বঙ্গবন্ধুকে বাংলার নবী থেকে দেবতা! অতঃপর কৌশলে সেজদা আদায়! চাটুকারদের লাগাম টেনে ধরুন।

লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০২:৪৯:২৮ দুপুর



অন্যান্য ধর্মে মূর্তি পুজা, অথবা কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির ছবি টাঙ্গিয়ে তার পুজা করা জায়েজ। কারণ অন্যান্য ধর্মে পূজারিদের পূজার মূল উপকরণই হচ্ছে মূর্তি অথবা ছবি। তাদের বিশ্বাস পূজা চলাকালীন উক্ত মূর্তি বা ছবিতে তাদের দেবতা বা উক্ত ব্যক্তির আত্মা হাজির থাকে। কোনো মহৎ ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে সেও দেবতার কাতারে চলে যায়! মূলত ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে পূণ্যের আশায় তারা সেটা করে থাকে।

আমার প্রশ্ন হলো, গত ১৪ই আগষ্ট'১৬ একদল চাটুকার বঙ্গবন্ধুকে বাংলার নবী হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর পেইজ থেকে প্রচার হয়েছিল। সচেতন মুসলিমদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পরে ছবিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু এই ব্যাপারে চাটুকারদের শাস্তির আওতায় আনতে দেখলাম না। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কোন নেতাকে কোনো কথা বলতেও দেখিনি। ফলে সেই চাটুকারের দল আরোও বেপরোয়া হয়ে যায়। এর ধারাবাহিতায় গত ৭ই ফেব্রু'১৭ ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ এর ২৬ তলা ভবনের নীচ তলায় নামাজের জন্য সংরক্ষিত জায়গা, যেটা মসজিদ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেখানে মুসল্লিদের সামনে এমনভাবে ছবিটি রাখা হয়েছে, যেন বঙ্গবন্ধুকেই সেজদা করানো হচ্চে(নাউজুবিল্লা)! (প্রথম ছবিতে দেখুন) বিষয়টাকি এমন হয়ে গেলোনা, চাটুকারেরা বঙ্গনবীকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের দ্বারা কৌশলে সেজদা করাচ্ছে!!

মহান ইসলাম ধর্মে মূর্তি, ছবি অথবা কোন ব্যক্তির সামনে মাথানত করা শিরক। আর ইবাদতের স্থানে কোনো প্রকার মূর্তি বা ছবি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাহলে কোন নীলনকশার বাস্তবায়নে এটা করা হচ্ছে?

বঙ্গবন্ধুকে আমিও সম্মান করি, তার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশীরা বঙ্গবন্ধুকে চিরদিন স্মরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।সরকারী দলের মধ্যে একদল তৈলমর্দনকারী রয়েছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানান সময় নানান বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজেদেরকে মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসার তৎপরতায় লিপ্ত। যদিও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু শুনিনি। কারণ মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীও একজন ধার্মিকা মহিলা।



কিন্তু চাটুকারদের কাছে আমার প্রশ্ন, তোরা যেই বঙ্গবন্ধুকে বাংলার নবী বলে প্রচার করলি সেই বঙ্গবন্ধুকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দিয়ে পূজা করিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইলি? একজন সম্মানী লোককে বিতর্কিত করতে তোরা আর কত নিচু মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবি?

বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রেখেই মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, প্লিজ চাটুকারদের লাগাম টেনে ধরুন, তাদের কে আর প্রশ্রয় দিবেন না। তারা বঙ্গবন্ধুর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে সদা তৎপর।

লেখকঃ দিল মোহাম্মদ মামুন, (আবুধাবি, সংযুক্ত আরব-আমিরাত)

বিষয়: বিবিধ

১৪৩৯ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381775
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীও একজন ধার্মিকা মহিলা।

এটা কি সত্যিকার কাজের স্বীকৃতি নাকি শুধুই প্রশংসা? বুঝে আসছেনা!
জায়গাটা যদি নামাজের জন্য নির্ধারিতই থাকে তাহলে এখানে ছবি টাঙ্গানোর প্রশ্নই আসেনা। এমন কাজ কেউ করবেওনা উন্মাদ ছাড়া। আর যদি আগে থেকেই ছবিটি টাঙ্গানো থাকে, এবং পরে নামাজের জায়গা করা হয়, তাহলে মুসল্লিরা কেননা নামাজে দাড়ানোর আগে আপত্তি করল না?
নামাজের সামনে ছবি রাখাই কেবল নিষিদ্ধ, আর পকেটে রাখা মোবাইলে হাজার হাজার ছবি রাখা, ভিডিও, নাটক, ফিল্ম ইত্যাদি রেখে নামাজ পড়া জায়েজ হবে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলাই যায়।
ছবিটা সরানো উচিৎ, তবে আমি মনে করিনা, তা বন্ধবন্ধুকে সেজদা করার শামিল।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
315645
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সাধারন মুসল্লীগন কে মোগজ ধোলাই করা হয়েছে, তারা যদি বুঝতো তাহলে সাথে সাথেই প্রতিবাদ করতো। অথবা তার ভয়েও প্রতিবাদ করেনি।
381776
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:৫১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম কেমন আছেন?
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীও একজন ধার্মিকা মহিলা। উনি কেমন ধার্মিক তা কারোও অজানা নয়। ছবিটি আগে ছিলনা, আর ছবির সামনে মাথানত করা আমার মতে অবশ্যই শিরক হবে। কারণ হিন্দুরা মহা কথিত পুরুষদের ছবির সামনে মাথানত করেই পুজা করে থাকে।
মোবাইলে কিছু থাকলে সেটার সামনেতো সিজদা করা হচ্ছেনা! এই ব্যাপারে মুফতি গন ও কোন ফতোয়া দিচ্ছেন না। ধন্যবাদ আপনাকে
381779
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ১২:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সবি চেতনা!!!
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০১:২৪
315650
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আজ চেতনার ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে ৯০% মুসলিম বন্দি।
ধন্যবাদ আপনাকে
381783
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:১৫
হতভাগা লিখেছেন : এসব হল চামচাদের অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি । আর নেতারাও এতে খুশিই হন বিধায় চামচাদের এহেন কাজে না করেন না ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০১:২৫
315651
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
তবে একদিন এই অতি চেতনার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কঠিন মূল্য দিতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে
381790
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ১২:২৩
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : কুটকৌশল চালিয়ে ধিরে ধিরে জাতীকে ফেরাউনের প্রধানমন্ত্রী হামানের আলোচনার কাছে নিতেছে
সাবধান
ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয় সামনে আনার জন্য
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০১:২৭
315652
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই আপনি যথাথই বলেছেন। তবে ফেরাউনেরা বেশি দিন টিকে না। আল্লাহর গজব তাদের উপর ভয়ানক ভাবেই নেমে আসে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File