বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেলে !!! ফ্যাসীবাদী সরকারের শিকারের তীরটি কী এবার তাহলে বিএনপির দিকে ?????

লিখেছেন লিখেছেন রোজবাড ০৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:০০:৫৩ রাত

কত বাধা, জীবনের উপর হামলা হওয়ার ঝুঁকি সব কিছু উপেক্ষা করে যে লাখো জনতার উপস্থিতি দেখলাম কাল তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই সমাবেশ সরকারের অন্তরাত্তায় প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিয়েছে। সরকার বুঝে গেছে তাদের পেছনে আজ কোন জনসমর্থন নেই।

তাদের শরীক জাতীয় পার্টিও এখন তাদেরকে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায়। ভোটের হিসাবে বড়ো দলগুলো যথা বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি ক্রমান্বয়ে চলে আসছে সমমেরুতে। সঙ্গে বোনাস হিসাবে থাকছে ইসলাম প্রিয় জনতা। আর অন্য দিকে গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামীলীগের সংগ দেওয়ার জন্য রয়েছে কয়েকজন নেতা সর্বস্ব বাম। এদের জনসমর্থন যে এখন শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে তা শাহবাগের তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই বুঝা যায়।

এমতাবস্থায় বিএনপিই হলো সরকারের প্রধান টার্গেট। এটাকে ভেংগে দিতে পারলেই তাদের পরবর্তীতে ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা ক্লীয়ার। যার বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে বিএনপির কোর পর্যায়ের কিছু নেতাকে কারাগারে প্রেরণের মধ্য দিয়ে। এমনিতেই সাধারণ জনগণের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় এই দলটি ওয়ান ইলেভেন ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে এতদিন কর্মী সংকটে ভুগছিল। তার উপর আবার কেন্দ্রীয় নেতাদের কারান্তরীন করে বাকী কর্মীদের মনোবল ভেংগে দিয়ে আসন্ন কালবৈশাখী আন্দোলনকে স্তিমিত করার সরকারের নতুন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। এ যেনো বিএনপির মরার উপর খাড়ার ঘা।

কয়েক বছর ধরে যুদ্ধাপরাধীর মোড়কে মানবতাবিরোধী বিচারের ধোয়া তুলে এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের চটকদার সাইনবোর্ডকে সামনে ঝুলিয়ে দেশীয়, সরকার বান্ধব আদালতের সম্প্রতি দেওয়া বিতর্কিত রায়কে তুরুপের তাস বানিয়ে সরকার যেভাবে জামায়াতের টুটি চেপে ধরেছিল তাতে মনে হয়েছিল এই বুঝি দেশ থেকে জামায়াত শিবির ডাইনোসরের ইতিহাসে রূপ নিতে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের পক্ষে দলবাজ কিছু পুলিশ দিয়ে পাখির মতো গুলি করে গণহত্যা চালিয়েও সেটা সম্ভব হয়নি। উপরন্তু দেশবাসীর মধ্যে জামায়াত শিবিরের সাংগঠনিক দক্ষতা ও ক্ষমতা প্রকাশের এক মহা সুযোগ তৈরী হয়ে গেছে এর মাধ্যমে। এককভাবে সারা দেশে হরতাল দেওয়ার সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে যে জামায়াত শিবিরের কারান্তরীন প্রথম সারির নেতারাও এতদিন সন্দিহান ছিল সেই জামায়াত শিবিরের তৃতীয় ও চতুর্থ সারির নেতারাই এখন নির্ভয়ে এবং অবলীলায় এককভাবে হরতাল ডেকে বসে এবং দেশবাসী বিস্ময়ের সাথে দেখেছে তাদের ডাকা সেই হরতাল কত কঠোরভাবে পালিত হয়েছে।

শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের জনসমর্থন প্রায় শুন্যের কোটায় নেমে আসা এবং জামায়াত শিবিরের বিস্ময়কর সাংগঠনিক দক্ষতায় সরকারের মধ্য শিকারের লক্ষ্যবস্তু নিয়ে নতুন করে ভাবনার সৃষ্টি করেছে। এরপর হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচীগুলোও জামায়াত বান্ধব হয়ে যাওয়ায় সরকারের নিধন পরিকল্পনাতেও কিছুটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। হয়তোবা সেই কারণেই আক্রমণের তীর এখন বিএনপির দিকে ঘুরে গেছে। এমতাবস্থায় বিএনপি যদি দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে তবে বর্তমানের লাখো জনসমর্থন নিয়েও দলটি অদূর ভবিষ্যতে আর নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেনা।

বিষয়: বিবিধ

১২২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File