ভারত কে দেয়া ট্রানজিট আর আমাদের ভোটাধিকার

লিখেছেন লিখেছেন আরাফাত আমিন ২৬ মে, ২০১৬, ০৯:১১:১৮ সকাল



নামমাত্র মাশুল আরোপ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া হচ্ছে আজ। নৌপথেই প্রথম এ ধরনের ট্রানজিট হবে।

ট্রানজিটের প্রথম চালান হিসেবে আগরতলায় যাবে এক হাজার টন ঢেউটিন।

নৌ প্রটোকলের আওতায় ট্রানজিট হলেও তা বহুমাত্রিক ব্যবস্থায় পণ্য পরিবহন করা হবে। কলকাতা থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে, এরপর আশুগঞ্জ থেকে সড়কপথে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আগরতলায় পণ্য নেওয়া হবে।

এ জন্য প্রতি টনে মাত্র ১৯২ টাকা করে মাশুল দিতে হবে।

ট্যারিফ কমিশনের নেতৃত্বে গঠিত ট্রানজিট-সংক্রান্ত কোর কমিটির টনপ্রতি ১ হাজার ৫৮ টাকা মাশুল আদায়ের সুপারিশ ছিল। সুপারিশ মেনে নিলে বাংলাদেশ এক হাজার টন পণ্য ট্রানজিটে কেবল মাশুল হিসেবেই পেত ১০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর এখন পাবে মাত্র ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের মতে, কোর কমিটি অনেক চিন্তাভাবনা এবং যৌক্তিকতা বিবেচনা করে মাশুলের পরিমাণ সুপারিশ করেছে। কিন্তু নৌপথে যে মাশুল নেওয়া হচ্ছে, তা অনেক কম। তবে মূল বিষয় হলো, নৌপথে পণ্য পরিবহন করা হলে ভারত যতটা লাভবান হবে, এর একটি বড় অংশ বাংলাদেশের পাওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, টনপ্রতি ১৯২ টাকা মাশুল কিসের ভিত্তিতে করা হলো, এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন।

ভারত, নেপাল ও ভুটানকে সড়ক, রেল ও নৌপথে ট্রানজিট দিতে ২০১১ সালে ট্যারিফ কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির নৌপথে মাশুল টনপ্রতি ১ হাজার ৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর এখন যে মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পাঁচ গুণের কম।

ওই কমিটির প্রধান মজিবুর রহমান গত রোববার বলেন, ওই প্রতিবেদনে ট্রানজিটের সম্ভাব্যতা, পণ্য পরিবহনের প্রবাহ, বিনিয়োগসহ বিষয়ে হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই মাশুলের পরিমাণ পুরোপুরি যৌক্তিক। তবে নৌপথের মাশুল নির্ধারণ কোন কোন বিবেচনায় করা হয়েছে, তা বোধগম্য নয়।



১০৫৮ টাকার মাশুল ১৯২ টাকা!

মোবাইলফোনে আমাদের এখন ১৫% না ১৯% মাশুল দিতে হয়!

চুপ থাকেন,কথা বললেই ভ্যাট,সম্পূরক শুল্ক আর সারচার্জ।

যারা চলতি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি বলে ভাবছেন বাংলাদেশে আছেন, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা!



তিন বছর আগে নৌ প্রটোকলের আওতায় কলকাতা-আশুগঞ্জ-আখাউড়া-আগরতলা পথে কোনো ধরনের মাশুল ছাড়াই একটি পরীক্ষামূলক চালানে লোহার চালান আগরতলায় গেছে। এ ছাড়া এ পথটি ব্যবহার করে ত্রিপুরার গেছে পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রাংশ এবং ১০ হাজার টন চাল। ভারত সরকারের বিশেষ অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে এই অনুমতি দিয়েছিল।



মানবিক কারন!

ফেলানির আর সেই গরুর ব্যবসায়ীদের প্রতি সন্মান দেখিয়ে এই মানবিকতা দেখানো হয়েছিল!!

হায়রে আমার দেশ!



মহান মুক্তিযুদ্ধের অকৃতিম বন্ধুর কাছে কি টাকা চাওয়া যায়!

আমরা মাশুল চাই না!তিস্তার পানিও চাই না!

আমাদের বৈধ ভোটার আইডি আছে,আর বায়োমেট্রিক রেজিষ্টার্ড সিম আছে।

আমরা তাই আগামি বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার চাই!

মানবিক কারনে!

বিষয়: রাজনীতি

৭৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File