ছুটির ঘন্টা

লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল সাইমুম০১ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:০৭:২৬ দুপুর

যান্ত্রিক এই জীবনে নেই কোন সুখ

সুখের নামে অভিনয় সবখানে দুঃখ।

জীবনের এই মহা সমুদ্রে সময়ের দাম

প্রানের চেয়ে মূল্য বেশী সর্ম্পকের নাম।

চেনা সুর নেই তবুও লাগে যে মধুর

যা পাও তা নাও বাঁজে বেদনায় বিধূর।

ছুটছে সবাই সবার মতো প্রাণপণ করে প্রতিযোগিতা

কার কত সঞ্চয় বড় হতে অনেক বড় হাসে বিধাতা।

ভুলে যায় আপন-পর ভুলে যায় সব

কিসের ত্বরে এতো আয়োজন জানে শুধু রব।

পাগলা গোড়ার ছুটাছুটি ও একদিন থেমে যায়

থেমে যায় ঐ যে ছুটির ও ঘন্টা

অসহায় তখন হায় হাহাকারে ভরে উঠে মনটা।

প্রজাপতি তপন আর ডানা মেলে উড়ে না

মেঘগুলো হাওয়ায় উড়ে রোদ হয়ে ভাসে না।

মনের চিতল হরিণ চপল-চপল চাহনিতে উঁকিঝুঁকি মারে না

ঝরণার জলগুলো পাহাড় বেয়ে র্ঝর-ঝরিয়ে পড়ে না।

স্বপ্নের সেই ঘুম মৃধু হাওয়ায় স্বপ্ন নিয়ে শুয়ে আর থাকে না

গুন্-গুন গুঞ্জনে আঁকা-বাঁকা মেঠো পথে মন-মুয়ুরী ডাকে না।

সব রাতের ভোর হয় সব গল্পের ইতি হয় না

সব গানের সুর হয় সব কবিতার ছন্দ মেলে না।

তবুও যুদ্ধ দন্ধের এই সমাজে বিরামহীন আসা-যাওয়া

তবুও কাঙ্কিত মন অনাকাঙ্কিত ভালবাসার চাওয়া-পাওয়া।

নিমিষে শেষ হবে একদিন লুন্ঠন-বণ্টন যত অন্যায় অনাচার।

সময়ের সাঁকো পার হলে নতজানু হয়ে করিবে আত্ম সমাচার।

বদলাবে রং মানুষের রঙ বরা সেই ডং বদলাবে অভিনবত্বের সেই সঙ

শুধু বদলাবে না মানবতা আর মন-মানুষের পড়ে থাকা মনের ভিতর জং।

তবুও কি রে হাল ছাড়িবে! বাঁধন টুঁেট ছুটে যাবি অচেনা সেই দেশে

তবুও যে বলি হেরে! সূর্য-চাঁদের রশ্মী নিয়ে আয়না আলোর বেশে।

লোকের কথায় কি আসে যায়, বলিস্ রে সব কোমল মুখে হেসে

পাস্ নি তুই আজ যা কিছু তোর , হয় তো পাবি কষ্ট ভরা শেষে।

হতাশ জলে ডুবে থেকে করিস্ সুখের আশা

রোদ্র উঠান দ্বোর খুলিতে বলিস্ তারে চাষা।

তুই তো হলি সবার বড় সব সেরাদের সেরা

বুঁকে ভিতর দুঃখ চেপে আপন ঘরে ফেরা।

তোর ত্বরেতে লেখা হবে সফল মানব কারা

বিদ্রোহী তরুণ রং রণাঙ্গে পড়ে আছে যারা ।

নিজেরে বিলিয়ে যে সুখ ছড়িয়ে দেয় সবার মাঝে

সেই সকলের কাজের কাজি কে বলে রে বাজে।

বিষয়: বিবিধ

১০৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File