গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে ভোট দেয়া কি শির্‌ক ?

লিখেছেন লিখেছেন শহীদ ভাই ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৪২:০২ সন্ধ্যা

সকল প্রসংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র।

গনতন্ত্র মানব রচিত বিধান, অর্থাৎ মানুষ, মানুষের দ্বারা শাসিত। যা ইসলাম পরিপন্থি, কারন শাসন কাজ আল্লাহ্‌র, সর্ব সম্মানিত, সর্ব শক্তিমান। আইন প্রনয়ন ক্ষমতা কোন মানুষকে দেওয়া জায়েয নয়, সে যেই হোক।

ম’উসুআত আল-আদ’আন ওয়াল-মাদহাহিব আল-মুয়া’সিরাহ্‌ (২/১০৬৬, ১০৬৭) -তে বলা হয়েছে:

নিঃসন্দেহ ভাবে গনতান্ত্রিক পদ্ধতি একটি আধুনিক পন্থার শির্‌ক, আনুগত্যের ক্ষেত্রে এবং অনুস্মরণের ক্ষেত্রে অথবা এটা সৃষ্টিকর্তার সার্বভৌম ক্ষমতাকে অস্বীকার করে এবং তার একমাত্র আইন প্রণয়নের অধিকার অস্বীকার করে এবং এই অধিকার দেওয়া হয়ে থাকে মানুষকে। আল্লাহ্‌ বলেছেন:

তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো নামের এবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছে (অবৈধ ভাবে), আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না…[সূরা ইউসুফ, আয়াত-৪০]

আল্লাহ ছাড়া কারো নির্দেশ চলে না…[সূরা আল-আন’আম, আয়াত-৫৭]

গনতান্ত্রিক আইন যদি ইসলামের কোন ক্ষতি না করে, তবে তা মানা যাবে। কিন্তু গনতান্ত্রিক আইন যদি ইসলামের ক্ষতি করে তবে তা মানা জায়েয নয়।

ভোট দেওয়া, ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন রকম হতে পারে, ভোট দেওয়ার মাধ্যমে যদি দুই নেতার মধ্য থেকে ভাল নেতাকে নির্বাচনের জন্য দেওয়া হয়, যিনি ইসলামের ক্ষতি করবেন না বা ইসলামকে প্রাধান্য দিবেন বা ইসলাম কায়েম করবেন, এই ক্ষেত্রে এই ধরনের নেতাকে ভোট দেওয়া যাবে।

কিন্তু ভোট দিয়ে যদি কোন ফল না পাওয়ার আশংকা থাকে অর্থাৎ উভয় নেতাই ইসলামের শত্রু বা ইসলামকে প্রাধান্য দেয় না তবে, এরূপ ক্ষেত্রে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আল্লাহ্‌ই সর্ব ক্ষেত্রে ভাল জানেন।

বিষয়: বিবিধ

১৭১২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

179896
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫২
বিন হারুন লিখেছেন : আমার আব্বা একদিন হাটহাজারী মাদ্রাসার নায়েবে মুফতি মরহুম আজিজুল হক সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলেন. "আমাদের এলাকায় দু'জন মহিলা মেম্বার পদে প্রার্থী আমি কি তাদের একজনকে ভোট দিতে পারব?"
তিনি উত্তরে বলেছিলেন "আমি তোমাকে ফতওয়া দেব না, তবে সমাধান দেব. সমাধান হচ্ছে যদি দুজনের মধ্যে যে বেশি খারাপ তাকে পরাজিত করতে দু'জনের মধ্যে যে ভাল তাকে ভোট দাও. এতে খারাপ মহিলাটি তোমার সর্দার হতে পারবে না."
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৩
133012
শহীদ ভাই লিখেছেন : আমিও তাই বলতে চাচ্ছিলামHappy
179901
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
179980
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১৫
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : গনতান্ত্রিক আইন যদি ইসলামের কোন ক্ষতি না করে, তবে তা মানা যাবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪৮
132998
শহীদ ভাই লিখেছেন : ঠিক তাই Happy
180002
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
আহমদ মুসা লিখেছেন : গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ইসলামের রাজনৈতিক পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আমিও কিছু চিন্তা করে আসছি। ইনশায়াল্লাহ সময় মত ধারাবাহিকভাবে কিছু লেখার ইচ্ছা আছে। যদি আল্লাহ তাওফীক দেন।
তবে এখানে প্রাসংজ্ঞিকভাবে এতোটুকুই বলা যেতে পারে- আব্রাহাম লিংকন আর জর্জ ওয়াশিন্টনদের গনতন্ত্রের সংজ্ঞা ও তাদের চর্চিত গনতন্ত্রের নমুনা বর্তমানে তাদের উত্তরসুরীদের মধ্যে বিকৃতভাবেই চর্চা হচ্ছে। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গনতন্ত্রের নমুনাও ভিন্ন ভিন্নভাবে বিবেচিত হচ্ছে। লিংকনের গনতন্ত্রের উত্তরসুরীদের গনতন্ত্রের নমুনা তাদের নিজেদের বেলায় এক রকম। আবার অন্য কোন জাতি বা দেশের বেলায় তারা অন্যভাবেই গনতন্ত্রের সংজ্ঞা ও চর্চার ভিন্নভাবেই শিক্ষা দিচ্ছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ীই সেখানে গনতন্ত্রের সংজ্ঞা ও তার মঞ্চায়ন হচ্ছে। একবার ভেবে দেখুন তো মিশরে আমেরিকানরা মধ্যপ্রাচ্য তাদের মিত্রশক্তির সহায়তায় কোন ধরণের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে? বর্তমান লিবিয়ায় কোন ধরণের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে? আবার আমাদের প্রতিবেশী ভারতেই গনতন্ত্রের প্রেক্টিস ও সংজ্ঞা এবং তার রূপায়নের ক্ষেত্রে অদ্ভুত কিছু নিয়ম চালু আছে! বৃটেনেও গনতন্ত্র চলছে। তাদের গনতন্ত্র আবার ভিন্ন আকৃতির! প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে দুনিয়ার শাসিত মানুষগুলোকে ধোকা দিয়ে স্থান, কাল, গোত্র ও অঞ্চলভেদে শাসকগোষ্টী তাদের ক্ষমতালিপ্সা ও ক্ষমতাকে মনের চাহিদা মত ভোগ করার জন্যই গনতন্ত্রকে ডাল হিসেবে উপস্থাপন করে।
এখন কথা হচ্ছে গনতন্ত্র কি ইসলামসম্মত? নাকি ইসলাম গনতন্ত্রের অন্তরায়?
এই ব্যাপারটিকে যদি সহজবোধ্য ও সঠিক রূপায়নের মাধ্যমে পরিস্কার ধারণা সৃষ্টি করতে পারা না যায় তবে তা নিয়ে বেহুদা বিতর্ক লেগেই থাকবে। এজন্যই আমি গনতন্ত্র বনাম ইসলামের রাজনৈতিক পদ্ধতির মধ্য তুলনামূলক আলোচনার পক্ষপাতী। এখানে যেহেতু মন্তব্য করার জায়গা তাই বেশী লম্বা করা উচিত নয় বিধায় শেষ করছি।
উল্লেখ্য যে ব্লগার মাই নেইম ইজ খান ভাইয়ের পোস্টসহ বেশ কয়েকজন ব্লগারের পোস্টে আমি এ নিয়ে কিছু খন্ড খন্ড মন্তব্য করেছিলাম। এসব মন্তব্য এবং বিভিন্ন বিজ্ঞ ব্লগারের লেখা পোস্টগুলোতে গনতন্ত্র ও ইসলাম নিয়ে যেভাবে বিচ্ছিন্ন আলোচনা এসেছে সে সম্পর্কে আমিও বেশ উৎসাহী হয়েছি কিছু লিখার। আমাদের দেশে ও আন্তজার্তিক অঙ্গনে গনতন্ত্রের নামে যাকিছু হচ্ছে তার উপর তুলনামূলক এ্যাকাডেমিক আলোচনাই করতে চাচ্ছি। যদি আল্লাহ আমাকে দাওফিক দেন ইনশায়াল্লাহ অগ্রসর হবো।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১২
133011
শহীদ ভাই লিখেছেন : ভাইজান, আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম Waiting

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File