ফাঁরাক্কা বাঁধের প্রভাবে পদ্মাসহ ৫ নদী শুকিয়ে খাল ???!!! ৬০ কিলোমিটারের বালুর চর?! পদ্মার বুকে এখন চলে ঘোড়ার গাড়ি!!

লিখেছেন লিখেছেন সূফি বরষণ ০৫ জুন, ২০১৫, ০৯:৩২:১২ সকাল

ফাঁরাক্কা বাঁধের প্রভাবে পদ্মাসহ ৫ নদী শুকিয়ে খাল ???!!!

৬০ কিলোমিটারের বালুর চর?!

পদ্মার বুকে এখন চলে ঘোড়ার গাড়ি!!

সূফি বরষণ

গত ১২ ডিসেম্বর হাসিনার পানি

চুক্তির ১৮ বছর পূর্ণ হলো॥ কিন্তু এই

অসম গোলামীর পানি চুক্তির ফলে

গত ১৮ বছরে আমরা যে ন্যায্য কোনো

পানি পাইনি তার বাস্তব প্রমাণ পদ্মার

বুকে ৬০ কিলোমিটারের বালুর চর॥ বাংলাদেশ সফরে আসছে দাদা ও দিদি , কিন্তু কেউ পানি নিয়ে কথা বলতে নারাজ ??? অথচ ইলিশ খাবে মজা করে ॥ হরেক রকমের ইলিশের তরকারি খাবে দাদা দিদি আর বলবে বাঙালীরা অতিথিপরায়ন॥ আর আমাদের হাসিনা বিবি হাসতে হাসতে বলবে আমি নিজে আপনাদের জন্যে রান্না করেছি আর একটু নিন না ॥ আর কিছু পদ্মার ইলিশ আপনাদের সাথে দিয়ে দিবো??!!!॥ কিন্তু পানি নিয়ে কোনো কথা নয় !?? আর এ ভাই পদ্মায় যদি পানি না থাকে তবে ইলিশ আসবে কোথায় থেকে ????! সে আমাদের পরিষ্কার করে বলা উচিত ফাঁরাক্কার তিস্তার ন্যায্য পানি আমাদের কে দিতে হবে॥

পাবনা কুষ্টিয়া রাজবাড়ীসহ দক্ষিণ

উত্তরান্ঞলের জেলাগুলো আজ

ভয়াবহ রুপে জলবায়ু কৃষি জীববৈচিত্র

বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ॥ আর ছড়িয়ে

পড়ছে বিভিন্ন রোগ বালাই॥

১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের

হায়দারাবাদ হাউজে বাংলাদেশ ও

ভারতের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি

পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তির পরবর্তী বছর ১৯৯৭

সালের ১ জানুয়ারি থেকে দুই দেশের

মধ্যে ভারতের অংশে গঙ্গা নদীর পানি

ভাগাভাগি চুক্তি কার্যকর শুরু হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে তৎকালীন ও

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং

ভারতের পক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী

দেবগৌড়ার মধ্যে এই চুক্তি হয়। কিন্তু

চুক্তির পর ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও

পদ্মায় প্রয়োজনীয় পানি না পাওয়ায়

বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের

নদীনালা শুকিয়ে খালে পরিণত হয়॥

কৃষি ও পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া

সৃষ্টি হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের

জন্য মিঠাপানির প্রধান উৎস এবং

পদ্মার প্রধান শাখা গড়াই নদী শুষ্ক মওসুমে শুকিয়ে যায়। পদ্মা শুকিয়ে যাওয়ায়

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা

গুলোতেও বিরূপ প্রভাব পড়া শুরু

হয়েছে ॥॥ এই চুক্তি যদি আরও ১২চলে

তবে পদ্মা নদীর অববাহিকার জেলা

গুলো বিরান ভূমিতে পরিণত হবে ॥

রেল সেতু ও সড়ক সেতুর নিচে

এখন কিছু চাষাবাদ হচ্ছে।

নদীর পানিপ্রবাহ একেবারেই স্থির।

অন্য দিকে পাবনা শহর থেকে দক্ষিণে

ছয় কিলোমিটার দূরে পদ্মার বাম তীর।

এখান থেকে পদ্মার ওপারে বিশ্বকবি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি।

নদী এখানে শুকিয়ে খালে পরিণত

হয়েছে। এ বালুচর পাড়ি দিতে মানুষ

এখন ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করছে।

জনপ্রতি ভাড়া ৩০ টাকা।

সময় লাগে ৪৫ মিনিট থেকে

প্রায় এক ঘণ্টা। এক সময় আমার হলের

রুমমেইড পাবনার ছেলে সোহেল

বলেছিলো , পানি চুক্তির ফলে পদ্মার

পানি শুকিয়ে যাওয়াতে সাথিঁয়া উপজেলার

বিশাল এলাকায় পিয়াঁজের চাষাবাদ

হতো তা এখন বন্ধ ॥ কারণ জমির

পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে॥

হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উজান থেকে শুরু

করে পদ্মা-যমুনার মোহনায় যেখানে

পাবনার বেড়া ও রাজবাড়ীর

গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা মিলিত

হয়েছে সেখান পর্যন্ত ৬০কিলোমিটার

এলাকায় পদ্মার বুকে বালুচর॥

এই হাসিনা আমাদেরকে কিভাবে সবদিক

থেকে নির্মূল করা যায় তার জন্যে কাজ

করছে ॥ আমাদের নিশ্বাস নেওয়া রাস্তা

বন্ধ করে দিচ্ছে ॥ বাঁচতে চাই এখনই

এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে

তোলেন ॥ আমি আপনি কোন রাজনৈতিক

পক্ষের না হলেও এই অবৈধ সরকারের

পরিবেশ বিরোধী কাজে ফলে আমাদের

মৃত্যু অনিবার্য ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে

সূফি বরষণ

বিষয়: বিবিধ

১১২৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

324812
০৫ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:২২
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আরে ভাই কেবল তো নদী গেছে এর পর দেখেন আর কিছুই এদেশের ঠিক থাকবে না।

আজ যারা বলে "হাসিনা সরকার বার বার দরকার কাল তারাই বলবে হাসিনা সরকার হাতের কাছে পাইলে মারতাম"
324863
০৫ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৪
শেখের পোলা লিখেছেন : ১৯৬৯ সালের একটি পোষ্টার আজও মনের চোখে দেখতেে পাই-'সোনার বাংলা শ্মশান কেন?'আর তার পরেই বাঙ্গালী শ্মশানকে সোনার করার প্রত্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ তারই প্রচেষ্টা আজও চলছে৷ শান্ত হন৷ জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে কজন মুক্তি যোদ্ধা দেশকে এমন চেয়েছিলেন? যদি না চেয়ে থাকেন তবে আজ চুপ কেন? কেন নয় প্রতিবাদ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File