কয়েকটি ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর- পর্ব-৩

লিখেছেন লিখেছেন কাঁচা পত্তের রস ২১ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৯:৫৫:৪৭ রাত



আজ আবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নত্তোর আমরা জানবো। বিষয় গুলো জানা আমাদের সকল মুসলমানের দায়ত্বি।

প্রশ্ন: যে ব্যক্তি মনে করে, নারী-পুরুষের সমান অধিকার না দিয়ে ইসলাম নারীর প্রতি যুলুম করেছে, সে ব্যক্তির বিধান কি?

উত্তর: ইসলাম নারীকে পুরুষের সমান অধিকার না দিলেও, তাকে তাঁর যথাযথ অধিকার দান করেছে। ইসলাম তাঁর প্রতি কোন অন্যায় করেনি। ইসলামের এ অধিকার বণ্টনকে যদি কেও অস্বীকার করে এবং অন্যায় ও অবিচার মনে করে, তাহলে সে কাফের। ৮০ (ইবনে বায)

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ যে জিনিসকে হালাল করেছেন, তা হারাম এবং যে জিনিসকে হারাম করেছেন, তা হালাল করার ব্যপারে কোন ইমাম, আলেম বা সরকারের অনুগত্য করা কী?

উত্তর: এই শ্রেণীর অনুগত্য তিন ভাবে হতে পারেঃ-

(ক) আল্লাহ্‌র বিধানে অসন্তোষ প্রকাশ করে অথবা তা অপছন্দ করে গায়রুল্লাহর বিধানকে পছন্দ করে তাঁর অনুগত্য করা। এর ফলে মুসলিম ‘কাফের’ হয়ে যায়। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন,

“এটা এ জন্য যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তাঁরা তা অপছন্দ করে। সুতরাং আল্লাহ তাঁদের কর্মসমূহ নিষ্ফল করে দেবেন। (মুহাম্মাদঃ ৯) আর এ কথা বিদিত যে, একমাত্র কাফেরদেরই যাবতীয় আমল নিষ্ফল করা হয়।

(খ) গায়রুল্লাহর বিধানের অনুগত্য করা। তবে এ কথা মনে প্রানে বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ্‌র বিধানই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং মানুষের জন্য অধিক কল্যাণকর। কিন্তু কোন কুপ্রবৃত্তিবশে, কোন লোভ বা লাভের খাতিরে গায়রুল্লাহর বিধানের অনুগত্য করা। এ অনুগত্যে মুসলিম কাফের হবে না। যেহেতু শে আল্লাহ্‌র বিধানকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করে না। বরং স্বার্থবশে তা পালন করে না। সুতরাং তাকে ফাসেক বলা যাবে।

(গ) না জেনে গায়রুল্লাহর বিধানের অনুগত্য করা। অথবা সে মনে করে যে, সেটাই আল্লাহ্‌র বিধান। এ ক্ষেত্রে দুই অবস্থা হতে পারেঃ-

একঃ তাঁর পক্ষে আল্লাহ্‌র বিধান জানা সম্ভভ। কিন্তু সে জানার চেষ্টা করে না। অথচ মহান আল্লাহ অজানা বিধান উলামার নিকট জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,

“তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদের জ্ঞিজ্ঞাসা কর;” (নাহলঃ ৪৩, আম্বিয়ামঃ ৭) এ অবস্থায় সে গোনাহগার হবে।

দুইঃ তাঁর পক্ষে আল্লাহ্‌র বিধান জানা সম্ভভ নয়। সুতরাং সে কোন আলেম, নেতা বা সরকারের অন্ধানুকরন করে। এমতবস্থায় তাঁর কোন অপরাধ হবে না। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেছেন,

“যে ব্যক্তিকে বিনা ইলমে (ভুল) ফতোয়া দেওয়া হয়, তাঁর পাপ বর্তে মুফতীর উপর।” ৭৭ ( আবু দাঊদ ৩৬৫৭, ইবনে মাজাহ ৫৭, দারেমী ১৫৯ নং)

এ অবস্থায় যদি অন্ধঅনুকরণকারীর অপরাধ গণ্য করা হয়, তাহলে তাতে বড় সমস্যা দেখা দেবে এবং ভুলের আশংকায় কেউ কেউ আলেমের কথায় ভরসাই রাখবে না। ৭৮ (ইবনে ঊষাইমীন)

প্রশ্ন: যে ব্যক্তি শরীয়তের কোন বিধানকে ‘অচল’ বা ‘বস্তাপচা’ মনে করে, সে ব্যক্তির বিধান কি?

উত্তর: সে ব্যক্তি কাফের। যেহেতু শরীয়তের কোন বিধান অচল ও বস্তাপচা নয়। শরীয়তের বিধান বুঝার জন্য অথবা তা বহাল করার জন্য মানুষের বিবেক বুদ্ধি অচল হতে পারে। কিন্তু সে বিধান শাশ্বত, চিরন্তন ও কালজয়ী। ৭৯ (ইবনে বায)

উত্তর দিয়েছেন: আবদুল হামীদ ফাইযী (দ্বীন ও ইসলাম-বাংলা হাদীস)

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

301172
২১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:২৫
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : দৃষ্টি উন্মোচনকারী পোস্ট। যদি কারো নয়ন থাকে।
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৪৭
243745
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : যে সত্যিকারের মুসলমান তার নয়ন নিশ্চয় আছে ভাই।
301178
২১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৩৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ । খুব ভালো লাগলো লিখাটি ভাইয়া।
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৪৮
243747
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।-Good Luck
301189
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:২২
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৪৯
243748
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।-Good Luck
301195
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:০৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৫০
243749
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : পড়ার জন্য ধন্যবাদ।-Good Luck
301204
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৪:৪০
কাহাফ লিখেছেন :
বর্তমান সময়ে অতীব গুরুত্বপুর্ণ চমৎকার উপস্হাপনা!
অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান!!
২২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৫১
243751
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।-Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File