শ্রীমঙ্গল বিজিবি বধ্যভূমি ।

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:২২:২৯ সকাল

কানুনগো বাজার হতে আমরা বড়লেখা বাজার এসে হোটলে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে। একটু রেষ্ট নিয়ে চেক আউট করে। মসজিদে গিয়ে আসরের সালাত আদায় করলাম আমি আর রানা ভাই। এর পর সোজা বাস কাউন্টার। বাস এল এক ঘন্টা লেট করে। বিদায় দিতে এসেছিলেন রানা ভাই, বিদায় নিয়ে বাসে উঠে বসলাম।



বিজিবি বধ্যভূমি।

বাসেই মাগরিবের সালাত আদায় করলাম। রাত আটটার দিকে নামলাম শ্রীমঙ্গল শহরে। শাহেদ ভাইকে দিলে তিনি হোটেল নূর ফুডস এ বসতে বললেন। এই রেষ্টুরেন্ট এ গিয়ে মুখ-হাত ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বসে একটু অপক্ষো করতেই শাহেদ ভাই তার মোটর বাইক নিয়ে হাজির।



রাতের খাবার শেষ করে দুই ভাই বের হইলাম হোটেলের উদ্দেশ্যে। কিন্তু কোন হোটলে সিট না পেয়ে আমি হতাশ। কি করা যায় ভাবছি। এমন সময় শাহেদ ভাই দিলেন শতাব্দীর শ্রেষ্ট প্রস্তাব! তার এক বোনের বাড়ী পুরাই ফাঁকা। উনারা লন্ডনে থাকেন। রুমে রুমে এসি লাগানো!



বধ্যভূমির কিছু ছবি।

আলহামদুলিল্লাহ। শাহেদ ভাই গিয়ে একটা রুমে বিছানা ঠিক করে এসি চালু করে দিয়ে দুই বোতল মিনারেল পানি কিনে দিয়ে চলে গেলেন তার বাসায়। আমি গোসল সেরে এশা সালাত আদায় করে দিলাম ঘুম। এক ঘুমে ফজর।



বধ্যভূমিতে শহীদদের নামের তালিকা।

ফজর সালাত আদায় করে একটু অলস সময় কাটালাম। এরপর গোসল সেরে রেডি হয়ে শাহেদ ভাইকে ফোন দিলাম। আটটার দিকে শাহেদ ভাই এলে দুই ভাই একসাথে নাস্তা সেরে। বের হয়ে পড়লাম মাধবপুর লেকের উদ্দেশ্যে।



অনুমতি নাই তাই বিটিআরআই এ প্রবেশ করতে পারলাম না।

শহর হতে বের হওয়ার মুখেই পড়ে বিজিবি বধ্যভূমি। এমন কোন আহামরি জায়গা নয়। তবে এর ঐতিহাসিক মূল্য বিবেচনায় এটার পরিচিতি বেশ। এখানে অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়।তাদের নামের তালিকা সেখানে আছে। তার মধ্যে দেখলাম দুইজন মুসলিম শহীদ আর বাকী সব হিন্দু শহীদ!!!



অল্প সময় বধ্যভূমিতে কাটিয়ে আমরা চললাম মাধবপুর লেকের উদ্দেশ্যে। উচুনিচু টিলা আর চা বাগানের মাঝ দিয়ে রাস্তা চারিদেকে সবুজ আর সবুজ। পথের পাশেই বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র একটু ঢু মেরে আমরা চলতে থাকলাম। সেদিন মন্ত্রী মহোদয় আসবেন বলে আমরা প্রবেশের অনুমতি পেলাম না।



হোটেল গ্রান্ড সুলতান। অপচয় করার মতো টাকা নাই, তাই বাহির থেকে দেখেই চলে আসলাম।

এর পর আবার চলা। গ্রান্ড সুলতান হোটেলের পাশ দিয়ে সোজা জঙ্গলের ভিতর প্রবেশ করলাম। এই জঙ্গল লাউয়ছড়া বনের অংশ বিশেষ।মোহনীয় সেই রাস্তার সৌন্দর্য। বাইক নিয়ে কখনও উচুতে উঠে কখনও বা নিচের দিকে নেমে আমরা চলতে থাকলাম মাধবপুর লেকের উদ্দেশ্যে।

বিষয়: বিবিধ

১১৯৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378216
০৩ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
হতভাগা লিখেছেন : বিজিবি বধ্যভূমি !!! কানেকশনটা কি ? বিজিবি তো পিলখানার ঘটনার পর নামকরণ করা হয়েছিল !

বিডিআর এর ঘটনাটর কথা বুঝাতে চাইছিলেন ?

ঘটনা ঘটেছে ঢাকার পিলখানাতে আর সিলেটেও কি সেরকম কিছু হয়েছিল ?

হিন্দুদের দাহ না করে কেন কবরস্থ করা হয়েছিল - সেটার কারণ কি জানতে পেরেছেন ?

সিলেটে নাকি এমন অনেক আলিশান বাড়ি খালি পড়ে থাকে !
০৪ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১১:০৫
313472
নেহায়েৎ লিখেছেন : মূলত এটা ৭১ এর বধ্যভুমি বলে জানে সবাই। যেহেতু এখন এখানে বিজিবি এর অফিস তাই জায়গার নামানুসারে সবাই বলে বিজিবি বধ্যভূমি। তেমন কিছু না জায়গাটা ফাকা পরেছিল বর্তমানে সাজিয়ে গুছিয়ে সন্দর করছে এই আরকি। না ভাই জানি না কেন কবর দেয়া হয়েছিল। জি এমন বাড়ি সিলেটে শত শত আছে বলে পত্রিকায় পড়েছি। আল্লাহ ভাল জানেন।
378218
০৩ অক্টোবর ২০১৬ দুপুর ০১:০২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : বিজিবি বধ্যভূমির ইতিহাসটা একটু বয়ান করেন। জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।
০৪ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১১:০৫
313473
নেহায়েৎ লিখেছেন : জাষ্ট একটা বধ্যভুমি ভাই ঢাকার রায়ের বাজারের মতো আর কিছু না।
378236
০৩ অক্টোবর ২০১৬ বিকাল ০৫:২৭
মনসুর আহামেদ লিখেছেন :
০৪ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১১:০৫
313474
নেহায়েৎ লিখেছেন : জাঝাকাল্লাহু খাইরান।
378251
০৩ অক্টোবর ২০১৬ রাত ১০:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এবারের পর্বটা একটু বেশি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেল না!! টি রিসার্চ এর পাশের রেললাইন এর জায়গাটা কিন্তু বিখ্যাত। এখানে জুল ভার্ন এর "এরাউন্ড দ্য ওয়ার্লড ইন এইটি ডেজ" অবলম্বনে ১৯৫৬ সালে ডেভিড নিভেন ও শার্লি ম্যাকলেইন অভিনিত ছবির শূটিং হয়েছিল। বধ্যভুমি টা চিনলাম না। নতুন হয়েছে মনে হয়। লাউয়াছড়া সবচেয়ে আকর্ষনিয় কিন্তু ছবি দেখছি না!!
০৪ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১১:০৭
313475
নেহায়েৎ লিখেছেন : জি সংক্ষিপ্ত হাতে সময় ছিল না তাই তাড়াহুড়া করে লিখেছি। সেই শূটিংয়ের কথা আমিও শুনেছি। পরের পর্বে লাউয়া ছড়ার ছবি থাকবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File