লতীফ ছিদ্দিকী ও আবূ জাহেল এই দুই কাফেরের মধ্যে কী অদ্ভুত মিল!!

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:২৩:৩৮ রাত

লতীফ ছিদ্দিকী ও আবূজাহেল এই দুই কাফেরের মধ্যে কী অদ্ভুত মিল!!

লতিফ সিদ্দীকির কাণ্ড দেখে , আজ থেকে চৌদ্দ শত বছর পূর্বে আবু জাহালের অহংকারীর কথা মনে পড়ে গেলো।

মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়। প্রতিটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তারপরও কারাগারে প্রবেশের সময় দায়িত্বপালনরত পুলিশের সঙ্গে তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন।



কারাগারে প্রবেশের সময় পকেট গেট দিয়ে প্রবেশে অস্বিকৃতি জানান লতিফ সিদ্দীকি

জেলে নেয়ার সময় পুলিশ লোকচক্ষুর অন্তরালে পেছনের গেট দিয়ে তাকে কারাগারে নেয়ার কৌশল নিলে লতিফ ক্ষুব্ধ হন। দম্ভোক্তি করে বলেন, ‘আমি রানিং এমপি, আমি কেন মাথা নিচু করে পকেট দিয়ে ঢুকবো। আমি প্রধান ফটক দিয়ে যাবো’।

কারণ, তাতে মাথা নুইয়ে ঢুকতে হবে!! তিনি কি মাথা নোয়ানোর পাত্র!! অবশেষে কারা কতৃপক্ষ বাধ্য হয়েই তার জন্য মেইন গেট খুলে দেন।

দেড় হাজার বছর পূর্বে কাফেরদের লীডার আবু জাহেলও ধরাশয়ী হওয়ার পর ঠিক একই ধরণের নাটক করেছিল।

মুসলিম কিশোরের তরবারীর আঘাতে যখন সে মৃত্যুর প্রহর গুনছিল, আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা: দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করার জন্য তার বুকে চেপে বসেন। তখন আবু জাহেল তার মাথাটা একটু ঘাড়ের দিকে দাবিয়ে কাটার অনুরোধ করেছিল। যেন যুদ্ধে নিহত অন্য সব কাফেরদের সারিবদ্ধ মাথার মধ্যে তার মাথাটি একটু বড় দেখা যায়, আর বুঝা যায় এটা লিডারের মাথা!!

মক্কার আবু জাহালের সাথে বাংলাদেশের আবু জাহালের মধ্যে ব্যবধান হাজার বছরের, কিন্তু আচরণ ও পরিণতি এক ও অভিন্ন!!

পুরাতন আবু জাহালের ঘটনাটি সহীহ বোখারীতে বর্ণিত হয়েছে আর নব্য জাহেলেরটা আজকের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।

আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মাদ , এই ভাষা কাফেরদের, মুসলিমদের ভাষা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ,আব্দুল লতিফ কাফের,মুরতাদ কাফের --মরতাদ

দেশে মুরতাদের কোন শাস্তি না থাকায় নির্ভয়ে দেশে ফিরতে সাহস করলো

এ দেশের মানুষ বরাবরি দেখছে একজন ব্যক্তির জন্য সংবিধান সংশোধন করা হয়, তার ছবি মানার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়। সেই ব্যক্তিকে যেন অবমাননা না করা হয় এজন্য আইন করা হয়েছে। একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুটূক্তি করার জন্য ৭ বছরের জেলে যেতে হয়। একজন ইউনিভারসির্টির শিক্ষক অস্ট্রেলিয়ায় বসে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে জেলে যেতে হয়। এদেশে অতিথি পাখি আসলে এর নিরাপত্তামূলক আইন আছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলামান থাকায় ধর্মীয়ানুভূতির কোনো আইন এ দেশে নেই। ধর্ম নিয়ে যা খুঁশি তাই বলতে পারে।

রাসুলের অপমানে যদি কাঁদেনা তোর মন,

মুসলিম নয় মুনাফিক তুই,

রাসুলের দুশমন"

--- কবি নজরুল

বিষয়: বিবিধ

১২১০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

288089
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৩৩
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : মিল হল দুইটাই জাহেল । চতুষ্পদী জানয়ারের চেয়েও অধম।
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৭
231731
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : া বাস্তব কথাই
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৭
231732
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : া বাস্তব কথাই
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫৩
231735
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া।
288111
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২৫
বড়মামা লিখেছেন : নামটাতো মা বাপে ভলোই রাখছিলো আঃ লতিফ ছিদ্দিকি ।এই কথা বলার আগ পর্যন্ত তাকে মুসলমান হিসাবেই মানুষ যানতো। এখন তার উচিত হবে সরাসরি মিডিয়ায় এসে মহান আল্লাহর কাছে খলেছ দিলে তওবা করে দুনিয়ার সকল মুসলিমের কাছে ক্ষমা বিক্ষা চাওয়া তানাহলে বাছার উপায় নাই।এই মুরতাদের পরিনতি ভয়নক হবে ইন্সা আল্লাহ।
288129
২৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:১৩
শেখের পোলা লিখেছেন : উপসংহারে তফাত হবে৷ আবুজেহেলের গলা কেটে মাথা বড় রাখা হয়েছিল, বাঁচেনি৷ এর গলায় মালাদিয়ে বাঁচার জন্য পাঠানো হবে৷
288140
২৬ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:২৮
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ওরা আবু জেহেলের প্রেত্নাতা।
288159
২৬ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৫
হতভাগা লিখেছেন : লতিফ যে মুসলমানের বাইরে চলে গেছে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।

তবে ..... বাংলাদেশের বোকা মুসলমানদের আবারও বোকা বানালো হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ।

২০০৯ থেকে ইসলাম ধর্মের বিপক্ষেই বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে লীগ সরকার - প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ।

জনগনের কাছে ইসলামবিদ্বেষী হিসেবেই পরিচিতি হয়ে গিয়েছিল তাদের । তার উপর তথাকথিত সেক্যুলারদের তারা ভালই পেট্রোনাইজ করে সবসময় ।

কিন্তু ৯৫% মানুষের মন তো হারানো যায় না ! সেটা কিভাবে ফিরিয়ে আনতে হয় তা হাসিনার চেয়ে ভাল আর কেউ পারে না ।

তাই লতিফ কার্ড ফেললেন দেশবাসীর সামনে । বোকা বাংলাদেশী মুসলমানরা ভালই ঘোল খেল ।

লতিফ আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে কোন নেতা না , অন্তত নাসিম , তোফায়েল এদের মত। একে বাদ দিলে দলের কোন ক্ষতি হবে না বরং একে দিয়ে কাহিনী বানিয়ে নিজেদেরই লাভ হয়েছে।

হেফাজতের মত নামকরা ইসলামী সংগঠনের আলেমেরা লতিফের গ্রেফতারে হরতাল উঠিয়ে নিল।

বিএনপি যে লতিফ কেসকে নিয়ে খেলার জন্য মাঠে নামার একটা ছুঁতো পেয়েছিল তাও হারিয়ে গেল ।

বাংলাদেশের বোকা মুসলমানরা এখন আওয়ামী লীগকে ইসলামের ভাল একটা সুহৃদ বলেই বিবেচিত করবে ।
288235
২৬ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File