হেফাজতে ইসরামের ১৩ দফা দাবী গুলো কি ছিল--? এবং এর জন্য যে রক্ত সাগর প্রবাহিত হলো তার জন্য কি মুসলিম উম্মাহর কোন দায়িত্ব নেই---?

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৯ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:৪৯:৩৫ দুপুর

আসুন জেনে নি হেফজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবী গুলো কি ছিল এবং দাবি গুলো জেনে নি। ১৩ দফা দাবিগুলো হল:

১। সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।

২। আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুত্সা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।

৩। কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সাঃ)-এর শানে জঘন্য কুত্সা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।

৪। ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী -পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।

৫। ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।

৬। সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।

৭। মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।

৮। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।

৯। রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।

১০। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।

১১। রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।

১২। সারাদেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।

১৩। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

এই দাবিগুলো মেনে চলা এবং এর জন্য কাজ করা সকল ঈমানদারদের ঈমানি দায়িত্ব। আসুন ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে দেশ জাতি এবং ইসলামের জন্য কাজ করি।মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দান করুন আমিন।

বিষয়: বিবিধ

৮৯২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385910
০৯ অক্টোবর ২০১৮ দুপুর ০৩:৩২
কুয়েত থেকে লিখেছেন : কুরান সুন্নাহর আলোকে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং বিচ্ছিন্ন না হওয়া এই দুটি বিষয় ফরজে আইন যেমন নামাজ রোজা। এই নির্দেশটি বিশ্ব পরিচালক মহান রাব্বুল আলামিনের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যযে আমরা কেউ এই নির্দেশটি মেনে চলছিনা। এ জন্যই মুসলিম উম্মাহর কোন মুল্য নেই না নিজেদের কাছে না বিশ্বদরবারে অমুসলিমদের কাছে।
385916
০৯ অক্টোবর ২০১৮ দুপুর ০৩:৪৬
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ভাল লেগেছে আপনার লেখাটি, আশা করি আরো লিখবেন । ধন্যবাদ আপনাকে
০৯ অক্টোবর ২০১৮ রাত ১০:০০
317962
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেকাটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
385918
০৯ অক্টোবর ২০১৮ বিকাল ০৫:১২
আবু জারীর লিখেছেন : দাবী গুলো যদিও হেফাজত পেশ করেছে কিন্তু এগুলো প্রতিটা মুসলিমেরই হৃদ্যের দাবী।
০৯ অক্টোবর ২০১৮ রাত ১০:০৪
317963
কুয়েত থেকে লিখেছেন : জি ভাইজান আপনি টিকই বলেছেন। মুসলিমরাতো একটাই জাতি। বিচ্ছিন্নটা শুধূ্ই অজ্ঞতার কারনে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
385929
১০ অক্টোবর ২০১৮ রাত ১২:০৬
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : দাবি শুধু মুখ দিয়ে করলেই হয় না বাস্তব হওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে হয়,

ভাল লিখেছেন ভাই জাযাকাল্লাহ
১০ অক্টোবর ২০১৮ বিকাল ০৫:৩৯
317974
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করা জন্য আমরাতো কথায় আছি কাজে নেই এর জন্যই তো আমাদের এই গতি।
১০ অক্টোবর ২০১৮ বিকাল ০৫:৪০
317975
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করা জন্য আমরাতো কথায় আছি কাজে নেই এর জন্যই তো আমাদের এই গতি।
১২ অক্টোবর ২০১৮ বিকাল ০৪:২২
318006
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : হা কথায় আর কাজে মিল না থাকার কারণেই বাতিলেরা আমাদের মাথায় উঠার সুযোগ পেয়েছে
385973
১১ অক্টোবর ২০১৮ সন্ধ্যা ০৭:০৪
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের জনগনকে কনভিন্স করার ক্ষমতা হেফাজতের চেয়ে সুলতানা কামালদের বেশী
385981
১২ অক্টোবর ২০১৮ রাত ১১:১৯
কুয়েত থেকে লিখেছেন : তা টিক বলেছেন ‌ওদের সাথেতো কামালরাই আছে। হেফাজতের কাছেতো সুলতানারা সুযোগ পায়না তা ছাড়া আলেমরা কথা যতটুকু বলেন বাস্তবতার সাথে তেমন মিল খুজে পাওয়া যায়না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File