মুহাম্মাদ কুতুবের ইন্তেকালে চোখে অশ্রুর বন্যা, হৃদয়ে বিয়োগ ব্যথা

লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ০৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:১৪:৫১ সকাল



কাল সারা রাত ঘুমাইনি। খুব খারাপ ছিলো মনটা। কারণ খুঁজে পাই নি। আর সারা রাত ধরে মুহাম্মাদ কুতুব কে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গবেষণা পড়া শুনা করেছি। স্ত্রীকে বলেছি, আমি কুতুব পরিবারের লেখা টা শেষ করতে চাই, এবারে রমাদানে বইটা বাজারে আনার নিয়্যাত করেছি। তাই তুমি ঘুমাও আমি একটু পড়ি। মুহাম্মাদ কুতুবের কয়টা বই পড়ে সকালে ফজরের পর ঘুমালাম। বিকালে যখন আমার এক ছাত্র মুহাম্মাদ কুতুবের ইন্তেকালের সংবাদ দিলো, মিলিয়ে দেখলাম রাত জাগার সেই কাতর মুহুর্ত গুলোর সময়েই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন আমার প্রানপ্রিয় এই উস্তায শায়খ মুহাম্মাদ কুতুব। আজ ২০১৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল শুক্রবার জিদ্দার ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল সেন্টার হসপিটাল 'মুস্তাশফা আলমারকায আলতিব্বী আলদাওলী'তে ফজরের পর তিনি ইন্তিকাল করেন।

মুহাম্মাদ কুতুব ১৯১৯ সালের ২৬শে এপ্রিল মিশরের আসইয়ূতের মুশা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার প্রাইমারি ও সেকন্ডারি শিক্ষা বড় ভাই সাইয়েদের তত্বাবধানে কায়রোতেই হয়। ১৯৪০ সনে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংলিশ ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রী গ্রহন করেন। এরপর আরো এক বছর শিক্ষায় হাইয়ার ডিপ্লোমা নিয়ে শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। মিশরের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুবাদ বিভাগেও ৫ বছর কাজ করেন। এর পর আবার শিক্ষকতায় ফিরে যান। ১৯৫০ সন হতে তিনি ইখওয়ানুল মুসলিমুনের সাথে পরিচিত হন। এবং বিভন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেন। ফলে বড় ভায়ের সাথেই ১৯৫৪ সালে কারাবাস করতে হয় তাকে। বড় ভায়ের তথাকথিত অপরাধে গোটা পরিবারে জামাল আব্দুল নাসেরের যে অত্যাচারের খড়্গ নেমে আসে, মুহাম্মাদ কুতুব তা থেকে নিস্কৃতি পাননি। ১৯৬৫ সনে আবার তাকে আটক করা হয় এবং ভায়ের ফাঁসির কাষ্ঠে শাহাদাত বরণের পর ১৯৭২ সনে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাকে এর পরে বাধ্য করা হয় দেশ ছাড়তে। তিনি সৌদি আরবে চলে আসেন, এবং দ্বীন প্রচারে ব্যাপৃত হন। ঐ বছরেই তিনি বাদশাহ আব্দুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয়ের মক্কা শাখায় লেকচারার হিসেবে নিয়োগ পান। পরে এই ইউনিভার্সিটি 'উম্মুল কুরা' নাম ধারণ করলে তিনি এখানের উসূল আলদ্বীন বিভাগের আক্বীদা ও আধুনিক ইসলামী থট এর প্রফেসর হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ৩৫টার বেশী বই লিখেছেন। বাংলা ভাষায় অনুবাদিত 'ভ্রান্তির বেড়াজ্বালে ইসলাম' ও 'বিশ শতকের জাহিলিয়্যাত' বই দুটো পড়লে তার জ্ঞানের গভীরতা আন্দাজ করা যাবে। ইসলামে তার বিশাল অবদান কে মূল্যায়ন করে মুসলিম বিশ্বের 'নবেল প্রাইজ' হিসাবে গন্য ফয়সাল পুরুস্কার প্রদান কমিটি তাকে পুরুস্কার পাওয়ার উপযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করেন। ১৯৮৮ সনে তাকে এই পুরুস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

তার কাছে শিক্ষা নিয়েছেন অনেক বড় বড় আলিম উলামা। ডঃ সাফার আলহাওয়ালী, ডঃ মুহাম্মাদ আলকাহতানী, ডঃ আলী আল'আলইয়ানী, ডঃ সালমান আলআওদাহ, শায়খ সাঈদ মুসফির আলকাহতানী সহ অনেক প্রখ্যাত উলামা তার হাতে দ্বায়ী ইলাল্লাহের যোগ্য হয়ে গড়ে উঠেছেন। তিনি ভাই সাইয়েদ কুতুবের ভাব ভাষা, চিন্তা ও চেতনায় দারুন ভাবে ঋদ্ধ হয়েছেন। তার সম্পর্কে ভাই সাইয়েদ কুতুবের 'অজানা তীরে' কবিতায় বলেছেনঃ

أخي، ذلك اللفظُ الذي في حروفه رموزٌ وألغازٌ لشتى العواطفِ

أخي ، ذلك اللحنُ الذي في رنينه ترانيمُ إخلاصٍ و ريّا تآلفِ

أخي أنت نفسي حينما أنت صورة لآمالي القصوى التي لمّا تُشارفِ

فأنت عزائي في حياة قصيرة وأنت امتدادي في الحياة وخالِفِي

'আমার ভাই' - এই শব্দে গাঁথা হরফ সমাহারে

মনের নানান টানের চিহ্ন, গোপন রহস্য

'আমার ভাই' -এই কণ্ঠে ভাসা বীণার ঝংকারে

নিষ্ঠার সুর, ভেজা ভেজা মিলন সহাস্য।

ভাইটি আমার আত্মা যেন, ছবি হয়ে ভাসো

তুমিই অসীম আশার আলো ভবির অন্ধকারে

ছোট্ট জীবনে সান্তনা নিয়ে দু'হাত বাড়িয়ে আসো

তুমিই আমার জীবন দিবে অনেক লম্বা করে।

আসলেই তাই হয়েছিলো। সাইয়েদের শাহাদাতের পর মুহাম্মাদ কুতুব ই তার চিন্তার অবশিষ্ঠ গুলো আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন। তার লেখা অনেক গুলো বই পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমি সেখানে প্রতিটি ছত্রে, শব্দে, কিংবা ভাবের বিন্যাসে সাইয়েদ কেই খুঁজে পেয়েছি। এ যেন শহীদ সাইয়েদ কুতুবের জীবন টা তার ভাই লম্বা করে দিয়ে গেছেন।

তিনি ছিলেন জ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে ইসলামী করণের প্রবক্তা। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার উদ্যোগে 'ইসলামাইজেশান অব নলেজ' শ্লোগান টা খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি এবং বাংলাদেশের ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফ ছিলেন এই কাজের প্রথম উদ্যোক্তা। উনার একটা কথা আমাকে দারুন ভাবে আলোড়িত করেছিলো। তিনি বলেছিলেনঃ ইসলামের ইতিহাসে কোথাও ইসলামি জ্ঞান এবং অনিসলামি জ্ঞান বলে কিছু নেই। মানব কল্যানে যেসব জ্ঞান রয়েছে তা সবই ইসলামি, সেটা যেখানেই থাকুক মুমিনদের এটা শেখা জরুরী। এখানেই তিনি হাদীসের কথাটা কৌট করতেন। 'আলহিকমাতু দ্বাল্লাতুল মু'মিন। আন্না অজাদাহা, ফা হুয়া আহাক্বু বিহা।'

মুহাম্মাদ কুতুব বহু বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। সাহিত্যে তার পদচারণা পরিবারের অন্যান্যদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিলোনা। কবিতাও লিখেছেন ঢের। সমালোচনা সাহিত্যে তার অবদান অনেক বেশী। ইসলামি সাহিত্য সন্দর্শনে তার লেখনী আজো পর্যন্ত রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তার 'মানহাজ আল ফান্ন আলইসলামী' বই টা ইসলামি সাহিত্য প্রেমীদের পড়া একান্ত কর্তব্য বলে আমি মনে করি। এই বই তে তিনি এক যায়গায় বাংলা ভাষার কবি রবীন্দ্রনাথের কবিতাও আলোচনায় এনেছেন। এবং সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, অমুসলিমদের লেখা সাহিত্য যদি মানবতা বোধকে উপজীব্য করে লেখা হয়, তাও ইসলামি সাহিত্যের উদাহরণ হিসাবে গ্রহন যোগ্য হতে পারে। ছাত্র জীবনে তার এই মন্তব্য পড়ে আমি অদ্ভুত ভাবে শিহরিত হয়েছিলাম।

তিনি ই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইসলামে 'তারবিয়্যার' ধারণাকে বিকশিত করেছেন। আমার জানা গন্ডীর মধ্যে তিনি প্রায় ১০টার মত বই লিখেছেন, যা সরা সরি ইসলামি এডুকেশান নিয়ে লেখা। তিনি বলেছেন 'শিক্ষা' 'জ্ঞান দান' 'প্রশিক্ষণ' 'এডুকেশান' এসব গুলো এক জিনিষ আর 'তারবিয়্যাহ' আরেক জিনিষ। তারবিয়্যাহর কাজ হলো একজন মানুষের ভেতরে থাকা প্রতিভা কে উন্মিলিত করে দেশ ও জাতির উপকারে আসতে পারে এমন ভাবে তাকে গড়ে তোলা। তিনি বলেছেন, ইসলামের ইতিহাসে কোন তারবিয়্যাহ প্রাপ্ত লোক কোথাও বেকার থাকতো না। বিশ্বাস করেন, এ সম্পর্কে তার দর্শন গুলো না পড়লে ইসলামি এডুকেশান নিয়ে ভাবাটা খুব ফলোদায়ক হবে না।

সৌদী আরবে ৬ বছরে থাকা কালে মাত্র তিনবার তাকে দেখেছি। দুইবার রিয়াদে, একবার মদীনায়। এত জ্ঞান, এত সুন্দর ভাষায় আলোচনা জীবনে খুব কম শুনেছি। এমন মানুষের ভালোবাসা পেয়ে নিজকে খুব ধন্য মনে হচ্ছে, দুয়া করছি আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন। তার তিন বোন ও ভাইকে একত্রে জান্নাতে রাখুন। তাদের ত্যাগ ও কুরবানী কে ইসলামের জন্য কবুল করুন।

বিষয়: বিবিধ

৪২৩৪ বার পঠিত, ১২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

202625
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩৫
বিভীষিকা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৪০
152131
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
202626
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩৬

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : ইসলামের ইতিহাসে কোথাও ইসলামি জ্ঞান এবং অনিসলামি জ্ঞান বলে কিছু নেই। মানব কল্যানে যেসব জ্ঞান রয়েছে তা সবই ইসলামি, সেটা যেখানেই থাকুক মুমিনদের এটা শেখা জরুরী।

বিষয়টির সাথে পুরোপুরি একমত নই। জ্ঞানের মুক্ত বিহঙ্গের পরতে পরতে ইসলামী লেবেল লাগিয়ে দিলে জ্ঞান শুধু সংকুচিতই হবে, নয় কি?
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩৯
152130
সালাম আজাদী লিখেছেন : হাহাহা, মনে হয় আপনি উনার বক্তব্যটা আরেকবার পড়লে বুঝবেন আপনার কথা ও উনার কথায় কোন ফারাক আছে কিনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৪৪
152132

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : "মানব কল্যানে যেসব জ্ঞান রয়েছে তা সবই ইসলাম" (????)

বটেই! নিতান্তই হাসালেন Rolling on the Floor
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:১৫
152133
সালাম আজাদী লিখেছেন : তাইতো বলি!
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
152191
ঈগল লিখেছেন : রায়হার ভাই, সব কল্যাণমূলক জ্ঞানকে যদি আপনি ইসলামী বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে অনুরোধ রইল, ইসলামী না বলে বলুন, সকল কল্যাণমূলক জ্ঞানকে ইসলাম সমর্থন করে।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০০
152349
তারাচাঁদ লিখেছেন : অমুসলিমদের উচিত মুসলিমদের বাদ দিয়ে নিজেদের নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকা ।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
152391

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : @ তারাচাঁদ :২১ শতকের বিজ্ঞানময় অমুসলিমরা কখনো মুসলিম মুমিনদের নিয়ে ভাবিত নয়, বরং মুসলিম মুমিনরাই অমুলিমের দেশে ইসলাম ধর্মের জিজিয়া কর আদায়ের জেহাদী আফিম ত্যাগ করতে পারেনা।

[b]@ বন্ধু ঈগল ভায়া :[/b] হুম!! কাফের, মুর্তাদ, নাস্তিকের কল্লা কর্তনের কল্যাণমূলক জ্ঞানকে ইসলাম সমর্থন করে।
202631
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৩৮
তুহিনুল ইসলাম লিখেছেন : দুয়া করছি আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন। তার তিন বোন ও ভাইকে একত্রে জান্নাতে রাখুন। তাদের ত্যাগ ও কুরবানী কে ইসলামের জন্য কবুল করুন। আমিন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২২
152197
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন
আপনাকে অনেক শুকরিয়া
202637
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
আবদুল আলিম লিখেছেন : আমিন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২২
152198
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন
জাযাকাল্লাহু খায়রান
202651
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:১৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২২
152200
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু খায়রান
202659
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : "মানব কল্যানে যেসব জ্ঞান রয়েছে তা সবই ইসলাম" - সহমত।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
152201
সালাম আজাদী লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, লোকমান ভাই
202669
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:২২
বাংলার সিংহ লিখেছেন : দুয়া করছি আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন। তার তিন বোন ও ভাইকে একত্রে জান্নাতে রাখুন। তাদের ত্যাগ ও কুরবানী কে ইসলামের জন্য কবুল করুন। আমিন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
152202
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন, জাযাকাল্লাহু খায়রান
202672
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪২
ঈগল লিখেছেন : মহান আল্লাহ তাঁকে কবরে প্রশান্তিতে রাখুন এবং জান্নাত দান করুন।
=========
ভাই, একটি প্রশ্ন ছিল, মুহাম্মদ কুতুব কি শেষ পর্যন্ত মুসলিম ব্রাদারহুডে ছিলেন? আশা করছি নিশ্চিত উত্তর দিবেন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
152196
আহমদ মুসা লিখেছেন : রায়হান রহমান, স্বাধীনতা, বিবিয়ানা, যমুনার চরে, গেরহস্তের কণ্যা ইত্যাদি নিকগুলো আমার কাছে একই ব্যক্তির মনে হয়।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
152204
সালাম আজাদী লিখেছেন : উনি সহ বড় বড় চিন্তাবীদদের একটা গ্রুপ ইখওয়ানে নিস্ক্রীয় ছিলেন, কিন্তু বাইরে ইখওয়ানের কর্মকান্ড প্রসারে তাদের ভূমিকা বাদ দেয়া যায়না। সৌদিতে সুরুরী গ্রুপের কার্যক্রমে তার ভূমিকা ছিলো অনেক বেশি।
202684
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভ্রান্তির বেড়াজ্বালে ইসলাম' ও 'বিশ শতকের জাহিলিয়্যাত' বই দুটির সাথে আমার পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু কিছু জানার সুযোগ হয়নি মুহাম্মদ কুতুব এবং সাইয়্যেদ কুতুব আসলেই একই ব্যক্তি নাকি আলাদা আলাদা দু'জন ব্যক্তি। আজ আপনার এ লেখাটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পেরে শুকরিয়া জানাচ্ছি।
মজলূম স্কলার মুহাম্মদ কুতুব সত্যিই একজন উম্মাহর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানের আলোকবর্তিকা। বিংশ শতাব্দীতে মানবজাতির রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে, বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে দুনিয়াতে ফিতনা ফ্যাসাদ ও হানাহানিতে লিপ্ত মানব জাতিকে শাস্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বকে লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরার ক্ষেত্রে, পুজিবাদী শোষণতান্ত্রিক সুদ ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার অসারতা ও গরীব-অসহায় মানুষের হক প্রতিষ্ঠার জন্য কল্যাণমূখী ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার কার্যকর ব্যাখ্যা ধার করার ক্ষেত্রে, নিত্য নতুন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের ইসলামের আলোকে যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে, সর্বপরি যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বর্তমান উম্মাহর উপর মিডিয়া আগ্রসনের কারণে মুসলিম মিল্লাত সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ তা যেসব মুসলিম স্কলাররা গোড়াতেই বুঝতে পেরেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন মুহাম্মদ কুতুব রাহিমাহুল্লাহ।
মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে লিখিত একজন ব্লগারের একটি ব্লগে আমি মন্তব্য করেছিলাম বেশ কিছুদিন পূর্বে। প্রসংঙ্গক্রমে এখানে তা উল্লেখ করছি-
মুসলমানদের মিডিয়াবিমূখীতার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে আমাদের জাতির আলোর মশালধারী তথা আলেম সমাজের একটি বড় অংশই সেই বিংশ শতাব্দির শুরু থেকেই মিডিয়ার প্রতি নেতিবাচক চিন্তা চেতনার প্রভাব পড়েছে আজকের জাতির এই করুণ ধন্যতার উপর। অবশ্য আলেম সমাজের এই পশ্চাৎমূখীতার বেশ কিছু যৌক্তিক ও বাস্তবধর্মী কারণও ছিল। আলেম ওলামারা গল্প, নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি সাহিত্যের এই শাখাগুলোতে সংগত কারণেই তেমন বিচরণ করেননি। তা তাদের পক্ষে শোভনীয়ও ছিল না। এর ফলে এসব সাহিত্যের যখন স্থির চিত্রায়ণের বৈপ্লবিক সূচনা হলো তখন খালি পোস্টে গোলা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসলো তথাকথিত প্রগতিশীল নামের দুর্গিতিশীলরা। এই দুর্গিশীলদের খপ্পরে পড়ে যাত্রাতেই হুচোট খেয়ে পদশ্চুৎ হয়ে শয়তানের কর্মসূচী বাস্তবায়নের হাতিয়ারে পরিনত হলো এই শিল্পটি। এর পতিক্রিয়া স্বরূপ আলেম ওলামাদের তরফ থেকে ফতোয়া আসতে লাগলো সিনেমা দেখা হারাম, নাটক দেখা হারাম, টেলিভিশন দেখা হারাম, ভিসিয়ার দেখা হারাম। এর একটি বাস্তব কারণও ছিল। ওখানে যা প্রচার করা হচ্ছে তা দিতে জাতির প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর পর্যন্ত সুষ্ঠ দিক নির্দেশনামূলক কিছুই দিতে পারছে না। পারবেই বা কি করে? ওখানে আগে থেকেই ঢুকে পড়েছে তথাকথিত প্রগতিশীলরা। যার ফলে আলেম সমাজের পক্ষ থেকে এসবের বিরুদ্ধে ফতোয়া আসাটা ছিল একটি অত্যন্ত সাভাবিক পতিক্রিয়া। একারণে এই জগতটাতে ঈমানদার মেধাবী লোকদের পদচারণা তেমন নিজের পরিবেশবান্ধব ছিল না।

কিন্তু মিশরীয় ইসলামী বুদ্ধিজীবিরাসহ বিংশ শতাব্দির অনেক মুসলিম স্কলার এ সমস্যাটি খুব তীব্রভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। যার ফলে আরব জাহানের ইসলামী পন্ডিতদের ফতওয়া এবং সম সময়িকালের উপমহাদেশীয় আলেম বিশেষ করে ওলামায়ে দেওবন্দীদের একটি বিশাল অংশ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জগত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার কারণে তাদের ফতওয়ার মধ্যে তারতম্য দেখা যায়। কিন্তু শহীদ হাসানুল বান্না ও সাইয়েদ কুতুবের চিন্তার প্রভাব যেসব অঞ্চলে পড়েছে সে সব অঞ্চলের মুসলমানরা কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে মিডিয়াগিরিতে। এক্ষেত্রে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানরা অনেক পিছিয়ে আছে তুলনামূলকভাবে।
আসলে আমি মন্তব্য লেখা শুরু করেছিলাম মরহুম মুহা্ম্মদ কুতুবের মৃত্যুতে লিখিত শোকাহত ব্লগটিতে। কিন্তু প্রসংঙ্গক্রমে মন্তব্যের ট্র্যকটি অন্যত্র চলে গেলো। মন্তব্যটি লম্বা হলে গেলো বিধায় দুঃখিত। মরহুম মুহাম্মদ কুতুবকে মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল করে নিক- এ দোয়াই প্রার্থণা করছি।



ব্লগার মাই নেম ইজ খানের ব্লগে মন্তব্য করেছিলাম।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
152206
সালাম আজাদী লিখেছেন : আসলে আমাদের দেশে ভালো আলিমদের সংখ্যা খুব কম ছিলো। যাও ছিলো বা আছে তারা সঠিক পথে মুসলিম দের নিতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। অনেক ধন্যবাদ, আহমাদ মূসা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া
১০
202707
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
হককথা লিখেছেন : ওস্তাদ, যদি অনুমতি দেন, তা হলে একটা কথা বলি। মরহুম মুহাম্মদ কুতুবের মতামত তুলে ধরতে গিয়ে আপনি একেবারে সত্যি কথাটাই বলেছেন। জ্ঞান, প্রশিক্ষণ আর শিক্ষাদান এ তিনের সাথে তারবিয়্যা'র যে পার্থক্যটি রয়েছে, তা আমাদের অনেক শিক্ষিত লোকও বুঝতে পারেন বলে আমার মনে হয় না। ইসলামে তারবিয়্যা'র মধে এমন একটি বিষয় লুকিয়ে আছে যেটি জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা দানের মুল উদ্দেশ্যকেই সমুন্বত রাখে। আর তা হলো ব্যক্তির চেতনায় 'চিন্তাশক্তির উন্মেষ' ঘটানো। আমরা ইংরেজিতে যাকে বলি 'Ecposition of Thoughts' আল কুরআনে এটাকেই হিকমাহ বলা হয়েছে। জ্ঞান শিক্ষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যা অর্জিত হবার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়, তা হলো এই হিকমাহ ও সেই সাথে দক্ষতা। হিকমাহ ছাড়া দক্ষতা কল্যাণকর হবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। এই জন্যই বোধ করি আল্লাহ পাক আল কুরআনে বলেছেন 'মাইঁউতিল হিকমাহ ফ্বাক্বাদ উতিয়াহ খাইরান কাসিরাহ' অর্থা‍‍্য যাকে হিকমাহ দেয়া হয়েছে, তাকে প্রভূত কল্যাণ দেয়া হয়েছে।
উস্তাদজি, ভূল হলে দয়া করে শুধরে দেবেন। আমার ব্যক্তিমত উপলব্ধীটুকুই বললাম কেবল। সুন্দর একটা পোষ্ট উপহার দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
152248
সালাম আজাদী লিখেছেন : ভাইজান, এক্বেবারে হক কথাই। হিকমাহ এর অনেক অর্থের আপনার টাও একটা অর্থ। তারবিয়্যার যে কনসেপ্ট তিনি তুলে ধরেছেন তা খুব ই সুন্দর। একদিন আমরা বসে ওগুলো নিয়ে লিখলে আরো উপকৃত হবে দেশ ও জাতি। আশা করি বিষয়টা নিয়ে ভাববেন,
জাযাকাল্লাহু খায়রা; আমার পোস্টের চেয়েও সুন্দর আপনার কমেন্ট। নিজকে গর্বিত মনে হচ্ছে আপনার লেখা কমেন্ট পড়ে।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২০
152297
হককথা লিখেছেন : স্যরি, Exposition of Thoughts হবে, বানান ভূল হয়েছে বলে দু:খিত।
১১
202744
০৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর তথ্যপুর্ন এই পোষ্টটির জন্য। মুহাম্মদ কুতুব এর "ইসলাম দি মিসআন্ডারস্টুড রিলিজিয়ন" বাংলা অনুবাদে "ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম" একটি অত্যন্ত জরুরি বই। মুহাম্মদ কুতুব শুধু এই বইটির জন্য হলেও স্মরনিয় থাকবেন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১৪
152272
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান। তার অনেক বই বাংলায় হয়নি। হলে আমরা উপকৃত হতাম
১২
202792
০৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৪
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০২
152350
সালাম আজাদী লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খায়রান
১৩
202815
০৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩২
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : যুগে যুগে ইসলামের খেদমতে এরকম লোকের খুবি দরকার ছিলো।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৩
152351
সালাম আজাদী লিখেছেন : হবে ইনশাআল্লাহ। তবে যিনি যান, তার মত কি আর কেও হবে?
১৪
202822
০৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৩
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : হুনেছি হেতিনি একজন ভালা মানুষ আছিল। হেতিনির নামটা যেমন কুতুব কাজে কর্মেও নামের অর্থের প্রতি সুবিচার করেছেন তিনি। বিশ্ব মুসলিম জাতিকে ইসলামের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে তিনি নিজের জীবনটাকেই কুতুবে পরিনত করেছেন। জাতির জন্য রেখে গেছেন অনেক অনেক মূল্যবান কুতুব। হেতিনির রুহের মাগফিরাত কামনা করে নিজেও ধন্য হইবার চাই আপনেরেও ধন্যবাদ দিবার চা্ই।
আচ্ছা ওস্তাদ! বাত কে বাত এক্কান আবদার করণ যায় না আপনাদের মতন বিদ্ব্যান ব্যক্তিদের প্রতি?
মানে হেতিনির বিখ্যাত কুতুবগুলানরে আমাগো মত বাঙ্গাল অধমগো লিগ্যা তরজুমা করে হুনানোর উদ্যেগ নেওন যায় না?
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৫
152352
সালাম আজাদী লিখেছেন : আবারো গ্যান্জামে ফেলিয়ে দিলেন। উনার বই বাংলায় হওয়া দরকার। চেষ্টা চালাতে হবে, আমাদের জীবন তো গেছে, এখন তরুণ প্রজন্মের দিকে তাকায়ে থাকতে হবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১৫
202828
০৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৬
152353
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
১৬
202839
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ইসলামের খেদমতে কুতুব পরিবারের ত্যাগ আল্লাহ যেন কবুল করেন সেই দোয়া করি
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৬
152354
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন। জাযাকাল্লাহু খায়রান
১৭
202842
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক আমিন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৭
152356
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন। আল্লাহ আপনাকে অনেক জাযা দান করুন
১৮
202859
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
ভিশু লিখেছেন : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন!
অনবদ্য তাফসীরগ্রন্থ ফী জিলালিল কুরআনের রচয়িতা সাইয়েদ কুতুব শহীদের যোগ্যতম সহোদর এই সুমহান ব্যক্তিত্ব বিশ্ব-ইসলামী আন্দোলনের একজন শতাব্দীসেরা উজ্জ্বল নক্ষত্র! সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁর পরিবারের প্রতিটি অনন্য সদস্য এপথে! তাঁদের লেখনী, ত্যাগ-তিতীক্ষা, সংগ্রাম-সাধনা পৃথিবীর প্রতিটি আনাচে-কানাচে কর্মরত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অবিরাম অনুপ্রেরণা-উৎসাহ দিয়ে যেতে থাকবে! মহান রব অবশ্যই তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করবেন, ইনশাআল্লাহ...Praying Praying Praying
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৮
152357
সালাম আজাদী লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ। জাযাকিল্লাহু খায়রান।
১৯
202861
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : যাজাকাল্লাহু খাইর। অনেক কিছু জানাহলো। Good Luck Good Luck আল্লাহ যেন তাঁর উপর সন্তুষ্ঠ হন। Praying Praying
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৯
152360
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন!! বারাকাল্লাহু ফীকুম। আল্লাহ আপনাকে কল্যান দান করুন
২০
202863
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : আমীন । Praying Praying Praying
আপনার লেখাটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম । কুতুব ভাইয়েরা আলাদা দু'জন ব্যক্তি আজ জানলাম ।
বাংলাদেশের ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফকে নিয়ে আপনার লেখা ব্লগে পড়তে চাই তাহার বেপ্যারে জানতে চাই ।
আপনার কলমে আল্লাহ বরকত দান করুন ।

জাযাকাল্লাহু খায়রান ।

বস,একটা বিষয় জানতে চাই আরবি 'মালিশ' শব্দটার বাংলা অর্থ কি হবে ? বিনীত



০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৭
152363
সালাম আজাদী লিখেছেন : জেদ্দাবাসী কে আন্তরিক অভিনন্দন। চেষ্টা করবো ড: সৈয়দ আশরাফ আলী কে নিয়ে লিখতে। দু করবেন।
আরবিতে نحت বলে একটা পরিভাষা আছে, যার অর্থ কয়েকটি শব্দ সমষ্টি খন্ডিত অংশকে একত্রে এনে একটি শব্দে রূপান্তরিত করা। যেমন لا حول ولا قوة إلا بالله কে সংক্ষেপ করে حوقل বলা হয়। بسم الله الرحمن الرحيم কে সংক্ষেপ করে بسمل করা হয়।
আরবীতে ما عليك شيء এর অর্থ হলো কোন সমস্যা নাই। এইটাকে সংক্ষেপ করে معليش করা হয়েছে।
জেদ্দাবাসী কেএই প্রশ্নের উত্তর লন্ডনের লোকেরা দিলে মানুষ আমাকে নেড়া করে দেবে যে!!!Rolling on the Floor
২১
202865
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫০
বশর সিদ্দিকী লিখেছেন : হে আল্লাহ তুমি তোমার এই দায়িকে তোমার জান্নাত দান করুন। আর আমাদেরকে তার মত করে দায়ি হবার তৌফিক দান করুন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৮
152364
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন। সুন্দর দুআ করেছেন। জাযাকাল্লাহু খায়রান
২২
202888
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
লোকমান লিখেছেন : আমরা আরো একজন মহান ব্যক্তিকে হারালাম। হে আল্লাহ তুমি তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করো। আমিন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৮
152365
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন। জাযাকাল্লাহু খায়রান
২৩
202889
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
মু নূরনবী লিখেছেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁকে তাঁর কাজের স্বীকুতি দেবেন....
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৯
152366
সালাম আজাদী লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
২৪
202891
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
মু নূরনবী লিখেছেন : স্বীকৃতি
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৯
152368
সালাম আজাদী লিখেছেন : হুমমGood Luck
২৫
202895
০৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুক।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২০
152369
সালাম আজাদী লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আল্লাহ আপনার দুআ কবুল করুন। আমীন। জাযাকাল্লাহু খায়রান
২৬
202921
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩০
আবু আশফাক লিখেছেন : দুয়া করছি আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:১৩
152384
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন, জাযাকাল্লাহু খায়রান
২৭
202925
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
তারাচাঁদ লিখেছেন : ১৯৭৯ সালে স্বউদ্যোগী হয়ে সৈয়দ আলী আশরাফ মক্কা আল মুকাররামায় ইসলামী শিক্ষার উপর ইন্টারন্যশনাল কনফারেন্সের আয়োজন করেন । সারা বিশ্ব থেকে ইসলামিক স্কলারগণ সে কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন । সেই সেমিনারে পঠিত প্রবন্ধগুলো নিয়ে মোটা মোটা তিন ভলিউমের স্মারকবই বের হয়েছিল । ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পাঠাগারে বই উল্টাতে গিয়ে জীবনে প্রথমবারের মত সে বইগুলো দেখেছিলাম । বইগুলো ইংরেজীতে লেখা ছিল । তখন ছিল কিশোর বয়স । ইংলিশ প্রবন্ধ তেমন বুঝতাম না । তাই বিভিন্ন প্রবন্ধের শিরোনাম এবং এর লেখকের নাম পড়েই সেদিন ফিরে এসেছিলাম । সে স্মারক গ্রন্থে মুহাম্মদ কুতুবের নামটি প্রথম পড়েছিলাম । মনস্থ করেছিলাম, বড় হয়ে বইগুলো কিনব । বড় হয়েছি । বই কেনার সামর্থ আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন । কিন্তু, ইসলামী শিক্ষা বিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সংকলিত প্রবন্ধগুলো নিয়ে সেই স্মারক গ্রন্থ আর কোথাও খুঁজে পাইনি ।
আমার মনে হয়, সৈয়দ আলী আশরাফের মত সে ধরণের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করার মত মানুষ পৃথিবীতে খুব বেশি নেই । তখন থেকেই মুহাম্মদ কুতুব আমার কাছে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসাবে স্মরিত ।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:১২
152383
সালাম আজাদী লিখেছেন : হুমম, এর পরে কিন্তু কাজ থেমে থাকিনি, ট্রিপল আই টির কাজ গুলো তাদের ভলিউম এর চেয়েও অনেক রীচ। তবে সাজ্জাদ স্যার, সৈয়দ আলী আশরাফ স্যার, মুহাম্মাদ কুতুব, আহমাদ আসসাল, আব্দুল্লাহ তুর্কী, আব্দুহু য়ামানী এরা সবাই ছিলো দ্বীনের একেকটা খুঁটি। উনাদের সময়ের রাবেতা কী না করেনি, আর আজ সেই রাবেতা একটা বিল্ডিং সর্বস্ব সংগঠন। আমরা কিছুই করতে পারলাম না। উনার শেষ হয়ে যাচ্ছেন, আর আমরা উনাদের পায়ের কাছেই পৌঁছতে পারলাম না!!
জাযাকাল্লাহু খায়রান
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪০
152394
তারাচাঁদ লিখেছেন : আপনি ঠিকই বলেছেন, , International Institute of Islamic Thought অসাধারণ কিছু কাজ করেছে । আমিই বরং মন্তব্য করার সময় এদের নাম ভুলে গিয়েছিলাম । এদের প্রকাশনা American Journal of Islamic Social Science একটি অত্যন্ত উঁচুমানের ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন ।
০৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৩১
152566
রওশন জমির লিখেছেন : দরোজায় মন্তব্য না করে জানালায় করলাম। উদ্দেশ্য পরিপূরণের পথে এগোনো। পঞ্চাশ বা ষাটের দশকে পুঁজিবাদের চাপে আর সমাজবাদের তাপে মুসলিম বিশ্বে জ্ঞান-জাগতিক জাগরণের যে সূচনা হয়েছিল, তার ফসলই হল কুতুব পরিবার ও সৈয়দ আলী আশরাফের সমকালীন ব্যক্তিবর্গ। তাদের রেখে যাওয়া কাজ এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। তাদের যে নিষ্ঠা-নিবেদন ও উৎসর্গপ্রবণ মন ছিল, আজ তা নেই। উপরন্তু তখন দু ভাগে বিভক্ত বিশ্ব নিজের কোলে রাখার আগ্রহে অনেক মুসলিম প্রণোদনার ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করতো। বর্তমানে সে পরিবেশ নেই। পুঁজিবাদী একক শক্তি আমেরিকা সর্বত্র শকুনের দৃষ্টি ছড়িয়ে রেখেছে। অদূর-সুদূর ভবিষ্যতে তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমন সকল বিষয়েই তারা সক্রিয় প্রতিবন্ধক। তাই আজকে কোনো কর্ম চোখে পড়ছে না। তবে পথ এখনো খোলা দরকার শুধু ইখলাস আর কোশলের।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন।
২৮
202930
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:১০
শিক্ষানবিস লিখেছেন : جزاكم الله خيرا على حسن الإفادة
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:২৬
152388
সালাম আজাদী লিখেছেন : শিক্ষানবিস কই, অনেক বড় মানুষ। জাযাকাল্লাহু খায়রান
২৯
202937
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:২২
তারাচাঁদ লিখেছেন : ইসলাম বিষয়ক অধ্যয়ন যখন আমার চোখ খুলে দিল, তখন তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে বেশ পড়াশোনা করতে চাইতাম । তখনই নজরে পড়ে 'ভ্রান্তির বেড়াজলে ইসলাম', 'বিংশ শতাব্দীর জাহেলিয়াত', 'আমরা কি মুসলমান', 'ইসলামের প্রশিক্ষণ নীতি' বইগুলো । যারা মুক্তচিন্তার পাঠক, তাদের জন্য মুহাম্মদ কুতুবের বই বেশ উপযোগী । মূলত সাইয়্যেদ মওদুদীর বই এবং দুই কুতুবের বই পড়ার পর থেকে পাশ্চাত্য জড়বাদী সভ্যতা আমাকে মোটেও আকর্ষণ করে না । ইসলামপন্থীদের মধ্যে যারা পাশ্চাত্যের প্রতি মোহগ্রস্ত, এবং যারা ইসলাম সম্বন্ধে অজ্ঞ, তাদের সবার জন্য মুহাম্মদ কুতুবের বইগুলো পড়া খুবই জরুরী ।
ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম বইয়ে ১৭টি চ্যাপ্টার আছে । এর মধ্যে প্রথম ষোলটি চ্যাপ্টারে ইসলাবিরোধীদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের যৌক্তিক জবাব দেয়া হয়েছে । এ বইয়ের সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন এবং অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাকের অনুবাদের চেয়ে অধ্যাপক আবদুল গফুরের অনুবাদ বেশ ঝরঝরে হয়েছে । ইসলামিক ফাউণ্ডেশন আবদুল গফুরের অনুবাদটি পুরো বই হিসাবে বের না-করে ছোট ছোট বুকলেট হিসাবে প্রকাশ করেছিল । সেই বুকলেট এখন আর পাওয়া যায় না । শুধু আধুনিক প্রকাশনীর অনুবাদটিই পাওয়া যায় ।
বিংশ শতাব্দীর জাহেলিয়াত অনুবাদ করেছেন আবদুর রহীম সাহেবের মত একজন স্কলার । খায়রুন এ প্রকাশনী বইয়ের প্রকাশক ।
আমরা কি মুসলমান (হাল নাহনু মুসলিমুন) অনুবাদ করেছেন মুহাম্মদ মুসা । কাঁটাবনস্থ আহসান পালিকেশন এ বই প্রকাশ করেছে ।
ইসলামের প্রশিক্ষণ নীতি বইটি খুব সম্ভব সিন্দাবাদ প্রকাশনী প্রকাশ করেছিল । অনেকদিন ধরে এ বই বাজারে দেখি না । হককথা তার ১০ নম্বর মন্তব্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে সামান্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন ।

মুহতারাম সালাম আজাদী ভাই, এ মন্তব্য আপনাদের মত মুরুব্বীদের জন্য নয় । শুধু নবীনদের জন্য ।

০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩১
152390
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমার জন্য ও হয় আপনার কমেন্ট গুলো খুব মজার
সেদিন আমাদের এক মুরুব্বি বলতেছিলেন, ভালো ভালো ইসলমি বই বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। সময় এসেছে আমাদের কাজ করার
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪৬
152397
তারাচাঁদ লিখেছেন : http://www.kalamullah.com/index.html
বেশকিছু ইসলামী বইকে স্ক্যানিং করে অনলাইন পাঠকদের জন্য উপহার দিয়েছে । সেদিন দেখলাম মুহাম্মদ কুতুবের Islam the Misunderstood Religion বইটি হাওয়া হয়ে গেছে ।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:১৬
152404
সালাম আজাদী লিখেছেন : ভাইরে, মদীনায় তার এক বক্তৃতার পরে তথাকথিত সালাফী ভাইদের যে ইন্সাল্ট সেদিন দেখেছিলাম, তা আমাকে কাঁদায়েছিলো। উনাদের লেখা সালাফী ভাইদের ওয়েব সাইটে থাকবে বিশ্বাস হয়না। দু:খ
৩০
202953
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
তারাচাঁদ লিখেছেন : সালাম আজাদী ভাই, আপনি লিখেছেন, সাইয়্যেদ কুতুব এবং মুহাম্মদ কুতুবের বই প্রায় একই রকম । আমি কিন্তু দুই ভাইয়ের লেখার মধ্যে একটি পার্থক্য পেয়েছি । সেটি হল, সাইয়্যেদ কুতুবের উপস্থাপনা করেছেন বিপ্লবী ভাব নিয়ে, আর মুহাম্মদ কুতুব উপস্থাপন করেছেন একজন একাডেমিশিয়ানের মত যৌক্তিকভাবে । মুহাম্মদ কুতুবের বই পড়ার পর মন তার অজান্তেই ইসলমের প্রতি ভালবাসায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে ।
যারা ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের জবাব পেতে চান, যারা ইসলাম্বের সাথে বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্রের তুলনামূলক অধ্যয়ন করতে চান, তাদের জন্য মুহাম্মদ কুতুবের বই উপযোগী । আর ঈমানদারদের মধ্যে যারা ইসলামী সমাজ কায়েমে অংশ নিতে চান, তাদের জন্য উপযোগী সাইয়্যেদ কুতুবের বই ।
আর উভয়শ্রেণীর জন্য প্রচুর বই লিখেছেন সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী ।
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৫৩
152400
সালাম আজাদী লিখেছেন : একমত। তবে সমস্যা ছিলো অন্য যায়গায়। সাইয়েদ জুলুমের সময়ে যা লিখেছেন তার ভাষা ও শান্তির সময়ে যা লিখেছেন তার ভাষা ভিন্ন করেছেন। আপনি ফিত তারীখ বই, সমাজিক সুবিচার বা আলনাক্বদ আল আদাবী তে মুহাম্মাদ ও সাইয়েদ কে আলাদা করতে পারবেন না। আবার মুহাম্মাদের সৌদি যাওয়ার আগে ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ এর ভাষাগুলো তে সাইয়েদের বিপ্লবী ভাষার ও উপস্থাপনার বিষয় গুলো পাবেন। ঐ অর্থে উনারা একে অপরে অবিচ্ছেদ্য। চিন্তার জগতে তো দুয়ের কোন পার্থক্য নেই। বিশ শতকের জাহিলিয়াত তো সাইয়েদের প্রতিধ্বনি। যদিও তাদের এই কনসেপশানের সাথে আলিম দের বিরাট মত পার্থক্য আছে। মূলত উনারা দুই জনেই ইমাম মাওদূদী থেকেই কনসেপ্ট টা ধার করেছিলেন।
যদি কেও সাইয়েদ, মুহাম্মাদ ও মাওদূদীকে একসাথে পড়ে তাহলে দেখবে কীভাবে তিন ঝর্ণার পানি এক হ্রদে যেয়ে মিশেছে।
জাযাকাল্লাহু খায়রান, তারাচাঁদ ভাই
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:১৫
152818
তারাচাঁদ লিখেছেন : 'জাহেলিয়াত' বিষয়ে সাইয়্যেদ আবুলা আলা মওদুদী এবং কুতুব ভ্রাতৃদ্বয় যে সংজ্ঞা দিয়েছেন, এ বিষয়ে আমাদের উপমহাদেশের আলেমগণ নীরব । তবে ইদানিংকালে গজিয়ে উঠা কিছু আরবীয় সালাফী আলেম এই তিন মহাস্কলারের বিরুদ্ধে খুবই উচ্চকণ্ঠ । সাইয়্যেদ আবুলা আলা মওদুদী এবং কুতুব ভ্রাতৃদ্বয়ের সংজ্ঞা অনুসারে, ইসলামকে অস্বীকারকারী সকল মতাদর্শ, আইনকানুন, বিধিবিধান--তা যে কোন কাল বা যুগেরই হোক না কেন--তা অবশ্যই জাহেলিয়্যাত । উনবিংশ শতাব্দীর কমিউনিজম, সেক্যুলারিজম, নাস্তিক্যবাদ, উদারনৈতিক মতবাদ--সেগুলোও নিঃসন্দেহে জাহেলিয়াত ।
কিন্তু, মুষ্টিমেয় কট্টর সালাফীদের মতে, জাহেলিয়াতের মানে হল, ইসলামপূর্ব আরবীয় মুশরিক সমাজের নিয়ম-রীতির সমষ্টি । জাহেলিয়াত এটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ; এ ছাড়া আর জাহেলিয়াত নেই ।
ইদানিংকালের পাঁচটি বই জাহেলিয়াত বিষয়ে তিন স্কলারের ধারণা পরিস্কারভাবে লিখে দিয়েছে ।
এক. সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী'র 'ইসলাম ও জাহেলিয়াত', এবং 'ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব' ।
দুই. সাইয়্যেদ কুতুবের ' ইসলামী সমাজ বিপ্লবেৃ ধারা' ।
তিন. মুহাম্মাদ কুতুবের ' বিংশ শতাব্দীর জাহেলিয়াত'
চার. আব্বাস আলী খানের 'ইসলাম ও জাহেলিয়াতের চিরন্তন দ্বন্দ্ব' ।
ইসলামী সমাজ কায়েমে প্রত্যাশী নব-প্রজন্ম এ বইগুলো অধ্যয়ন করে ইসলাম এবং জাহেলিয়াত সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পেয়েছে । আশ্চর্যের বিষয় হল, সংখ্যালঘু সালাফী আলেমদের দেয়া ফতোয়া অনুসারে এসব বই পড়লে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে ।

(সালাম আজাদী ভাই, অনুগ্রহ করে ৫ই এপ্রিল, ২০১৪, রাত ১০-৪৭-এ পোস্ট করা প্রতি-মন্তব্যটি মুছে দিন ।)
৩১
202957
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
টোকাই বাবু লিখেছেন : তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার উদ্যোগে 'ইসলামাইজেশান অব নলেজ' শ্লোগান টা খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি এবং বাংলাদেশের ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফ ছিলেন এই কাজের প্রথম উদ্যোক্তা।
Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
152401
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
৩২
202995
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৩১
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান করুন। আমি তো প্রথমে টাশকি খাইলাম, সাইয়্যেদ কুতুবের মৃত্যু এই সময়ে,পড়তে পড়তে জানতে পারলাম দু’জন আলাদা ব্যক্তি। দুই ভাই। অনেক কিছু জানলাম, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৪০
152409
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান। আসলে অনেকের ই এমন কনফিউশান ছিলো। আল্লাহ আপনার দুআ কবুল করুন।
৩৩
203072
০৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৫৭
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

যাজাকাল্লাহু খাইর। অনেক কিছু জানলাম।
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:৩২
152502
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
৩৪
203095
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৪২
আবু জারীর লিখেছেন : মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরত কামনা করছি।
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:৩৪
152503
সালাম আজাদী লিখেছেন : আল্লাহ এই সুন্দর দুআ কবুল করুন। আপনাকে অনেক শুকরিয়া
৩৫
203096
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৪২
আবু জারীর লিখেছেন : মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
৩৬
203105
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:১৫
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:৩৫
152504
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
৩৭
203123
০৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:১০
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৩১
152512
সালাম আজাদী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক শুকরিয়া
৩৮
203151
০৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪৭
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আল্লাহ উনাকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমিন।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৫
152899
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন। জাযাকাল্লাহু খায়রান
৩৯
203181
০৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:২১
ইক্লিপ্স লিখেছেন : মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরত কামনা করছি।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৫
152900
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন, জাযাকিল্লাহু খায়রান
৪০
203218
০৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
রেজাউল ইসলাম লিখেছেন : I read and noticed several books of him, but forgot.Your nice article instigate me to read his all important books again and think about them. May Allah bless him as well as us also.
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৭
152902
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান।
৪১
203229
০৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২৭
বাচ্চা ছেলে লিখেছেন : উনার লেখা বইগুলো বাংলায় অনুদিত হওয়া উচিত।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৮
152903
সালাম আজাদী লিখেছেন : জী। জাযাকাল্লাহু খায়রান
৪২
203245
০৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:১০
ফরীদ আহমদ রেজা লিখেছেন : সালাম প্রিয় ভাই আজাদী। সুন্দর লেখার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা গতকালই দেখেছি। খুব ব্যস্ত ছিলাম। তাই কিছু বলতে পারিনি।
আপনার লেখাটা সংক্ষিপ্ত হলেও সাইয়েদ কুতুব এবং মুহাম্মাদ কুতুবের মধ্যে পার্থক্যটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। আমি এ বিষয়টার দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রয়োজন আমাদের মন-মগজকে এমন ভাবে মোহগ্রস্থ করে রেখেছে যে মুহাম্মদ কুতুব এবং এ রকম যে সকল মনীষী রাজনৈতিক শ্লোগান-মিছিলের বাইরে থেকে মুসলিম কমিউনিটির চিন্তার বিকাশ এবং মনের তালা-খোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছৈন তাদের দিকে দৃষ্টি দেয়ার সময় আমরা পাই না। মনুষকে টানেল-ভিশন থেকে মুক্তি দিয়ে বিকাশের রাজপথে টেনে আনার কাজটা কঠিন এবং সে যোগ্যতা-দক্ষতা খুব কম মানুষেরই থাকে। মুহাম্মদ কুতুব এমন বড় মাপের পন্ডিত ছিলেন যে তা বুঝতে হলে আমাদের, মানে মুসলিম-বিশ্বের মানসিক বয়স আরো বাড়তে হবে। দোয়া করি আল্লাহ তার সকল খেদমত কবুল করুন এবং তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান দিন।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩৩
152906
সালাম আজাদী লিখেছেন : আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি বর্তে গেছি। মনে হয় আপনাকে নিয়ে একটা ছোট্ট স্টাডী সার্কেল আবার শুরু করি। সব সময় আপনার স্টাডী আমার কাছে ওয়াসাতিয়্যাতের মানদন্ডে উত্তীর্ণ মনে হয়।
আপনার 'মুহাম্মদ কুতুব এমন বড় মাপের পন্ডিত ছিলেন যে তা বুঝতে হলে আমাদের, মানে মুসলিম-বিশ্বের মানসিক বয়স আরো বাড়তে হবে'আমার খুব দারুন লেগেছে। শুধু একমত নই, এই কথা টা বুঝানোর ও আমি খুব চেষ্টা করি। কিন্তু বাতাসে ভেসে যায়, ইথার টা কারো কর্ণ কুহরে যেতেই চায়না। উস্তায, আপনার জন্য শুধু দুআ না, আপনার সাহচর্য আমার আরো দরকার।
৪৩
203261
০৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:০৪
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : কুতুব পরিবারের প্রতিটি সদস্যই উম্মার জন্য সম্পদ ছিল এবং আছে।
আমরা একবার দেখা করেছিলাম ডক্টর হাফিজ হাসান মঈনুদ্দিন ভাইয়ের সাথে।
বাংলায় - আমরা কি মুসলমান? এই বইটি পড়েছিলাম দেশে। তার পর আলগাছিমে এসে আবার সেটা পড়লাম।
যে কয়টি বই পড়ার সুযোগ হয়েছে তার মধ্যে একজন ব্যক্তি হিসাবে এই বইটি পড়া খুবই প্রয়োজন। কারন জীবন সম্পর্কে একটি নীতিমালা তৈরী করা যাবে।
বইটি সবাই পড়ার আবেদন রইল। ইসলামের এই মহান খাদেমকে যেন তার উত্তম মেহমান করে নেন। আমীন।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩৬
152907
সালাম আজাদী লিখেছেন : আসল ভাইয়ের কাছেই গেছিলেন। উনি ছিলেন অনেক বড় বড় স্কলারের খুব ঘনিষ্টজন।
'আমরা কি মুসলমান' বইটা আসলেই খুব ভালো। আরো ভালো ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম।
জাযাকাল্লাহু খায়রান।
৪৪
203267
০৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
পবিত্র লিখেছেন : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। Praying
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩৭
152908
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
৪৫
203270
০৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
ইসলামের বাংলাদেশ লিখেছেন : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন!
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৪১
152910
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
৪৬
203343
০৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৫
সাদাচোখে লিখেছেন : আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় 'দুনিয়াবী বিষয়াদি ও সাফল্যের ধারনা' আমাদের জেনারেশান এর মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞানকে 'সেকেলে' ধ্যান-ধারনা হিসাবে ব্যান্ডিং করেছিল এবং পরিনতিতে বিরাট এক জনগোষ্ঠি 'নামে মাত্র মুসলিম' হিসাবে জীবনের অনেকগুলো বছর পার করে দিয়েছি। জীবনের চলার পথে তথাকথিত 'সাফল্য' অনেক পাওয়া হয়েছে - কিন্তু তৃপ্তি ও শান্তি - যেন কখনো জীবনকে ছুয়ে যায়নি।

জীবনের ক্ষয়িষ্ঞু সময়ে এসে ক্রমান্বয়ে ইসলাম এর ব্যাপ্তি, উপযোগীতা, সাফল্যের মাইলস্টোন সমূহ দেখে অবাক যেমন হচ্ছি - তেমনি 'না জানার অতৃপ্তি' 'বঞ্চিত হওয়ার কষ্ট' 'কিছু না করার যন্ত্রনা' আকড়ে পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে।

আপনার এ লিখা এবং 'তারাচাঁদ' ভাইয়ের সাথে আপনার আলোচনা চমৎকার সুখপঠ্য হয়েছে, অনেক কিছু জানা হয়েছে এবং জানার জন্য অনেক রেফারেন্স ও পাওয়া গেছে।

আল্লাহ আপনাদের এ্যাপোর্টকে - পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উছিলা করে দিন - এবং ইসলামের এই রিলে রেইস কে আলটিমেট সাকসেস দিন এবং সে সাথে মুসলিমদের খেদমত করেছেন এমন সব আলেম ওলামা ও স্কলারদের আল্লাহ উপযুক্ত সন্মান এর সাথে বেহেস্ত নসীব করুন - এই প্রার্থনা করি।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৪০
152909
সালাম আজাদী লিখেছেন : বংকীমীয় শব্দ চয়নে রাবীন্দ্রিক ভাবের কমেন্ট আমাকে দারুন তৃপ্তি দিয়েছে। জাযাকাল্লাহু খায়রান।
৪৭
203348
০৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:০৬
প্রশান্ত আত্মা লিখেছেন : 'আলহিকমাতু দ্বাল্লাতুল মু'মিন। আন্না অজাদাহা, ফা হুয়া আহাক্বু বিহা।' এর বঙ্গানুবাদ কি ভাই?
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৪৪
152911
সালাম আজাদী লিখেছেন : জ্ঞান বিজ্ঞান (হিকমাহ) মুমিনের হারানো সম্পদ, যেখানেই তা পাওয়া যাবে, তা তুলে নেয়ার বেশী অধিকারি সেই ই।
৪৮
203411
০৬ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
আবু সাইফ লিখেছেন : কর্মব্যস্ততা সেরে শেষরাতে ব্লগের পাতায় চোখ রাখতেই [url href="http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/3033/Zainal/42158#.U0E4GqL-aho " target="_blank"]জয়নাল আবেদীন টিটো-র এ পোস্টে [/url শোকসংবাদটা পেলাম- Broken Heart Broken Heart Crying Crying Crying
আলহামদুলিল্লাহ.. ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
Praying Praying

প্রিয়জন বিদায়ের কষ্টের খবরটা পড়লাম, ফিরে গেলাম অনেক বছর আগের একদিনের স্মৃতিতে- কুতুব পরিবারের সাথে রুহানী পরিচয় প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি- সেকথা আরেকদিন বলবো ইনশাআল্লাহ! Waiting

ঘুমানোর পরিকল্পনাটা বাদ দিতে না পেরে মনে কষ্ট নিয়েই ব্লগ থেকে উঠলাম! Worried
এরপর ঐদিন আর সময় করতে পারিনি, কাল রাতে আমার নেটে সমস্যা ছিল- তাই ব্লগে/পোস্টে মন্তব্য করা হয়নি!

আজ এখানে সকল মন্তব্য ও দোয়া পড়লাম, নিজের জ্ঞানের ঝুলোতে রাখার জন্য অনেক কিছুই পেলাম! Day Dreaming
Praying
কিছু মানুষের জন্য দোয়ার ঝাঁপি স্বতঃস্ফূর্তভাবেই খুলে যায়- চলতে থাকে একটানা- কয়েকদিন, সপ্তাহ, মাস পেরিয়ে চলে- কখনোই থামেনা, থামার নয়! Praying Praying

আল্লাহতায়ালা কুতুব পরিবারকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে রাখবেন এবং নাদেখেও যাঁরা তাঁদের লেখনি ও সংগ্রামী সাথীদের মাধ্যমে জেনে তাঁদেরকে ভালোবাসেন তাঁরাও যেন জান্নাতে সাথী হবার সুযোগ পান [ইনশাআল্লাহ]- রহমানুর রহীমের শাহীদরবারে এমন দাবী করে চলেছি!
Praying Praying Praying

*******
*******
শুরুতে আপনার যে মানসিক অবস্থার কথা বলেছেন এটাকে সম্ভবতঃ "টেলিপ্যাথী" বলে- যার সাথে অন্তরের গভীর সম্পর্ক থাকে তার যেকোন গুরুত্বপূর্ণ বড় ঘটনায় অলৌকিকভাবে নিজের অন্তরে যে প্রতিক্রিয়া হয়- ভালো বা মন্দ যাই হোক!


এমনটা আমার ছাত্রজীবন থেকেই হয়! বিশেষ করে আব্বা-আম্মা দাদা-দাদী ও ভাই-বোনদের ক্ষেত্রে সামান্য বিষয়েও টের পেয়ে যাই! কখনো আমার আপনজনেরা কোন মন্দ খবর আমার থেকে গোপন রাখতে চাইতো! কিন্তু আমিই যখন অস্থিরতা নিয়ে খোজ নেয়া শুরু করতাম তখন আর সেটা গোপন থাকতোনা! এখন আর কেউ গোপন রাখতে চায়না! অনুশীলন করেও এ অনুভূতির কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব হতে পারে ইনশাআল্লাহ!
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫৪
152913
সালাম আজাদী লিখেছেন : সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খায়রান
৪৯
203482
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩৭
জয়নাল আবেদীন টিটো লিখেছেন : পোস্ট-মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যগুলো পড়ছি । শেখার মত অনেক কিছু পেয়েছি বলে বেশ ভাল লাগছে । কিন্তু মনের কোণে জমে থাকা বিয়োগ-ব্যাথার কারণে পড়াটা আনন্দময় হচ্ছে না । প্রিয় শিক্ষক হারানোর ব্যাথায় কাতর থাকলে কোন কিছুই এনজয় করা যায় না ।

মুহতারাম, আপনি তো তাঁকে দেখেছেন, তার দরস শুনেছেন । মুহাম্মাদ কুতুব ছিলেন একজন একাডেমিশিয়ান, কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটির শরীয়াহ ফ্যাকাল্টির ডীন । । আপনি সাক্ষ্য দিয়েছেন, যারা বড়জোড় তার ছাত্রের সমান জ্ঞান রাখে, তাদের কাছে তিনি রূঢ় আঘাত পেয়েছেন এবং সবর করেছেন । শেখ সাদীর কবিতা 'উত্তম ও অধম'-এর উদাহরণ দেখা গেল কিছু অসহিষ্ণু ধর্মান্ধের মাঝে । সেটা পড়ে আরও খারাপ লাগল ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মরহুমকে---যার জ্ঞানের কাছে আমরা ঋণী---তাকে উচ্চ মর্যাদায় দাখিল করুন । আমার ক্ষুদ্র পোস্টে Click this link। আমি মুহাম্মাদ কুতুবের মৃত্যু সংবাদ ছাড়া আর কিছুই লিখিনি । তাই আপনার বিশ্লেষণধর্মী পোস্টের খুবই প্রয়োজন ছিল । মডারেটরগণও এ পোস্টকে নির্বাচিত করে ন্যায়বিচার করেছেন ।
উত্তম পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫৫
152914
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান। আপনার পোস্টে আমি আমার কমেন্ট দিয়েছি। আপনার লেখাটাও আমার ভালো লেগেছে।
৫০
203522
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
নাহিদ নোমান লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫৬
152915
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
৫১
203539
০৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:১৬
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : তারাচাঁদ ভাই এর লেখা থেকে,সংখ্যালঘু সালাফী আলেমদের দেয়া ফতোয়া অনুসারে এসব বই পড়লে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে । সত্য কথাআমেরিকার মত জায়গায় এই সালাফী গোষ্ঠী কতুব পরিবারের বিরুদ্ধে প্রচার করে যাচ্ছে।
এখানে অধ্যাপক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন লেখা বই পাবেন।
//www.storyofbangladesh.com/ebooks/ekattorersriti.html
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫৭
152916
সালাম আজাদী লিখেছেন : আপনাকে অনেক দিন দেখিনা। জাযাকাল্লাহু খায়রান
৫২
203602
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৪৮
সত্যলিখন লিখেছেন : ইসলামের খেদমতে কুতুব পরিবারের মত পরিবার তৈরী হতে পারে না ?
ইসলামকে ভালবেসে আমাদের অনুপ্রেরনার জন্য এতো সুন্দর লিখা উপহার দেবার জন্য আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের সব চেয়ে উত্তম প্রতিদান দান করুন
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:০২
152917
সালাম আজাদী লিখেছেন : হচ্ছে, হয়েছে, এবং হবে। সবাই কি আর এক রকম হয়। আপনার ফ্যামিলিকেও আল্লাহ এই রকম বানিয়ে দিন, দুআ করি।
৫৩
203635
০৭ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:২৫
152929
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
৫৪
203656
০৭ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৪৯
গ্রাম থেকে লিখেছেন : প্রিয় নেতা সাইয়েদ কুতুবের ভাই মোহাম্মদ কুতুব সম্পর্কে কিছুই জানতাম না,
কিন্তু আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারছি তিনি মুসলিম বিশ্বের অমুল্য রত্ন ছিলেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন- আমিন।

ধন্যবাদ আপনাকে।
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:২০
153217
সালাম আজাদী লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও। জাযাকাল্লাহু খায়রান। আপনার দুআ আল্লাহ কবুল করুন
৫৫
203797
০৭ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২১
বিদ্যালো১ লিখেছেন : Jazak Allah Khair.
likhati pore unar shomporke nuton kore janlam.
০৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:২১
153218
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান।
৫৬
259977
৩১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
আবু নাইম লিখেছেন : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন!
আপনার লেখাটা অনেক পড়ে পেয়েছি.কারন আমাদের এখানে বিডি টুডে ব্লক ছিল.
আমিও আসলে সাইয়েদ কুতুব ও মুহাম্মাদ কুতুবকে নিয়ে দ্বন্দে ছিলাম. আপনার লেখা পড়ে ফ্রেস হলাম.
ওনাদের পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন. আশা করি.
আল্লাহ আপনার লেখার হাতকে আরও খুরদার, শক্তিমান, মোহময় ও বলিষ্ট করুন.এবং আমাদের সবাইকে তার সত্য ও সুন্দরের জন্য.. ও দ্বীনের জন্য কবুল করুন..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File