ইসলামের দৃষ্টিতে “ভ্যালেন্টাইন’স ডে” বা “ভালবাসা দিবস”

লিখেছেন লিখেছেন কাঁচা পত্তের রস ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:৩১:০৩ দুপুর



সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি ও কল্যাণ বর্ষিত হোক তাঁর সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এঁর ওপর, তাঁর পরিবার এবং সাহাবীগণের ওপর, এবং সেই সকল লোকদের ওপর, কিয়ামত পর্যন্ত যারা সত্যের পথ অনুসরণ করবে ৷ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন বা জীবন-ব্যবস্থা হিসেবে বাছাই করেছেন এবং তিনি অন্য কোন জীবন-ব্যবস্থা কখনও গ্রহণ করবেন না, তিনি বলেন: “এবং যে কেউই ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবন-ব্যবস্থা আকাঙ্খা করবে, তা কখনোই তার নিকট হতে গ্রহণ করা হবে না, এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন ৷” (সূরা আলে ইমরান, ৩:৮৫) এবং



নবী(সা.) বলেছেন, এই উম্মাতের মধ্যে কিছু লোক বিভিন্ন ইবাদতের প্রক্রিয়া ও সামাজিক রীতিনীতির ক্ষেত্রে আল্লাহর শত্রু দের অনুসরণ করবে ৷

আবু সাঈদ আল খুদরী(রা.) বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেন: “তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণে লিপ্ত হয়ে পড়বে, প্রতিটি বিঘৎ, প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্যে [তাদের তোমরা অনুসরণ করবে], এমনকি তারা সরীসৃপের গর্তে প্রবেশ করলে, তোমরা সেখানেও তাদেরকে অনুসরণ করবে ৷” আমরা বললাম, “হে রাসূলুল্লাহ ! তারা কি ইহুদী ও খ্রীস্টান?” তিনি বললেন: “এছাড়া আর কে?” (বুখারী, মুসলিম)

আজ মুসলিম বিশ্বের বহু স্থানে ঠিক এটাই ঘটছে, মুসলিমরা তাদের চালচলন, রীতিনীতি এবং উৎসব উদযাপনের ক্ষেত্রে ইহুদী ও খ্রীস্টানদের অনুসরণ করছে ৷

টিভি, পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন, স্যাটেলাইট চ্যানেল, ইন্টারনেটের মত মিডিয়ার প্রচারে কাফিরদের অনুসৃত সমস্ত রীতিনীতি আজ মুসলিমদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে এবং এর অনুসরণ ও অনুকরণ সহজতর হয়ে উঠেছে ৷ মুসলিম সমাজে প্রচলিত এরূপ বহু অপসংস্কৃতির সাথে একটি সাম্প্রতিক সংযোজন হচেছ “ভ্যালেন্টাইন’স ডে”, যা “ভালবাসা দিবস” নামে বাঙালী মুসলিম সমাজের যুবক- যুবতীদের মাঝে ঢুকে পড়েছে এবং ক্রমে জনপ্রিয়তা লাভ করছে, পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ দিবসটি পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করছে ৷

এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামের আলোকে এই ভালবাসা দিবসকে মূল্যায়ন করে বাঙালী মুসলিম সমাজের মুসলিম যুবক-যুবতীদের বোধশক্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে তাদেরকে কাফিরদের অন্ধ অনুসরণ থেকে নিবৃত্ত করা ৷

নিশ্চয়ই ইহুদী ও খ্রীস্টানসহ অন্যান্য কাফিরদের সংস্কৃতির অনুসরণের পরিসমাপ্তি ঘটবে জাহান্নামের আগুনে, তাই বর্তমান নিবন্ধের উদ্দেশ্য আমাদের যুবসম্প্রদায়কে জাহান্নামের পথ থেকে ফিরিয়ে জান্নাতের প্রশান্তির দিকে আহবান করা ৷

প্রথমে “ভ্যালেন্টাইন’স ডে”র উৎস এবং প্রচলন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা যাক ৷ “ভ্যালেন্টাইন’স ডে”র উৎস হচ্ছে সতের শত বছর আগের পৌত্তলিক রোমকদের মাঝে প্রচলিত “আধ্যাত্মিক ভালবাসা”র উৎসব ৷ রোমানদের এই পৌত্তলিক উৎসবের সাথে কিছু কল্পকাহিনী জড়িত ছিল, যা পরবর্তীতে খ্রীস্টান রোমকদের মাঝেও প্রচলিত হয়ে পড়ে ৷ এ সমস্ত কল্প-কাহিনীর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এই বিশ্বাস যে, এই দিনে রোমের প্রতিষ্ঠাতা রমিউলাস একটি নেকড়ের দুধ পান করেছিলেন, যা ছিল তার শক্তি ও জ্ঞানের উৎস ৷ এই দিনে পালিত বিচিত্র অনুষ্ঠানাদির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, দুজন শক্তিশালী পেশীবহুল যুবক গায়ে কুকুর ও ভেড়ার রক্ত মেখে তারপর দুধ দিয়ে তা ধুয়ে ফেলার পর এ দুজনকে সামনে নিয়ে বের করা দীর্ঘ পদযাত্রা ৷ এ দুজন যুবকের হাতে চাবুক থাকত যা দিয়ে তারা পদযাত্রার সামনে দিয়ে যাতায়াতকারীকে আঘাত করত ৷ রোমক রমণীদের মাঝে কুসংস্কার ছিল যে, তারা যদি এই চাবুকের আঘাত গ্রহণ করে, তবে তারা বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পাবে, এই উদ্দেশ্যে তারা এই মিছিলের সামনে দিয়ে অতিক্রম করত ৷ যাহোক রোমকরা খ্রীস্টধর্ম গ্রহণের পরও এই উৎসব উদযাপনকে অব্যাহত রাখে, কিন্তু এর পৌত্তলিক খোলস পাল্টে ফেলে একে খ্রীস্টীয় খোলস পরানোর জন্য তারা এই উৎসবকে ভিন্ন এক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট করে ৷ এই ঘটনা হচেছ সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক জনৈক খ্রীস্টান সন্ন্যাসীর জীবনোৎসর্গ করার ঘটনা ৷ মূলত ইতিহাসে এরূপ দুজন সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের কাহিনী পাওয়া যায় ৷ এদের একজন সম্পর্কে দাবী করা হয় যে, তিনি শান্তি ও প্রেমের বাণী প্রচারের ব্রত নিয়ে জীবন দিয়েছিলেন, আর তার স্মরণেই রোমক খ্রীস্টানরা এই উৎসব পালন অব্যাহত রাখে ৷ এই সময়টাতেই “আধ্যাত্মিক ভালবাসা”র উৎসব, রূপান্তরিত হয়ে জৈবিক কামনা ও যৌনতার উৎসবে রূপ নেয় ৷ এ ধরনের উৎসবের মধ্যে যোগ করা হয় একবছরের জন্য সঙ্গী বাছাইয়ের অনুষ্ঠান, যাতে একজন তরুণের জন্য একটি তরুণীকে একবছরের জন্য নির্ধারণ করে দেয়া হত, তারা একবছর পরস্পরের সাথে মেলামেশা করার পর একে অপরের প্রতি আগ্রহী হলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হত, নতুবা পরবর্তী বছরেও এই একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতো ৷

খ্রীস্টান ধর্মের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা এই প্রথার বিরুদ্ধে ছিলেন, কেননা তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে, এটা সমাজে অশালীনতা ও ব্যাভিচারকে ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে ধবংস করার জন্য শয়তানের বহু কূটচালের একটি, এবং ধর্মের সাথে এর কোন সম্পর্কই নেই ৷ এমনকি খ্রীস্টধর্মের প্রাণকেন্দ্র ইতালীতে এই প্রথা অবশেষে বিলুপ্ত করা হয়৷

তবে আঠার ও ঊনিশ শতকে তা সেখানে পুনরায় চালু হয় ৷ “ভ্যালেন্টাইন’স ডে”র উৎস সম্পর্কে আরেকটি মতবাদ হচেছ এই যে, এর উৎস খ্রীস্টীয় ৩য় শতকে রোমক সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের শাসনামলে ৷ এসময় ক্লডিয়াস একটি বিধান জারী করেন যে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না, কেননা বিবাহ তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে দৃঢ় থাকাকে ব্যাহত করবে ৷ এ সময় সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন এই আইনের বিরুদ্ধাচরণ করেন এবং গোপনে সৈনিকদের বিয়ের কার্য সমাধা করতে থাকেন ৷ যাহোক, এর পরিণতিতে তাকে কারাবরণ করতে হয় এবং পরিশেষে সম্রাট তাকে খ্রীস্টধর্ম পরিত্যাগের বিনিময়ে মুক্তি ও পুরস্কারের লোভ দেখান, কিন্তু তিনি খ্রীস্টধর্মের ওপর অটল থেকে মৃত্যুদন্ড মাথা পেতে নেন ৷ তার প্রাণদন্ড কার্যকরের তারিখটি ছিল খ্রীস্টীয় ২৭০ শতকের ১৪ই ফেব্রুয়ারী, যা কার্যকর হয় ১৫ই ফেব্রুয়ারী লুপারক্যালিয়া* উৎসবের প্রাক্কালে ৷ সেজন্য এই দিনটিকে ঐ পাদ্রীর নামে নামকরণ করা হয় ৷ খ্রীস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ১৪ই ফেব্রুয়ারীকে ভালবাসার উৎসব দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন ৷

দেখুন, কিভাবে খ্রীস্টানদের সর্বোচ্চ এই “ধর্মীয় নেতা” একটি নব- উদ্ভাবনকে ধর্মীয় বেশ পরিয়ে সমাজে চালু করে দিলেন, আর কিভাবে খ্রীস্টানরাও একে সাদরে গ্রহণ করে নিল,

এজন্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কুরআনে বলেছেন: “তারা তাদের পন্ডিত এবং সন্ন্যাসীদেরকে আল্লাহর পাশাপাশি তাদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে ৷” (সূরা আত তাওবাহ্, ৯:৩১)

একদা রাসূলুল্লাহ্র সাহাবী আদি ইবন হাতিম (রা), [যিনি খ্রীষ্ট ধর্ম ছেড়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন, তিনি ] আল্লাহর রাসূল (সা.) কে উপরোক্ত আয়াতটি পাঠ করতে শুনে মন্তব্য করলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা তাদের ইবাদাত করতাম না ৷’

আল্লাহর রাসূল (সা.) তাঁর দিকে ফিরে প্রশ্ন করলেন: “এমনকি হতো না যে, আল্লাহ যা হালাল করেছেন, তারা তা হারাম করে দিত আর তোমরাও সেগুলোকে হারাম বলে গণ্য করতে, আর আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তারা তাকে হালাল করে দিত, এবং তোমরাও সেগুলোকে হালাল করে নিতে?”,



তিনি জবাবে বললেন: “হাঁ, আমরা নিশ্চয়ই তাই করতাম৷” আল্লাহর রাসূল (সা) বললেন; “ওভাবেই তোমরা তাদের ইবাদত করতে৷”



প্রিয় ভাই ও বোনেরা ভালবাসা দিবস আমাদের মুসলমানদের জন্য নয়। মহান আল্লাহ আমাদেরকে এসব ভুল পথ থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন। - আমীন

উৎস: ইসলামের বিধান সম্পর্কে জানুন, আল্লাহর পথে ফিরে আসুন

বিষয়: বিবিধ

২৮৪২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

304430
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৩৬

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : অধিকারভুক্ত যৌনদাসী, করায়ত্ব যুদ্ধবন্ধি নারী গনিমত এবং যৌন শষ্যক্ষেত্র স্ত্রী/স্ত্রীদের নিয়ে কিছু বল্লেন্না যা??
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
246261
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : যারা জেগে জেগে ঘুমায় তাদের ঘুম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করা বৃথা। আপনার প্রফাইল দেখে মনে হয়েছে আপনিও সেই ধরনের ব্যক্তি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৩৯
246306

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : সারা পৃথিবী সামনে এগিয়ে চলছে। আর অজ্ঞ, মূর্খ, বর্বর মুস্লিমরা এখনো ৭ শতকের অন্ধকারে। তো জেগে ঘুমায় কে?
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৭
246451
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : যারা অজ্ঞ, মূর্খ, নাস্তিক, ধর্মহীন, ভালমন্দ বিচার করার ক্ষমতা যাদের নেই তারাই জেগে ঘুমায়। আর পৃথিবীতে ইসলাম আছে বলেই পৃথিবীর সামান্যতম শান্তিটুকু আছে। ইসলাম যত বিস্তৃত হবে পৃথিবীতে শান্তিও তত বাড়বে । এই শান্তির ইসলাম কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকবে ইনশাল্লাহ।
304431
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪৬
নারী লিখেছেন : ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
246262
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।-Good Luck
304462
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : কেন শুধু ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার জন্য? কীসের ভ্যালেন্টাইন ডে?

আপনি যদি ১৪ ফেব্রুয়ারীতে " প্রেমিক-প্রেমিকা " সম্পর্কের কথা বলেন , তাহলে মুসলিম হিসেবে "ভাই-বোন তথা Islamic brotherhood-sisterhood" এবং "বিবাহিত-দম্পতি" ছাড়া ইসলামে এই "সম্পর্কের" কোন জায়গা নেই।

মানুষ জাতি কি একটি নির্দিষ্ট দিন থেকে প্রেম- ভালোবাসা শুরু করেছে ?

এমনকি এই ভ্যালেন্টাইন উদযাপিত হবার আগ থেকেই মানুষ একে অপরকে ভালোবেসে থাকে।

আমরা আমাদের স্রষ্টা - সর্বশক্তিমান "আল্লাহকে" দৈনন্দিন ভালোবাসি।

আমি আমার স্ত্রী-কে প্রতিটি মুহূর্ত - দৈনন্দিন ভালোবাসি।

সেও প্রতিটি মুহূর্ত-দৈনন্দিন আমাকে ভালোবাসে ।

আমরা আমাদের বাবা-মা কে প্রতিদিন ভালোবাসি।

আমরা একে অপরকে দৈনন্দিন ভালোবাসি।

আমরা প্রতিদিন আমাদের আত্মীয়- স্বজনদের ভালোবাসি।

আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের দৈনন্দিন ভালোবাসি।

আমরা এমনকি জন্তু, আমাদের প্রাকৃতিক গাছপালা, সৃষ্টিসমূহ ও পরিবেশ দৈনন্দিন ভালোবাসি।

আমরা আমাদের দেশকে সবসময় ভালোবাসি।

আমরা এই সমগ্র মহাবিশ্বকে প্রতিদিন ভালোবাসি।

বিবাহিত দম্পতি হিসেবে আমরা ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারিতেও ভালোবাসি, শুধু ১৪ ফেব্রুয়ারি নয়।

তাহলে কেন মাত্র ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোসার জন্য?

এটা কী আমাদের জন্যে?

তাদের জন্যই এই ১৪ ফেব্রুয়ারি- বিশ্ব ভালোবাসা(!) দিবস-

ইউরোপ-আমেরিকায় যারা Boyfriend-Girlfriend সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী,

এখানে যারা বিবাহিত, শুধু বউয়ের শরীর আর পছন্দ হয়না অজুহাতে অপর Girlfriend এর সাথে বসবাস,

যারা কথায়-কথায় আলাদা হয়ে যায়,

যারা ১৮ বছর হয়ে গেলেই বাবা-মা ছেড়ে চলে যায়

যারা ১৮ বছরেও একবার জন্মদাতা মা-বাবা'র খোঁজ নেয় না

যাদের পারিবারিক কোন বন্ধন নেই,

যাদের হৃদয়ে হাহাকার, অশান্তি, ভালোবাসার কোন বন্ধনই অবশিষ্ট নেই।

তার চেয়েও বড় কথা হল- কর্পোরেট কোম্পানী গুলো এই দিনের কথা বলে দারুন ব্যবসা করে থাকে, এমনকি দিন দিন নারীর শরীর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সহ সরাসরি পন্যে পরিণত করার একটি কৌশল মাত্র।

সুতরাং নারীদেরই এগিয়ে আসতে হবে তাদেরকে মিডিয়ায় পণ্য হিসেবে উপস্থাপনের প্রতিবাদে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
246264
কাঁচা পত্তের রস লিখেছেন : ভাই শুধু নারীদেরকে এগিয়ে আসলে চলবে না, এ ক্ষেত্রে সরকারের একটি বড় ভুমিকা থাকতে হবে। এসব দিবস উচ্ছেদ করার জন্য সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে ।-আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর ব্যাখ্যা দেবার জন্য।-Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File