বাংলাদেশ-ভারতের নৌ পথ দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল করবে

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:২৯:৩৯ দুপুর



রেল ও সড়ক পথের পর এবার অভ্যন্তরীন নৌ পথে ভারতে ভ্রমনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দেশটির সঙ্গে শুধু পন্য পরিবহন চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের মানুষই ভ্রমনে যেতে চায়, এ লক্ষ্য পুরনের পথেই এগুচ্ছে দু দেশের সরকার। অর্থনৈতিক ও পর্যটন খাতে বিকাশের স্বার্থে দু দেশের নৌ পথে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বাংলাদেশ-ভারত নৌ ট্রানজিটকে আরও বিস্তৃত করা হচ্ছে। সড়কপথে ট্রানজিটের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচলের চুক্তি হয়। এ পথটি চালু হলে বাংলাদেশের পণ্য ও যাত্রীবাহী বাস-ট্রাক ভারতের ভূখণ্ড হয়ে নেপাল ও ভুটানে যেতে পারবে। আবার নেপাল ও ভুটানের পণ্যও যাত্রীবাহী বাস-ট্রাকও একই পথে বাংলাদেশে আসতে পারবে। তবে এ যান চলাচল চুক্তির মাধ্যমে কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় পণ্য নেওয়ায় বেশি আগ্রহী ভারত। কারণ, এতে দূরত্ব ও সময় কমবে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে আসাম ও মেঘালয়ে যাওয়ার জন্য নৌপথটি ব্যবহারে কখনোই খুব একটা আগ্রহী ছিল না ভারত। তবে ২০১২ সালে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভারী যন্ত্রাংশ মানবিক কারণ দেখিয়ে কলকাতা থেকে নৌপথে আশুগঞ্জ, পরে সড়কপথে আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলায় নেয় ভারত। এরপর থেকে নৌ প্রটোকলের আওতায় এ বহুমাত্রিক পথটি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে দেশটি। একটি পরীক্ষামূলক চালানও গেছে এ পথে। ভারত এখন এ পথ ব্যবহারে মাশুল দিতে রাজি। এ জন্য আশুগঞ্জে নৌবন্দরে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নৌ পথ চালু হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও পর্যটন খাতের অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে অন্যতম ভুমিকা রাখবে।

বিষয়: বিবিধ

৮৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File