যারা ঈদ-এ মিলাদুন্নবী মানে না তারা বোকা, বিচার মানি কিন্তু মতবাদ আমার……

লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:৩৩:৫১ দুপুর

যারা ঈদ-এ মিলাদুন্নবী মানে না তারা যারা ঈদ-এ মিলাদুন্নবী মানে না তারা বোকা

বিচার মানি কিন্তু মতবাদ আমার……




গ্রামের ধনী পরিবারের মেধাবী ছেলেটি মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়া শুরু করল। গর্বে যেন তার বুক এক বিগত সামনে চলে এসেছে, কারণ সে মনে করে সে মেডিকেলে ভর্তি হয়েই ডাক্তার হয়ে গেছে। আসলে তাকে ধারণা দেয়া হয়েছিল মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া মানে সে ডাক্তার হয়ে যাওয়া। সে সূত্রে মূলত তার কোন দোষ নেই বটে তবে যারা বিষয়টি বুঝে তারা আড়ালে মুচকি হাসে। একজন বন্ধু সাহস করে তাকে বলল, তুমি ডাক্তার হও কেমনে? তুমি তো সবে মাত্র ভর্তি হয়েছো! ডাক্তার হতে হলে তোমাকে অনেকগুলো সেমিস্টার পাস করতে হবে। অনেক কষ্টসাধ্য সিলেবাস শেষ করতে হবে। রাত দিন, টানা ৬/৭ বছর শুধু পড়েই যেতে হবে। হাতে কলমে শিখতে গিয়ে তোমাকে প্রেকটিক্যাল করতে হবে। সব কিছুতে মেধার পরিচয় দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে তুমি ডাক্তার হতে পারবে। এর আগে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়া তোমার কোন অধিকার নেই। তবে হ্যাঁ তুমি নিজেকে মেডিকেলের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতে পার।

তিনি ধরার বুকে এসেছিলেন মাহে রবিউল আওয়াল মাসে। মানলাম ১২ই রবিউল আওয়াল তারিখেই যদিও তা নিয়ে এখতেলাফ আছে। তাতেই আমরা অনেক খুশি। খুশি হবো না কেন? তিনি এসে বন্ধ করেছিলেন জাহেলিয়াতের অনেক ভয়ংকর ও ক্ষতিকর নিয়ম কানুন। মেয়ে জন্ম নিলে মাটিতে পুতে ফেলার মত জঘন্য ও নিষ্ঠুর নিয়ম কানুন তিনিই তো বন্ধ করেছিলেন। তিনি মানবতার মুক্তির দূত, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁর জন্মের এই শুভ দিনে আমরা খুশিতে জুলুশ তো করতেই পারি। কারণ আমরা যে তাঁর উম্মত, সুন্নি মুসলমান। হ্যাঁ আমরা মুসলমান।

মেধাবী ছাত্র মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ ডাক্তার পরিচয় দিলে যেমন অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয় তেমনি রাসূল প্রেমিক পরিচয় দিয়ে নিজেকে সুন্নি মুসলমান পরিচয় দিলেও সচেতন মনে কিছু প্রশ্নের উদয় হয়।

তাঁর জন্মই কি সব?

তাঁর কি কোন মিশন ছিল?

তাঁর কি কোন লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল?

তাঁর কি ৬৩ বছর জিন্দেগীতে ২৩ বছর নবুয়তী জীবন ছিল না?

যে কিশোরটি সকলের বিশ্বাসের মডেল হয়ে আল-আমিন উপাদী পেয়েছিলেন তিনি কালেমার দাওয়াত দিয়ে রাতারাতি সকলের শত্রুতে পরিণত হলেন কেন?

কেন তাঁকে নিজের পরিজন ও সাহাবীদের নিয়ে ৩ বছর নির্বাসনে কাটাতে হল?

কি ছিল সেই জীবনীতে? সেগুলো কি সুন্নি মুসলমানদের মানা উচিত নয়? ঐসব না মেনেই মুসলমান?

জীবনী মানেই তো সীরত। যে জীবন মিলাদ বা জন্ম দিয়ে শুরু তা তো সীরাত বা জীবনী দিয়েই শেষ, তাই নয় কি?

তাহলে শুধু মিলাদুন্নবী পালন করে নিজেকে সূন্নি মুসলমান দাবী করলে ঐ মেডিকেলের ছাত্রের মত হয়ে গেল না!

মিলাদে যা শুরু সীরাতে তার পূর্ণতা। মিলাদকে যেমন অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই তোমনি সীরাতকে অবহেলা করলে পরস্পর বিরুধী চরিত্রের প্রকাশ পায়। মূলত যে মিশনের জন্য মিলাদের আয়োজন বা যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জন্ম সে পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার প্রচেষ্টাতেই প্রকৃত সম্মান প্রকাশ পায়। যার আগমনে ঈদের খুশি, তাঁর আগমনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে অবহেলা করলে প্রকারান্তরে তাঁকেই অবহেলা করা হচ্ছে, তাই নয় কি?

সূন্নি মুসলমান হলে রাসূলের পরিপূর্ণ অনুসরণ শতভাগ জরুরী নয় কি? অন্যথায় কিভাবে সূন্নী?

২৩ বছর নবুয়তের জীবনে রাসূল (সাঃ) কি নিজের জন্ম ভূমিতে থাকতে পেরেছিলেন? নাকি কাফেরের অত্যাচারে থাকতে না পেরে হিযরত করেছিলেন?

হিযরত করে তিনি কি ১০ বছর মদিনায় ছিলেন না? তাঁর জীবদ্ধশায় প্রায় ৮৩ টি অভিযান পরিচালিত হয়। তার মধ্যে ২৮ টি সরেজমিন। উক্ত অভিযান সমূহে ১০০০ প্রাণ হতাহত হয়, তারমধ্যে ২৫০ জন মুসলিম, ৭৫০ জন বিরোধী পক্ষের। তাঁর এই জীবনীকে অস্বীকার করে কেউ কি সূন্নী মুসলমান হতে পারে? সম্ভব?

যার জন্মের জন্য এত আনন্দ তাঁর কর্মজীবনকে আমরা কতটুকু মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছি?

তিনি যে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যুদ্ধে আহত হয়ে মাথার রক্ত গড়িয়ে পায়ের মৌজা পর্যন্ত পৌছেছিল তা কি আমরা জানি?

তিনির দাঁত শত্রুর আঘাতে পড়ে গিয়েছিল তা কি আমরা জানি?

তিনি ছিলেন মুক্তির দূত, মানুষের মুক্তির জন্য তিনি কি আজীবন সংগ্রাম করে যাননি?

তিনি কি ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন নি?

আমরা যারা তাঁকে প্রাণের চেয়েও বেশী মহব্বত করি তারা কি রাসূলের সীরাত বা জীবনীকে পুরোপুরি গ্রহণ করেছি? আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর রং-এ রঞ্জিত হয়েছি?

তিনি যাবার আগে কী কী করতে বলেছেন, কী কী করতে নিষেধ করেছেন তা কি আমরা জানি? তা জেনে সে মোতাবেক চলা কি জরুরী নয়?

মুমিনের দুনিয়াবী জীবন ফুল বিছানো? নাকি কাটা বিছানো? এসব প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেকটি সূন্নী মুসলমানের জানা খুবই জরুরী নয় কি?

চট্টগ্রামে আজকে(১৩/১২/২০১৬) জুলুশে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে দেখেছি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক দরদ ও মোহাব্বত। তাদের চোখে মুখে লক্ষ্য করেছি ঈমানের জ্যোতি। আমি জানি সূন্নী মুসলমানরা নামাজের প্রতি খুবিই যত্নশীল, তাদের অনেকেই তাহাজ্জুদ নামায বাদ দেন না। তারা বেশীর ভাগই সহজ সরল ও সাদা মনের মানুষ। তাদেরকে যেভাবে ধারণা দেয়া হয়েছে তাঁরা সেভাবেই বিশ্বাস করেছেন। মেধাবী ছাত্রটিকে যেমন ধারণা দেয়া হয়েছিল সে মেডিকেল কলেছে ভর্তি হওয়া মানে ডাক্তার হয়ে যাওয়া ঠিক তেমনি এখানেও কিছু সুবিধাবাদী বিপদগামী আলেম(!) সাধারণ মুসলমানদেরকে ধারণা দিয়েছেন ঈদে মিলাদুন্নবীতে আনন্দ কর, এতেই তুমি সূন্নী মুসলমান হয়ে যাবে। হয়ে যাবে আশেকে রাসূল।

বিবেকবানদের কাছে প্রশ্ন, ধারণার উপর নির্ভর করে চলা কি ঠিক?

ইসলামে স্বয়ং রাসূল(সাঃ) যা করেন নি, চার খলিফার যুগে যা করা হয়নি, ইসলামের স্বর্ণালী যুগ, রূপালী যুগে যা করা হয়নি আর এখন তো তাম্র যুগও নয়। তা হঠাৎ গজিয়ে উঠা এবাদতের নামে নতুন রসমকেই যতদুর জানি বেদআত বলে।

শয়তান যে আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ করেছিল মানুষকে ধুকায় ফেলে পথভ্রষ্ট করে জাহান্নাম মুখি করবে এখানে তার প্রতিফলন আছে কিনা! ভেবে দেখবেন কি? ক্যান্সার যেমন একজন মানুষকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয় বেদআতও মুসলমানের ঈমানকে সেভাবে ধ্বংস করেরে দেয়।

একজন ঈমানদার মুমিন মুসলমানের ঈমানকে কোরআন দিয়ে এক্স-রে করা দরকার!

সহি হাদিছ দিয়ে ই.সি.জি করা দরকার!

ইজমা কিয়াস দিয়ে সিটি-স্ক্যান করা দরকার!

নিজের বিবেক বুদ্ধি প্রজ্ঞা দিয়ে আলট্রা-সনোগ্রাফী করা দরকার। এতসব পরীক্ষার রিপোর্ট ওকে হলেই আপনার ঈমান সহি। ইসলামী লেবাস পড়লেই নামায-রোজা করলেই পার পাওয়া যাবে না। আবারও বলছি যারা সত্যটি জেনে মেনে চলার মন-মানসিকতা রাখে কেবল তারাই সঠিক পথ খুঁজে পাবে যদি তারা খুঁজে। আর যারা বাপ-দাদার কথা বলে, যারা পীর-মুর্শিদের কথা বলে যারা আত্ম-মর্যাদার কথা বলে, যারা পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা বলে তাদের কথা আলাদা। প্রিয় নবীর কলেমার দাওয়াত পেয়েও শত শত মুশরিক ঐ একই কথা বলেছিল। আসল কথা হচ্ছে আল্লাহ যাদের কবুল করবেন কেবল তারাই সঠিক পথ খুঁজে পাবে। আর তারাই পথ পাবে যারা সঠিক পথ পাবার জন্য চেষ্টা-তদবীর করবেন।

আজকের চট্টগ্রামের জুলুশে আমার মনে হয়েছে ১০লক্ষ+ লোক অংশগ্রহণ করেছে। গাড়িতে চড়ে, পায়ে হেটে এবং রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে এই বিপুল সংখ্যাক আশেকে রাসূল আনন্দ মিছিলে শরীক হয়েছেন। আমার দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ায় আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি আনন্দ মিছিল।

আচ্ছা জুলুশ যেখান থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল অংশগ্রহণ কারীরা সেখানে হাজিরা দিয়ে যার যার ঘরে ফিরে গেছেন? নাকি মিছিলে অংশগ্রহণ করে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত সাথে ছিলেন? নিশ্চয় সবাই একবাক্যে বলবেন শেষ গন্তব্য পর্যন্ত গেছেন। তাহলে মিলাদ বা জন্মের মাধ্যমে রাসূল (সাঃ) এর যে জীবনের সূচনা হয়েছিল সে জীবনের শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করা হবে না কেন? জন্মের জন্য আনন্দ মিছিল হলে ইন্তকালের জন্য শোক নয় কেন? নবুয়তী জীবনের সংগ্রামী জীবনধারা উপেক্ষা করে এ কেমন আশেকে রাসূল (সাঃ)! নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন।

যারা জ্ঞানী, যারা সত্য সন্ধ্যানী, যারা বিদআত থেকে নিজেকে বাঁচাতে চান তাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ আপনারা সরাসরি কোরআন ও সহি হাদিছ থেকে সত্যকে জানুন। কারো সাথে বিতর্কে না জড়িয়ে নিজেই খুঁজে নিন নিজেকে বাঁচাবার পথ। আমি জানি অনেক শিক্ষিত জ্ঞানী লোকেরা এখানে আছেন। তবে এটা নিঃস্বন্দেহে বলা যায় যারা চোখ থাকতে অন্ধ, তাদের কপার মন্দ।

মানুষ এখনও সেই আগের মতই বোকা থেকে গেছে। এখন কোরআন-হাদিছ নিজ নিজ মাতৃভাষায় বুঝে পড়ার ব্যবস্থা আছে অথচ আমরা সেখানে থেকে জ্ঞান না নিয়ে সুবিধাবাদী আলেমদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছি! আল্লাহ নিজেই বলেছেন , ‘পড় তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’ জানতে হলে পড়তে হবে।

কয়েকদিন আগে এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন, মাইকে ওয়াজীন বলছেন যারা মিলাদুন্নবী অস্বীকার করবে তারা জাহান্নামী’। ইমাম সাহেব বললেন আমরা তো মিলাদুন্নবী অস্বীকার করছি না বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অস্বীকার করছি না। রাসূলকে অস্বীকার করলে তো কলেমাকে অস্বীকার করা হয়। কিন্তু রাসূল (সাঃ) ধরায় এসে যে জীবনধারা দিয়ে গেছেন সেটাকে আকড়ে ধরা তো বেশী জরুরী।

আমিও বলব যদি কেউ মিলাদুন্নবী বা নবীর জন্মকে অস্বীকার করেন তারা বোকা। আবার যারা নবীর জীবনধারা বা জীবন চরিত থেকে সরে এসে শুধু মিলাদুন্নবী করে বছরে একদিন নবীর মহব্বত জাগিয়ে তুলে সারা বছর নবীর সূন্নতের বিপরীত জীবন-যাপন করেন তারা আরো বোকা।

আল্লাহপাক আমাদের সকলকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে তা আমল করার তৌফিক দিন, আমিন।

#

বিষয়: বিবিধ

১৫৬২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380691
১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:০৯
হতভাগা লিখেছেন : ঈদে মিলাদুন্‌নবী দিবসটি কি নবীজীর দেশ সৌদি আরবে পালিত হয় ?
১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:১১
315005
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : যতদুর জানি পালিত হয় না।
380701
১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শর্টকাটে বেহেস্ত এর রাস্তা খুঁজেন তারা সেই সঙ্গে হুজুর তো আছেন ই!! প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ থেকে একদিন মিছিল সোজা!!
380714
১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৪:৩৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু পরম শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।

সঠিক দ্বীন থেকে বিচ্যুতির কারণেই এমনটি ঘটছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন।

জাজাকাল্লাহু খাইর।
380747
১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:৩১
নাবীল লিখেছেন : ঈদে মিলাদুন্নবী ভন্ড়দের আবিষ্কৃত একটি পথা।
380816
২১ ডিসেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ওরা কী সুন্নি? আপনি বারবার সুন্নী বলার দরকার কী ভাই?
ওরা নয় সুন্নী, বরং কাদিয়ানী। ভন্ড,বিদআতী।
ধন্যবাদ, যুক্তিপূর্ণ লিখাটির জন্য...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File