হঠাৎ করে জঙ্গি হওয়া যায়না এমনকি ছিচকে চোরওনা।

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:৪৩:২০ রাত



বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে ‘জঙ্গি’ হয়ে ওঠে চার তরুণ!

গুলশান ট্রাজেডির জবনিকাপাত হয়েছে কিন্তু পুরা জাতির মনে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকগুলো প্রশ্ন।

কোন রুচিশীল আধুনিক, তথা উচ্চবিত্ত এবং উচ্চশিক্ষিত তরুণ যারা কিনা চরম আনন্দময় লাইফলিডে অভ্যস্ত তারা বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে জঙ্গি হয়ে উঠবে এমনটা কল্পনা করা সুস্থ্য মানুষিকতার পরিচায়ক নয়।

কোন ছেলে হঠাৎ করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেনা, নেশাগ্রস্ত হয়না, ডাকাতি করেনা তাই জঙ্গি হওয়রও প্রশ্নই উঠেনা। মূল কথা হল হঠাৎ করে বা রাতারাতিই কেউই কিছু হয়ে যায়না।

হঠাৎ করে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য অন্তত ২/১ বছর প্রেম করতে হয়, চরম নেশাগ্রস্ত হওয়ার পূর্বে কমপক্ষে ২/১ বছর গাজা হিরুইন খেয়ে প্রাক্টিস করতে হয়, হঠাৎ করে বড় ধরণের ডাকাতি করার আগে ২/১ বছর চুরি ছ্যাঁচড়ামি করে হাত পাকিয়ে নিতে হয় আর জঙ্গি হওয়ার জন্য মরার পরে স্বর্গ পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হয় এবং কম পক্ষে ২/৪ বছর ধর্মের প্রতি অনুরাগ দেখিয়ে সেই পথে হাটতে হয়।

যে ছেলেটির আচার আচরণে আজ পর্যন্ত কোন পার্থক্য নাই। যে ছেলে আরাম আয়েসে থেকে আধুনিক জীবনযাপন করছে। দেশী বিদেশী নায়ক নায়িকাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে উচ্চ শিক্ষার আশায় নিজেদের গাড়িতে করে ড্রাইভারের সাথে কোচিংএ যাচ্ছে। যার বাবা মা সন্তানের চরিত্রে এতটুকু পার্থক্য দেখছেনা সেই ছিলেটি হঠাৎ একদিন কোচিং থকে ফিরলনা। সেই না ফেরাই শেষ নাফেরা! আর জঙ্গি হামলার লীড দিয়ে দেশ বিদেশি ডজন ডজন নিরহ মানুষ হত্যা করে নিজেও লাশ হয়ে গেল! কেন যেন জাতির বিবেকবান অংশ মেনে নিতে পারছেনা।

আচ্ছা ব্যপারটাকি এমন হতে পারেনা?

কোন সঙ্ঘবদ্ধ চক্র আধুনিক স্মার্ট সাহসী এবং শিক্ষিত এইসব ছেলেগুলোকে পরিকল্পিত ভাবে একে একে কিডন্যাপ করে নিয়ে গল যা তাদের পরিবার বুঝতেও পারলনা। তাদেরকে উন্নত সুযোগ সুবিধা এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে ধিরে ধিরে মন মগজ ধোলাই করে শেষ পর্যন্ত এমন দুঃসাহসী অমানবিক কাজ করতে বাধ্য করেছে।

যদি তারা ধর্মের প্রতি অনুরাগি হয়ে এমনটা করত তাহলে আর কেউ নাহোক তাদের মায়েরা অন্তত তাদের আচার আচরণে পার্থক্য দেখতে পেত, এবং সময় মত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারত। যেহেতু কারো পরিবার থেকেই এমনটা বলা এবং তারা লাপাত্তা হওয়ার আগ পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যম এবং বন্ধু বান্ধবদের সাথে তাদের যে আচার আচরণ এবং মেলামেশা তাতে ধিরে ধিরে জঙ্গি হওয়ার কোন প্রবণতাই পরিলক্ষিত নয়। বরং উল্টটাই পরিলক্ষিত।

অতএব চোখ বুঝে বলে দেয়া যায় যে এরা হঠাৎ করে জঙ্গি হয়ে যায়নি বরং এরা প্রথমে কিডন্যাপ হয়েছে এবং এদেরকে ধিরে ধিরে মগজ ধোলাই করে জঙ্গি বানানো হয়েছে। যেমনটা অনেক গরীব মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে লুলা ল্যাংড়া করে ভিক্ষুক বানাচ্ছে একটা দুষ্ট চক্র।

জাতিকে এই মুছিবত থেকে উদ্ধার করতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক প্রকৃয়াকে জোড়দার করতে হবে। সবাইকে নিজস্ব আংগিকে রাজনীতি করতে দিতে হবে। শিশু বয়স থেকেই সন্তানদের ধর্মীয় জ্ঞান দিতে হবে। খুণ ধর্ষন সন্ত্রাস করা যে ইসলামে নিষিদ্ধ তা বুঝাতে হবে। এগুলো করে যে স্বর্গে যাওয়া যাবেনা বরং জাহান্নামে যেতে হবে সেই জ্ঞান দিতে হবে। ধর্ম কর্ম এবং ধর্মীয় জ্ঞান না থাকার কারনে হঠাৎ ধার্মীক হয়ে গেলে সে আসল ধার্মীক হয়না, হয় বকধার্মীক এবং বিভ্রান্ত জঙ্গি এটা প্রতিটা মা বাবা এবং দেশের নেতৃস্থানীয় সবাইকে বুঝতে হবে।

বিষয়: রাজনীতি

১৪৬৬ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373881
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:৫৪
ফারদিন ইসলাম লিখেছেন : কিন্তু বর্তমান সরকার হঠাত্ করেই একজনকে জঙ্গি বানিয়ে ফেলেন আর চোর তো প্রতি গ্রামে গ্রামে তৈরি করে সরকার !
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ০১:২৭
310249
আবু জারীর লিখেছেন : হুম! রেডিমেড জঙ্গি।
ধন্যবাদ।
373885
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ০১:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই সরকার ও মিডিয়া চাইলে গত কাল জন্ম নেওয়া বাচ্চা কেও জঙ্গি নেতা বানাতে পারে!!!
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ০১:২৮
310250
আবু জারীর লিখেছেন : ওহ! দেশ যে ডিজিটাল হয়ে গেছে তাতো মনেই ছিলনা। এখন সুইচ টিপলেই জঙ্গি তৈরী হয়ে যায়।
ধন্যবাদ।
373892
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ০১:৩৭
বায়বার্স লিখেছেন : ওরা ওই জায়গায় গোলাগুলি করে মরেছে না বাইরে থেকে ওদের মেরে এনে ফলা হয়েছে নিশ্চয়তা দিতে পারবেন?
০৪ জুলাই ২০১৬ সকাল ১০:৪১
310288
হতভাগা লিখেছেন : এটা তো ভেবে দেখিনি । আসলেই তো ব্যাপারটা একেবারেই উড়িয়ে দেবার মত না । এদেরকে আইডেন্টফাই করতে পারবে যারা জিম্মি ছিল তারা । কিন্তু তারা তো ডিবিদের মেহমানদারীতে আছে ।

এমনও কি হতে পারে না যে - যারা আসল ক্রিমিনাল তারা সাজোয়া বহরে করে চলে গেছে । মনে রাখা উচিত রেস্তোরা আক্রমন ও অভিযান চালানোর মাঝে ১০ ঘন্টা সময় পাওয়া গেছে ।
০৪ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:২৪
310309
আবু জারীর লিখেছেন : এই দূরন্ত ছেলেগুলি এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা সূচারু রূপে ঘটাতে পেরেছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেনা।

আপনি যেটা সন্দেহ করছেন এমন সন্দেহ প্রায় সবারই।

রেশমা নাটকের কথা জাতি এখনও ভুলেনি এবং রেশমার থেকে আসল ঘটনা জানা যায়নি বা জানতে দেয়া হয়নি তেমনি গুলশানের জিম্মিরাও কোনদিন বাহিরে মুখ খুলবে বলে মনে হয়না।

এমন একটা ঘটনা ঘটানর জন যেধরনের ট্রেনিং এবং লজিস্টিক সাপোর্টের দরকার তা গোয়েন্দাদের নজর এরিয়ে ৫/৭টা টিনএজ বা অ্যান্ডর ২৫ ছেলের পক্ষে সম্ভব নয়।

যে ছেলে হারিয়ে গেলে, গোয়েন্দারা উদ্ধার করতে পারলনা এমনকি ভারতে হারিয়ে যাওয়া ছেলেটা কিভাবে দেশে ঢুকল এবং কেউ টের পেলনা তা জাতিকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।

পৃথিবীতে এপর্যন্ত যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার কোনটারই সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। আর এ থেকেই সন্দেহ বেড়ে যায় যে যারাই এমন ঘটনা ঘটায় তাদের হাত অনেক লম্বা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা দুটোই হয়ত এক্ষেত্রে অনুঘটক।
ধন্যবাদ।
373903
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ০৪:৫০
নাবিক লিখেছেন : মধ্যযুগে মিশরে হাসান ইবনে সাব্বার এরকম একটা টেরোরিষ্ট গ্রুপ ছিলো, সাব্বা তার শিষ্যদের হাশিশ নামক একধরণের নেশাদায়ক জিনিস খাইয়ে যা ইচ্ছা তাই করিয়ে নিতে পারতো।

এদের উপরেও এমন কোনো পদ্ধতি প্রয়োগ হয়ে থাকতে পারে, ধন্যবাদ।
০৪ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:২৯
310310
আবু জারীর লিখেছেন : এদের দ্বারাও তেমনটাই হয়ত করিয়ে নেয়া হয়েছে তবে মূল অপারেসানে এদের সাথে আরো হয়ত কেউ ছিল যারা পগারপার হয়ে গেছে।
373910
০৪ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৮:২৯
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : এমনও হতে পারে, বর্তমান ছেলেরা ফ্যাশনে অভ্যস্ত তাই তাদের দারা অজান্তে ফ্যাশন করে ছবি তুলে নিয়েছে। পরে ঘটনার দিনে তাদেরকে এনে গুলি করে মেরে ছবি প্রকাশ করেছে। আল্লাহু আলাম।
ছেলেগুলোর হাসি দেখে মনেহয় ওরা ফাজলমি করে বা মডেল হিসেবে ছবিগুলো তুলেছে।
০৪ জুলাই ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
310290
হতভাগা লিখেছেন : কিন্তু ভায়া - ওদের তো ২/১ জন নিখোঁজ ছিল সেই জানুয়ারী - মার্চ থেকে , বাবা মা থানায় ডাইরীও করেছিল।
০৪ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:৩১
310311
আবু জারীর লিখেছেন : যেভাবেই হোক ওদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এবং ঘটনার সময় ওদেরও সাথে রাখা হয়েছিল। ঘটনা শেষে ওদেরকেও অঘটনের শিকার হয়েছে।
০৪ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
310313
হতভাগা লিখেছেন : আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের ছবি সরিয়ে বাবুর্চির ছবি দেওয়া হয়েছে ।
373921
০৪ জুলাই ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
হতভাগা লিখেছেন : এটা তো ভেবে দেখিনি । আসলেই তো ব্যাপারটা একেবারেই উড়িয়ে দেবার মত না । এদেরকে আইডেন্টফাই করতে পারবে যারা জিম্মি ছিল তারা । কিন্তু তারা তো ডিবিদের মেহমানদারীতে আছে ।

এমনও কি হতে পারে না যে - যারা আসল ক্রিমিনাল তারা সাজোয়া বহরে করে চলে গেছে । মনে রাখা উচিত রেস্তোরা আক্রমন ও অভিযান চালানোর মাঝে ১০ ঘন্টা সময় পাওয়া গেছে ।

যেহেতু জল এখন ঘোলা তাই সবাই মাছ শিকার করবে
০৪ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:২৪
310308
আবু জারীর লিখেছেন : এই দূরন্ত ছেলেগুলি এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা সূচারু রূপে ঘটাতে পেরেছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেনা।

আপনি যেটা সন্দেহ করছেন এমন সন্দেহ প্রায় সবারই।

রেশমা নাটকের কথা জাতি এখনও ভুলেনি এবং রেশমার থেকে আসল ঘটনা জানা যায়নি বা জানতে দেয়া হয়নি তেমনি গুলশানের জিম্মিরাও কোনদিন বাহিরে মুখ খুলবে বলে মনে হয়না।

এমন একটা ঘটনা ঘটানর জন যেধরনের ট্রেনিং এবং লজিস্টিক সাপোর্টের দরকার তা গোয়েন্দাদের নজর এরিয়ে ৫/৭টা টিনএজ বা অ্যান্ডর ২৫ ছেলের পক্ষে সম্ভব নয়।

যে ছেলে হারিয়ে গেলে, গোয়েন্দারা উদ্ধার করতে পারলনা এমনকি ভারতে হারিয়ে যাওয়া ছেলেটা কিভাবে দেশে ঢুকল এবং কেউ টের পেলনা তা জাতিকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।

পৃথিবীতে এপর্যন্ত যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার কোনটারই সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। আর এ থেকেই সন্দেহ বেড়ে যায় যে যারাই এমন ঘটনা ঘটায় তাদের হাত অনেক লম্বা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা দুটোই হয়ত এক্ষেত্রে অনুঘটক।
ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File