রোহিঙ্গা সমস্যাটা ইংরেজদের তৈরী হিংস্র বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে কালা নামে ডাকে??!!

লিখেছেন লিখেছেন সূফি বরষণ ০৪ জুন, ২০১৫, ১২:৫০:১৬ রাত

রোহিঙ্গা সমস্যাটা ইংরেজদের তৈরী

হিংস্র বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে কালা নামে ডাকে??!!

সূফি বরষণ

রোহিঙ্গাদের সমস্যাটা ব্রিটিশরা তৈরী করে যায়, পরিকল্পনা করে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের কে মানচিত্রের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করে যায় ॥যাতে দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলমানরা শক্তিশালী না হতে পারে ॥ তাই কৌশলে কাশ্মীর সমস্যা, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম এলাকা ভারতের ভিতরে রেখে দেয়ার মাধ্যমে সমস্যা, সিটমহল সমস্যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওয়াদা করেও আরাকানকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা না করে না বাংলাদেশ না বার্মা মাঝখানে রেখে যাওয়ার সমস্যা, অনির্ধারিত সীমান্ত রেখে যাওয়ার সমস্যা, এইরকম অসংখ্য সমস্যার মূলে ব্রিটিশরা ॥ জাতিতে জাতিতে বিভাজন ইংরেজরা তৈরী করে গেছে॥ আর ঐক্যবদ্ধ মুসলমানদের কে করে গেছে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ॥ ওয়াদা অনুযায়ী স্বাধীনতা তো দেয়নি বরং বার্মার নৃ গোষ্ঠীর তালিকা তৈরী করার সময়ে ইংরেজরা ১৩৯ জনগোষ্ঠীর তালিকা থেকে আরাকানের ( রোহিঙ্গা) মুসলমানদের বাদ দেয় ??!!! অতি হিংস্র বর্ণবাদী বুদ্ধরা বাঙালী ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তুচ্ছার্থে ঘৃণা বরে কালা নামে ডাকে ॥ আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন এই বুদ্ধরা কতো হিংস্র নরপশু॥

ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহিঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।

এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। আমাদের 'প্রাক্তন প্রভুরা' মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের কত যে গোলমাল করে গেছে ব্রিটিশরা!

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ।

মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী 'কালা' নামে পরিচিত। বাঙালিদেরও তারা 'কালা' বলে। ভারতীয়দেরও একই পরিচিতি। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে

সূফি বরষণ

বিষয়: বিবিধ

১১৮৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

324467
০৪ জুন ২০১৫ রাত ০১:১৬
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : যখন মুসলমানরা নিজেরা নিজেরা বিভক্ত হতে লাগছিল তখন এক শ্রেণীর মুসলমান বার বার নিষেধ করেছিল কিন্তু ইংরেজের জালে পা দেওয়ার ফলে তা হতে আর উঠতে পারে নি।
324483
০৪ জুন ২০১৫ রাত ০৩:৫৩
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : রহিঙ্গাদের কোন সমস্যা নেই। রবং চিটাগাং এর অনেক বাঙালি রহিঙ্গা সেজে ফাঁকতালে বিদেশে যেতে চায়। তারচেয়ে ভাল ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তানের দাঙ্গাবাজ মুসলিমদের নিয়ে ভাবুন।
০৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
266372
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : চিটাগাং এর মানুষ আপনার মত না,
324531
০৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : হে মুসলিম জাতী, হে খালিদ বিন ওয়ালিদ(রা) ও গাজী সালাউদ্দিন আইয়্যুবি (র) এর উত্তরসূরিরা, তোমরা আর কতকাল ঘুমিয়ে থাকবা? তোমরা কি দেখতেছনা কিভাবে গো-বুদ্ধের উত্তরসূরি হিংস্র জানোয়ারেরা তোমাদের মা-বোনদের ইজ্জত হরণ করে উল্লাসিত হচ্ছে, কি নির্মমভাবে তোমাদের জাতীভাইদের হত্যা করতেছে, কিভাবে নিষ্পাপ দুগ্ধপোষ্য শিশুদের আগুনে পুড়ে হত্যা করতেছে, কিভাবে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে??? তোমাদের ঈমান কবে জাগ্রত হবে? আর কতকাল তোমরা ঘুমিয়ে থাকবা? তোমরা এখনো ইহুদী - নাসারা ও মুসরিকদের তৈরি জাতিসংঘের দিকে তাকিয়ে আছো??? লাথি মারো সেই জাতিসংঘের মুখে, যেই জাতিসংঘ অসহায় মুসলিমদের মানুষ হিসেবে গন্য করেনা।
হে হযরত আলী (রা) এর উত্তরসূরিরা, তোমরা শুধু একবার হুংকার দিয়ে উঠো....আর ঘুমিয়ে থেকো না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File