এই সুন্দর পৃথিবীর কোথাও নেই ইসলামের শাসন ব্যবস্থা মুসলিম উম্মাহ এখন তুরস্কের দিকেই তাকিয়ে আছে হয়তো উম্মাতের আশা পূরণ হবে

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১২ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৮:৩৫ দুপুর

এই সুন্দর পৃথিবীর কোথাও নেই ইসলামের শাসন ব্যবস্থা। মুসলিম উম্মাহ এখন তুরস্কের দিকেই তাকিয়ে আছে হয়তো উম্মাতের আশা পূরণ হবে। তবে আরো সময় লাগবে কারণ সারা দুনিয়া মানব রচিত আইন দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। চমকপ্রদ তুরস্কের নতুন মন্ত্রীসভা!

আমরা আশা করছি তুরস্ক ইসলামের দিকে অগ্রসর হবে । আল্লাহ্ যেন তাওফিক দান করুন

একজন প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১৬ জন মন্ত্রীর সমন্বয়ে ১৮ সদস্যের মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। নতুন এই মন্ত্রীসভার উপর একনজরে চোখ রাখলে দেখা যাবে বেশ চমকপ্রদ এক মন্ত্রীসভা! যাদের ১৩ জনই প্রথমবারের মত মন্ত্রী হয়েছেন (ভাইস প্রেসিডেন্টসহ) এবং অধিকাংশই সাবেক আমলা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক এবং প্রাইভেট সেক্টর থেকে আসা। এমনকি ভাইস প্রেসিডেন্টও রাজনীতিবীদ নন, আমলা। আগের মন্ত্রীসভা থেকে মাত্র চারজন পুনরায় মন্ত্রী হয়েছেন।

এরদোয়ানের নতুন এই মন্ত্রীসভার সদস্যদের প্রোফাইল বিশ্লেষন করলে আরো যে বিষয়টি ফুটে উঠে তা হলো, এদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত এবং সংশ্লিষ্ট সেক্টরে অভিজ্ঞ। কিন্তু অধিকাংশেরই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই কিংবা খুবই কম। এতে যেমন সফল হওয়ার সুযোগ আছে তেমন আছে ঝুঁকিও। প্রেসিডেন্টশিয়াল পদ্ধতি প্রবর্তনে তুরস্কে বড় ধরনের পরিবর্তনের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল তার প্রথম সূচনা হলো মন্ত্রীসভার এই পরিবর্তনের মাধ্যমে। সামনের দিনগুলোতে আরো হয়তো বড় বড় পরিবর্তন দেখা যাবে।

আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন নতুন মন্ত্রীসভার সদস্যদের প্রোফাইল:

* প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান: নতুন করে পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই।

* ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই:

(আমেরকিার ওয়াইনে স্টেট ইউনির্ভাসিটি থেকে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি ডিগ্রিধারী ফুয়াত ওকতাই গতকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ছিলেন। এর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন, সরকারী ও বেসরকারী সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বড় বড় পোস্টে দায়িত্বপালন করেছেন।)

পুরাতন মন্ত্রীসভা থেকে যারা মন্ত্রী হয়েছেন:

১. আইনমন্ত্রী: আব্দুল হামিদ গুল (আগেও একই দায়িত্বে ছিলেন, আইনজীবি, একে পার্টির সেক্রেটারী জেনারেল ছিলেন একসময়)

২. স্বরাষ্টমন্ত্রী: সোলেইমান সইলূ (আগেও একই দায়িত্বে ছিলেন, পুরোদম্ভর রাজনীতিবীদ, আগে একটি দলের চেয়ারম্যান ছিলেন)

৩. পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মেভলুত চালিসদারুলু (আগেও একই দায়িত্বে ছিলেন, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্স থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান)

৪. অর্থমন্ত্রী: বেরাত আল বাইরাক (আগে জ্বালানী ও খনিজসম্পদমন্ত্রী ছিলেন, নিউ ইয়র্ক পিস ইউনির্ভাসিটি থেকে ব্যাংকিং ও ফিনান্সে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মেয়ের জামাতা)

প্রথমবার মন্ত্রী হওয়া মন্ত্রীবৃন্দ:

৫. প্রতিরক্ষামন্ত্রী: হুলুসি আকার (সামরিক বাহিনীর প্রধান)

৬. কর্মসংস্থান, সমাজকল্যাণ ও পরিবার বিষয়কমন্ত্রী: জেহরা জমরুত সেলচুক (আমেরিকার মেশিগান ইউভার্সিটিতে অর্থনীতি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, গবেষক ও বিভিন্ন সিভিল সোসাইটিতে দায়িত্বপালনরত)

৭. পরিবেশ ও নগরায়ণমন্ত্রী: মুরাদ কুরুম (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েট, তুরস্কের সরকারী নগরায়ণ সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন)

৮. জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী: ফাতিহ দুনমেজ (ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েট, পূর্বে এই মন্ত্রনালয়ের সচিব ছিলেন)

৯. যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী: মেহমেত কাসাপওলু: (মেনেজমেন্টে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, উচ্চ পর্যায়ের আমলা ছিলেন)

১০.সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী: মেহমেদ এরসই (২৫ বছর ধরে পর্যটন সেক্টরে কাজ করছেন, ব্যবসায়ী)

১১. শিক্ষামন্ত্রী: প্রফেসর ড. জিয়া সেলচুক (পিএইচডি ডিগ্রিধারী, একাডেমিশিয়ান)

১২. স্বাস্থ্যমন্ত্রী: ডা. ফাহরেত্তিন কোজা (শিশু বিশেষজ্ঞ, তুরস্কের অন্যতম বড় বেসরকারী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান)

১৩. শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী: মোস্তফা ভারাঙ্ক (আমেরিকার ইন্ডিয়ানা ইউনির্ভাসিটি থেকে উচ্চশিক্ষাধারী, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের উপদেষ্টা ছিলেন)

১৪. কৃষি ও বনমন্ত্রী: বেকির পাকদেমিরলি (পিএইচডি ডিগ্রিধারী, খাদ্য সেক্টরসহ বেসরকারী নানা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় পদে চাকুরী করেছেন এবং দায়িত্বপালন করছেন)

১৫. বানিজ্যমন্ত্রী: রুহসার পেকজান (ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েট, বেসরকারী সেক্টরে বড় বড় জায়গায় চাকুরী করেছেন, ব্যবসায়ী)

১৬. যোগাযোগ ও অবকাঠামো বিষয়কমন্ত্রী: জাহিদ তুরান (অার্কিটেকচারে গ্রাজুয়েট, যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাবেক উপদেষ্টা)

বিষয়: বিবিধ

১১৮৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385658
১৪ জুলাই ২০১৮ রাত ১১:৪৯
শেখের পোলা লিখেছেন : আশা করি ওরা আল্লাহর আইনকে বুড়ো আঙ্গুুুল দেখাবে না।
১৫ জুলাই ২০১৮ সন্ধ্যা ০৬:৩০
317867
কুয়েত থেকে লিখেছেন : দোয়া করুন ওরা যেন উম্মাতের আশা পূরণ করেন। আল্লাহ্ তায়ালা যেন তাদেরকে দিয়ে এই খেদমত আনজাম দেন।আপনাকে ধন্যবাদ
385685
২৬ জুলাই ২০১৮ দুপুর ০১:২৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভারতে গরুর দুধের চেয়েও গোমূত্রের দাম বেশি হওয়ার কারণ
আরটিএনএন

জয়পুর: শুনে অবাক হবারই মতো। কিন্তু না, বাস্তবেই ভারতে এমনি হচ্ছে। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের গরু চাষিরা বলছেন, গরুর দুধের চেয়েও গরুর মূত্র বিক্রি তাদের জন্য বেশি লাভজনক।

তাদের অনেকে গোমূত্র বিক্রি করছেন গরুর দুধের থেকেও বেশি দামে। অনেকে আবার যে গোমূত্র বিক্রি করছেন, তার দাম গরুর দুধের প্রায় কাছাকাছি।

কৃষকরা বলছেন, গরুর দুধের দাম যেখানে লিটার প্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা, সেখানে এক লিটার গোমূত্র কেউ বিক্রি করছেন ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। কেউবা আবার দাম নিচ্ছেন ৫০ টাকাও। তবে গরুর দুধ দোয়ানোর থেকে গোমূত্র সংগ্রহ করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য কাজ বলে জানান তারা।

কৃষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা রাত জেগে বসে থাকতে হয় গোমূত্র সংগ্রহ করার জন্য। তবে যে বাড়তি রোজগার হচ্ছে গোমূত্র বিক্রি করে, তার জন্য ওইটুকু কষ্ট সহ্য করতেও রাজি রাজস্থানের গরুচাষিরা।

তবে দেশি প্রজাতির গরু, যেমন গির বা থারপার্কার গরুর মূত্রের চাহিদা বেশ বেশি। অন্যদিকে জার্সি গরুর মূত্র তুলনায় কম বিক্রি হয়।

কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোমূত্র থেকে তৈরি জৈব সার যেমন চাষের জন্য প্রয়োজনীয়, তেমনই গোমূত্রের মধ্যে যেসব উপকারী রাসায়নিক রয়েছে, যা ঔষধি হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও হিন্দুদের পূজা-অর্চনার জন্যও গোমূত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

রাজস্থানের মহারানা প্রতাপ কৃষি ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় গোমূত্র নিয়ে বড় আকারে গবেষণা চালাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ইউ এস শর্মা বলেছেন, গোমূত্র থেকে অনেক গো-পালক বাড়তি রোজগার করতে শুরু করেছেন। গোমূত্র সংগ্রহ করার জন্য বেশ কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীও তৈরি হয়েছে।

‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আর জৈব চাষের ক্ষেতে দেওয়ার জন্যও বেশ কয়েক শ লিটার গোমূত্র প্রয়োজন হয় প্রতি মাসে। তবে এখনও গোটা ব্যবস্থাটাই অসংগঠিত অবস্থায় চলছে’ বলেন তিনি।

কেন গোমূত্রের চাহিদা বাড়ছে?

আঞ্চলিক গবেষণা-পরিচালক শান্তি কুমার শর্মা বলেছেন, ‘গোমূত্রের মধ্যে ৯৫ শতাংশ জল থাকলেও বাকি অংশের মধ্যে আড়াই শতাংশ ইউরিয়া আর অন্য আড়াই শতাংশের মধ্যে হরমোন, এনজাইম, অ্যাস্ট্রোজেন, ল্যাক্টোজসহ প্রায় ১৪-১৫ রকমের রাসায়নিক থাকে। গোমূত্রের মধ্যে গোবর আর গুড় মিশিয়ে গাঁজানো হয়, তারপর সেটি কৃষিকাজে ব্যবহার করা যায়।’

কৃষিবিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, দেশে জৈব চাষের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোমূত্রের চাহিদাও বাড়ছে। বিশেষত রাজস্থানে বাড়ছে জৈব-চাষের এলাকা। আর জৈব-ফসলের জন্য যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেখানে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় কী ধরনের সার ব্যবহার করা হয়েছে ওই ফসল ফলাতে।

রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হলে সেই ফসলকে 'জৈব' বলে আখ্যা দেওয়া হয় না। তাই সরাসরি গোমূত্র অথবা তার থেকে তৈরি সার জৈব চাষের জন্য অপরিহার্য।

কৃষি গবেষক শান্তি কুমার শর্মা বলেন, ‘জৈব ফসলের চাহিদা শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে বাড়ছে। তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গোমূত্রের চাহিদাও।’

‘অনেক ব্যবসায়ী গোমূত্রকে নানাভাবে বাজারজাত করছেন। গরুচাষিদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হলে গোমূত্রের যোগানও বাড়বে। তারাও গরু পালন করে বেশি রোজগার করতে পারবেন, বলেন তিনি।

জৈব চাষ ছাড়াও হিন্দুদের পূজা-অর্চনার জন্যও গোমূত্র মেশানো একটি উপাচারের প্রয়োজন হয় যার নাম পঞ্চগব্য।

বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, গোমূত্রের ঔষধিগুণও রয়েছে। নানা রোগ নিরাময়ে গোমূত্র থেকে আরোহিত উপাদান কাজ করে বলে দাবি তাদের। যদিও এ নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে।
385688
২৬ জুলাই ২০১৮ রাত ০৮:০৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : রাসূলে করীম (সা)বিদায় ভাষণ

بسم الله الرحمن الرحيم
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দশম হিজরি,৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যে হজ্ব পালন করেন, ইসলামের ইতিহাসে তা ‘হজ্জাতুল বিদা’ বা ‘বিদায় হজ্ব’ নামে খ্যাত। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফাতের বিশাল ময়দানে উপস্থিত প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার বা প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার সাহাবীর সম্মুখে জীবনের অন্তিম ভাষণ দান করেন, যা বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের 'বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণ' নামে পরিচিত।

১০ম হিজরীর যুলক্বা‘দাহ মাসের চারদিন বাকী থাকতে শনিবার যোহরের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় লক্ষাধিক সাহাবীর এক বিরাট দল সমভিব্যাহারে মদীনা হ’তে মক্কার পথে হজ্ব আদায়ের জন্যে রওয়ানা হ’লেন। অনবরত আট দিন পথ চলার পর যিলহজ্ব মাসের ৪ তারিখ রোজ শনিবার মক্কা মুয়াজ্জামায় প্রবেশ করেন, ৮ জিলহজ সাহাবিদের সঙ্গে নিয়ে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিনায় চলে গেলেন। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে আয়োজিত হয় বিশ্বমানবতায় এক মহাসমাবেশ। ওই দিনটি ছিল ইসলামের গৌরবময় ও সুউচ্চ মর্যাদা বিকাশের দিন, যার ফলে প্রাক-ইসলামি অন্ধকার যুগের যাবতীয় কুসংস্কার ও অহেতুক কাজকর্ম বিলুপ্ত হয়ে গেল।

এ দিন ছিল শুক্রবার, ভোরে নামায আদায় করে মিনা থেকে আরাফাতের দিকে রওনা হলেন। লাখো কণ্ঠের গগনবিদারী ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে দুই পাশের পর্বতমালা কেঁপে উঠল। আরাফাহ ময়দানের পূর্বদিকে নামিরা নামক স্থানে তাঁবু স্থাপন করা হলে, সেখানে পৌঁছে দুপুর পর্যন্ত তথায় তাঁবুতে অবস্থান করেন। জুমার সালাত আদায় করে তিনি ‘কচয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহন করে আরাফা’র সন্নিকটে ‘আরনা’ প্রান্তরে উপস্থিত হয়ে এ বিশাল সমাবেশে তাঁর ঐতিহাসিক বিদায় হজ্বের খুতবা বা ভাষণ প্রদান করেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভাষণ ছিল মূলত আল্লাহর দ্বীনের বিজয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা। আর তাই তো সেদিন নাযিল হয়েছিল “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নে‘মতকে পরিপূর্ণ করলাম আর ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (সুরা মায়েদা, আয়াত-৩)।

দীর্ঘ ২৩ বছরে কঠিন সাধনা আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান স্রষ্টার ইচ্ছার স্বরূপে আরব জাহানকে গড়ে তুলেছিলেন। আরাফাত ময়দানে বিদায় হজ্বের ভাষণে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল ইসলামের সেই মর্মবানী। ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ছিল। ইসলাম ধর্ম যে ধাপে ধাপে ও পর্যায়ক্রমে পূর্ণতা পেয়েছিলো, তারই চূড়ান্ত ঘোষণা ছিলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভাষণ।

এ ভাষণে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছিলো। মুসলিম জাতির সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল উপাসনামূলক অনুশাসন ছিলো না, বরং মানবসমাজের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও এতে ছিলো।

আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, তাঁর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সাম্য ইত্যাদি সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম সব বিষয়ই এই ভাষণের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই ভাষণে তাকওয়া বা দায়িত্বনিষ্ঠতার কথা গুরুত্ব দেয়া হয়েছিলো এবং পাপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছিলো। আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল্লাহ ও মানবসম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল ইবাদের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিলো তাঁর এ ভাষনে।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভাষণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অরাজকতা, বিদ্রোহ এবং কুপরামর্শ প্রদানকারী শয়তানদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই ভাষণে বিভিন্ন ধরণের সুদপ্রথা রহিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এই ভাষণে। মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন, বিশেষ করে রক্তের সম্পর্কের উপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ ও সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি লাভের ওপর জোর দেয়া হয়েছিলো। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বর্গ-মর্তের সকল কিছুর ওপর আল্লাহর কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছিলো এবং মানুষকে এসব কিছুর আমানতদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর মালিকানায় সবার অধিকার স্বীকৃত বলে উত্তরাধিকার আইনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়। আমানতের খেয়ানতকারীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা ও মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব এবং বদান্যতা ও মানবতার পরম ধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো।

আরাফাতের ময়দানের উক্ত ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেন,

(১) ‘হে জনগণ! তোমরা আমার কথা শোন! কারণ আমি হয়তো এরপর তোমাদের সঙ্গে এই স্থানে আর মিলিত হবনা’।[দারেমী হা/২২৭, ফিক্বহুস সীরাহ পৃঃ ৪৫৬, সনদ ছহীহ।]

(২) ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্ভ্রমকে তোমাদের পরস্পরের উপরে এমনভাবে হারাম, যেমনভাবে আজকের এই দিন, এই মাস, এই শহর তোমাদের জন্য হারাম’ (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম) ।

(৩) ‘শুনে রাখ, জাহেলী যুগের সকল কিছু আমার পায়ের তলে পিষ্ট হ’ল। জাহেলী যুগের সকল রক্তের দাবী পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের রক্ত সমূহের প্রথম যে রক্তের দাবী আমি পরিত্যাগ করছি, সেটি হ’ল রাবী‘আহ ইবনুল হারেছ-এর শিশু পুত্রের রক্ত; যে তখন বনু সা‘দ গোত্রে দুগ্ধ পান করছিল, আর হোযায়েল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করেছিল’।

(৪) “জাহেলী যুগের সূদপ্রথা পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের সূদ সমূহের প্রথম যে সূদ আমি পরিত্যক্ত বলে ঘোষনা দিচ্ছি সেটা হ’ল আববাস ইবনু আব্দিল মুত্ত্বালিবের পাওনা সূদ। সূদের সকল প্রকার কারবার সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত করে দেওয়া হ’ল।”

(৫) ‘তোমরা মহিলাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদেরকে হালাল করেছ। তাদের উপর তোমাদের প্রাপ্য হ’ল, তারা যেন তোমাদের বিছানা এমন কাউকে মাড়াতে না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। যদি তারা সেটা করে, তবে তোমরা তাদের মৃদু প্রহার করবে, যা গুরুতর হবে না। আর তোমাদের উপরে তাদের প্রাপ্য হক হ’ল, তোমরা যেন তাদের জন্য সুন্দর রূপে খাদ্য ও পরিধেয়ের যোগান দাও।

(৬) ‘আর জেনে রাখ, আমি তোমাদের মাঝে রেখে যাচ্ছি এমন এক বস্ত্ত, যা মযবুতভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। আর সেটি হ’ল আল্লাহর কেতাব’।[মুসলিম হা/১২১৮, মিশকাত হা/২৫৫৫ ‘মানাসিক’ অধ্যায়।]

(৭) ‘হে জনগণ! শুনে রাখ আমার পরে কোন নবী নেই এবং তোমাদের পরে আর কোন উম্মাত নেই। অতএব তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় কর, রামাযান মাসের রোযা রাখো, সন্তুষ্ট চিত্তে তোমাদের মালের যাকাত দাও, তোমাদের প্রভুর গৃহে হজ্জ আদায় কর, তোমাদের শাসকদের আনুগত্য কর, এ সবের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ কর’।[ত্বাবারাণী, আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩২৩৩।]

(৮) আর তোমরা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। তখন তোমরা কি বলবে? লোকেরা বলল, আমরা সাক্ষ্য দেব যে, আপনি সবকিছু পৌছে দিয়েছেন, দাওয়াতের হক আদায় করেছেন এবং উপদেশ দিয়েছেন’। অতঃপর তিনি শাহাদাত অঙ্গুলি আসমানের দিকে উঁচু করে ও সমবেত জনমন্ডলীর দিকে নীচু করে তিনবার বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক’।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৫৫৫।]

ইসলামের পূর্ণাঙ্গতার সনদ নাযিল :
------------------------------------
সারগর্ভ ও মর্মস্পর্শী বিদায়ী ভাষণ শেষে আল্লাহর পক্ষ হ’তে নাযিল হয় এক ঐতিহাসিক দলীল, ইসলামের পূর্ণতার সনদ, যা ইতিপূর্বে নাযিলকৃত কোন এলাহী ধর্মের জন্য নাযিল হয়নি। ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নে‘মতকে পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (মায়েদাহ-৩)।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে এই আয়াত শ্রবণ করে ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহু কেঁদে উঠলেন। অতঃপর লোকদের প্রশ্নের জওয়াবে বললেন, ‘পূর্ণতার পরে তো কেবল ঘাটতিই এসে থাকে’।[আর-রাহীক্ব পৃঃ ৪৬০; আল-বিদায়াহ ৫/২১৫।]

বস্তুতঃ এই আয়াত আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের আভাস, এ আয়াত নাযিলের মাত্র ৮১ দিন পর তিনি ওফাত লাভ করেন। এই আয়াত প্রসঙ্গে জনৈক ইহুদী পন্ডিত হযরত ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, যদি এরূপ আয়াত আমাদের উপর নাযিল হ’ত, তাহ’লে আমরা ঐদিনটিকে ঈদের দিন হিসাবে উদযাপন করতাম’। জওয়াবে ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ঐদিনে একটি নয়, বরং দু’টি ঈদ একসঙ্গে উদযাপন করেছিলাম।- (১) ঐদিন ছিল শুক্রবার, যা আমাদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন (২) ঐদিন ছিল ৯ই যিলহাজ্জ আরাফাহর দিন। যা হ’ল উম্মতের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বার্ষিক ঈদের দিন’।[তিরমিযী হা/৩০৪৪, সনদ ছহীহ
385689
২৬ জুলাই ২০১৮ রাত ০৮:২৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিদায় হজ্বের ভাষণ
=========================================

بسم الله الرحمن الرحيم
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দশম হিজরি,৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যে হজ্ব পালন করেন, ইসলামের ইতিহাসে তা ‘হজ্জাতুল বিদা’ বা ‘বিদায় হজ্ব’ নামে খ্যাত। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফাতের বিশাল ময়দানে উপস্থিত প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার বা প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার সাহাবীর সম্মুখে জীবনের অন্তিম ভাষণ দান করেন, যা বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের 'বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণ' নামে পরিচিত।

১০ম হিজরীর যুলক্বা‘দাহ মাসের চারদিন বাকী থাকতে শনিবার যোহরের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় লক্ষাধিক সাহাবীর এক বিরাট দল সমভিব্যাহারে মদীনা হ’তে মক্কার পথে হজ্ব আদায়ের জন্যে রওয়ানা হ’লেন। অনবরত আট দিন পথ চলার পর যিলহজ্ব মাসের ৪ তারিখ রোজ শনিবার মক্কা মুয়াজ্জামায় প্রবেশ করেন, ৮ জিলহজ সাহাবিদের সঙ্গে নিয়ে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিনায় চলে গেলেন। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে আয়োজিত হয় বিশ্বমানবতায় এক মহাসমাবেশ। ওই দিনটি ছিল ইসলামের গৌরবময় ও সুউচ্চ মর্যাদা বিকাশের দিন, যার ফলে প্রাক-ইসলামি অন্ধকার যুগের যাবতীয় কুসংস্কার ও অহেতুক কাজকর্ম বিলুপ্ত হয়ে গেল।

এ দিন ছিল শুক্রবার, ভোরে নামায আদায় করে মিনা থেকে আরাফাতের দিকে রওনা হলেন। লাখো কণ্ঠের গগনবিদারী ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে দুই পাশের পর্বতমালা কেঁপে উঠল। আরাফাহ ময়দানের পূর্বদিকে নামিরা নামক স্থানে তাঁবু স্থাপন করা হলে, সেখানে পৌঁছে দুপুর পর্যন্ত তথায় তাঁবুতে অবস্থান করেন। জুমার সালাত আদায় করে তিনি ‘কচয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহন করে আরাফা’র সন্নিকটে ‘আরনা’ প্রান্তরে উপস্থিত হয়ে এ বিশাল সমাবেশে তাঁর ঐতিহাসিক বিদায় হজ্বের খুতবা বা ভাষণ প্রদান করেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভাষণ ছিল মূলত আল্লাহর দ্বীনের বিজয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা। আর তাই তো সেদিন নাযিল হয়েছিল “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নে‘মতকে পরিপূর্ণ করলাম আর ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (সুরা মায়েদা, আয়াত-৩)।

দীর্ঘ ২৩ বছরে কঠিন সাধনা আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান স্রষ্টার ইচ্ছার স্বরূপে আরব জাহানকে গড়ে তুলেছিলেন। আরাফাত ময়দানে বিদায় হজ্বের ভাষণে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল ইসলামের সেই মর্মবানী। ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ছিল। ইসলাম ধর্ম যে ধাপে ধাপে ও পর্যায়ক্রমে পূর্ণতা পেয়েছিলো, তারই চূড়ান্ত ঘোষণা ছিলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভাষণ।

এ ভাষণে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছিলো। মুসলিম জাতির সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল উপাসনামূলক অনুশাসন ছিলো না, বরং মানবসমাজের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও এতে ছিলো।

আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, তাঁর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সাম্য ইত্যাদি সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম সব বিষয়ই এই ভাষণের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই ভাষণে তাকওয়া বা দায়িত্বনিষ্ঠতার কথা গুরুত্ব দেয়া হয়েছিলো এবং পাপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছিলো। আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল্লাহ ও মানবসম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল ইবাদের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিলো তাঁর এ ভাষনে।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভাষণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অরাজকতা, বিদ্রোহ এবং কুপরামর্শ প্রদানকারী শয়তানদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই ভাষণে বিভিন্ন ধরণের সুদপ্রথা রহিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এই ভাষণে। মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন, বিশেষ করে রক্তের সম্পর্কের উপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ ও সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি লাভের ওপর জোর দেয়া হয়েছিলো। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বর্গ-মর্তের সকল কিছুর ওপর আল্লাহর কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছিলো এবং মানুষকে এসব কিছুর আমানতদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর মালিকানায় সবার অধিকার স্বীকৃত বলে উত্তরাধিকার আইনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়। আমানতের খেয়ানতকারীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা ও মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব এবং বদান্যতা ও মানবতার পরম ধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো।

আরাফাতের ময়দানের উক্ত ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেন,

(১) ‘হে জনগণ! তোমরা আমার কথা শোন! কারণ আমি হয়তো এরপর তোমাদের সঙ্গে এই স্থানে আর মিলিত হবনা’।[দারেমী হা/২২৭, ফিক্বহুস সীরাহ পৃঃ ৪৫৬, সনদ ছহীহ।]

(২) ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্ভ্রমকে তোমাদের পরস্পরের উপরে এমনভাবে হারাম, যেমনভাবে আজকের এই দিন, এই মাস, এই শহর তোমাদের জন্য হারাম’ (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম) ।

(৩) ‘শুনে রাখ, জাহেলী যুগের সকল কিছু আমার পায়ের তলে পিষ্ট হ’ল। জাহেলী যুগের সকল রক্তের দাবী পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের রক্ত সমূহের প্রথম যে রক্তের দাবী আমি পরিত্যাগ করছি, সেটি হ’ল রাবী‘আহ ইবনুল হারেছ-এর শিশু পুত্রের রক্ত; যে তখন বনু সা‘দ গোত্রে দুগ্ধ পান করছিল, আর হোযায়েল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করেছিল’।

(৪) “জাহেলী যুগের সূদপ্রথা পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের সূদ সমূহের প্রথম যে সূদ আমি পরিত্যক্ত বলে ঘোষনা দিচ্ছি সেটা হ’ল আববাস ইবনু আব্দিল মুত্ত্বালিবের পাওনা সূদ। সূদের সকল প্রকার কারবার সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত করে দেওয়া হ’ল।”

(৫) ‘তোমরা মহিলাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদেরকে হালাল করেছ। তাদের উপর তোমাদের প্রাপ্য হ’ল, তারা যেন তোমাদের বিছানা এমন কাউকে মাড়াতে না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। যদি তারা সেটা করে, তবে তোমরা তাদের মৃদু প্রহার করবে, যা গুরুতর হবে না। আর তোমাদের উপরে তাদের প্রাপ্য হক হ’ল, তোমরা যেন তাদের জন্য সুন্দর রূপে খাদ্য ও পরিধেয়ের যোগান দাও।

(৬) ‘আর জেনে রাখ, আমি তোমাদের মাঝে রেখে যাচ্ছি এমন এক বস্ত্ত, যা মযবুতভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। আর সেটি হ’ল আল্লাহর কেতাব’।[মুসলিম হা/১২১৮, মিশকাত হা/২৫৫৫ ‘মানাসিক’ অধ্যায়।]

(৭) ‘হে জনগণ! শুনে রাখ আমার পরে কোন নবী নেই এবং তোমাদের পরে আর কোন উম্মাত নেই। অতএব তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় কর, রামাযান মাসের রোযা রাখো, সন্তুষ্ট চিত্তে তোমাদের মালের যাকাত দাও, তোমাদের প্রভুর গৃহে হজ্জ আদায় কর, তোমাদের শাসকদের আনুগত্য কর, এ সবের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ কর’।[ত্বাবারাণী, আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩২৩৩।]

(৮) আর তোমরা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। তখন তোমরা কি বলবে? লোকেরা বলল, আমরা সাক্ষ্য দেব যে, আপনি সবকিছু পৌছে দিয়েছেন, দাওয়াতের হক আদায় করেছেন এবং উপদেশ দিয়েছেন’। অতঃপর তিনি শাহাদাত অঙ্গুলি আসমানের দিকে উঁচু করে ও সমবেত জনমন্ডলীর দিকে নীচু করে তিনবার বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক’।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৫৫৫।]

ইসলামের পূর্ণাঙ্গতার সনদ নাযিল :
------------------------------------
সারগর্ভ ও মর্মস্পর্শী বিদায়ী ভাষণ শেষে আল্লাহর পক্ষ হ’তে নাযিল হয় এক ঐতিহাসিক দলীল, ইসলামের পূর্ণতার সনদ, যা ইতিপূর্বে নাযিলকৃত কোন এলাহী ধর্মের জন্য নাযিল হয়নি। ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নে‘মতকে পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (মায়েদাহ-৩)।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে এই আয়াত শ্রবণ করে ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহু কেঁদে উঠলেন। অতঃপর লোকদের প্রশ্নের জওয়াবে বললেন, ‘পূর্ণতার পরে তো কেবল ঘাটতিই এসে থাকে’।[আর-রাহীক্ব পৃঃ ৪৬০; আল-বিদায়াহ ৫/২১৫।]

বস্তুতঃ এই আয়াত আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের আভাস, এ আয়াত নাযিলের মাত্র ৮১ দিন পর তিনি ওফাত লাভ করেন। এই আয়াত প্রসঙ্গে জনৈক ইহুদী পন্ডিত হযরত ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, যদি এরূপ আয়াত আমাদের উপর নাযিল হ’ত, তাহ’লে আমরা ঐদিনটিকে ঈদের দিন হিসাবে উদযাপন করতাম’। জওয়াবে ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ঐদিনে একটি নয়, বরং দু’টি ঈদ একসঙ্গে উদযাপন করেছিলাম।- (১) ঐদিন ছিল শুক্রবার, যা আমাদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন (২) ঐদিন ছিল ৯ই যিলহাজ্জ আরাফাহর দিন। যা হ’ল উম্মতের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বার্ষিক ঈদের দিন’।[তিরমিযী হা/৩০৪৪, সনদ ছহীহ
385691
২৭ জুলাই ২০১৮ বিকাল ০৫:১১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : Kodak কোম্পানিকে মনে আছে? ১৯৯৮ সালে কোড্যাক কোম্পানিতে প্রায় ১লক্ষ ৭০ হাজার কর্মচারী কাজ করতেন।
এবং বিশ্বে ছবি তোলার প্রায় ৮৫% ই কোড্যাক ক্যামেরায় তোলা হত। গত কয়েক বছরে মোবাইল ক্যামেরার বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় এমন অবস্থা হয় যে Kodak ক্যামেরার কোম্পানীটাই উঠে যায়। এমনকি Kodak সম্পুর্ন দেউলিয়া হয়ে পড়ে এবং এদের সমস্ত কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ছাঁটাই করা হয়।

ওই একই সময়ে আরো কতগুলি বিখ্যাত কোম্পানি তাদের ঝাঁপ পাকাপাকি বন্ধ করতে বাধ্য হয়। যেমন-

HMT (ঘড়ি)
BAJAJ (স্কুটার)
DYANORA (TV)
MURPHY (radio)
NOKIA (Mobile)
RAJDOOT (bike)
AMBASSADOR (গাড়ি)

এই উপরের কোম্পানিগুলোর মধ্যে কারুরই কোয়ালিটি খারাপ ছিল না। তবুও এই কোম্পানি গুলো উঠে গেল কেন? কারণ এরা সময়ের সাথে নিজেকে বদলাতে পারেনি।

এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে আপনি হয়তো ভাবতেও পারছেন না যে সামনের 10 বছরে দুনিয়া কতটা পাল্টে যেতে পারে! এবং আজকের 70%-90% চাকরিই সামনের 10 বছরে সম্পুর্নভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে। আমরা ধীরে ধীরে ঢুকে পড়েছি "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব"-এর যুগে।

আজকের বিখ্যাত কোম্পানিগুলোর দিকে তাকান-

উবের কেবলমাত্র একটি software-এর নাম। না, এদের নিজস্ব কোন গাড়ি নেই। তবু আজ বিশ্বের বৃহত্তম ট্যাক্সি-ভাড়ার কোম্পানি হল উবের।

Airbnb হল আজকে দুনিয়ার সবথেকে বড় হোটেল কোম্পানি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, পৃথিবীর একটি হোটেলও তাদের মালিকানায় নেই।

একইভাবে Paytm, ওলা ক্যাব, Oyo rooms ইত্যাদি অসংখ্য কোম্পানির উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।

আজকে আমেরিকায় নতুন উকিলদের জন্য কোন কাজ নেই, কারণ IBM Watson নামে একটি আইনি software যে কোন নতুন উকিলের থেকে অনেক ভাল ওকালতি করতে পারে। এইভাবে পরের 10 বছরে প্রায় 90% আমেরিকানদের আর কোন চাকরি থাকবে না। বেঁচে থাকবে খালি বাকি 10%। এই 10% হবে বিশেষ বিশেষজ্ঞ।

নতুন ডাক্তারদেরও চাকরি যেতে বসেছে। Watson নামের software মানুষের থেকেও 4 গুন নিখুঁত ভাবে ক্যানসার এবং অন্যান্য রোগ শনাক্ত করতে পারে। 2030 সালের মধ্যে কম্পিউটারের বুদ্ধি মানুষের বুদ্ধিকে ছাপিয়ে যাবে।

2019 সালের মধ্যেই রাস্তায় নামতে চলেছে চালকহীন গাড়ি। 2020 সালের মধ্যেই এই একটা আবিষ্কার বদলে দিতে পারে গোটা দুনিয়ার চালচিত্র। এর ফলে সামনের 10 বছরে আজকের 90% গাড়িই আর রাস্তায় দেখা যাবে না। বেঁচে থাকা গাড়িগুলো হয় ইলেক্ট্রিকে চলবে অথবা হাইব্রিড গাড়ি হবে। রাস্তাগুলো ক্রমশঃ ফাঁকা হতে থাকবে। পেট্রোলের ব্যবহার কমবে এবং পেট্রোল উৎপাদনকারী আরব দেশগুলি ক্রমশঃ দেউলিয়া হয়ে আসবে।

তখন গাড়ি লাগলে, উবেরের মত কোন software-এর কাছেই গাড়ি চাইতে হবে। আর গাড়ি চাইবার কিছুক্ষনের মধ্যেই সম্পুর্ন চালক-বিহীন একটা গাড়ি আপনার দরজার সামনে এসে দাঁড়াবে। আপনি যদি অনেকের সাথে ওই একই গাড়িতে যাত্রা করেন, তাহলে মাথাপিছু গাড়িভাড়া বাইকের থেকেও কম হবে।

গাড়িগুলো চালকবিহীন হবার ফলে 99% দুর্ঘটনা কমে যাবে। এবং সেই কারণেই গাড়ি-বীমা করানো বন্ধ হবে এবং গাড়ি-বিমার কোম্পানি গুলো সব উঠে যাবে।

গাড়ি চালানোর মত কাজগুলো আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে না। 90% গাড়িই যখন রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাবে, তখন ট্রাফিক পুলিশ এবং পার্কিং-এর কর্মী-দেরও কোন প্রয়োজন থাকবে না।

ভেবে দেখুন, আজ থেকে 5-10 বছর আগেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে STD বুথ ছিল। দেশে মোবাইল বিপ্লব আসার পর, এই সবকটা STD বুথই কিন্তু পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হল। যেগুলো টিকে রইল, তারা মোবাইল রিচার্জের দোকান হয়ে গেল। এরপর মোবাইল রিচার্জেও অনলাইন বিপ্লব এল। ঘরে বসেই অনলাইনে লোকে মোবাইল রিচার্জ করা শুরু করল। এই রিচার্জের দোকান গুলোকে তখন আবার বদল আনতে হল। এরা এখন কেবল মোবাইল ফোন কেনা-বেচা এবং সারাইয়ের দোকান হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সেটাও বদলাবে খুব শিগগিরই। Amazon, Flipkart থেকে সরাসরি মোবাইল ফোন বিক্রি বাড়ছে।

টাকার সংজ্ঞাও পাল্টাচ্ছে। একসময়ের নগদ টাকা আজকের যুগে "প্লাস্টিক টাকায়" পরিণত হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডের যুগ ছিল কদিন আগেও। এখন সেটাও বদলে গিয়ে হয়ে যাচ্ছে মোবাইল ওয়ালেট-এর যুগ। Paytm-এর রমরমা বাজার, মোবাইলের এক টিপে টাকা এপার-ওপার।

যারা যুগের সাথে বদলাতে পারে না, যুগ তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই ক্রমাগত যুগের সাথে বদলাতে থাকুন।

সাফল্যকে সাথে রাখুন, সময়ের সাথে থাকুন।(collected)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File