জুমার তাৎপর্য

লিখেছেন লিখেছেন নূর আল আমিন ২৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪৮:৩৬ সকাল

জুম’আর নামাজের

ফযীলত ও

তা আদায়কারীদের

জন্য ঘোষিত

পুরষ্কারঃ

১. কুরবানী করার

সমান সওয়াব

অর্জিত হয়ঃ

দিনে আগে ভাগে মসজি

খয়রাত বা পশু

কুরবানী করার

সমতুল্য সওয়াব

পাওয়া যায়। হযরত

আবু হুরায়রা (রাঃ)

বর্ণিত এক

হাদীসে রাসূল (সঃ)

বলেছেন,

“যে ব্যক্তি জু’আর

দিন ফরজ গোসলের

মত গোসল করে প্রথম

দিকে মসজিদে হাজির

হয়, সে যেন একটি উট

কুরবানী করল,

দ্বিতীয়

সময়ে যে ব্যক্তি মস

করে সে যেন

একটি গরু

কুরবানী করল,

তৃতীয়

সময়ে যে ব্যক্তি মস

করল সে যেন

একটি ছাগল

কুরবানী করল।

অতঃপর চতুর্থ

সময়ে যে ব্যক্তি মস

সে যেন

একটি মুরগী কুরবানী

আর পঞ্চম

সময়ে যে ব্যক্তি মস

করল সে যেন

একটি ডিম

কুরবানী করল।

অতঃপর ইমাম যখন

বেরিয়ে এসে মিম্বরে ব

খুৎবার জন্য, তখন

ফেরেশতারা লেখা বন্ধ

করে খুৎবা শুনতে বসে

বুখারী, হাদীস নং-

৮৮১)

২. মসজিদের দরজায়

দাঁড়িয়ে ফেরেশতারা অ

নাম তালিকাভুক্ত

করেনঃ

জুম’আর

সালাতে কারা অগ্রগাম

ফেরেশতারা এর

তালিকা তৈরি করে থা

রাসূল (সঃ) বলেছেন,

“জুম’আর দিন

মসজিদের দরজায়

ফেরেশতা এসে হাজির

হয়।

সেখানে দাঁড়িয়ে তারা স

নাম লিখতে থাকে।

প্রথম

ভাগে যারা মসজিদে ঢু

তাদের জন্য উট,

দ্বিতীয়বারে যারা আ

তাদের জন্য গরু,

তৃতীয়বারে যারা আসে

তাদের জন্য ছাগল,

চতুর্থবারে যারা আসে

তাদের জন্য মুরগী, ও

সর্বশেষ

পঞ্চমবারে যারা আগম

করেন তাদের জন্য

ডিম কুরবানী বা দান

করার সমান সওয়াব

লিখে থাকেন। আর

যখন ইমাম

খুৎবা দেওয়ার জন্য

মিম্বরে উঠে পড়েন

ফেরেশতারা তাদের এ

খাতা বন্ধ

করে খুৎবা শুনতে বসে

বুখারী, হাদীস নং-

৯২৯)

৩. দশ দিনের গুনাহ

মাফ হয়ঃ

জুম’আর দিনের আদব

যারা রক্ষা করে তাদের

দশ দিনের গুনাহ মাফ

করে দেওয়া হয়। রাসূল

(সঃ) বলেছেন,

‘'যে ব্যক্তি ভালভাবে

হল অতঃপর

মসজিদে এলো,

মনোযোগ

দিয়ে খুৎবা শুনতে চুপচা

বসে রইল, তার জন্য

দুই জুম’আর

মধ্যবর্তী এ সাত

দিনের সাথে আরও

তিনদিন যোগ

করে মোট দশ দিনের

গুনাহ মাফ

করে দেওয়া হয়।

পক্ষান্তরে খুৎবার

সময়

যে ব্যক্তি পাথর,

নুড়িকণা বা অন্য

কিছু নাড়াচাড়া করল

সে যেন অনর্থক কাজ

করল।'’ (সহীহ

মুসলিম, হাদীস নং-

৮৫৭)

৪. জুম’আর আদব

রক্ষাকারীর দশ

দিনের গুনাহ

মুছে যায়ঃ

রাসূল (সঃ) বলেছেন,

“জুম’আর

সালাতে তিন ধরনের

লোক হাজির হয়।

তারা হলেনঃ

(ক) এক ধরনের লোক

আছে যারা মসজিদে প্

পর তামাশা করে,

তারা বিনিময়ে তামাশা

পাবে না।

(খ) দ্বিতীয় আরেক

ধরনের লোক

আছে যারা জুম’আয়

হাজির হয়

সেখানে দু’আ মুনাজাত

করে, ফলে আল্লাহ

যাকে চান তাকে কিছু

দেন আর

যাকে ইচ্ছা দেন না।

(গ) তৃতীয় প্রকার

লোক হল

যারা জুম’আয় হাজির

হয়, চুপচাপ থাকে,

মনোযোগ

দিয়ে খুৎবা শোনে,

কারও ঘাড়

ডিঙ্গিয়ে সামনে আগা

না, কাউকে কষ্ট দেয়

না, তার দুই জুম’আর

মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ

আরও তিনদিন যোগ

করে মোট দশ দিনের

গুনাহ খাতা আল্লাহ

তায়ালা মাফ

করে দেন।” (সুনানে আবু

দাউদ, হাদীস নং-

১১১৩)

বিষয়: বিবিধ

৯৬২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

166705
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
সাইদ লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
166775
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
আলোকিত ভোর লিখেছেন : ধন্যবাদ Rose
166795
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
নূর আল আমিন লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইর@সাইদ ভাই
166796
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
নূর আল আমিন লিখেছেন : আলোকিত ভোর ভাই স্বাগতম

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File