রোহিঙ্গা কথন

লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ০১:৫৯:৪৪ দুপুর



ভীষণ বিপদে আছে উঠতি বয়েসের বোনরা, এক মা তার দুই মেয়ের সাথে কাপড়ে গিট দিয়ে নিরাপদ স্থানে যাবার চেষ্টা করছে। যাতে মেয়েকে ধরে নিয়ে না যায়। শুনে চোখে পানি চলে আসল। মা'র তো সাধ্য নেই কোথায় লুকাবে? একটা গিট দিয়ে হলেও সান্তনা খুঁজে পাওয়া। কারন সেনাবাহিনী যুবতি কন্যা পেলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বাঁধা দিলে গুলি করে মেরে ফেলছে।

মায়ানমার সেনা বাহিনী রাস্তার পাশের ঘরবাড়ি, মাদ্রাসা সহ যত স্থাপনা আছে সব জালিয়ে দিচ্ছে। দূর থেকে বোমা মেরে এসব জ্বালিয়ে দিয়ে যাচ্ছে আর আগুণ এত দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে যে ঘর থেকে বের হবার উপায় নেই, তাই জানা গেছে রাস্তার আশেপাশে সহ পুরো গ্রাম এর মানুষ জড় হয় খোলা ক্ষেতে বা জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।

কিছু কিছু এলাকা আছে ওসব বৌদ্ধ বা মগদের এলাকা কিন্তু তাদের মাঝে মাঝে কিছু কিছু মুসলিম পরিবার আছে, তাদের আতংকে দিন কাটছে, কারন তার ঘর থেকে বের হলেও সন্দেহ করবে আবার যে কোন কারো উস্কানীতে তাদের হত্যা করলে বা মানুষ শুদ্ধ পুরো বাড়ীতে আগুল জ্বালিয়ে দিলেও কেউ দেখার নেই, বলার নেই, তাদের চিৎকার শুনবেনা কেউ। কেউ জানবেওনা।

রোহিঙ্গা ইয়াং জেনেরশন চেষ্টা করছে প্রতিরোধ করার জন্য কিন্তু তা কি সম্ভব? খন্তা, কুড়াল দিয়ে পারা যাবে একটা রাষ্ট্রের একটা সেনা বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে!! তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মৃত্যুকে আলিংগন করার আগে তায় শেষ চেষ্টা একটা ঢিল ছুড়ে হলেও প্রতিবাদ করতে চাইছে।

বিষয়: বিবিধ

৬৭৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383892
২৯ আগস্ট ২০১৭ রাত ০৮:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গুলির জবাবে ঢিল ছুড়লে হয় সন্ত্রাসী।
২৯ আগস্ট ২০১৭ রাত ০৮:২১
316762
বাকপ্রবাস লিখেছেন : মধ্যপ্রাচ্য তথা সওদি আরবে রোহিঙ্গারা প্রথমে এসেছে পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে, পুরোনো যারা আছে তারা এখনো পাকিস্তানী পাসপোর্ট বহন করছে, গত ত্রিশ বছর যাবাত যারা এসেছে তারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে এসেছে, আসলে তাদেরকে একটা জনপদে বন্দী করে রাখা হয়েছে, তারা কোথাও যেতে পারেনা, তায় জীবিকার প্রয়োজনে এবং লোভে কেউ কেউ মাদক ব্যাবসায় জড়িত, বাকীরা অসহায় প্রাণ দিচ্ছে সেখানে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File