আদমশুমারির তালিকায় তথ্য সংশোধনের জোর দাবী জানাচ্ছি! (পুরোটা না পড়লে বুঝবেন না কিন্তু)

লিখেছেন লিখেছেন ওরিয়ন ১ ০৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:১৭:১১ সকাল

“৯০% মুসলিমের দেশে হচ্ছেটা কি!!। এত বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভার্সিটিতে দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবি-বোরকার বিরোধিতা করা হচ্ছে!!” নাস্তিক আর বিধর্মীরা ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করছে?

জ্বি ভাই, এভাবে কিছু ইসলাম পন্হীরা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তাদের প্রতিবাদ করছে।

আমি বলি কি, বাংলাদেশে ৯০% মুসলিম এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন ?

কেন? আদমশুমারি অনুসারে তো বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮৯% ই মুসলিম।

জ্বি। আপনি মিথ্যে কিছু বলেন নি। তবে আদমশুমারি মুসলিমদের ছোট একটা তালিকা বলিঃ

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকি, জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, শাহরিয়ার কবির, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সুলতানা কামাল, সারা জাকের, আলী জাকের, দাববাধিকার মিজান, ইমারান এইচ সরকার, এইচ টি ইমাম সহ আরো অনেকে............

উপরে তালিকায় যাদের নাম দেখেছেন এরা সবাই কিন্তু আদমশুমারি অনুসারে এক্কেবারে খাঁটি(??) মুসলিম। আদমশুমারির খাতায় এদের নামের পাশে ধর্মের ঘরে লেখা থাকে ইসলাম!! বাস্তবে যে এরা কী তা মনে হয় কারোই অজানা নয়।

আসলে ৯০% মুসলিম নামক এই মিথ্যে সংখ্যাটার ভিতর আব্দুর রহিম, আব্দুল খালেক, অমুক সিদ্দিক, তমুক রহমান নামের আড়ালে যে কত ইসলামবিদ্বেষী নরপিচাশ লুকিয়ে আছে তার কোন ইয়াত্ত্বা নেই।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, IUBAT-তে দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবি-বোরকা নিষিদ্ধকারী ভিসি আলিমুল্লাহ ও কিন্তু আদমশুমারি অনুসারে হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান নন, আদমশুমারি অনুসারে তিনিও একজন খাঁটি(??) মুসলিম, তিনিও ঐ ৯০% আদমশুমারি মুসলিমের অন্তর্ভুক্ত!!

সো, এবার বাংলাদেশকে ৯০% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ বলবেন নাকি ৫-১০% খাঁটি মুসলিম সংখ্যালঘু দেশ বলবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার!! ( ঈযৎ পরিবর্তিত)

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

348663
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : উক্ত নামগুলি যা লেখায় উল্লেখ হয়য়েছে তাদের মুসলীমনয় এ কথা বলে রেহাই পাবেন না৷ তাহলে এদের কি বলবেন? আইনত এরা মুসলীম৷আমাদের মতই বংশ পরিচয়ে৷ঈদ জুমায় এদের জায়গা সামনে থাকে৷
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৩৫
289403
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ঈমানের বিপরীত অবস্থা হোল কুফর। ​আমাদের মাঝে হাইটলারেন্ট (!) মুসলমানদের বিষয়টি ভালো নাও লাগতে পারে।​ কেউ কেউ ইসলামের প্রকাশ্যে শত্রু, কোরান হাদিছের বিসাগারকারিকেও অমুসলিম বলতে নারাজ। তাদের চোখে আব্দুল লতিফ সিদ্দিক গংরা ঈমানদার হতে পারে, কিন্তু আসলে কি তারা মুসলিম। এ বিষয়ে নিন্মে প্রচলিত কিছু কুফরী তুলে ধরা হলো। কুফরীর বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ​নির্ভযোগ্য অনেক কিতাব রয়েছে, তন্মধ্যে ​আহকামে জিন্দেগী ​অন্যতম, ​পৃষ্ঠা ৬৯ -৭০ দ্রষ্টব্য।

কতিপয় কুফরী:
১) যে বিষয়ে ইমান আনতে বলা হয়েছে তার কোনটি ​অস্বিকার করলে।
২) কোরআন হাদিছের অকাট্ট দলিল দ্বারা প্রমাণিত, যেমন নামাজ, রোজা,পর্দা,হজ ইত্যাদি ফরজ হওয়াকে অস্বিকার করা। নামাজের সংখা বা রাকাত সংখ্যাকে অস্বিকার করা।
৩) কোন মুসলমানকে কাফের আখ্যায়িত করা।
৪) হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল মনে করা।
​৫) দীনি ইলমের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা অবমাননাকর বক্তব্য দেয়া। ​
​৬) দীন বা ধর্মের কোন হুকুমকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা, দাড়ি নিয়ে হাসি ঠাট্রা করা. ইসলামের পর্দা বেবস্থাকে তিরস্কার করা।
​৭) আল্লাহ ও তার রাসুলকে অবমাননা করা বা গালি দেয়া। ​
348667
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫৪
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মুসলমানই নামে মুসলমান ।

জুম্মার নামাজ ,ঈদের নামাজে মান্জা মেরে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসলমান (বাকী ফরয নামাজের কোন খবরই থাকে না )।

মাসজিদে ১০ টাকা দান করতে পারে না তবে শাহরুখদের কনসার্ট দেখার জন্য ২৫০০০ টাকায় টিকেট কাটা মুসলমান ।
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:২৯
289407
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : জ্বি হতভাগা ভাই, সত্যিই আজ আমরা হতভাগা।
348675
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দেশবাসির দোষ দিয়ে তো লাভ নাাই। ওদেরকে ক্ষমতায় বসালে ওরা তাই করবে।
348700
০৬ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৮
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
মুসলমানের জন্য 'সংখ্যা' কোন দিন ইস্যু ছিল না, এখনো নেই এবং আগামীতেও থাকবে না। নবী মোহাম্মদ সঃ মক্কার জীবন দিয়ে তা যেমন প্রমান করেছেন। বদর, ওহুদ,খন্দক দিয়েও প্রমান করেছেন। আবার হুনায়ইনের যুদ্ধে প্রমান করেছেন অধিক সংখ্যক মুসলমান ধর্মের কোন কাজে আসে না - বরং ঈমান ও তাকওয়ার সাথে ন্যায়ের জন্য হকের পথে সর্বোচ্চ লেভেল এর যুদ্ধ করে দুনিয়া নয়, জান্নাত হাসিল করাই মুসলমানের আরাধ্য।

গণতন্ত্র ও দূর্বল চিত্ত আমাদেরকে সংখ্যার প্রতি বড় বেশী নির্ভর করে ফেলেছে। আমাদের পলিসি মেকার রা কোন একসময় গণতন্ত্রকে এজন্যই আকড়ে ধরেছিল সহজ গনিত মনে করে যে এই সব ভূখন্ডে যেহেতু মুসলমানের সংখ্যা বেশী সেহেতু ওনারা নির্বাচিত হয়ে মুসলমানদের অধিকার আদায় করবেন। আর নির্বাচনে অধিক সংখ্যায় ভোট পাবার জন্য এবং পাবলিক ইমেজ রক্ষার জন্য (আল্লাহর কাছে ইমেজ বিনির্মান নয়) অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে জেহাদ এর পরিবর্তে আন্দোলনকে পথ হিসাবে নিয়েছেন। স্বভাবতঃই আজ আমরা (ট্রু ঈমানহীন কিংবা ঈমানের পাওয়ার বিহীন) ধর্মীয় জ্ঞানবিহীন, আন্ডারস্ট্যান্ডিংবিহীন, সংখ্যা নির্ভর এক মুসলিম উম্মাহ হয়েছি - যার কারনের না পারছি ইহকালের বেনিফিট নিতে, না পারছি পরকালের বেনিফিট নিতে।

মুসলিম দের উচিত আদমশুমারী টাইপ - যা কিছু স্যেকুলার সরকারী নীতি দ্বারা পরিচালিত কার্যক্রম আছে - তা প্রতিহত করতে থাকা। ফিজিক্যালী, মৌখিক ভাবে আর না পারলে নূন্যতম ঘৃনা করা উচিত। কারন একটাই - যে সরকার কুফর দ্বারা, শিরক দ্বারা মুসলিম উম্মাহকে চালাতে চাইবে - মুসলিমরা সে সরকার ও তার আদেশ নির্দেশকে মানতে বাধ্য নয়। মুসলমানের কাছে শুধু মুখে নয় রিয়ালিটিতেও আল্লাহ সবার উপরে।
ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File