আফসোস বাবুল আক্তার! আপনি তাদের প্রশ্ন করুন ১১.১১.১৫ তারিখে ঢাকার কাফরুলে কর্তব্যরত মিলিটারি পুলিশের উপর হামলাকারী ধৃত জেএমবি'র জঙ্গির কি হল?

লিখেছেন লিখেছেন বিবেক ০৫ জুন, ২০১৬, ০৬:৫৪:৪০ সন্ধ্যা

১. খেতাব প্রাপ্ত চৌকশ পুলিশ অফিসারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে প্রতিশোধ গ্রহণ। (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমান)

২. ১১.১১.২০১৫ তারিখে একই কায়দায় ঢাকার কাফরুল এলাকায় কর্তব্যরত মিলিটারি পুলিশের উপর হামলা হয়েছিল, হামলা কারীকে হাতে নাতে ধরাও হয়েছে, জনগণ কি বিগত আট মাসে জানতে পেরেছে সেই হামলা কারী কে ছিল? কারা তাকে ভাড়ায় লাগিয়েছিল?

৩. জেএমবি'র শুধুমাত্র নিচের ব্যক্তিই ধরা পড়ে; উপরের কেউ ধরা পড়ে না আবার অসহায় কাউকে ফাঁসিয়ে জেএমবি বানানোর কসরত চলার বদনাম তো আছেই! এই গ্রুপের দ্বিতীয় সাড়ি থেকে উপর পর্যন্ত সবাই নিরাপত্তা বাহিনীর চেয়েও সেরা। সে জন্য তাদের দলের উপরন্তু কেউ ধরা পড়ে না।

৪. জিএমবি'র কাছে যেসব অস্ত্র পাওয়া যায় তার সবই ভারতের তৈরি। ভারতের দাবী, ভারতেও জেএমবির ঘাটি আছে, এসব ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশী কিন্তু এসব বাংলাদেশী জেএমবি অস্ত্র পায় ভারত থেকে! ভারতের দারুণ পলিসি! সন্ত্রাসীকে জায়গা দিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখা আবার তাদের দিয়ে অস্ত্র ঢুকানোর খসরত দুটোই চলে।

৫. বাংলাদেশে সেই সাহসী ব্যক্তিটির এখনও জন্ম হয়নি যিনি বজ্রকন্ঠে বলবেন, 'জেএমবি ভারতের তৈরি, ভারত তার পৃষ্ঠপোষক, বাংলাদেশে গুপ্ত হত্যার নামে ব্লগার, নাস্তিক, সাহিত্যিক, দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসার, আর্মি পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছে এসব ভারতীয় গোয়েন্দারাই করছে' আর তাদের হয়ে কাজ করছে বাংলাদেশের কেউ কেউ!


- এই ঘটনায় আর কোন পুলিশ অফিসার সাহস দেখাবে না। বিশেষ করে জেএমবি বিরুদ্ধে সহজে যাবে না। সুতরাং জেএমবি আরো আশকারা পাবে। দেশ আরো অশান্ত হবে, বিনা ভোটের সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দোহাই দিয়ে ভুলেও নির্বাচনে যাবে না। এসব ঘটনায় বাংলাদেশের অরাজকতা কোন পর্যায়ে যাবে, দেশের কি হবে কেউ জানেনা। তবে খারাপ ও অকল্যাণ যাই ঘটুক না কেন তার একমাত্র ফল ভোগ কারী হবে 'ভারত' আর সে দেশের ব্যবসায়ীরা।

- বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিতান্ত খারাপ এমনকি ভয়াবহ হলেও, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য জাতি সংঘ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সেনাবাহিনীকেই দায়িত্ব নিতে বলবে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ইচ্ছা করেই হোক কিংবা নিজেদের চামড়া বাঁচানোর জন্যই হোক দেশটাকে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছে।

- সামান্য তম দেশপ্রেম বোধ বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর কাছে নাই। আর সে জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্য দেশে পালিয়ে কিংবা আত্মগোপন করে থাকার জন্য টাকার দরকার! অনেক অনেক টাকা! আর তাই চারিদিকে চলছে হরিলুট। অপ্রকৃতস্থ এক বৃদ্ধকে বানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, তিনি সকল রাস্তা মেলে ধরছেন।

- ফাইনালি জেএমবি'র যদি কেউ ধরা পড়ে তারা হবে চুনোপুঁটি কিংবা ফাঁসিয়ে দেওয়া ব্যক্তিবর্গ। আর প্রকৃত কেউ যদি ধরা পড়ে তাহলে তিনি বেমালুম গায়েব হয়ে যাবে, যেভাবে অতীতে আরো গেছে। কেননা মূল জেএমবি ধরা পড়লে পরিকল্পিত খেলা সেদিনই শেষ হয়ে যাবে।

- এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ হতে হবে। একক ভাবে লড়াই করলে, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, তুহিন মালীক, শফিক রহমানদের দশা হবে। আফসোস করার জন্য কেউ জিন্দা থাকবে না। দিন যখন শেষ হয়ে যাবে, সেদিন প্রকৃত জেএমবি'র নেতা আগরতলা মার্কা অট্টহাসি দিয়ে ঘোষণা করবে, আমিই ছিলাম সেই নেতা। পরিস্থিতির কারণে সত্য বলিনি।

enabahini_637" target="_blank" target="_blank" rel="nofollow">মিলিটারি পুলিশের উপর হামলার তদন্ত করছে সেনাবাহিনী

ঢাকায় চেকপোস্টে মিলিটারি পুলিশের ওপর হামলা

বিষয়: বিবিধ

১৩৭৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

371099
০৫ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
371103
০৫ জুন ২০১৬ রাত ০৮:১২
শেখের পোলা লিখেছেন : চিন্তার বিষয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File