রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিদায়ী ভিসি এম আবদুস সোবহানের শেষ কর্মবিদসে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৩৭ জনের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা উপাচার্যের পরিবারের সদস্যদের চুল কাটতেন, তার বাসায় রান্না করতেন, এমনকি মাংস সরবরাহ করতেন।
যদিও এরই মধ্যে এই নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্মবিদসের মধ্যে সেই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চুল কেটেও চাকরি:
বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কাজলা এলাকার শামসুল আলম দীর্ঘ ধরে ভিসি আবদুস সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের চুল কাটতেন। এই শামসুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ট শাখায় নিরাপত্তাপ্রহরীর চাকরি পেয়েছেন।
কাজলার ধরমপুর এলাকার আবদুস সামাদ ওরফে রাজন কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি ভিসির ব্যক্তিগত ফার্নিচার বানিয়ে দিতেন। তিনি প্রকৌশল দপ্তর শাখায় কাঠমিস্ত্রি পদে চাকরি পেয়েছেন।
ভিসিকে নিয়মিত মাংস সরবরাহ করতেন কাজলা এলাকার ফজলুর হক নামের এক ব্যক্তি। তার মেয়ের চাকরি হয়েছে। তবে তার মেয়ের নাম ও কোন পদে চাকরি পেয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভিসির বাড়িতে মালির কাজ করেন সাইফুল ইসলাম। তার স্ত্রী মোসা. মিনু খাতুন ওই বাসভবনে রান্না করতেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
যা আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহানের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষে বিভিন্ন হল-দপ্তরে ১৪১জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে ভিসির অবৈধ নিয়োগের বৈধতার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতদসংক্রান্ত বিষয়ে নিয়োগ কার্যক্রমে অনিয়ম হয়েছে কি না,তা তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে ভিসির নিয়োগের বিষয়ে তদন্ত করতে কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন