নয় জঙ্গি ছয় জঙ্গি আসলে জঙ্গি মানে কি?

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০১ আগস্ট, ২০১৬, ০২:১০:৩৮ দুপুর

জঙ্গি মানে কি?

যারা জঙ্গলে বসবাস করে তাদের জংলী বলে। উর্দূ জং শব্দের অর্থ লড়াই সে ক্ষেত্রে যারা লড়াই করে তারা জঙ্গি, কিন্তু বাঙালীদের দেশে যেহেতু উর্দূ ভাষা নিষিদ্ধ তাই আমরা বাংলা জংলী অর্থটাকেই জঙ্গি হিসেবে নিলাম। বর্তমান সভ্য সমাজ জঙ্গি বলতে যা বুঝাচ্ছে তা মূলত জং বা যুদ্ধ বা যোদ্ধার বিরত্বপূর্ণ অর্থে নয় বরং জংলি অর্থে, তাই জঙ্গি বলতে আমরা জংলি বা জঙ্গলের অধিবাসী অর্থ গ্রহণ করে দেখি বিষয়টা কি দাড়ায়?

ইসলামের অন্যতম ফরয কাজ যিহাদকে বিকৃত করতে ইঙ্গ-মার্কীন ইহুদী চক্র কিছু ভোলা ভালা মুসলমানদের দিয়ে গৃহপালিত পশুর ন্যায়, বন্য পশু শিকারের কাজ করাচ্ছে, অর্থাৎ জংলী কাজ করাচ্ছে।

জংলি কাজের মধ্যে নির্দয় ভাবে হান্টিং অন্যতম। হান্টার বা শিকারীরা কোন প্রাণী শিকার করার জন্য স্বাজাতির প্রাণীকেই শিকার আকর্ষণের ফাঁদে ব্যবহার করে।

একটু দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেই বুঝা যায়, যিহাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার কোন যোগ্যতাই এই তথা কথিত জঙ্গি তথা জংলীদের নাই। তারা এবং তাদের নেতারা সমাজের পরিচিতও কেউ নন। শুধু মাত্র ইসলামের সুমহান যিহাদকে কলঙ্কিত করার জন্যই তারা না বুঝে শিকারীর শিকার ধরার হাতিয়ারে পরিনত হচ্ছে।

নাস্তিক রাশিয়াকে দমানোর জন্য একজন আস্তিক বিন লাদেনের প্রয়োজন ছিল। রাশিয়া যখন পরাভুত ততক্ষণে খাঁচার বিন লাদেনের ঘাড়ের রগ কিছটা মোটা হয়ে গেছে, তাই আর যায় কোথায়? অবশ্য নির্বোধ পোষা প্রাণী হয়ে থাকলে স্বার্থবাদীরা বিন লাদেনকে দিয়ে এতদিনে হয়ত মায়ানমার ও চীনের নির্যাতিত মুসলমানদের উদ্ধারের বাহানায়, চীন-মায়ানমারকেও পরাভুত করে ফেলত।

অংসান সূচীর শান্তি প্রাইজ, গণতন্ত্রী হয়ে ওঠা, মায়েনমারে মুসলিম নির্যাতন বেড়ে যাওয়া এবং সূচীর নিরবতা ও মায়েনমারে জঙ্গি তৎপরতা একই সূত্রে গাঁথা। এতে আমাদের বিষণ্ণ আত্মায় কিছুটা প্রলেপ ঠিকই লাগবে কিন্তু সুদুর প্রসারী ফলাফল হবে আমাদের স্বার্থ বিরুধী। (বিস্তারিত পরে লেখার ইচ্ছা রইল)

ইসলাম কাউকে চোরাগুপ্তা পথে যিহাদ করতে বলেনি এবং এমন দায়িত্বও কাউকে দেয়াও হয়নি। ইসলাম রাতের আঁধারে কায়েম হওয়ার মত কোন বাতিল আদর্শ নয়। ইসলাম নিজেই নূর বা আলো, তাই চারিদিক আলোয় উদ্ভাসিত করে স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার জন্যই ইসলামের আগমন। আর একে কায়েম করার জন্য যারা দায়িত্ব পালন করবে তাদের চরিত্রও হতে হবে দিনের আলোয় আলোকিত, অনন্য, অসাধারণ এবং অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।

আমরা যেহেতু ইসলামই ঠিকমত বুঝিনা তাই বড় দাড়ি আর পাঞ্জাবী দেখলেই ইসলামী ভাই বলে মেনে নেই আর লাইলাহা ইল্লাল্লাহ বলতে পারলেতো কোন কথাই নাই! অথচ ইহুদী খৃষ্টান ধর্মযাজকদের দাড়ি আর আলখেল্লা মুসলমানদের সুন্নতি এক মুষ্ঠি দাড়ি এবং টাখনুর উপর পর্যন্ত থ্রীকোয়ার্টার পাঞ্জাবীর চেয়েও বড় আর তাদের লাইলাহা ইল্লাল্লাহর কালিমা পড়ার ঢং আমাদের চেয়ও শুদ্ধ!

অতএব জিংগি মানেই জংলী, এদের সাথে ইসলামের দূরতম কোন সম্পর্ক নাই তাই আমরা যেন কালো পাঞ্জাবি, খোচা খোচা দাড়ি আর লাইলাহা ইল্লাল্লাহর পতাকা দেখে বিভ্রান্ত না হই। (রি-পোস্ট)

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375713
০১ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৭
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : কোথায় জঙ্গি কোথায় সন্ত্রাসী
কে বলে তা বহুদূর?
সোনার ছেলেরাই.......
375719
০১ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:০২
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ইঙ্গ-মার্কীন ইহুদী চক্র কিছু নাম ধারী মুসলমানদের দিয়ে পশুর ন্যায় বন্য পশু শিকারের কাজ করাচ্ছে অর্থাৎ জংলী কাজ করাচ্ছে। তারা পশুর চেয়েও অধম ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
375740
০১ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:০৪
375747
০১ আগস্ট ২০১৬ রাত ১০:০৯
হতভাগা লিখেছেন : এসব জঙ্গিবাজিতে মুসলমানদের কোন লাভ হচ্ছে না , বরং ইহুদী নাসারাদের লুটপাটের রাস্তা তৈরি হচ্ছে । ঘটনার বেনিফিশিয়ারীকেই সন্দেহের তালিকায় উঁচুতে রাখা উচিত ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File