পর্নগ্রাফি আসক্তি একটি যুদ্ধ জিতবে কে

লিখেছেন লিখেছেন না বলা কথা ১১ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৬:৫৯:২৬ সন্ধ্যা

সম্প্রতি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম নিজ গ্রামে। আমরা তিনজন প্রাইমারী থেকে একসাথে পড়াশুনা করেছি। আমাদের মধ্যে একজন ছিল সবচেয়ে ধার্মিক। গ্রামের সবাই তাকে এখনো মুন্সি বলে ডাকে। নামাজ পড়ে সেই ছোট বেলা থেকেই। আড্ডার ফাকে তার সদ্য কেনা র্স্মাট ফোনটি আমার আরেক বন্ধু হাতে নিয়ে দেখছে । হঠাৎ সে চিৎকার দিয়ে বলল জাহিদ দেখ। আমি দেখলাম আমার সেই ধার্মিক বন্ধুটির ফোনে পর্ন ভিডিওতে ভরা। আমার কেন যেন মনে হয় এরকম লক্ষ লক্ষ নামাজী ও ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত হাজারো নেতা কর্মী ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক পর্নগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

যে ভাবে আসক্ত হয়ঃ পর্নগ্রাফি একটি যুদ্ধ। এ যুদ্ধ নিজের সাথে নিজের , বাতিলের সাথে ইসলামের। একটি দেশ জয় করার চেয়ে হাজারও কঠিন পর্নগ্রাফি থেকে ফিরে আসা। আপনার মনের অজামেত্মই আপনি হারিয়ে গেছেন নীল দুনিয়ায়।

1. র্স্মাট ফোনঃ র্স্মাট ফোন কিনলেই স্মার্ট হওয়া যায় না। ফোনের মাধ্যমেই বর্তমানে মানুষ পর্নগ্রাফিতে জড়িয়ে পড়ছে। খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে এসব ডাউনলোড করা যায়। সেদিন এক ভদ্র লোক দুঃখ করে বলছিলেন, হায়রে দুনিয়া আগে আমরা পিতামাতার কাছ থেকে ১০টাকা নিয়ে স্কুলে টিফিন করতাম আর এখনকার পোলাপান ১০টাকা দিয়ে এমবি ( মেগা বাইট) কিনে। আপনার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া সমত্মানদের র্স্মাট ফোন কিনে দেওয়ার মানেই হলো পর্নগ্রাফিতে রেজিষ্টেশন করা। কারণ আপনি তাকে নৈতিক ভাবে এতটা শক্ত করতে পারেননি যে, সে আলস্নাহর ভয়ে সুন্দরী মেয়েদেও নগ্ন শরীরর দেখার সুযোগ থাকা সত্বেও থেকে বিরত থাকবে।

2. বিনোদন খবরঃ কিছু মানুষ আছে যারা পত্রিকার খেলার খবর পড়েন , কিছু মানুষ রাজনীতির খবর, কিছু ধর্মীয় আর কিছু মানুষ আছেন যারা বিনোদন পাতা ছাড়া পড়েন না। এ বছরের সেরা যৌন আবেদনময়ী নারী হলেন পুনম- এই খবরটি পড়ার পর আপনার ইচ্ছা হলো তার দেহ দেখার, ব্যস গুগল সার্চে গিয়ে নাম লিখলেন আর তার নগ্ন ছবি চলে এলো। আপনি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন পর্নগ্রাফির দিকে।

3. মুভিঃ টাইটানিক ছবির নাম শুনেছি ছোটকাল থেকেই। কিন্তু দেখিনি তখনও। বন্ধুরা বলল পৃথিবীর এমন একটি ঘটনার ছবি না দেখলে অনেক মিস করবি তাছাড়া শেখার আছে অনেক কিছু। হঠাৎ একদিন সুযোগ হলো ছবি দেখলাম । ছবির এক টা জায়গায় দেখা গেল নায়ক, নায়িকার ছবি আকছে আর নায়িকা আসেত্ম আসেত্ম তার শরীরের সমসত্ম পোশাক খুলে ফেলছে। একজন সুন্দরী নায়িকার নগ্ন দেহ দেখতে কার না ভাল লাগে। আমি বুঝলাম এই ছবির শিক্ষা কি? আমার ধারণা এই দৃশ্যটির জন্যই ছবি জনপ্রিয়তা আর অধিকাংশ মানুষ মুখে যাই বলুক এই দৃশ্যটি দেখার জন্যই তারা ছবি দেখে। এমনি ভাবে অনেক মুভি আছে যেখানে স্বল্প নগ্ন দৃশ্য দেখানো হয় এতে যখন একজন যুবকের জৈবিক চাহিদা তৈরি হয় তখন তা শতভাগ পুরণ করার জন্য পর্ন মুভি দেখতে আকৃষ্ট হয়।

4. ফেইসবুকঃ ফেইসবুককে সামাজিক যোগাযেগর মাধ্যম বলা হলেও আমার মনে হয় এটাই সামাজিকতা নষ্ট করছে। আগে মানুষ মানুষের কাছে আসত কথা বলত ও আমত্মরিকতার সাথে তা শুনত। আর এখন রম্নমে বসে শুধু মোবাইলে ফেইসবুক চালাতে থাকে। এই ফেইসবুকে মানুষ অনেক ভিডিও আপলোড করে শালীন অশালীন সবই আছে। একটা ভিডিও ছিল যে, সৌদি আরবের এক যুবরাজ নগ্ন নৃত্য দেখছে আর তার গায়ে টাকা ছিটিয়ে দিচ্ছে। এই ভিডিওটি ইসলামী মনমানসিকতার অনেক ভাই দেখেছেন এবং গল্প করেছেন সৌদির বাদশারা এত খারাপ এটা না দেখলে বুঝতাম না। এই ভাবে দেখতে দেখতে যে, তিনি এর গ্রাহক হয়ে গেছেন তা টেরই পাননি।

5. ইউটিউবঃ আপনি ইউটিউবে ওয়াজ শুনছেন হঠাৎ ডানপাশে ছবিসহ লেখা আছে, বোনের সাথে ভাইয়ের প্রেম। আপনি ভাবলেন একি দুনিয়া কোন দিকে যাচ্ছে দেখিতো। আপনার দেখা শেষ হওয়া মাত্র আবার লেখা এলো শালি দুলাভাইয়ের ফস্টিনষ্টি । আপনি ভাবলেন হায় আলস্নাহ শালিকা হলো বোনের মত তার সাথে কি করল দেখিতো। দেখতে আপনার খারাপ লাগছে না কারণ আপনি পুরম্নষ, নারীর দেহের প্রতি আপনার আকর্ষন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এরপর লেখা এলো বউকে আনন্দ দিবেন কিভাবে ভিডিওসহ দেখুন , এবার আপনি নড়েচড়ে বসে ক্লিক করলেন ভিডিওটাতে আর শুরম্ন হলো আপনার পর্নজগতে প্রবেশ।

6. কৌতুহলঃ আপনি মনে মনে ভাবছেন জীবনে সব অজ্ঞিতাই থাকা দরকার । একবার দেখিতো পর্ন ছবি কেমন? আপনি দেখলেন, ভাল লাগল মনে হলো দুনিয়ায় সকল শামিত্ম এখানেই। একটার পর একটা আপনি দেখা শুরম্ন করলেন। এভাবেই আপনি পর্নগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে গেছেন তা টেরই পাননি।

7. স্বামী স্ত্রী আলাদা থাকলেঃ জীবনের প্রয়োজনেই অনেক সময় স্বামী স্ত্রী আলাদা থাকতে হয়। প্রবাসী অধিকাংশ স্বামীরা পর্নগ্রাফি দেখে তাদের জৈবিক চাহিদা পুরণ করে।এভাবে আসেত্ম আসেত্ম সে আসক্ত হয়ে যাই। যার ফলে বউ এর কাছে আসার পরও সে এই নেশা ছাড়তে পারে না।

8. স্ত্রীর ভালবাসা না পাওয়াঃ সমাজের অধিকাংশ নারীই নিজের সৌন্দর্য অন্য মানুষকে দেখাতে পছন্দ করে কিন্তু কখনো তার স্বামীকে দেখায় না। পার্লারে সেজে পার্টিতে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাই ঠিকই কিন্তু কখনো সেজেগুজে রাতের বেলায় স্বামীর সামনে দাড়িয়ে প্রেম নিবেদন করে না। তাই স্বামী বেচারা দুধের সা্দ গুলে মিটাতে মুভি ও পর্নগ্রাফির নারীদের দেহ দেখতে অভ্যসত্ম হয়ে পড়ে।

9. ফ্রি ওয়াইফাইঃ বর্তমানে দেশের শপিংমল, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল ও বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা রয়েছে যার ফলে যে কোন ব্যক্তি তার ইচ্ছামত ওয়েবসাইট ভিজিট করে এবং ডাউনলোড করে বিনা টাকায়। এই সুযোগটা স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কাজে লাগিয়ে অশিস্নল ছবি দেখে ও ডাউনলোড করে।

10. বড় পাপ মনে না করাঃ দুনিয়াটা মসত্ম বড় খাও দাউ ফুর্ত কর ’’ এই চিন্তুা থেকেও অনেকে পর্নগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। চিন্তুা করে মরে গেলেতো সব শেষ যতদিন বেঁচে আছি সব খাব আর সব দেখব । আমিতো আর রাসত্মার কোন মেয়েকে ধর্ষণ করছি না শুধু আমার রম্নমে বসে ভিডিও দেখছি । এটা বড় কোন পাপ না।

11. একাকিত্বঃ অলস মসিত্মষ্ক শয়তানের কারখানা। মানুষ যখন একা থাকে স্বাভাবিক ভাবেই তার কাজ কম থাকে। ফলে সময়কে সে যথাযথ ব্যবহার করতে পারে না। ফলে সে তার ল্যাপটপে পর্নগ্রাফি দেখে সময় পার করে।

পর্নোগ্রফিতে আসক্তির নমুনাঃ আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, আপনি পর্নগ্রাফিতে আসক্ত কিনা? পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তি সবর্দা নারীদের প্রতি দুর্বল থাকেন। রাসত্মায় চলতে গেলে তার চোখকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নারীর বিভিন্ন অঙ্গের প্রতি তার নজর যাবেই। রাসত্মার বিল র্বোড গুলো সে দেখবে তাতে কোন নারীর ছবি দেখা যাই কিনা। এমনকি তার নিকট আত্তীয় দেখলেও সে সুনজর দিতে পারে না। তার মাথায় সর্বদা পর্নগ্রাফির চিমত্মা থাকে আর চোখ সব সময় তা দেখার জন্য ব্যকুল থাকে। আপনি যখন একা একা রম্নমের ভিতরে ল্যাপটপ/ কমপিউটার চালাবেন তখন আপনার মন বলবে আজকে একটু দেখি কাল থেকে আর এসব বাজে জিনিস দেখব না। আপনি প্রথমে দেখলেন ইন্ডিয়া পর্নোগ্রাফি তারপর আপনার মন বলবে এবার বাংলাদেশের দেখিতো । এবার আমেরিকা পর্ন দেখি কেমন দেখতে। ২০ বছরের মেয়েদের দেখি কেমন লাগে। এভাবে আপনি দেশ , বয়স, নামী দামি পর্নস্টার ও ইংলিশ, বাংলা ও হিন্দি নায়িকাদের বিভিন্ন হট ছবি দেখতে গুগুলে সার্চ দিবেন আর হঠাৎ আপনার কানে আসবে ফজরের আজান আর আপনি তখন বালিশ জড়িয়ে ধরবেন অথবা হসত্মমৈথন করে আপনার জৈবিক চাহিদার খায়েশ মেটাবেন। আর মনে মনে তওবা করবেন আর কখনো দেখবেন না কিন্তু আপনি পারবেন না, কেননা আপনি তাতে আসক্ত হয়ে গেছেন। আপনার মন বলবে তুইতো খারাপ কিছু করছিস না শুধু নিজের ঘরে বসে নিজের টাকা খরচ করে খারাপ ছবি দেখিস এতে তেমন ক্ষতি নেই। রাসত্মাঘাটে তো কোন মেয়েকে ধর্ষন করিস নি। কিন্তু বাসত্মবতা হলো আপনি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছেন। আপনার মধ্যে মানসিক দুর্বলতা চলে আসবে।নিজেকে অপরাধী মনে হবে। কোন সৎ লোকের সাথে কথা বলতে আপনি ভীত থাকবেন। আপনার মধ্যে স্বাভাবিক মানবতাবোধ টুকু নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি একজন দায়িত্বহীন পুরম্নষে পরিণত হবেন। ঘরে আপনার স্ত্রী, সত্নান অসুস্থ থাকলেও আপনার মন কাঁদবে না। সামাজিকতা বলতে আপনার কাছে কিছু থাকবে না।আপনি একা থাকতে ভালবাসবেন। এসব লক্ষ ণ যদি আপনার মধ্যে থাকে তবে আপনি একজন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তি । সুতরাং যুদ্ধের জন্য প্রসত্মতি নিন দেখেন জয়ী হতে পারেন কিনা।

পর্ণগ্রাফির ক্ষ তিকর দিকঃ

1. জৈবিক শক্তি নষ্ট হয়ঃ পর্নগ্রাফির প্রধান ক্ষতিকর দিক হলো এগুলো নিয়মিত দেখার ফলে যৌনশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। কেননা এই ছবি দেখতে দেখতে যখন আপনি চরম পুলকিত হন তখন কোন না কোন ভাবে আপনার বীর্যপাত হয়ে যায়। এভাবে নিয়মিত হওয়ার ফলে জৈবিক শক্তি নষ্ট হয়। আর এর কারণে অনেক যুবক বিয়ে করতে ভয় পায় আর বিবাহিতরা বউকে আনন্দ দিতে ব্যর্থ হয়।

2. ব্রেনের প্রখরতা কমে যায়ঃ পর্নগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তির মসিত্মষ্ক সব সময় নারীর দেহ নিয়ে চিমত্মা করে ফলে তার ব্রেনের স্বাভাবিক প্রখরতা নষ্ট হয়ে যায়।

3. দায়িত্ববোধ নষ্ট হয়ে যায়ঃ পর্নগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলে। মানুষকে ভালবাসা অনেক সহজ কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে ভালবাসাটা অনেক কঠিন। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তখন সে নানা অজুহাতে পাশ কাটিয়ে যায়।দুনিয়ার আর কোন চিমত্মা তার মাথায় থাকে না পর্নগ্রাফি ছাড়া।

4. চোখের ক্ষতি হয়ঃ হাদিসে উলেস্নখ আছ যে, নারীর যোনী মুখ দেখলে পুরম্নষের চোখের জ্যোতি কমে যায় যারা পর্ন ছবি দেখেন তারা নারীর যোনী মুখ দেখার পাশাপাশি ল্যাপটপের ক্ষতিকর আলোরশ্মিও কারণে চোখের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

5. সময় নষ্ট হয়ঃ সময়ের অপর নাম জীবন। সেকেন্ড, মিনিট আর ঘন্টার যোগ ফলই হলো আমাদের জীবন। সেই সময়কে আমরা হেলায় ফেলায় নষ্ট করে ফেলি। পর্নো ছবি দেখার পর নিজের খায়েশ মিটে গেলে মনে হয় কেন আমি এই জিনিসটা দেখলাম আমার সময়টা নষ্ট হলো।কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকে না।সময় হলো এমন এক ধারালো তলোয়ার যদি আপনি তাকে সময় মতো কাটতে না পারেন তবে সে নিশ্চিত আপনাকে কেটে ফেলেবে।

6. স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়ঃ আপনার স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। অন্য দশটা মানুষের মত আপনি আর স্বাভাবিক থাকতে পারবেন না।

7. নারীদের চোখে ঘৃনার পাত্র হয়ঃ সমাজের কোন ভদ্র নারীই পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তিকে পছন্দ করে না। ফলে অনেকেই তার কাংখিত নারীকে বিয়ে করতে পারে না বা বিয়ের পন যদি বউ জানতে পারে আপনি পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত তবে সংসার শামিত্ম নষ্ট হবে।

8. রম্নচিবোধ নষ্ট হয়ে যায়ঃ পর্নোগ্রাফি আসক্ত ব্যক্তির স্বাভাবিক রম্নচিবোধ নষ্ট হয়ে যায়। সে যেমন কুরম্নচি পূর্ন দৃশ্য দেখেছে তেমনি দৃশ্য সে তার বউয়ের কাছ থেকে আশা করে যা কখনই কাংখিত নয়।

9. হতাশার সৃষ্টি হয়ঃ কেউ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পর্নো ছবি দেখেনা। প্রতিদিন নতুন নতুন নারীর দেহ দেখে থাকে ফলে তার কাছে তার বউটা প্রতিদিন ভাল লাগে না। আবার পর্নছবিতে দীর্ঘ সময় ধরে জৈবিক চাহিদা পূরণ করে থাকে কিন্তু বাসত্মবে অনেক ছেলেই তাদের এই শক্তি ধরে রাখতে পারে না বলে হতাশায় ভুগতে থাকে।

10. অর্থনৈতিক ক্ষতি পর্ণোগ্রাফি এমন নেশা যা না দেখলে ঘুম হবে না। প্রতিদিনই ইন্টারনেট ক্রয় করে তাকে এসব দেখতে হয়।তাই এটি অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি করে।

11. পরকালের শাসিত্ম ঃ হাদিসে এসছে যে চোখ পরনারীর সৌন্দয্য দেখবে কেয়ামতের দিন তার চোখে গলিত শিশা ঢেলে দেওয়া হবে।

12. ইবাদতে মজা পাওয়া যায় নাঃ যে চোখ দিয়ে আপনি নারীর দেহ দেখবেন সেই চোখ দিয়ে কখনো আলস্নাহর ভয়ে পানি বের হবে না। কারণ আপনার অমত্মর মরে যাবে। কোন ইবাদতেই আপনি মজা পাবেন না। যা ইবাদত করেন সেটা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়।

পর্নগ্রাফি থেকে বাচার উপায়ঃ

1. শিশুদেরকে স্মার্ট ফোন না দেওয়াঃ অতিরিক্ত ভালবাসা অনেক ক্ষত্রে সমত্মানদেরকে বিপদগামী করে ফেলে। একজন স্কুলগামী ছেলেকে র্ম্মাট ফোন দেওয়ার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।

2. এন্টি পর্ণো সফটওয়ার ইনস্টল দেওয়ঃ গুগলে সার্চ দিলে এন্টি পর্ণসফট ওয়ার পাওয়া যায় তা আপনার ফোনে বা ল্যাপটপে দিতে পারেন এবং তার পাসওর্য়াড অবশ্যই অন্য কাউকে দিয়ে দিতে বলবেন তা না হলে আপনি নিজে রাতের বেলা পাসওর্য়াড দিয়ে পর্ণ দেখা শুরম্ন করবেন কারণ আপনি তাতে আসক্ত।

3. একা একা না থাকাঃ পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তির একা থাকা ঠিক না কারণ তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

4. খাবার রম্নমে ডেস্কটপ রাখাঃ ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এমন স্থানে রাখা উচিত যেখানে পরিবারের সদস্যদের চলাচল আছে বা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ চালানোর সময় ধরের দরজা খুলা রাখা- দরজা খুলে রাখলে অমত্মত মানুষের ভয়ে বা লজ্জায় হলেও আপনি পর্নগ্রাফি থেকে রক্ষ পাবেন।

5. বিনোদন জগতের খবর না পড়া- বিনোদন জগতের খবর পড়া থেকে বিরত থাকা ভাল।সম্প্রতি জয়া আহসানের একটি অভিনয় নিয়ে প্রত্রিকায় রির্পোট হয়। আমার মনে হয় এই রির্পোট যার পড়েছেন তাদের অধিকাংশই ঐদৃশ্যটি ইউটিউবে দেখেছেণ। এই রকম দৃশ্যই আপনাকে পর্ণের দিকে নিয়ে যাবে।

6. বিবাহিতদের বউ সাথে রাখাঃ বিবাহিতদের বউ কাছে থাকলে এ থেকে বেঁচে থাকা অনেকটা সহজ।

7. মৃত্যুও কথা মনে রাখাঃ সবর্দা মৃত্যুর কথা মনে রাখলে হয়তে আপনি তা হতে রক্ষ পেতে পারেন। আপনি প্রতিদিন রাতে আয়নার সামনে ধারাবেন আর আর বলবেন আজ যদি আমার জীবনের শেষ রাত হয় তবে কি আমি পর্ণ ছবি দেখব । আমার বিশ্বাস আপনার বিবেক যদি মরে না থাকে তবে বলবে না দেখা যাবে না।

8. বই পড়াঃ বই পড়ার নেশা আপনাকে এই নেশা থেকে দুরে রাখতে পারে। তাই হাতের কাছে বই রাখুন এবং সময় পেলেই বই পড়ুন।

পর্নগ্রাফি কতটা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে তা নিন্মের রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে যমুনা নিউজ২৪.কম গত ২৩ নভেম্বর/২০১৫ উলেস্নখ করেছে যে, ২০১৫ সালে নভেম্বর পর্যমত্ম নথিভুক্ত পর্ণ ছবির সংখ্যা ৩ হাজার ২৭১টি । আর নথিভুক্ত করা হয়নি এমন সংখ্যা কত হবে তা কেউ জানে না। এই হাজার হাজার ছবির ভুক্তা এশিয়ার মানুষই বেশি বলে রির্পোটে উলেস্নখ করা হয়েছে। এটা নিশ্চয় একটা ভয়াবহ যুদ্ধ পরিবারের সকল সদস্যকেই এই যুদ্ধের সৈনিক হতে হবে না হলে ধ্বংস হবে আপনার ছেলে,মেয়ে, বোন , ভাই আর নষ্ট হবে পরিবারের সুখ । পারব কি আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হতে?

বিষয়: বিবিধ

৩০০৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

356677
১১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে কিছু বিষয়ে দ্বিমত আছে। চোখের জ্যোতি বলে কিছু নাই। বস্তুর উপর আলো প্রতিফলিত হয় বলে মানুষ দেখে। টাইটানিক মুভি টি আমি প্রথমেই দেখেছিলাম কিন্তু যে ভার্সনটি দেখেছিলাম তাতে নগ্ন দৃশ্যবাদ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তবুও খুবই ভাল লেগেছিল। প্রর্নোগ্রিাফ আসক্তি সৃষ্টির জন্য আমাদের মিডিয়াগুলিই প্রধানত দায়ি। অন্যদিকে আমাদের সমাজের কিছু ভুল দৃষ্টিভঙ্গি এর জন্য দায়ি।
356721
১২ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৯:১৬
না বলা কথা লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File