুসলিমরা আজ মূলতঃ সম্মিলিত প্রপাগান্ডার স্বীকার, আর এই প্রপ্পাগান্ডায় ডোলের বারি মুসলমানেরাই (তথাকথিত) দিচ্ছে। দাজ্জাল নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব-ব্যবস্থায় এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায়না।
২৪ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৩৭
304458
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : যথার্থই বলেছেন শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সুদূরপ্রসারী। মিথ্যাকে বারবার প্রচার করে তাকেই তারা সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, গায়ের জোড়, মুখের জোড় সব পথ তারা ধরবেই। আর তাদের টার্গেট এসব মিথ্যাচার দিয়ে মুসলিম নারীদের ইমোশোনালি ধোঁকা দিয়ে লাইনচ্যুত করা। এমন কিছু লেখা যখন আমি প্রথম পড়ি, তখন আমিও ভাবছিলাম, সত্যিই কি ইসলাম এমনই? আমাদের সমস্যা হল আমরা জানিনা, জানার চেষ্টাও করিনা। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া
366881
২৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৬:২৪
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, Love Struck

কিছু বিষয় আগে ই জানতাম, তোমার লিখায় তা আবার ক্লিয়ার ভাবে জানলাম। ;Winking

জাঝাক আল্লাহ খাইরান।

আমার মনে হয়, স্বামী স্ত্রীর যৌন বিষয় গুলো নিয়ে, এই ধরনের আলোচনা খুবই জরুরি ,
অনেকের ই অনেক কিছু জানার ইচ্ছা থাকে,
কিন্তু গোপন বিষয়, তাই লজ্জায় কারো কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারে না। Good Luck Good Luck Crying

রাগ বুঝি একটু কমলো?? Thinking
কথায় আছে ,
"রেগে গেলে তো হেরে গেলে "
এই দেখে আজ ঠান্ডা মাথায় কি ভালো একটা লেখা
শুরু করতে পেরেছো,
বাকি টুকুতে ও যেন এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে
সেই প্রার্থনায়। Good Luck
২৪ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৪৮
304459
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। এসব বিষয়ে পুরুষদের উচিত পুরুষ আলিমদের সাথে বসা ও কুরআন-সুন্নাহ এর আলোকে লিখিত নির্ভরযোগ্য এই সংক্রান্ত বইপুস্তকগুলি পড়া আর নারীদের উচিত নারী আলিমদের সাথে পরামর্শ করা ও একইভাবে এই সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য বই পুস্তক পাঠ করা। এসব ব্যাপারে পাবলিক প্লেসে নারী পুরুষে এভাবে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত হবেনা কারণ তাতে মন মানষিকতায় বাজে প্রভাব ফেলবে তাই এটি সঠিক হবেনা। আমি আমার মূল টপিককে গ্রহণযোগ্য করার জন্য ভূমিকায় এত কিছু টেনেছি।
রাগটা আসা স্বাভাবিক যারা নিজেদের ইসলামী মানুষিকতার ব্লগার মনে করে, তারা কেন জানি গা বাঁচিয়ে চলতে ভালবাসে। বিতর্কিত জিনিসগুলি নিয়ে কখনো কথা বলতে চায়না যার কারণে ইসলাম বিদ্বেশীরা যখন এসব মিথ্যাচার প্রচারের জন্য নিত্য নতুন ব্লগ বানায়, বই ছাপায়- তখন ইসলামী মানুষিকতার ব্লগাররা অন্যের সমালোচনা, আবেগবাজি, আড্ডাবাজি দিয়ে সময় কাটায় তারা দৃশ্যত কোন সমাধানে যেতে চায়না তাই সাধারণদের মনে ইসলাম বিদ্বেশীদের কথায় বিভ্রান্তি তৈরী হয়।
হুম যদি ভূমিকম্পে চাঁপা না পরি, নিশ্বাসটা সচল থাকে তবে তো ইনশাআল্লাহ অবশ্যই শেষ করব। জাঝাক আল্লাহ
366890
২৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:০৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : শিরোনামে একটু ইয়ে.... আছে।
চিপায় চাপায়!
আগের লেখাটা সরিয়ে ফেলার কারণ কি শুধুই কারও কারও কষ্ট অনুভূত হওয়া নাকি নাকি কারও মন্তব্য হজম করে উঠতে না পারা?
আযল করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, নিষেধ করেনি। আর নিরুতসাহ এমন কাজ যা না করলেই নয়। সর্বশেষ রাস্তা। তবে কেউ যদি করেও উদ্দেশ্য হতে পরিষ্কার, যা আপনি বলার চেষ্টা করেছেন।
আজকাল আসল পুরুষ হয়ে উঠার যে উপাদান বাজারে বিক্রি হয়, তাই আযলের মডার্ণ ভার্সন। তখন যে উদ্দেশ্যে আযল করা হত, এখন উদ্দেশ্যটা ভিন্ন. যা জোড়াতালি দিয়েও জায়েজ বলা যায়না।
২৪ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:২৯
304456
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : একটু ইয়ে থাকলে সহজভাবে ভুলটা ধরিয়ে দিন। হ্যা! আপনার মন্তব্য ১০০ কিঃমিঃ গতিতে আমার হৃদয়ে আঁঘাত হেনেছে, হাতে ফোঁসকাও পরেছে!!! আমি এই, আমার যোগ্যতা এই- সো ম্যারি মি, এই টাইপ কথা আমার কাছে নিজেকে বিক্রি করার মতই মনে হয় আর তেমন উদ্দেশ্যও ছিলনা। নাহ!আগের লেখাটাকে আমার মোটেও গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি বরং নিজের আবেগের ছেলেমানুষী মনে হয়েছে তাই ওটা রাখিনি। আমি হুঠাট করে নিজের মত কিছু বলে দিইনা।নিজের জানার দূর্বলতা নিয়ে অন্য কেউ আমাকে ভুল প্রমাণ করুক, এটা আমি অপছন্দ করি। ওজর ছাড়া সালাফী আলিমগণ আযলকে হারাম বলেন। আশরাফ আলী থানভী (রঃ)ও একে হারাম বলে মতামত দিয়েছেন। তবে আপনাকে ধন্যবাদ এই কথাটা উঠানোর জন্য আমি এডিট করে মূল জায়গাটা পরিবর্তন করে দিয়েছি। যাইহোক ভাইয়া জাঝাক আল্লাহ সুন্দরভাবে খোঁচা দেয়া, আমার অসঙ্গতি ধরিয়ে দেয়া ও উৎসাহমূলক মন্তব্য প্রদানের জন্য। Good Luck Good Luck
২৪ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:০১
304492
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমিও একটু খোঁচা দেব "আমি হুঠাট করে" এটি কি? Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

366901
২৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১০:২০
'আবদুর- 'রাজ্জাক' লিখেছেন : খুব ভাল লাগলো।
২৪ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৪৯
304460
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এটা কি আপনার ছবি? দেখে তো অনেক স্টাইলিশ মনে হয়!! হাহা! জাঝাক আল্লাহ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।Good Luck Good Luck
366930
২৪ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:২৮
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : বর্তমানে যারা এমন অপবাদ দিচ্ছেন তারা তো রাসূল সীরাত হয়ত পড়েই দিয়েছেন নয়তো বা না পড়ে! আর বিদ্বেষ তো বটেই! রাসূল (সা)কে দেখেও অনেকে ঈমান আনেনি-তাই এধরনের অপবাদ তারাও দেননি। আর এখন দেওয়ার কারণ, অকারণ আমাদের কম-বেশি জানা আছে।
রাসূল (সা) সংক্ষিপ্ত যুদ্ধনীতি (বন্দীদের ব্যাপারসহ) এই :
আদর্শ সেনাপতি হিসাবে তাঁর যুদ্ধ নীতিতে অসাধারণ দূরদর্শিতার প্রমাণপাওয়া যায়। যুদ্ধপরবর্তী যে নৈরাজ্য, লুন্ঠন, হত্যা, লুঠতরাজ, নারী-শিশুদের উপর নির্যাতন, সম্পদহানি, কুকুর দিয়ে বন্দী নির্যাতন প্রভৃতি নিষ্ঠুরতা দেখি আমরা তৎকালীন এবং বর্তমান বিশ্বের সর্বত্রই। রাসূল (সা) যুদ্ধনীতি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। বৃদ্ধ, নারী, শিশুদের উপর নির্যাতন করা যাবেনা। বন্দীদের উপর নির্যাতন করা যাবে না। ধর্মস্থান, পর্যটক, অসুস্থ রোগী, পাগল, ভিক্ষুক, সংসারত্যাগী, সন্ন্যাসী, অন্ধ ব্যক্তির উপর আক্রমণ করা যাবে না। কোন লুটতরাজ করা যাবে না। ক্ষেতের ফসল, বৃক্ষাদি ধ্বংস করা যাবে না। কোন কিছু আগুনে পুড়িয়ে দেয়া যাবে না। লাশকে বিকৃত করা যাবে না। প্রতিপক্ষের সাথে ওয়াদা ভঙ্গ করা যাবে না। কোন দুত বা প্রতিনিধিকে হত্যা করা যাবে না। শত্রুর প্রতি অশালীন ভাষায় কথা বলা যাবে না। শত্রুকে তিনটি প্রস্তাব পেশ করতে হবে : ১) ইসলাম গ্রহণ, ২) জিজিয়া প্রদান ও ৩) যুদ্ধ আহ্বান। রাসূল (সা)এর ১০ বৎসরের সামরিক জীবনে প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গমাইল এলাকার শাসক হয়েছিলেন। এই যুদ্ধগুলোতে মাত্র ২৫১ জন প্রতিপক্ষ সৈন্য নিহত এবং মুসলমানদের পক্ষে শহীদ হয়েছিলেন মাত্র ১২০ জন মুজাহিদ। মক্কা বিজয় হয়েছিল বিনা রক্তপাতে। এভাবে রাসূল (সা) এমন যুদ্ধনীতি অবলম্বন করেছিলেন যাতে রক্তপাত কম হয় এবং যুদ্ধ প্রস্তুতিকালে সৈনিকদের থেকে কৌশল নিয়ে পরামর্শও নিতেন, যেমনটি আমরা দেখতে পাই খন্দকের যুদ্ধে হযরত সালমান ফারসী (রা)এর পরিখা খননের ব্যাপারে। রাসূলুল্লাহর যুদ্ধনীতি সম্পর্কে আবু দাউদ শরীফের হাদীস থেকে জানা যায়, হযরত আনাস ইবনে মালেক(রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, (শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়) বিসমিল্লাহ বলে, আল্লাহর উপর ভরসা করে এবং আল্লাহর রাসূলের দ্বীনের উপর অবিচল থেকে রওয়ানা হও। কিন্তু অতিশয় বৃদ্ধ, অল্প বয়সী শিশু এবং নারীদেরকে হত্যা করো না। গণীমতের সম্পদ আত্মসাৎ করোনা। যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ একস্থানে জমা করো এবং সংস্কার-সংশোধন ও কল্যাণের পথ অবলম্বন করো। কারণ আল্লাহ কল্যাণকামীদের ভালবাসেন। তিরমিযী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা) বলেছেন, আল্লাহর নাম নিয়ে যাও এবং তাঁর পথে যুদ্ধ করো। যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করোনা। মৃতদেহকে বিকৃত করোনা এবং কোন শিশুকে হত্যা করো না। যুদ্ধবন্দীদের সাথে ব্যবহার সম্পর্কে আল্ কোরআনে বলা হয়েছে, “অতঃপর হয় অনুগ্রহ করে ছেড়ে দিতে হবে, নতুবা বিনিময় গ্রহণ করে ছেড়ে দিতে হবে-যতক্ষণ না যোদ্ধারা অস্ত্র ত্যাগ করে।” (সূরা মোহাম্মদ-৪) এই আমাদের রাসূলের যুদ্ধনীতি। যার সুমহান নীতির পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধের ময়দানে অনেক শত্রু সৈন্য ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিল। (রাসূল সা. আমার ভালবাসা-গ্রন্থ থেকে)
-মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ সা.এর প্রতি আপনার ভালবাসার প্রতিদান কাল কিয়ামতের দিন দান করুন। আমিন।
২৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
304719
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর তথ্য এটাকে যদি ব্লগ হিসেবে পোস্ট করেন, তবে তা ফলপ্রসূ হবে। আর ভাইয়া তারা ঠিক মত জানেনা, তাই উল্টাপাল্টা বলে, এমন কথাকে আমি সঠিক মনে করিনা কারণ আমার ৫ বছরের ব্লগিয় লাইফের অধিকাংশটাই কেটেছে ইসলাম বিদ্বেশীদের সাথে তর্ক বিতর্ক করে। তারা পেইড এটাই তাদের পেশা তাই তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই মিথ্যাচারের প্রচার করে যাবে। যারা বিরোধীতা করে সত্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করবে, এরা তাদের ব্লগ আইডি বাতিল করবে, হুমকি ধামকি দিবে, নিজেদের পোস্টে ব্লকড করে রাখবে যেন তারা কিছু বলতে না পারে- যেন মনে হয়, ইসলামিক মাইন্ডের লেখকদের আসলে এসব জবাব দেয়ার মত কথা নেই কারণ ইসলাম বিদ্বেশীরাই সত্যবাদি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:৩১
304729
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আপনার চোখে পড়েনি হয়তোবা-এটা আমি ১২ নভেম্বর ২০১৫তে পোস্ট করেছি।
দেখতে পারেন : http://www.bdeditor.net/blog/blogdetail/detail/11098/MinhazMasum/71390#.VyB3hdR97IV
-ধন্যবাদ আপনাকে।
366951
২৪ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৩
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সত্য কথাগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
২৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
304720
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনাকে দেখলেই অনেক ভাল লাগে। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
366965
২৪ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:০৭
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আগের পোষ্টটি কেন মুছে দিয়েছেন? আমার মন্তব্যের কারণে নয় তো!

আসলে আপনার পোষ্টগুলো পড়লে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। ষ্টাডি করেও পাওয়া যায়, তবে প্রবাসে বসে ষ্টাডি করার মত সময় ও সুযোগ অনেকটা কঠিন।

আপনার কষ্ট হলেও আপনার লিখার কারণে যে অনেকের উপকার হচ্ছে, তার ছাওয়াবের অংশতো কাউকে দিবেন না। তাহলে কষ্টটা অন্য দিতে চান কেন?

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল, যেন হতাশা কেটে আশার আলোয় জ্বলমলিয়ে উঠতে পারেন। জাযাকিল্লাহ খাইর
২৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
304721
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। ওটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলনা নিছক ছেলেমানুষী তাই মুছে দিয়েছি। আর ভাইয়া আপনাকে উদ্দেশ্য করে কিছুই লিখিনি আমি। দেখুন বিশেষ করে শাহবাগ মুভমেন্টের পর থেকে যেসব ব্লগার ইসলামের পক্ষে দুচার কথা লিখত, তাদের অধিকাংশই আজ আর নেই। কেউ ভয়ে ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছে, কেউবা নিছক ফেসবুক, টুইটার কেন্দ্রীক হয়ে গিয়েছে আর তাদের সংখ্যাও কম। ফলাফলে ইসলাম বিদ্বেশীরা এখন আরো বেশি একটিভ কারণ প্রতিবাদ করার মত ব্লগার নেই। নতুন যারা আসছে তাদের একদিকে জ্ঞানের অভাব, অন্যদিকে অভিজ্ঞতার অভাব। আপনি কি মনে করেন ইসলাম বিদ্বেশীদের সাথে তর্কে জিতা খুব সহজ? মোটেও না। চেষ্টা করুন কিছুদিন দেখবেন আপনি উল্টা নিজেই বিভ্রান্ত হবেন। আমি বা আমার মত দুচারজন ব্লগার যারা এখনো অবশিষ্ট আছে তারা যে আজীবন থাকবে, এর কোন নিশ্চয়তা নেই কারণ সময় সুযোগ সবসময় একরকম থাকেনা। ইসলাম বিদ্বেশীরা বিদেশে থাকুক বা দেশে তারা টাকা পায় এসব লিখে। কাজেই এটাই তাদের জীবিকা এটা তাই তাদের অন্যকিছু নিয়ে ভাবতে হয়না তারা ২৪ ঘন্টা কম্পিউটার নিয়ে পরে থাকে, ইসলামের প্রতি ঘৃণা ছড়ায়। পক্ষান্তরে, এমন অনেক ইসলামিক মাইন্ডের ব্লগারের কথা জানি যারা একটা সময় ছিল ইসলাম বিদ্বেশীদের চোখে ত্রাস। তারা ব্লগিংয়ের জন্য নিজেদের পড়াশুনা ঠিকমত চালাতে পারেনি, অর্থাভাবে পরেছে অবশেষে মানবেতর জীবন যাপন করছে, ব্লগিংয়ের প্রতি আরো তাদের ক্ষোভ জমে গেছে। আজ যারা ব্লগে টিকে আছেন, একটা সময় তারাও জীবন জীবিকার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরবেন। তাই নতুন ইসলামিক মাইন্ডের ব্লগার তৈরী না হলে এই লাইনে একটা সময় আপনারা ছিটকে পরবেন। এটা হতাশারই কথা।
জাঝাক আল্লাহ
367226
২৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:১২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট বোন। হাদীসের আলোকে নিন্দুকের নিন্দার সুন্দর জবাব দিয়েছো মাশাআল্লাহ।

শান্ত চিত্তে ধৈর্য সহকারে ইসলামের সেবা চালিয়ে যাও! অন্ধ ও চক্ষুস্মান কী এক? বোন।

মহান প্রভু কাকে সৎ পথ দেখাবেন সেটা একমাত্র তাঁরই এখতিয়ারভুক্ত। আর দ্বায়ীদের কাজ হল তাদের দায়িত্ব পালন করা।

ভালো থাকো আর বোনের জন্য বেশী বেশী দোয়া করিও।
২৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:০০
304718
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপি। এসব লেখা আমার আগেও অনেকেই লিখেছে কিন্তু ওদের মিথ্যাচার তো তবুও দেদারসে চলছেই। আসলে এটাই যে ওদের জীবিকা!! আমি দ্বায়ীনা মোটেও আপি দ্বায়ীদের অনেক কঠোর অনুশীলন করতে হয়, ইসলাম খুব শক্তভাবে ফলো করতে হয়, ওসব গুণ আমার মাঝে নেই। আমি তো কবরে ৩টা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো কিনা? তা নিয়েই শঙ্কিত থাকি। নিজের অক্ষমতায় নিজেই হাবুডুবু খাই। কিন্তু মিথ্যাচার একদম সহ্য করতে পারিনা, আমার জেদ প্রজন্ড বেশি। তোমাকে মিস করি অনেক আপি। আমার জন্য দোয়া করবে।
১২ মে ২০১৬ রাত ০৩:৩৪
306082
সন্ধাতারা লিখেছেন : কষ্ট নিও না ছোট বোন। লিখায় ফিরে এসো।
১০
367474
২৯ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : শুকরান জাঝাকাল্লাহ, অত্যন্ত যুগোপযোগী লেখা হয়েছে। আল্লাহ আপনার লেখনীর শক্তিকে আরো বাড়িয়ে দিন। আমিন
০৪ মে ২০১৬ দুপুর ০৩:০৭
305341
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আল বিরুনী ভাইয়া আপনার উপস্হিতি প্রেরণাদান সব কিছুই উজ্জিবীত করার মত। মহান আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান প্রদান করুক। Good Luck Good Luck
১১
368160
০৬ মে ২০১৬ দুপুর ০১:৫৭
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : যারা নবী (সা) এর নামে অপবাদ ছড়ায় আল্লাহ তাদের কন্ঠনালীর রগকে কর্তন করুন। আমীন।
২১ মে ২০১৬ রাত ০৮:২২
306821
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এরা পৃথিবীতেও সত্যিকার অর্থে খুব শান্তিতে থাকেনা। একটা জিনিস দেখবেন এরা অধিকাংশই জটিল কোন রোগে মারা যায়। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়না অধিকাংশের। আর ব্যক্তি জীবনে খুব সুখী মনে হলেও তা কিন্তু মোটেও সঠিক না। জাঝাক আল্লাহ মন্তব্য প্রদানের জন্য। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File