সহিহ ডেইলি স্টার নামা

লিখেছেন লিখেছেন আরাফাত আমিন ১১ জুলাই, ২০১৬, ১২:১৫:০২ রাত



.

২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেইলি স্টার ও এর সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিষোদগার করেন। নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একটি পোস্টারের ছবি ছাপানোর দায়ে এই বিষোদগার করা হয়।

.

হঠাৎ করে একদিন "ডেইলি স্টার-প্রথম আলো গ্রুপ" জানাইলো, মুসা ইব্রাহিম এভারেস্ট জিতছে! এরপর বানানো শুরু হইলো, একের পর এক রুপকথা! এভারেস্ট জিততে গিয়া তার কয়বার সর্দি লাগছে, পইরা গিয়া কয়বার মারা যেতে চাইছিলো, শুধু দেশের কথা চিন্তা কইরা, দেশের পতাকা এভারেস্টের মাথায় গেঁথে দেওয়ার জন্য সে নি:শ্বাস বন্ধ করে নাই!

মুসা তখন ডেইলি স্টারের সহকারী সম্পাদক।

আনিসুল হক, জাফর ইকবাল,মাহফুজ আনাম রা বাচ্চা পোলাপানদের বুঝাইতে শুরু করলো, বড় হইয়া তোমাদের সবার "মুসা ইব্রাহিম" হওন দরকার! মুসা ইব্রাহিম না হইতে পারলে জীবন বৃথা!

....বেশি দিন গেলো না। পাহাড় বিজয়ীর কুকীর্তি ফাঁস হওয়া শুরু করলো!

কয়দিন পর নিশাত, মুহিতরা জানাইলো, মুসা ইব্রাহিম এভারেস্টের চুড়ায় উঠেই নাই!

.

বন্দি আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের স্বীকারোক্তিতে শেখ হাসিনার ‘ঘুষ নেওয়ার’ খবর কোনো সূত্রের উদ্ধৃতি ছাড়াই প্রকাশ করে ডেইলি স্টার। সূত্রবিহীন খবরটি যাচাই না করে প্রকাশকে ‘বিরাট ভুল’ হিসেবে স্বীকার করে নেন মাহফুজ আনাম।

দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। এক টক শো তে মুন্নি সাহা এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্মপক্ষ সমর্থন করে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘তখন ‘‘সবাই’’ এই কাজ করছিল।’

আসলে সবাই করেনি।করেছে পেপসির আড়ালে ইহুদি অর্থায়নে পরিচালিত ট্রান্সক্রাফটের সিস্টার কনসার্ন মিডিয়া স্টারের দুই প্রতিষ্ঠান ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো।

তারপরেই সামরিক অভ্যুত্থানে উসকানি দিতে সাজানো ও মিথ্যা প্রচারণা চালানোর জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতনয় সজীব ওয়াজেদ জয়।জয় বলেন,'তার অবশ্যই একজন সাংবাদিক হিসেবে থাকার কোনো অধিকার নাই- সম্পাদক তো অনেক দূরের বিষয়। তার কার্যক্রম দুর্নীতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা দেশপ্রেমহীন এবং বাংলাদেশবিরোধী।'

.

এর আগে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে হাদিস উল্লেখ করার সময় হজরত আয়েশা (রাHappyকে রাসূল সা:-এর কন্যা উল্লেখ করা হয়(নাউজুবিল্লাহ)।শাহবাগ আন্দোলন যখন বিতর্কের চরমে তখন ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় ‘ইন দি সাইট অব আল্লাহ’ নামে একটি উপসম্পাদকীয় প্রকাশিত হয় । উপসম্পাদকীয়টি লিখেন ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ বদরুল আহসান। শাহবাগ আন্দোলনকারীদের যারা নাস্তিক আখ্যায়িত করেছে, তারা যে কত বড় পাপ করেছে নিবন্ধকার সেই বিষয়টি পবিত্র কুরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে বর্ণনার চেষ্টা করেছেন। প্রবন্ধে লেখা হয়, তাঁর (রাসূল সাHappy কন্যা একবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করল ‘ওহে নবী, আল্লাহর(গড লেখা হয়েছে প্রবন্ধে) অনুগ্রহ ছাড়া কেউ কি বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না?’ মুহম্মদ সা: উত্তর দিলেন, ‘কেউ নয়, কেউ নয়, কেউ নয়’। আয়েশা এরপর তাঁকে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনিও কি আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না?’ মুহম্মদ সা: তিনবার মাথা নেড়ে বললেন, ‘আমিও আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব না’। প্রবন্ধে লেখা হয়েছে, যারা শাহবাগ আন্দোলনকারী তরুণদের নাস্তিক আখ্যায়িত করেছে, তারা বুঝতে পারছে না যে কত বড় পাপ তারা করেছে। যারা ধর্মের মতো বিষয়ে এভাবে রায় দিয়ে দিলো তারা ব্লাসফেমি করেছে এবং এটি ইসলামের বিরুদ্ধে।

পরদিনই তাদের অনলাইন সংস্করণে এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ক্ষমা প্রার্থনা করে লেখা হয়েছে ‘ভুল করে ফাতেমা রা:-এর স্থলে আয়েশা রা: লেখা হয়েছে। আমরা সাথে সাথে অনলাইন সংস্করণে এটি সংশোধন করেছি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী।’

.

সর্বশেষ ডেইলি স্টার আবার দু:খ প্রকাশ করেছে।

ডঃ জাকির নায়েককে নিয়ে মিথ্যা খবর প্রচারে ডেইলী স্টারের এবারের দুঃখ প্রকাশ। কাজ সেরে ফেলবার পরে এইধরণের দুঃখপ্রকাশ প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের পুরাতন চরিত্র। ডঃ নায়েকের উচিৎ এদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা।

"The Daily Star’s reporting was a mere presentation of facts and we regret any misunderstanding between Dr Zakir Naik and this newspaper.

"আমরা শুধু তথ্য উপস্থাপন করেছি। এর মাধ্যমে যদি ডা জাকির নায়েক ও আমাদের মধ্য কোন ভুল বুঝাবুঝি হয় আমরা দুঃখিত।"

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাহেবও তো কেবল তথ্যই উপস্থাপন করেছিলেন। পার্থক্য কেবল তিনি ইসলাম বিদ্বেষীদের বিপক্ষে সত্য তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন আর ডেইলিস্টার প্রথম আলো করেছে ইসলাম বিদ্বেষীদের পক্ষে গিয়ে মিথ্যে তথ্য।থাবা বাবার সত্য কাহিনী প্রকাশে যদি মাহমুদুর রহমানের দিনের পর দিন শাস্তি হতে পারে অস্থিরতা তৈরি করবার মিথ্যে অপবাদে তবে ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে কেন হবেনা?

.

অবিলম্বে বাংলাদেশে ট্রান্সকম গ্রুপের মালিক লতিফুর এবং এর দুই সহযোগী মাহফুজ আনাম আর মতিউর রহমান কে গ্রেফতার করতে হবে।গতকাল আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন,গুলশান হামলায় জাকির নায়েকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।তাই তদন্ত ভিন্নখাতে পরিচালনা করতে এবং পরিকল্পিত ভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এরা গত এক যুগ ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এদেশে ইহুদি এজেন্ট প্রতিষ্ঠান পিপসি,ওয়ার্লপুল,ফিলিপ্স,প্রথম আলো,ডেইলি স্টারে সহ এদের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হোক।

বিষয়: বিবিধ

৮৬৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

374397
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:২৮
শেখের পোলা লিখেছেন : পিপসি,ওয়ার্লপুল,ফিলিপ্স,প্রথম আলো,ডেইলি স্টারে সহ এদের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হোক।"

সহমত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File