বাংলার সবুজ জমিনে পরাক্রান্ত পৌত্তলিকদের পদচারণা আর ভীরু আমি।

লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:৫৪:৫৯ রাত

আমি জানিনা ইসলামকে আসলেই বিজয়ী করার জন্য বাংলাদেশে কারো পরিকল্পনা আছে কিনা। বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামী আন্দোলনকেতো আমরা দেখলাম ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। আর তাদেরো গতানুগতিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া আর কোন পরিকল্পনা ছিল কিনা আল্লাহ ভাল জানেন।

এদিকে ভারতমাতার সৈনিকরা এদেশের সুন্দরতম তরুণ প্রাণগুলোকে একে একে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে, যার এখন পর্যন্ত শেষ শিকার হয়েছে সোহান (রহিমাল্লাহু ওয়া গাফারা লাহু)।

আল্লাহ মজলুমদের জন্য সাহায্যকারী হন তখন যখন তারা জালিমকে রুখে দাঁড়ায়। বিজয় আল্লাহ তাদেরকে দেন যারা তাঁর দীনকে বিজয়ী করতে মাঠে নামে। "যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো তবে তিনিও তোমাদের বিজয় দান করবেন, এবং তোমাদের ক্বদমগুলো দৃঢ় করে দেবেন।" [৪৭: ৭]

আল্লাহ আগের নবীদের ক্বওমকে আকাশ থেকে সাহায্য করেছেন জ়ালিমদেরকে অলৌকিক গজ়ব দ্বারা ধ্বংস করে। কিন্তু মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উম্মতদেরকে তিনি এভাবে সাহায্য করেন না। তিনি আকাশ থেকে সাহায্য পাঠান এই উম্মতের জন্য তখন, যখন এরা নিজেরা ময়দানে দুশমনের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তাই তিনি জ়ালিমকে এখন আর আসমানী আজ়াব দিয়ে শাস্তি দেন না; তিনি বরং ঈমানদারদের হাতে তাদেরকে শাস্তি দিতে চান। তাই তিনি বলেছেন, "তাদের সাথে লড়াই করো, আল্লাহ্ তাদের শাস্তি দেবেন তোমাদের হাতে; আর তাদের লাঞ্ছিত করবেন, আর তোমাদের সাহায্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে, এবং মুমিন সম্প্রদায়ের বুককে ঠাণ্ডা করবেন; আর তিনি তাদের অন্তরের ক্ষোভ দূর করবেন। [৯: ১৪-১৫]।

কত মজ়লুমের ফরিয়াদ পৃথিবীর আনাচে-কানাচে উঠেছে, কিন্তু তা কাফিরদের বিজয়কে ফিরিয়ে রাখতে পারেনি, কারণ মজ়লুমদের সাহায্যে আল্লাহর বান্দাহরা লড়াই করতে এগিয়ে আসে নি। তাই আমরা আন্দালুসিয়ার পতন ঠেকিয়ে রাখতে পারি নি। আমাদের সামনে দিয়েই হারিয়ে যাচ্ছে আরো অসংখ্য মজ়লুম মুসলিম জনপদ। একদিন হয়তো আমরাও দেখবো সবুজ বাংলার জনপদে জনপদে পরাক্রান্ত পৌত্তলিকদের দাম্ভিক পদচারণা। তারা এখনো পদচারণায় রত আছে তবে গোপনে। সেই আশির দশকে আল-মাহমূদ লিখেছিলেন তাঁর "কদর রাত্রির প্রার্থনা" কবিতায়ঃ

====

আমাদের রাজ-রাজড়াদের পাপে তুমি যেন আমাদের ধ্বংস করে দিও না।

কেন এক প্রাচীন তৌহীদবাদী জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতার রজ্জু

তুমি পরাক্রান্ত পৌত্তলিকদের হাতে তুলে দিতে চাও?

আমরা কি বংশানুক্রমে তোমার দাস নই?

আমরা তোমার নামের কোনো জেহাদেই অতীতে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিনি।

তোমার অনুগ্রহ থাকলে

আমাদের সিজদারত সন্ততিরাও রক্ত-বারুদের সমাধানই

শেষ পর্যন্ত বেছে নেবে।

====

হাসিনার মুক্বাবিলা নয়; পরাক্রান্ত পৌত্তলিকদের মুক্বাবিলার জন্যই আজ প্রস্তুতি নেবার সময়। সবুজ বাংলার প্রতিটি বিশ্বাসী জনপদের হিফাজতের জন্যই আজ দরকার রক্তের সাথে বারুদের। নাহলে ভরাট হওয়া পদ্মা পানির পরিবর্তে শহীদের রক্ত দিয়েই শুধু প্রবাহিত হবে। তারপর আমরা জানব একসময় এখানে কিছু ঈমানদারদের বস্তি ছিল যা বিরান হয়ে গেছে।

প্রিয় জন্মভূমি! আমি ভীরু বলে পালিয়ে গেলাম তোমার কাছ থেকে। কখনো হয়ত তোমার সাথে আমার আর দেখা হবে না। কারণ তোমার বুকে পৌত্তলিকদের সদম্ভ পদচারণা ও আমার উপর তাদের খবরদারী আমি মেনে চলতে পারবো না। কিন্তু তোমার বুকে অতীত হওয়া আমার জীবনের প্রথম ২১টি বসন্ত আমি চিরদিন অন্তরে লালন করবো। আর যদি ঈমানদারদের কোন দল তোমাকে হিফাজত করে ঘাঁটি বানিয়ে উপমহাদেশকে পৌত্তলিকদের দাপট মুক্ত করতে ময়দানে অবতীর্ণ হয়ে যায় তবে আমি অবশ্যই সেখানে থাকব।

বিষয়: বিবিধ

৯৯২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366581
২১ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৫:৪৬
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার।
366584
২১ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৬:১৬
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : হাসিনার মুক্বাবিলা নয়; পরাক্রান্ত পৌত্তলিকদের মুক্বাবিলার জন্যই আজ প্রস্তুতি নেবার সময়।

সহমত
366589
২১ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৭:২৬
শেখের পোলা লিখেছেন : মুকাবেলা করার হিম্মত বাঙ্গালীর আর কোনদিন হবে না৷ অনেক পিছনে চলে এসেছি আমরা৷ এখন আল্লাহ যদি কোন অঘটন ঘটায় তবেই পরিস্থিতি বদল হতে পারে৷ ধন্যবাদ৷
366656
২১ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:৩৯
ইয়াফি লিখেছেন : এদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ এর জন্য দায়ী!
366674
২১ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:৪৬
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশে ঠিকই প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে উঠবে । গণতন্ত্রের মুলা খাওয়া, মুলধারার ইসলামি দলগুলু নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হলে বিদেশি জিহাদী গ্রুপ গুলুর ফ্র্যন্সাইজের আমদানি হবে।

366693
২১ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১০:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মানুষ ঠিকই প্রস্তত আছে। কিন্তু নেতৃত্বের অভাব।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File