নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব..!

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:২২:১২ রাত

নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে হয়ে যাওয়া একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন বাতিল এবং নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সব পক্ষকে আলোচনায় বসার তাগিদ দিতে এবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলা হয়েছে।

সেই সাথে বিলের সঙ্গে থাকছে নতুন নির্বাচনের বিলও। চার্লস ট্যানক, পাওয়েল রবার্ট কোয়ালের তোলা এই প্রস্তাবের ওপর আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

ইতিমধ্যে বিলটি কার্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটেও একই ধরনের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যাতে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংলাপ শুরুর আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকট ও সহিংসতার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে গত এক বছরে তিন শতাধিক প্রাণহানী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়া গত ৫ জানুয়ারির ভোটে কম সংখ্যাক ভোটারের উপস্থিতি ও অর্ধেকের বেশি আসন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন থাকার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সাতটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এগুলো হলো: ১. নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, বিশেষ করে নারী-শিশু, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে প্রাণহানির ঘটনায় শোখ প্রকাশ করতে হবে।

২. সংঘাত-সহিংসতা বন্ধ করে সংকট উত্তোরণের পথ বের করতে বাংলাদেশে সব পক্ষকে কার্যকর আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো।

৩. সব পক্ষকে এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানাতে হবে, যাতে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পথ তৈরি হয়; স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয় এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থকেই সবার আগে স্থান দেয়া যায়।

৪. ক্ষমতার বাইরে থাকা দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি রাখার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে হবে এবং গুরুতর সহিংসতার ঘটনায় বিরোধী দলের (গত সংসদের) জড়িত থাকার কঠোর নিন্দা জানাতে হবে।

৫. গণগ্রেপ্তার বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে, যাতে সবাই শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন, জমায়েত হওয়া বা মত প্রকাশের অধিকার ভোগ করতে পারে।

৬. ঝুঁকিতে থাকা জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা বাড়াতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে।

৭. বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের সুরক্ষা দিতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা তারা নেয়।

বিষয়: বিবিধ

১১০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File