‘শিবির’ নামটির অজানা ইতিহাস

লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০১:১৫:৫৯ রাত

৬ ফেব্রয়ারী ১৯৭৭ সাল। এই দিনটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে একটি শহীদি কাফেলা। এই কাফেলার নামকরনের পিছনের ঘটনাটিও ছিল দারুন ইন্টারেষ্টিং। সেই ইন্টারেষ্টিং ঘটনাটি আপনাদের জন্য তুলে ধরছি.......

কার্যকরী পরিষদের বৈঠক চলছে। আলোচনার বিষয়বস্তু এই সংগঠনের নাম কি হবে। বিভিন্ন নামের প্রস্তাব আসছে। ইসলামি ছাত্রসমাজ,ছাত্র মজলিস,ইসলামি ছাত্র ফেডারেশন আরো হরেক রকমের নাম। ভাই সিদ্দিক জামাল প্রস্তুাব দিলেন ইসলামি ছাত্রশিবির। দারুন সমালোচনার স্বীকার হলেন সিদ্দিক জামাল। অনেকে হেসে উড়িয়ে দিলেন, এ কেমন নাম। শিবির তো হয় সেনাবাহিনী বা যুদ্ধরত কোন বাহিনীর জন্য। ছাত্র সংগঠনের নাম কি করে ইসলামি ছাত্রশিবির হয়। তাই প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ল “ইসলামি ছাত্রশিবির”।

বাকি নাম নিয়ে শুরু হলো তুমুল আলোচনা এবং তর্ক বিতর্ক। কোন ক্রমেই তিনটি নামের ব্যাপারে একমত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ কার্যকরী পরিষদ তিনটি নামের প্যানেল পেশ করবে সদস্য সম্মেলনে। সদস্যরাই সম্বিলিতভাবে এই তিনটি নাম থেকে নাম চূড়ান্ত করবে। তাই নতুনভাবে নামের তালিকা প্রনোয়ন করা হলো। ‘শিবির’ নামটি নামের দির্ঘতালিকায় সর্বশেষে স্থান পেল। এভাবে প্রাথমিক বাছাই দ্বিতীয় বাছাই হতে হতে চূড়ান্ত তালিকায় “ইসলামি ছাত্রশিবির” নামটি স্থান পেল তিন নাম্বারে। প্রস্তাবিত তালিকা পেশ করা হলো সদস্য সম্মেলনে। তিনটি নামের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে বক্তব্য পেশ করার জন্য সদস্যদের গোপন ব্যালট দেওয়া হল তাদের চূড়ান্ত মতামত প্রদানের জন্য। সদস্যরা তাদের মতামত প্রদান করলেন গোপন ব্যালটে। সিদ্ধান্তনুযায়ী কার্যকারী পরিষদের প্রতিনিধি দল ব্যালটগুলো নিয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ভোট গননার জন্য। মসজিদের পবিত্র চত্বরে নাম গণনা করা হল। সদস্যদের গোপন ব্যালটের রায়ে দেখা গেল “ইসলামি ছাত্রশিবির” নামটি সর্বাধিক ভোট পেয়েছে। সংগঠনের নাম ঘোষনা করা হল, “বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির”। (সূত্রঃ শহীদ মীর কাশেম আলী মিন্টু)

আজ এই কাফেলার জন্মদিন। অন্যান্য যেকোন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর চেয়ে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল একটু ভিন্ন। এইবারই প্রথম সংগঠনটি তাঁদের প্রতিষ্ঠা কালীন প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদ মীর কাশেম আলী মিন্টুকে ছাড়াই পালন করছে। দ্বিতীয়তো দেখতে দেখতে এই কাফেলাটির বয়স আজ ৪০ বছর।

সারাদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়েছে। আসুন ছবিতে দেখে নেই বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকার উৎযাপনের ‍দৃশ্য!















বিষয়: বিবিধ

১৮৯৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381725
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০৩:১৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
381729
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বিকাল ০৪:১৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ।
381745
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ০৯:২২
কুয়েত থেকে লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
381748
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ১১:২৬
আমি মুসাফির লিখেছেন :


জাজাকাল্লাহ খায়ের।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File